শুধুই ভালবাসা
লেখক:-Hosain Ahmed(অভিমানি ছেলে)
-
-
আজ সকাল থেকে মনটা বড্ড খারাপ।আজ নীরার জন্নদিন।আগের বছর ওর জন্নদিনে কিছু দিতে পারিনি এবারও যদি কিছু না দিই তাহলে কেমন হয়ে যাই।তিন বছর আমাদের রিলেশন।লাষ্ট কবে ওকে কিছু গিফট করেছি মনেই নেই।আর গিফট করবোই কী করে আমি মধ্যবিত্য ঘরের সন্তান বাবার অনেক টাকাও নেই যে ওকে অনেক গিফট করবো।নিজের পড়ালেখার খরচ নিজেই জোগার করতে হয়।আমি সবসময় ভাবি আমার মত সাধারণ একটা ছেলেকে নীরা কেনো ভালবাসে।নীরার বাবার অনেক টাকা আছে ও ইচ্ছা করলেই অনেক ভালো ছেলের সাথে রিলেশন করতে পারে কিন্তু কেনো যে আমার মত ক্ষ্যত মার্কা একটা ছেলের জীবনে পড়ে আছে কে জানে।
নীরা ফোন দিয়েছে। ধরবো কী ধরবো না ভাবছি।ফোনটা ধরার পর ও নিশ্চয় বলবে আজ সারাদিন আমাকে নিয়ে ঘুরতে হবে।এর আগে যতবার নীরার সাথে ঘুরেছি সব টাকাই ও দিয়েছে।এসব ভাবতে ভাবতে ফোনটা কেটে গেলো।আবার ফোনটা বেঁজে ওঠলো যতসময় ফোনটা রিচিভ না করবো ততসময় বাজতেই থাকবে তাই রিচিভ করলাম।
নীরা:-ফোন ধরতে এত সময় লাগে
আমি:-ফোনটা সাইল্যান্ট ছিলো তাই দেখিনি।্্
নীরা:-আমি তোমার মেসের সামনে আসছি তুমি বের হও।আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোনটা কেটে দিলো।আমি খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম এখন কী করবো।আমার কাছে এখন ৫ হাজার টাকা আছে এটা বাড়িতে পাঠাতে হবে না হলে বাবা মা ছোট ভাইদের অনেক কষ্ট করে চলতে হবে।কী করবো কিছুই মাথায় আসছেনা।আবার নীরার ফোন
নীরা :-কই তুমি।
আমি:-তুমি ২ মিনিট দাঁড়াও আমি আসছি।
আর এত ভেবে কাজ নেই এই টাকা দিয়েই আজ নীরার সাথে ঘুরবো।আর পরে ফোনটা বিক্রি করে দিয়ে বাড়িতে টাকা পাঠাবো।
বাইরে বেরিয়ে দেখি নীরা দাঁড়িয়ে আছে।আমি কাছে যেতেই
নীরা:-এত সময় লাগে আসতে।
আমি:-একটু কাজ ছিলো তাই দেরি হলো।
নীরা:-রিক্সা ডাকো।
আমি:-কোথায় যাবা।
নীরা:-রিক্সা ডাকতে বলেছি ডাকো।
এইযে মামা যাবেন।
আমি আর নীরা পাশাপাশি বসে আছি।নীরা আমার কাঁধে মাথা রাখলো।
নীরা:-আমাকে কখনো ভুলে যাবে নাতো।
আমি:-কি যে বলোনা তোমাকে ছাড়া আমি কী করে থাকবো।তোমাকে কখনোই ভুলতে পারবো না।তোমাকে অনেক ভালবাসি।
নীরা:-আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি।
আমি:-তোমাকে একটা কথা জিঙ্গেস করবো।
নীরা:-করো।
আমি:-আমাকে তুমি এত ভালবাসো কেনো
।আমিতো তোমাকে কখনো দামি গিফট দিতে পারিনা।কখনো দামি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেতে পারিনা।তাঁরপরেও কেনো আমাকে এত ভালবাসো।এখনকার যুগের মেয়েরাতো শুধু দামি গিফট নেওয়ার জন্য দামি দামি রেষ্টুরেন্টে ঘুরার জন্য রিলেশন করে(সব মেয়েদেরকে উদ্দশ্য করে বলিনি) কিন্তু তুমি -------নীরা আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরবো।
নীরা:-কে বলেছে তুমি দামি গিফট দাওনা তোমার দেওয়া এক টাকার গিফট আমার কাছে কোটি টাকার সমান।আর তুমি আমাকে যতটা ভালবাসো ততটা ভালবাসা কেউ আমাকে দিতে পারবেনা।তোমাকে ভালবাসতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।আর কখনো এসব কথা বলবেনা।বুঝেছো।আমি তোমাকে ভালবাসি আর সারাজীবন বেসে যাবো এটাই আমার শেষ কথা।
২.
নীরা আর আমি এখন একটা লেকের ধারে বসে আছি।নীরা আমার কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে।
নীরা:-আচ্ছা হুসাইন আজ তুমি আমাকে নিয়ে এত ঘুরছো সব টাকা তুমি দিচ্ছো ব্যাপার কী।এত টাকা কই পেলে।
আমি:-জমিয়ে ছিলাম।
নীরা:-বাড়িতে টাকা পাঠিয়েছো।
আমি:-পাঠিয়েছি।
নীরা:-ভালো করে মিথ্যাটাও বলতে পারোনা।
আমি:-কখন মিথ্যা বললাম।বাড়িতে কালকেই টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি।
নীরা:-আবার মিথ্যা বললে।তুমিইতো কালকে বললে আজ টিওশনির টাকা পাবে তাহলে কাল বাড়িতে কী করে টাকা পাঠালে।
এইযা আমি যে কী। ভালো করে মিথ্যাটাও বলতে পারিনা।
নীরা:-কিছু বলছো না যে।
আমি:- চুপ করে আছি।
নীরা:-বাড়িতে টাকা পাঠাওনি তাইনা।
আমি:-এসব বাদ দাও।
নীরা:-এই টাকাটা রাখো।
আমি:-আমি তোমার কাছ থেকে টাকা নিতে পারবোনা।
নীরা:-বেশি কথা বলোনা।এখন চলো আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসো।
আমি:-সুর্য্য অস্তটা দেখে যাই।
নীরা আর কিছু না বলে আবার আমার কাঁধে মাথা রাখলো।
আমি মনে মনে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিচ্ছি নীরাকে আমার জীবনে পাঠানোর জন্য।
-
-এভাবে বেঁচে থাকুক প্রতিটা ভালবাসা
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ