ইসরাতকে ফোন করে সকাল দশ টায় আমার সাথে দেখা করতে
বললাম।আজ ইসরাতের জন্মদিন।
অনেক আগে থেকে প্ল্যান ছিল এই দিনে মেয়েটাকে কিছু
একটা দেওয়ার।মেয়েটাকে কোনদিন কিছু একটা দেওয়ার ও
সৌভাগ্য আমার হয়ে উঠেনি।মেয়েটা সবসময় আমার জন্য করে।
এমন কি ওর সাথে দেখা করার জন্য রিক্সা ভাড়াটা ও দিয়ে দেয়
নিতে না চাইলে রাগ করে বসে থাকে।কিন্তু আজ ওর জন্মদিনে
আমার কিছু একটা দেওয়া দরকার।যার জন্য ওকে আমার সাথে দেখা
করতে বললাম।আগে থেকে কিছু একটা কিনে গিফট দেওয়ার
জন্য সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলাম।কিন্তু এতে ইসরাত ভীষন
রেগে বসবে।আমি চাইনা আজ ও ইসরাত আমার সাথে রাগ করুক।
তার থেকে ভাল দেখা করার সময় বুঝিয়ে একসাথে মার্কেটে
গিয়ে ওর পছন্দের কিছু একটা কিনে দেওয়ার।বরাবরি দেখা করার
সময় ও আমার আগে এসে আমার জন্য বসে থাকে।
মেয়েটাকে এভাবে প্রতিদিন আগে একা একা বসিয়ে রাখা ভাল
লাগে না।যে কোন কারণে ওর সাথে দেখা করার সময় লেট
হবেই।হয়ত রাস্তায় জ্যাম নয়ত বাড়িতে কাজ পরে বসে থাকে।
আজ তাড়াতাড়ি বের হলাম ইসরাতের সাথে দেখা করার জন্য।
প্রতিদিন এই জায়গায় আসলে রিক্সা পাওয়া যায়।কিন্তু আজ একটা রিক্সা
ও এদিক দিয়ে আসছেনা কপালটা মনে হয় খারাপ।কিছুক্ষন এভাবে
দাড়িয়ে থাকার পর রিক্সার হদিছ পাওয়া গেল।দশটা বাজার এখন অনেক
বাকি।ভাবলাম আজ হয়ত ইসরাতের আগে এসে ওকে একটা
সারপ্রাইজ দিব।কিন্তু পার্কে এসে আমি সারপ্রাইজ ইসরাত আমার
আগে এসে বসে আছে।আসার সময় একটা ফুল ও এনেছিলাম
ওকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
.
ইসরাত আজ একটু সাজগোছ করে এসেছে।মেয়েটা এমনে
তেমন একটা সাজে না এতেই ওকে অপরূপ সুন্দর দেখায়।এটাই
হয়ত ঈশ্বর প্রদও বিশেষ সৌন্দর্য।কিন্তু সবসময় মেহেদি এবং
কাজল দিয়ে আসে আমি পছন্দ করি বলে।আজ ও তার ব্যতিক্রম
নয়।আমি ওর সামনে গিয়ে ফুলটা দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
জানালাম।সাথে আমাকে মন বুলানো হাসি উপহার দিন।হাসলে
ইসরাতে মুখে ঢ়োল পড়ে।তাই হয়ত হাসার সময় ইসরাত কে
বেশি সুন্দর দেখাই।যে হাসি দেখে আমি নতুন ভাবে ইসরাতের
প্রেমে পড়ি।আমার এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে ইসরাতের হাসিটা
যেন আর ও বেড়ে গেল আর আমাকে হাসি মাখা বলল।
.
-এই এভাবে কি দেখছ।
-না তোমাকে আজ অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।
.
আমার কথাটি শুনে ইসরাত লজ্জা পেয়ে মুখটা নিচের দিকে করে
নিল।মনে হয় ভালবাসার মানুষটির কাছ থেকে প্রশংসা শুনে যে
কোন ছেলে মেয়ে লজ্জা পেতে বাধ্য।আমি আর কিছু না
বলে ইসরাতের পাশে গিয়ে বসলাম।এতে মনে হয় ওর লজ্জাটা
আর ও বেড়ে গেল কারণ কোন কথাই বলছে না।আমি নিরবতা
ভেঙ্গে বললাম।
.
-ইসরাত চল আজ কোথাও অন্য জায়গায় ঘুরতে যায়।
.
যদি সরাসরি ইসরাত কে বলতাম মার্কেটে বা রেষ্টুডেন্টে
যেতে তাহলে নিশ্চিত ও বলত।
.
"সেখানে গিয়ে কি লাভ শুধু শুধু টাকা নষ্ট তার থেকে দশ টাকার
বাদাম কিনে তোমার কাধে মাথা রেখে বাদাম খাওয়াটা অনেই ভাল বা
সৌভাগ্যর ব্যাপার"
.
আর ও কত কি।যার জন্য এটাই বলা।আমার কথা শুনে ইসরাত বলল।
.
-হ্যা যাওয়া যায় তবে কোথায় যাওয়া যায়।
-আরে সেটা গেলেই দেখবে আগে চল আমার সাথে।
.
ইসরাত কিছু না বলে আমার সাথে যেতে লাগল।দু'জনে একটা
রিক্সা ঠীক করে রিক্সাওয়ালা কে কোথায় যাব ঠীক না বলে
সামনের দিকে যেতে বললাম।মার্কেটের সামনে এসে
রিক্সাওয়ালা কে থামতে বললাম।এতে ইসরাত আমার দিকে আড়
চোখে বারবার তাকাচ্ছে।ভাড়াটা মিটানোর ইসরাত কে বললাম।
.
-এভাবে দাড়িয়ে থাকবে নাকি যাবে।
.
ইসরাত আমার শুনে না শুনার ভান করে।কিছু একটা ভাবতে লাগল।
মনে হয় কিছু একটা আছঁ করতে পেরেছে।মুহুর্তে ওর
চেহারার রংটা পাল্টে গেল।মনে হয় ভীষন রেগে গেছে।
এই রাগী চেহেরাতে ও ওকে এত সুন্দর দেখাই আগে ত
জানতাম না।
এবার থেকে দেখছি প্রতিদিন রাগাতে হবে।।
.
-তুমি নিজেকে অনেক চালাক মনে কর তাই না।
-একদম না।
-তুমি আমাকে একবার ও এটা বলার প্রয়োজন মনে করলে না।
.
মনে মনে যেটা ভাবছিলাম সেটাই হল।এখন কী বলব ভেবে ত
পাচ্ছি না।আর ভয় ও হচ্ছে যদি রাগ করে এখান থেকে চলে যায়।
কিছু একটা বলব ঠীক তখনি ইসরাত আমাকে অবাক করে দিয়ে
আমার হাত ধরে মার্কেটের ভেতর নিয়ে গেল।আমি কিছু না
বলে ওর সাথে যেতে লাগলাম।আমাকে নিয়ে একটা শাড়ির
দোকানে ডুকল।আমাকে একটা চেয়ারে বসিয়ে নিজে একটা
চেয়ারে বসে শাড়ি দেখাতে বলল।আমার দিকে ফিরে আমাকে
বলল শাড়ি পছন্দ করতে।
.
আমি ইসরাতের কর্মকান্ডে অবাক হচ্ছি।যে আমি কিনা ইসরাতে
কে শাড়ি পছন্দ করে কিনে দেওয়ার জন্য নিয়ে আসলাম সে
কিনা আমাকে নিয়ে এসে শাড়ি পছন্দ করতে বলল।আমার এসব
ব্যাপারে তেমন একটা জ্ঞান নেই।তবুও চুপচাপ কিছু না বলে শাড়ি
দেখতে লাগলাম।আমি জানি আমি যেটা পছন্দ করব সেটা ইসরাত
অবশ্যই পছন্দ করবে।শেষমেষ একটা শাড়ি পছন্দ করে ইসরাত
কে দেখালাম দেখি ইসরাত ও সেটা পছন্দ করল।আমি যে বিল টা
পে করার জন্য চেয়ার থেকে উঠতে যাব ইসরাত আমাকে এক
প্রকার জোড় করে বসিয়ে দিয়ে নিজেই বিল টা পে করে দিল।
আমার আর ইসরাতের দিকে বোকার মত চেয়ে থাকা ছাড়া আর
কিছুই করার ছিল না।
.
ইসরাত কে নিয়ে মার্কেট থেকে বেরিয়ে একটা রিক্সা ঠীক
করে রিক্সাওয়ালা কে বাড়ির দিকে যেতে বললাম।রিক্সাতে দু'জন
চুপচাপ বসে আছি আমার এখন কি বলা উচিত সেটাই খুজে পাচ্ছি না।
অত:পর ইসরাতের বাসার সামনে চলে আসার পর ইসরাত রিক্সা
থেকে নেমে আমাকে বলল।
.
-আগামীকাল ও ঠীক দশটায় একি জায়গায় আমার সাথে দেখা করার
জন্য চলে আসবা।আর হ্যা কাল নিশ্চয় দেখা করার সময় পাঞ্জাবি
পড়ে আসবে।
.
আমি ইসরাতের কথা শুনে হ্যা সূচক মাথা নাড়লাম।আর রিক্সাওয়ালাকে
যেতে বললাম।মেয়েটা নিশ্চয় কাল শাড়ি পড়ে আসবে তাই হয়ত
আমাকে পাঞ্জাবি পড়ে দেখা করতে বলেছে।রিক্সা তার আপন
গতিতে চলছে।আর আমি ভাবছি কীভাবে কাল তাড়াতাড়ি ঠীক
সময়ে ইসরাতের আগে এসে ওকে সারপ্রাইজ দেওয়া যায়।
Hossain
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ