āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4681


" আমি আর সে "
.
একগুচ্ছ গোলাপ হাতে ইশরাত এর জন্য অপেক্ষা করছি। হুটহাট করে গোলাপ নিয়ে আসলে অনেক খুশি হয় মেয়েটা। আর তার অল্প একটু খুশির জন্য এই সামান্য কাজটা করে আমাকেও অনেক ভাল লাগে।
.
কিন্তু ব্যাপারটা অন্য জায়গায়। গোলাপ হাতে অপেক্ষা করতে আমার খুব অস্বস্তি লাগছে। কেননা গোলাপ আমার খুব একটা পছন্দের না। আমার পছন্দের ফুল হলো ডালিয়া, এত্ত বড় আর কত রঙবেরঙের। দেখলেই মনটা ভরে যায়। ফুল নিয়ে গবেষণা করতে করতেই ইশরাত আসলো।
.
"স্যরি, একটু লেট হলো।"
"আমাকে অপেক্ষা করতে ভালই লাগছিলো, এই নাও গোলাপ তোমার জন্য এনেছি।"
"ওয়াও, আমার জন্য এত কষ্ট করতে গেলে ক্যান?"
"কষ্ট! কিসের কষ্ট?"
"ওমা, তুমি ফুল গুলো পছন্দ করেছো আবার ফুল গুলো কিনে এনেছো আবার এখানে ফুল হাতে নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলে, অনেক কষ্টের না এগুলো?"
"আমার কোনো কষ্টই হয়নি।"
"এই ফুলগুলো তো বাড়িওয়ালার বাগান থেকে নিয়ে এসেছি।"
"কি!!! চুরি করেছো।"
"আরে নাহ! না বলে নিয়ে এসেছি।"
"না বলে নিয়ে আসাটাকে কি চুরি বলেনা।"
"আরে গিয়ে বলবো, তুমি এত টেনশন করতেছো ক্যান।"
"এই ফুলগুলো হাতে রাখতে নিজেকে কিরকম অপরাধী মনে হচ্ছে।"
"তাহলে ফেলে দাও।"
"না,পছন্দের জিনিস ফেলে দিবোনা।"
.
ব্যাগের মধ্যে ফুলগুলো রেখে দিলো ইশরাত। হাটা শুরু করলাম। প্রিয় মানুষটির পাশাপাশি হাটতে নাকি খুব ভাল লাগে ইশরাতের। আমি অবশ্য হাটতে খুব কম পছন্দ করি। কেননা হাটলে শরীর খুব ক্লান্ত হয় আর রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম ধরে। আর আমি রাত জাগতে ভালবাসি তাই খুব কম হাটার চেষ্টা করি। ইশরাত এর সাথে হাটছি ভালই লাগছে। ইশরাত বলা শুরু করলো,
.
"ফুল টা দেওয়ার সময় তো আমাকে ভালবাসি বলতে পারতা!"
"হ্যা বলা তো যেতই।"
"তো বললেনা যে।"
"প্রকৃত ভালবাসায় ভালবাসি না বললেও চলে, কেননা ভালবাসা দেখা কিংবা শোনা যায়না, অনুভব করতে হয়।"
"তা জানি, কিন্তু তবুও তোমার কাছে ভালবাসি শুনতে খুব ভাল লাগে।"
"ভালবাসি, অনেক ভালবাসি তোমায় ইশরাত।"
"ধন্যবাদ।"
"ভালবাসি ২ না বলে ধন্যবাদ বললে যে?"
"প্রকৃত ভালবাসায় ভালবাসি না বললেও চলে, কেননা ভালবাসা দেখা কিংবা শোনা যায়না, অনুভব করতে হয়।"
"তা জানি, কিন্তু তবুও তোমার কাছে ভালবাসি শুনতে খুব ভাল লাগে।"
"পরে বলবো এখন না।"
"না, এখুনি।"
"ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি। হইছে?"
"হুম, হইছে।"
.
"আমি ফুচকা খাবো।"
.
কথাটা আমিই চেঁচিয়ে বললাম। ইশরাত আশেপাশের মানুষদের দেখে আমার দিকে তাঁকিয়ে চোখ রাঙালো। বুঝতে পারলাম যে কাজটা আমার অনৈতিক হয়েছে। তাই মাথা নিচু করে ফুচকাওয়ালার কাছে গেলাম। আমি পছন্দের জিনিস বেশি করে খাই, তাই তিন প্লেট এ আঠারোটা ফুচকা খেলাম। ইশরাত এই ব্যাপারটাতে অনেক মজা পায়, আমারও ভাল লাগে। ফুচকাওয়ালা অবাকও হয় খুশিও হয় কেননা পরপর তিন প্লেট ফুচকা বুঝি এখনও তার কাছে কেউ খায়নি।
.
ইশরাতকে একটু রাগাতে ইচ্ছে হচ্ছে,কেননা রাগলে ইশরাতের চোখ আর গাল লাল হয়ে যায়, যেটা দেখতে আমার খুব ভাল লাগে। তার এই রাগি লুকে অসংখ্য ছবি আছে আমার ফোনে। তবে তাকে রাগাবার কোনো উপায় পাচ্ছিনা। এমন সময় দুইটা মেয়ে ফুচকা খেতে আসলো আর আমি ইশরাতকে রাগাবার উপকরণ পেয়ে গেলাম।
.
ফ্যাল ফ্যাল করে মেয়ে দুইটার দিকে চেয়ে থাকলাম, যদিও মেয়ে দুইটা ইশরাতের মত সুন্দরী না। একটা মেয়ে আবার আমার দিকে তাকালো,  দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছি। বুঝতে পারছি ইশরাতের মেজাজের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। অল্পকিছুক্ষনের মধ্যেই আমার হাত ধরে টেনে সেখান থেকে অনেক দূরে নিয়ে আসলো। রাগে কটমট করতে করতে বললো,
.
"টানা পাঁচ মিনিট কোনোরকম পলক ফেলা ছাড়া আমার দিকে তাকিয়ে থাকবা, না হলে পাশের পুকুরে ফেলে দিবো।"
.
আমি অনন্ত জলিল না যে, পলক ফেলা ছাড়া পাঁচ মিনিট ইশরাতের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবো। তাই এবার আমিই ইশরাতের হাত ধরে পুকুরের কাছে নিয়ে আসলাম। আমিও রাগী স্বরে বলতে লাগলাম,
.
"দাও ধাক্কা দাও,এই শীতের দিনে ঠান্ডা লেগে মরে গেলেই তো তোমার ভাল।"
"কি যা তা বলছো, আমি তোমায় ধাক্কা দিতে পারি বলো।"
"ও,তুমি পারবেনা, তাহলে আমিই দেই ধাক্কা?"
"হুম দেও, ধাক্কা দিয়ে যদি তুমি খুশি হও তাহলে তাইই দাও।"
.
দুজনে সামনা সামনি ছিলাম, ইশরাতকে পুকুরের দিকে ধাক্কা দিলাম তবে খপ করে তার হাত ধরে আমার বুকের কাছে নিয়ে আসলাম। আধমিনিট এভাবে থাকার পর বুকে আলতো একটা কিল আর "বদমাইশ একটা" বলে দৌড় দিলো সে।  লজ্জা পেয়েছে মেয়েটা, আর সে যাতে লজ্জা পায় তার জন্যই তো এ কাজটা আমি করেছিলাম। সেই হিসেবে আমি নিজেকে সফল লজ্জা প্রদানকারী বলে আখ্যায়িত করতে পারি।
.
প্রেমের সম্পর্ক তো এমনই, অনেক সুখের। যে সম্পর্ক বিরহের আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকে আর প্রবহমান সময় বয়ে যায় নিজের  মত করেই।
.
সমাপ্ত।
.
লিখাঃ আমিম এহসান..

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ