āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4683

" ঠাস " -(একটি থাপ্পড় মারার শব্দ)
.
রিন্তি আমার ছাত্রী, ক্লাস টেনে পড়ে। যেমন রূপে তেমনি মেধায়। সপ্তাহে তিনদিন ওকে পড়াতে যাই, প্রায় তিন মাস হলো।  লাস্ট মাসের বেতন এখনও পাইনি।
.
রীতিমত সন্ধাবেলায় তাকে পড়াতে গেলাম। আংকেল আন্টি সেইরকম সিরিয়াল খোর। মেয়েদুটো যে না ঠিক তা না, কিন্তু এখন রিন্তি আর ইন্তি দুজনই পড়ায় মনোযোগী। ইন্তিকে আমি পড়াইনা ও ক্লাস এইটে পড়ে, নাইন থেকে পড়ানোর কথা আছে।
.
রিন্তি আজ একটু সেজেছে , ব্যাপার কিছুই বুঝলাম না! এই অসময়ে তার সাজগোজ এর কারন বের করতে না পেরে তাকেই জিজ্ঞেস করলাম- কিরে কোথাও যাবা? সেজেগুজে যে পড়তে বসেছো?
.
রিন্তি ইন্তিকে সিরিয়ালের খোজ নিতে পাঠিয়ে দিলো। প্রায় প্রায় রিন্তি খোজ নিতে পাঠায়, ইন্তি আবার সিরিয়াল টা শেষ করেই আসে। যাই হোক রিন্তি চুলগুলো একটু ঠিক করে বলছে - আমাকে সুন্দর লাগতেছেনা ভাইয়া?
.
এই যাহ। হটাৎ ভয় লাগছে কেনো জানি, পেটে লাথি পড়ার একটা সুযোগ হবে বুঝতে পারছি।
.
-না মানে, মানে....
.
রিন্তিঃ কি মানে মানে করছেন? আমি আজ আপনার জন্যই সেজেছি। আমি কিছু বুঝিনা নাকি! আপনি আমাকে পছন্দ করেন আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন কিন্তু কিছুই বলতে পারেন না, ভয় করেন।
.
বুঝতে পারলাম হাত খরচের ব্যাংক টাও বন্ধ  গেলো। একে আর পড়ানোই ঠিক হবেনা। ব্যাপারটা আগালে আমার মানসম্মান প্লাস+ইস্টিক হয়ে যাবে। পুরা মাত্রায় রাগ দেখিয়ে বললাম- তোমার মাথা গেছে, বেয়াদব মেয়ে। ভালই ভালই পড়ো নাহলে এমন করলে আর পড়াতে আসবনা।
.
রিন্তিঃ রুহী ভাইয়া, আমি আপনাকে ভালবেসে ফেলেছি, প্লিজ আমাকে দূরে ঠেলে দিয়েন নাহ।
আপনি আমাকে তিনদিন করে পড়াতেন এখন শুধু আমার জন্য প্রতিদিন আসবেন। আর যদি নাও পড়ান তাহলে আমরা প্রতিদিন দেখা করবো, ঘুরবো রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলবো।
.
আমিঃ চুপ করো বেয়াদব মেয়ে। তোমার আব্বু আম্মুকে এখুনি ডাকো।
.
রিন্তিঃ তারা এসে কি করবে? একটা প্রেমের গল্প শোনান তো।
.
ধমক দেওয়ার পর আংকেল আন্টিকে ডাকতে গেলো। এখানে আর টিউশনি করাই যাবেনা, নাহলে ব্যাপার খারাপ হয়ে গেলে এলাকায় মানসম্মান তো যাবেই টিউশনিও আর পাবোনা। আংকেল আন্টি আমার সামনে বসে আছে, আমি গত মাসের টাকাটা এখুনি চাইলাম, দুই হাজারের জায়গায় আড়াইহাজার পেলাম ভাল পড়ানোর কারনে নাকি।
.
আমি রিন্তির সামনেই ওর বাবা মাকে সত্য কথাটাই বললাম।
.
আরও বললাম যে আর পড়াবনা।  পড়ালেও আপনি আজ থেকে আপনারা আমার ভাই ভাবি আর রিন্তি ইন্তি ভাতিজি, ওরা আমায় চাচ্চু বলে ডাকবে। কথাটা পুরোপুরি শেষই করিনি রিন্তি কাছে এসে এমন জোড়ে একটা থাপ্পড় আমার গালে বসিয়ে দিলো যে আকাশ বাতাস ঠাস ঠাস এর শব্দে মুখরিত হয়ে গেলো। মহাকালের শ্রেষ্ঠ অবাক হলাম। সবাই থ মেরে আছে।
.
চলে এসেছি সাথে সাথে। এক সপ্তাহ থেকে যাইনা। টিউশনি করার মানুষিকতা হারিয়ে ফেলেছি। একদিন সন্ধ্যার দিকে একটা ফোন আসলো, বলছে ও নাকি রিন্তির বান্ধবি।
.
আমিঃ জ্বি বলুন
.
রিন্তির বান্ধবিঃ আমি রিন্তির বান্ধবি শ্রুতি।  রুহী ভাইয়া শুনুন
.
আমিঃ বলো। আমি আর টিউশনি করাইনা।
.
শ্রুতিঃ ধুরো টিউশনি না, আপনাকে ওয়ার্নিং দিতে ফোন করেছি
.
আমিঃ মানে? কিসের ওয়ার্নিং?
.
শ্রুতিঃ সেদিনের জন্য তো রিন্তির হাতে ফার্স্ট ক্লাস একটা চড় খাইছেন। কালকে ছুটি শেষে রিন্তির সাথে দেখা না করলে সে আপনাকে খুন করে ফেলবে। সো জীবন বাঁচাতে চলে আসিয়েন। আর হ্যা সাথে গোলাপ নিয়ে আসবেন, রিন্তি খুব খুশি হবে।
.
আজীব দুনিয়ার আজীব কারবার। খুব টেনশনে আছি জান নিয়ে। ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমিয়ে যাবো ভাবছি।
.

.
ছোটখাটো দেখে একটা গোলাপ কিনলাম রিন্তির জন্য, যাতে পকেটে সাইজ করে ঢুকিয়ে রাখা যায়। কেননা গার্লস স্কুলের সামনে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে বখাটে নাম অর্জন করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। রিন্তি আসতে বলেছে ছুটি শেষে দেখা করবে, না আসলে খুন করার হুমকি দিয়েছে আমায়।
.
ছুটির পাঁচ মিনিট আগেই গেট থেকে বেশ কিছু দূরে ভদ্র একটা লুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি গার্জিয়ান এর মতো। ছুটি দিয়ে দিলো। সবাই বের হচ্ছে আর আমি রিন্তিকে খুজছি গলা উঠিয়ে উঠিয়ে যদিও আমি ভালই লম্বা। এত্তগুলা মেয়ের মাঝে রিন্তিকে আমি খুজেই পাচ্ছিনা, পাবোই বা কেমন করে! সবারি তো একি ড্রেস। উৎসুক চোখে রিন্তিকে খুজেই যাচ্ছি সব মেয়ের ভিড়ে। গরমের দিন এমনিতেই আবার দেখা না হলে সত্যিই কিছু করে বসতে পারে মেয়েটা। ভয়ে,গরমে একটু একটু ঘামতে শুরু করলাম যে ছেলে একটুকুও ঘামিনা যত গরম হোকনাই কেনো।
.
পিছন থেকে মেয়েলি কন্ঠে- রুহী তুমি এখানে! এসেছো তাহলে! আমি জানতাম তুমি আসবেই।
.
রিন্তির ডাকে পিছনে ঘুরার সাথে সাথে একটু শীতল বাতাস অনুভব করলাম। একটু অবাকও হলাম বটে, রিন্তি আমায় তুমি ডাকছে!  মনে হয় ও আমার সেইম ব্যাচ!
.
আমিঃ আমি তোমার থেকে প্রায় চার বছরের সিনিয়র
.
রিন্তিঃ তোমাকে আমি আপনি করে ডাকতে পারবনা বুঝলা? ভালবাসার মানুষকে কি কেউ আপনি ডাকে? গাধা কোথাকার..
.
বলে কি মেয়ে! আজব তো! এতদিন পড়া না পারলে ওকেই আমি গাধা বলতাম, ম্যাডাম এখন উলটো আমাকেই বলছে!
.
রিন্তিঃ কি ভাবছো? এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলবো নাকি? একটা রিকশা ডাকো পার্কে বসে গল্প করবো।p
.
আমিঃ তুমি এই ইউনিফর্ম এ পার্কে বসে আমার সাথে গল্প করবা?!  এটা কখনই সম্ভব না। আমি পারবনা।
.
রিন্তিঃ সেদিন বাম গালে চড় খাইছোনা আজ ডান গালে দিবো বেশি কথা বললে।
.
সেদিনের চড়ের কথা মনে করে আজও আমার গালের স্কিন কেঁদে উঠে বললো- ভাইরে কি খাবি খাইস কিন্তু মেয়ের হাতে আর চড় খাসনে।
.
রিন্তি আর আমি বসে আছি পাশাপাশি। আইস্ক্রিম খাওয়া শেষ করে আমাকে বলছে- গোলাপ কই? কখন প্রপজ করবা?
.
আমি এক বালতি বিস্ময় নিয়ে বললামঃ কিসের গোলাপ?  কিসের প্রপজ?  তোমার মত দাজ্জাল মেয়ের সাথে আমি প্রেম করবোনা কখনও!
.
রিন্তিঃ শুধু প্রেম না বাবুর আব্বু এই দাজ্জাল মেয়েকে বিয়েও করতে হবে।
.
অবাক থেকে হতবাক হচ্ছি!  এই মেয়ে বলে কি! স্ক্রু ঢিলা মেয়ে একটা।
.
আমিঃ আমার বয়েই গেছে, দেশে বুঝি মেয়ের অভাব পড়ে গেছে।
.
রিন্তি দেখছি নিজেকে অনেকটা নরম করে বললো- রুহী তুমি আমায় শুধু একটু হৃদয়ের গভীর থেকে ভালবাসো, শুধু একটু।  তাহলেই তো আমি নরম হয়ে যাই।  আর আমি কঠিন হয়েছি তো শুধু তোমাকেই পাবার জন্য তাইনা?
.
আমি সত্যিই ইমপ্রেস হয়ে গেলাম। রিন্তি এত নরম সুরে মিষ্টি করে কথা বলতে পারে! তার চেহেরার ইন্নোসেন্ট ভাব দেখে সত্যিই তার প্রেমে পড়ে গেলাম। মেয়েটাকে খুব কাছের মনে হলো। সত্যিই মেয়েটা আমায় খুব ভালবাসে তার জন্য হয়তো সেদিন তাকে ভাতিজি বলতেই ঠাস করে চড় দিয়েছিলো। জীবন চলার পথে একটুখানি প্রেমময় সঙ্গ সবারি দরকার, সেই সঙ্গটা না হয় আমি রিন্তির কাছেই পেলাম।
.
আমিঃ আচ্ছা রিন্তি, কিভাবে প্রপজ করে?
.
রিন্তিঃ প্রপজ করাও শিখিয়ে দিতে হবে? হায় হায় তোমাকে নিয়ে তো আমার টেনশন বেড়ে গেলো। ফুলটা দাও দেখি...
.
বেশ কয়েকবার রিন্তি শিখিয়ে দেওয়ার পর ফুল হাতে,
.
আমিঃ আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি রিন্তি, তোমার হৃদয়ের একটুখানি উষ্ণ  ভালবাসা দিবে কি আমায়?
.
রিন্তিঃ উহু।  সব ভালবাসা তোমারই জন্য। লাভ ইউ।
.
আমিঃ লাভ ইউ ২
.
রিন্তিঃ সেদিনের চড়ের জন্য সরি, খুব ব্যাথা পাইছিলা তাইনা?
.
আমিঃ তুমি সেদিন চড় দিছিলা? আমি তো ভাবছিলাম গালে আদর করে দিছিলা।
.
এরকম করেই রিন্তি আর রিন্তির জান রুহী মানে আমি, আমাদের প্রেম সুষমগতিতে চলতে লাগলো।
.
.
লিখাঃ আমিম এহসান

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ