āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4669

গল্পের নামঃ "অসম্ভবপ্রায়"
.
.
ঈশিতা বার বার করে অনুরোধ করেছে তাকে উৎসর্গ করে একটা গল্প লিখতে। আমি হয়তো সাথে সাথেই লিখে দিতাম কিন্তু ঈশিতার বেঁধে দেওয়া শর্তের কারনে পারিনি। গল্পের টপিক সে নির্ধারণ করে দেয়নি ঠিকই কিন্তু শর্ত দিয়েছে যে গল্পটা কিছুতেই রোমান্টিক হতে পারবেনা। আমি আবার রোমান্টিক গল্প ছাড়া লিখতে পারিনা, তাই নানান ওজুহাতে ঈশিতাকে চুপ করিয়ে রাখছি শুধু।
.
পড়াশুনা করতে ভাল লাগেনা বলে রাত শুরুর দিকেই ইংলিশ একটা মুভি দেখা শুরু করলাম। এমন সময় ঈশিতার ফোন। সরাসরি সে গল্প চেয়ে আমায় হুমকি দিয়ে বসলো। "আজকে যদি গল্প না পাইছি তাহলে তোমার সাথে সাতদিন কোনো কথা বলবনা।"- এই বলে ঈশিতা ফোনটা কেটে দিলো।
.
আর আটদশটা প্রেমিকের মত আমাকেও প্রেমিকার চাওয়া পুরন করতে হয়, না হলে এর ফলাফল খুব একটা ভাল হয়না এটা সবারি জানা। তাই ঈশিতার ছোট্ট একটা চাওয়া পূরন করার জন্য পৃথিবীর সবকিছু ভুলে গল্প লিখা শুরু করলাম।
.
.
গল্পের নামঃ "পরিকল্পনা!"
উৎসর্গঃ ঈশিতা খানম
.
বাইরের সুন্দর সন্ধ্যা  দেখা বাদ দিয়ে ঘরের ভেতর আমি পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত। হকারদের মত বিড়বিড় করে বই পড়েই যাচ্ছি কিন্তু মাথায় কিছু ঢুকছেনা। খুব মনে পড়ছে ঈশিতাকে। তার কথা, তার হাসি, তার দুষ্টুমি গুলো অদৃশ্যভাবে চোখের সামনে বার বার প্রদর্শিত হচ্ছে। বুকটা ধক করে উঠলো, খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছে ঈশিতার সাথে।
.
ফোনের স্ক্রিনে ভাসা তার নাম্বারটাতে কল দিয়েও দিচ্ছিনা কেননা সে এখন গানের ক্লাস করছে। কিছুতেই এখন ফোন দিয়ে তাঁকে ডিস্টার্ব করা যাবেনা। তাই তার সাথে কথা বলার ইচ্ছেকে দমিয়ে রেখে তার রেকর্ডিং করা গাওয়া গান শুনতে লাগলাম। "আধো রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায়, মনে পড়ে মোর হে প্রিয়, চাঁদ হয়ে রবো আকাশের গায়, বাতায়ন খুলে দিয়ো।" উফফ কি মিষ্টি গায় মেয়েটা, বুকের ভেতরটা মোচর দিয়ে ওঠলো।
.
বুকের ভেতরের মোচড়ামুচড়ি টা আমার বেড়ে গেলো ঈশিতার ফোন পেয়ে। মেয়েটা ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিতে নিতে  বললো - "অমি আমি টিএন্ডটি মোড়ের পশ্চিমে দৌড়াচ্ছি, আমাকে বাঁচাও, আমি বড় বিপদে...।" কথাটা শেষ না হতেই ফোনে জোরে একটা শব্দ হয়ে কলটা কেটে গেলো। বিপদ মানে? এটা কি তাহলে গুলির শব্দ,না না,এ কি করে সম্ভব। পরে বুঝলাম এটা ফোন পড়ে যাওয়ার শব্দ। নানা রকমের আশঙ্কা এর কথা ভেবে আমার হার্টবিট বেগতিক বেড়ে গেলো। খুব দ্রুত  বের হলাম বাসা থেকে,  রওনা দিলাম টিএন্ডটি মোড়ের দিকে, অটো না পেয়ে দৌড়াতে শুরু করলাম। ঈশিতার কিছু হয়ে গেলো আমার কি হবে আর আসন্ন বিপদের কথা ভাবতে ভাবতে টিএন্ডটি মোড়ে আসতে পনেরো মিনিটের মত লাগলো।
.
মোড়ের পশ্চিম দিকে একটা স্কুল আছে সেদিকে গেলাম। গিয়েই দেখি আমার চার পাঁচজন বন্ধু দাঁড়িয়ে। তাদের মধ্য থেকে একজন বলে উঠলো- "অমি, মালটারে খাইয়া খতম করে দিছি, পুরানা বিল্ডিংটার ওইপাশে। চিনে ফেলছিলো তো।"
.
আমি জ্ঞান হারাবার প্রান্তলগ্নেই কে জানি বলে উঠলো - "মনে হয় এখনও বেঁচে আছে।"
.
নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে দৌড় দিলাম। গিয়ে দেখি ঈশিতার ছিন্নভিন্ন শরীর দিয়ে রক্তের বন্যা বইছে। মরণ যন্ত্রণায় অস্ফট স্বরে সে কাতরাচ্ছে। লাল চোখে পানির অভাব নেই। আমাকে দেখে সে ডান হাতটা একটু উঁচু করার চেষ্টা করলো। হাতটা টেনে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলাম- "ঈশিতা, আমাকে ছেড়ে যেওনা,ঈশিতা..."
.
কথাটা বলতে হয়তো আমি সময় নিয়েছি কিন্তু ঈশিতা আমায় ছেড়ে যেতে দেরি করেনি। লাশটার কপালে একটা চুমু খেয়ে খুব দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়লাম।
.
তবে একটা কথা ঈশিতাকে জানাতে পারিনি যে সব আমারি সাজানো পরিকল্পনা।
.
~সমাপ্ত~
.
.
গল্পটা লিখে ঈশিতাকে ইমেইল করলাম। দশ মিনিট পর ঈশিতার ফোন, ভাবলাম আমাকে ধন্যবাদ দিবে। হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে নিতে ঈশিতা বলে উঠলো- "অমি আমি টিএন্ডটি মোড়ের পশ্চিমে দৌড়াচ্ছি, আমাকে বাঁচাও, আমি বড় বিপদে...।"
.
.
.
লিখাঃ আমিম এহসান.

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ