অন্ধ মেয়ে
লেখক:- Hosain Ahmed(আমি হিমু)
--
কত আনন্দ আঁকাশে বাতাসে।
আনন্দটা বেশি সময় থাকলো না।
এই যা!কাঁদার মধ্যে পড়ে গেলাম।যার সাথে ধাক্কা খেয়েছি ওঠে তাঁকে ঝাড়ি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।যার সাথে ধাক্কা খেয়েছি তাঁর দিকে তাঁকিয়ে দেখি একটা মেয়ে।আমার মনে একটু দয়া মায়া কম তাই ঝাড়ি মারা শুরু করলাম।
:-এইযে মিস।চোখে কী কম দেখেন?নাকি আঁকাশে তাঁরা গুনছিলেন?ছেলে মানুষ দেখলেই থাক্কা খেতে ইচ্ছে করে।বেয়াদব মেয়ে।আপনার জন্যই আমার পোঁশাকে ময়লা হয়ে গেলো।(আমি)
:-দেখুন আমি ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয়নি।আমি----
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আবার শুরু করলাম
:-আমি কী আমি কী?আপনাদের মত মেয়েদের মতলব আমি বুঝি।
আরো কিছু কথা শুনিয়ে হাঁটা শুরু করলাম।মেয়েটাকে ঝাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা ছিলনা কিন্তু একদিন একটা মেয়ে আমাকে বিনা কারণে ঝাড়ি দিয়েছিলো তাই শোধ নিলাম।অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম এমন সময় ঘটনাটা ঘটলো।
আমি হুসাইন।পড়াশুনা শেষ করে একটা ব্যাংকে জব করছি।বাসায় আসতেই আম্মুর ডায়লগ শুরু হয়ে গেলো
:-কিরে কার সাথে কাঁদার মধ্যে মারামারি করেছিস।(আম্মু)
:-তোমার বউ মার সাথে মারামারি করেছি।(আমি)
:-সব সময় ফাজলামি।গায়ে কাঁদা হলো কী করে?
:-একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে কাঁদায় গরাগরি খেয়েছি।
আর কিছু না বলে ফ্রেশ চলে গেলাম।ফ্রেশ হয় এসে আম্মুকে বললাম খেতে দিতে।খাওয়া দাওয়া করে রুমে গেলাম।এখন কোন কাজ নেই তাই কম্পিউটারে গেম খেলতে লেগে গেলাম।
টিং টিং টিং
ফোনের শব্দ শুনে গেম খেলা বন্ধ করলাম।ফোন হাতে নিয়ে রিচিভ করলাম
:-কই তুই?(আমার ফ্রেন্ড শান্ত)
:-বাসায়।কেনো?(আমি)
:-তোর সাথে কিছু কথা আছে মামার ক্যান্টিনে চলে আয়।
:-ওকে আসতেছি।
ফোন রেখে রেডি হয়ে রওনা দিলাম।ক্যান্টিনে গিয়ে দেখি আমাদের ফ্রেন্ড গ্রুপের সবাই আছে।আমিও গিয়ে ওদের পাশে বসলাম
:-হুসাইন তুই নাকি আজ সকালে একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে কাঁদায় গড়াগড়ি খেয়েছিস(ফকরুল)
এইযা ব্যাপারটা ওদের কে বললো।ইজ্জতের বারোটা বেজে গেছে
:-এই কথা তোদের কে বললো?(আমি)
:-শিপন।(শান্ত)
:-ও মিথ্যা বলেছে।( আমি)
শিপন ওর মোবাইল আমার কাছে দিয়ে বললো এটা কী দেখ।আমি মোবাইল নিয়ে দেখলাম একটা পিক।পিকে কাঁদার মধ্যে আমি শুয়ে আছি।আমি তারাতারি পিক ডিলেট করতে গেলাম ওমনি শিপন আমার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে বললো
:-না মামা ওটা হচ্ছেনা।আজ তোমাকে পাটি দিতে হবে নাহলে এই পিক ফেসবুকে আপলোড হয়ে যাবে।(শিপন)
:-তোরা কিন্তু আমাকে ব্লাকমেল করছিস।(আমি)
:-করলে করছি।পাটি দিবি কীনা সেটা বল?(ফকরুল)
কী আর করার অবশেষে আমার পকেট খালি হলো।রাত ৯ টার দিকে বাসায় ফিরলাম।বাসায় এসে ডিনার করে রুমে গিয়ে ল্যাপটপে মুভি দেখতে বসে গেলাম।মুভিটা অনেক ভালো লাগছিলো তাই মনযোগ সহকারে দেখছিলাম।ফোনের শব্দে মুভির দিক থেকে মন ওঠে গেলো।ফোনের স্কিনে তাঁকিয়ে দেখি বিধানের ফোন।রিচিভ করলাম
:-কিরে আজ তুই আড্ডা দিতে আসলিনা কেনো?(আমি)
:-একটু কাজ ছিলো তাই আসিনি।কালকে কী তোর কোন কাজ আছে?(বিধান)
:-না।কাল শুক্রবার অফিস বন্ধ
:-কালকে আমার সাথে এক জায়গায় যেতে পারবি?
:-কোথায়?
:-মুক্তির সাথে দেখা করতে যাবো।বুঝিসইতো প্রথম বার তাই একটু ভয় ভয় করছে।
:-ওই আমার কী অভিঙ্গতা আছে যে আমি বুঝবো।
:-রাগ করিস কেনো দোস।কথার কথা বললাম।যাবি কীনা বল?
:-আচ্ছা যাবো।কয়টায়?
:-থ্যাঙ্কু দোস।৯টায় আমার বাসার সামনে চলে আসিছ।
ফোন রেখে দিলাম।বিধানের গালফ্রেন্ডকে আমি কখনো সামনা সামনি দেখিনি।শুধু একবার পিক দেখেছিলাম।আর দেখবোই কী করে যার সাথে রিলেশন সেইতো এখনো সামনা সামনি দেখেনি।ওদের রং নম্বরে পরিচয়।৩ মাসের কথা বলার পর রিলেশনে জরিয়েছে দুজন।।এরপর ল্যাপটপে অফিসের কিছু কাজ করলাম।কাজ করতে করতে রাত ১১টা বেজে গেলো।কাজ শেষ হলে ল্যাপটপ রেখে ঘুমালাম।
সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।ঘুম থেকে ওঠে দেখি ৮টা বাজে।আজ শুক্রবার তাই আম্মুও বেশি সকালে ডাকেনি।ওঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।রেডি হতে হতে ৯ বেজে গেলো।রেডি হওয়া শেষ হলে আব্বুর রুমে গেলাম।কালকে বন্ধুরা সবগুলো মিলে পকেট ফাঁকা করে দিয়েছে তাই আব্বুর কাছ থেকে টাকা নিতে হবে।
:-আব্বু কিছু টাকা দাওতো।(আমি)
:-টাকা দিয়ে কী করবি?তাছাড়া তুইতো এখন চাকরি করিস তোকে টাকা দেওয়া যাবেনা।(আব্বু)
:-আব্বু দাওতো মজা করোনা এখন দেরী হয়ে যাচ্ছে।
:-কোথায় যাবি?
:-তোমাদের বউমা খুজতে
:-দিনে বড় হচ্ছিস আর ফাজিল হচ্ছিস।দাঁড়া দিচ্ছি।
আব্বুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেটের বাইরে চলে আসলাম।বাইরে এসে একটা রিক্সা নিয়ে বিধানের বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।বিধানের বাসার সামনে গিয়ে ওকে ফোন দিলাম
:-কই তুই?(আমি)
:-দাঁড়া আমি এখনি বেরোচ্ছি।
রিক্সা ভাড়া দিয়ে গেটের সামনে দাঁড়ালাম।২ মিনিট পর বিধান বাইক নিয়ে বের হলো।আমি বাইকের পিছনে ওঠে বসলাম।২০ মিনিটের মধ্যে আমাদের গন্তব স্থানে চলে আসলাম।একটা লেকের ধারে আসলাম।বিধান বাইক থামিয়ে ওর গালফ্রেন্ডকে ফোন দিলো।কিছুক্ষন পর দুইটা মেয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো।ওদের মধ্যে একজনে দেখে আমার চোখ কপালে।এতো সেই মেয়ে যার সাথে কালকে ধাক্কা খেয়েছিলাম।আমি কিছু বলতে যাবো তখনি বিধানের গালফ্রেন্ড আমাকে বললো
:-আপনি হুসাইন ভাইয়া।আপনার কথা অনেক শুনেছি কেমন আছেন?(মুক্তি)
:-ভালো।আপনি?(আমি)
:-আমি আপনার থেকে অনেক ছোট তাই তুমি করে বললে খুশি হবো।আর আমি ভালো আছি।
:-আচ্ছা।
:-এহলো আমার বান্ধবী তরী।
আমি কিছু না বলে শুধু ওদের দুজনের দিকে তাঁকিয়ে থাকলাম।মনে মনে ভাবছি মেয়েটা হয়তো কালকের ঝাড়ি দেওয়ার শোধ আজকে নিবে।কিন্তু মুক্তি যা বললো তা শুনে অবাক হয়ে গেলাম
:-ভাইয়া এহলো তরী।আমার বান্ধবী।ও অন্ধ।
মুক্তির মুখে অন্ধ কথা শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।এত সুন্দর একটা মেয়ে অন্ধ।আল্লাহতালা ওর সব রুপ দিয়েছে কিন্তু চোখের দৃষ্টি দেয়নি।গতকালকে তাহলে মেয়েটি ইচ্ছা করে আমাকে ধাক্কা দেয়নি। নিজের কাছে এখন নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে।
:-মুক্তি তোমার বান্ধবী কী ছোটবেলা থেকেই অন্ধ?(আমি)
:-না।৮ আগে একটা এক্সিডেন্টে ওর চোখ হারায়।ডাক্টার বলেছে আবার অপারেশন করালে ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু ওদের অত টাকা নেই।(মুক্তি)
:-ও
:-জানেন ভাইয়া ও অন্ধ বলে ওর সাথে কেউ মিশতে চায়না।সব সময় রুমের মধ্যে বসে কাঁন্না করে।একমাএ আমিই ওর সাথে মিশি।ওর পরিবারের লোকগুলোও ওকে অবহেলা করে।ওর অনেক স্বপ্ন ছিলো।ভালো ডাক্টার হতে চেয়েছিলো কিন্তু ভাগ্য ওর সহায় হলোনা।সারাদিন রুমের মধ্যে বসে বসে কাঁন্না করে তাই বাইরে ঘুরতে নিয়ে এলাম।
:-ভালো করেছো
বিধান কিছু বলছে না।শুধু দাঁড়িয়ে আমাদের কথা শুনছে।
তরীর দিকে তাঁকিয়ে দেখি কাঁদছে।কালো চশমার ভিতর দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে।
:-বিধান তোরা ওদিকে গিয়ে গল্প কর আমি তরীর সাথে কিছু কথা বলবো।(আমি)
:-আচ্ছা।(বিধান)
বিধান মুক্তি একটু দুরে চলে গেলো।আমি তরীকে বললাম
:-সামনে একটা বেন্চি আছে চলুন ওখানে বসি।(আমি)
:-চলুন(তরী)
তরী সামনের দিকে পা বাড়াতেই পড়ে গেলো।সম্ভবত ইটের টুকরোতে ধাক্কা লেগেছে।আমি গিয়ে তরীর হাত ধরে ওঠালাম এরপর সামনের বেন্চটাতে বসালাম।আমিও বসলাম।গতকালকের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
:-গতকাল আপনার সাথে রাস্তায় ধাক্কা খেয়েছিলাম আমি।মনে আছে আপনার?(আমি)
:-ও আপনিই সেই?আবার কী বকা দেবেন?ইচ্ছা হলে দিতে পারেন।কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয়নি।(তরী)
:-না বকা দিবোনা।কালকের ব্যবহারের জন্য আমি খুব দুঃখিতে।আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।আসলে আমি বুঝতে পারিনি আপনি চোখে দেখেন না।
:-ঠিক আছে।
:-আপনার অনেক কষ্ট হয় তাইনা?
:-আগে হতো এখন আর হয়না।ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েছি।
তারপর আর কেউ কোন কথা বলিনি।কী বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।কিছুক্ষণ পর ফোন বের করে তরীর একটা পিক তুলে নিলাম।বিধান আর মুক্তি আসলো অনেকক্ষণ পরে।মুক্তি আর তরীকে রিক্সায় তুলে দিলাম।এরপর আমরা দুজন বাইকে ওঠে বাসায় চলে এলাম।বিধান বিধানের বাসায় আর আমি আমার বাসায়।বাসায় এসে কিছুই ভালো লাগছিলোনা।তরীর মুখটা বারবার চোখের সামনে ভেষে ওঠছিলো।কিছুতেই তরীকে চোখের সামনে থেকে সরাতে পারছিলাম না।আচ্ছা তরীকে বিয়ে করলে কেমন হয়?কী ভাবছি এসব।প্রথম দেখাতেই কাউকে এতটা বিশ্বাস করা ঠিক হবেনা।আর আমার পরিবারের কেউ অন্ধ মেয়েকে হয়তো আমার বউ বলে মেনে নিবেনা।সেদিন রাতে ভালো ঘুম হলোনা।তরীকে নিয়ে অনেক ভাবলাম।কী করবো বুঝে ওঠতে পারছিলাম না।দুইবারের দেখাতে তরীকে ভালবেসে ফেলেছি এটা বুঝতে আমার বাঁকি থাকলো না।
সকালে খাবার টেবিলে আম্মুকে জিঙ্গেস করলাম
:-আচ্ছা আম্মু মনে করো একটা ছেলে একটা মেয়েকে প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেললো এবং বিয়ে করতে চায় কিন্তু মেয়েটা অন্ধ।ছেলেটার পরিবার মেয়েটাকে মেনে নিবেনা।সেক্ষেএে ছেলেটার কী করা উচিত?(আমি)
আমার কথা শুনে আম্মুর বদলে আব্বু উওর দিলো
:-ছেলেটা কী তাঁর পরিবারকে মেয়েটার কথা বলেছে?(আব্বু)
:-না কিন্তু ছেলেটার ধারণা তাঁর পরিবার মেনে নিবেনা।
:-এমনতো হতে পারে ছেলেটার পরিবার সবকিছু মেনে নিবে।
:-ও আচ্ছা।
খাওয়া হলে রুমে এসে অফিস যাওয়ার রেডি হলাম।শনিবারে ব্যাংক বন্ধ থাকে কিন্তু একটা বিশেষ কারণে আজ খোলা।রুম থেকে বেরোতে যাবো তখনি আব্বু তাঁর রুমে আমাকে ডাক দিলেন।আমি আব্বুর রুমে গেলাম।
:-মেয়েটা কোথায় থাকে?(আব্বু)
:-কোন মেয়ে?(আমি)
:-যেই মেয়ের কথা তখন বললি।বয়সতো আর কম হলোনা সবই বুঝি।মেয়েটার ঠিকানা বল আমরা গিয়ে মেয়েটার বাসার লোকজনের সাথে কথা বলবো।
আমি কী বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।আনন্দে আব্বুকে জরিয়ে ধরলাম।এত সহজে মেনে নিবে ভাবিনি।
:-শোন আমি একজন শিক্ষক কোনটা ভালো হবে সেটা আমি বুঝি।।(আব্বু)
:-মেয়েটার কোন ছবি আছে।(আম্মু)
:-আছে।(আমি)
আমি ফোন থেকে তরীর পিক বের করে আম্মুকে দেখলাম।আব্বুও দেখলো।
:-এত সুন্দর একটা মেয়ে অন্ধ হতে পারে আমার বিশ্বাসই হচ্ছেনা।(আম্মু)
:-সবই ভাগ্য।তুই বাসায় ফিরলে বিকেলে সবাই মিলে মেয়েটার বাসায় যাবো।(আব্বু)
:-আচ্ছা।(আমি)
আমার কাছে সবকিছু স্বপ্নের মত লাগছিলো।নিজের হাতে একটা চিমটি কাটলাম। না সবকিছু সত্যিই।এরপর অফিসে চলে গেলাম।অফিসে কোন কাজেই মন বসছিলো না।অফিসে গিয়ে বিধানকে ফোন দিয়ে সবকিছু বললাম আর তরীর বাসার ঠিকানা মুক্তির থেকে নিতে বললাম।বিধান কিছুক্ষণ পর তরীর ঠিকানা দিলো।
বিকেলে অফিসে থেকে বাসায় ফিরে দেখি আমার মামা এসেছে।সম্ভবত আব্বু ফোন দিয়ে আসতে বলেছে।সবাই যাওয়ার জন্য রেডি হয়েই ছিলো।আমি এসে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম।এরপর বিধানের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী সবাই রওনা দিলাম।মুক্তির মাধ্যমে তরীদের বাসাতে আমরা যাওয়ার খবরটা আগেই দিয়েছি।তরীদের বাসা আমাদের গ্রাম থেকে ৩ গ্রাম পরে।১ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম।আমাদের একটা রুমে বসতে দেওয়া হলো।দেখি মুক্তিও আছে।আব্বু তরীর বাবার সাথে কথা বললেন।কিছুক্ষণ পর তরীকে আনা হলো।তরীর দিকে তাঁকাতেই বড় ধরনের ক্রাশ খেলাম।লাল শাড়ীতে ওকে অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো।সবার অনুমতি নিয়ে ১মাস পর বিয়ের দিন ঠিক করা হলো।তরীর পরিবারের সবাই অনেক খুশি।কারণ তাঁরা ভেবেছিলো তরীর কখনো বিয়ে হবেনা
কারণ তরী অন্ধ।আমি মামাকে ডেকে বললাম ১ সপ্তাহ পর ঠিক করতে।তাই করা হলো।যত তারাতারি সম্ভব আমি তরীকে বিয়ে করে ভালো ডাক্টার দেখাবো।
দেখতে দেখতে ১সপ্তাহ কেটে গেলো।সব আত্নীয়স্বজনদের দাওয়া দেওয়া শেষ।আমিও আমার কিছু ফ্রেন্ডদের দাওয়াত দিয়েছি।তরীকে বিয়ে করতে অনেকেই না করেছে কিন্তু আমি শুনিনি।
অনেকটা ধুমধামের সাথে আমাদের বিয়ের সবকাজ শেষ হলো।বন্ধুদের বিদায় দিয়ে রুমে প্রবেশ করলাম।আমার মনেই হচ্ছেনা তরী আমার অপরিচিত।মনে হচ্ছে তরীকে হাজার বছর ধরে চিনি।রুমে গিয়ে দেখি তরী খাটের উপর বসে আছে।আমি তরীর পাশে গিয়ে বসলাম।তরীও বুঝতে পেরেছে আমি এসেছি।আমি তরীর মুখ থেকে ঘোমটা সরিয়ে দেখলাম ও কাঁদছে
:-কাঁদছেন কেনো?(আমি)
:-নিশ্চুপ
:-কীহলো?আমাকে কী আপনার পছন্দ হয়নি?
:-আমি আপনাকে চোখে দেখিনি কিন্তু মন দিয়ে ঠিকই অনুভব করেছি।ভয় করছে যদি আপনাকে দুদিন পর আমাকে দুরে সরিয়ে দেন।
আমি তরীর চোখ থেকে পানি মুছে দিয়ে বললাম
:- কথা দিলাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছেড়ে যাবোনা।
:-সত্যি?
:-তিন,সত্যি
তরী আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো।আমি ওকে আজ আটকাবো না।কাঁদুক কিছু সময়।কারণ আজকের পরে আর কোনদিন কাঁদতে দিবোনা।
**সমাপ্ত**
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4241
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Šā§Š AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ