āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4239

গল্পটা ভালবাসার
লেখক: Hosain Ahmed(আমি হিমু)
--
:-আম্মু আমি আজ অনুষ্ঠানে যাবোনা।তোমরা আজ যাও আমি কাল ভোরে চলে যাবো।(আমি)
:-কেনো জাবিনা আজ?(আম্মু)
:-বিকেলে আমার ক্রিকেট খেলা আছে। প্রমিস করছি কালকে ভোরে পৌঁছে যাবো।
:-আমি অত কিছু জানিনা তোকে আজই যেতে হবে।আর যদি না যেতে চাস তাইলে তোর আব্বুকে গিয়ে বল।
রাগ করে আম্মুর রুম থেকে বেড়িয়ে আসলাম।আম্মুর এক বান্ধবির ছেলের বিয়ে। সেখানেই আমাদের বাসার সবাই যাচ্ছে।আপনারাই বলুন বিয়ে হচ্ছে কালকে আজকে গিয়ে কী হবে।বিকেলে আমার ক্রিকেট ম্যাস আছে।ক্রিকেট ম্যাস রেখে কিছুতেই যেতে ইচ্ছা করছেনা।
ও আপনাদেরতো পরিচয়ই দেওয়া হয়নি।আমি হুসাইন।এবার অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছি।
:-কিরে ভাইয়া তোর হলো?(আমার বোন মিষ্টি)
নামটা মিষ্টি বলে আপনারা আবার ভেবে নিবেন না ও মিষ্টির মতই।নাম মিষ্টি হলে কি হবে একদম কাঁচা লঙ্কা।নামের সাথে কাজের কোন মিল নেই।আমাকে বাঁশ দেওয়ার জন্য সব সময় রেডি থাকে।
:-এত চেঁচামেচি করছিস কেনো(আমি)
:-আব্বু তাড়াড়ি রেডি হয়ে যেতে বললো।
:-তুই যা আছি আসছি।
আমি আবার আমার আব্বুকে সেই লেভেলের ভয় পাই।যাইহোক রেডি হয়ে সবাই বেড়িয়ে পড়লাম।আমরা সবাই ট্রেনে করে যাবো।ট্রেন ভ্রমন আমার কাছে অনেক  ভালো লাগে। আমাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বিকেল হয়ে গেলো।আম্মুকে দেখে তার বান্ধবি সেই লেভেলের খুশি হলেন।আম্মুরা সবাই ভিতরে গেলো।আমি আম্মুকে বললাম তোমরা যাও আমি আসছি।আমি বাড়িটার চারদিক ঘুরে দেখতে থাকলাম।বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাঁজানো হয়েছে।একমাএ ছেলের বিয়ে বলে কথা।আমি এর আগে এই বাড়িতে একবার এসেছিলাম।তখন বাড়িটা একতলা ছিলো আর এখন হয়েছে ৫ তলা।আমার সবথেকে ভালো লাগলো বাড়ির সামনের ফুল বাগানটা।অনেক রকমের ফুলে বাগান ভর্তি।ফোনটা বের করে একটা পিক তুকে নিলাম।
:-ভাইয়া আমার একটা পিক তুলে দিবেন?
এমন কথা শুনে পিছন ফিরে তাকালাম।পিছনে তাকাতেই বড় ধরনের টাসকি খেলাম।এ যে একটা পরী। মনে হয় এখানে সুন্দর ফুলের বাগান দেখে মাটিতে নেমে এসেছে।পরীদের আবার ফুলের বাগান অনেক ভালো লাগে।
:-ভাইয়া একটা পিক তুলে দেননা প্লিজ।(মেয়েটি)
:-আপনার ফোনটা দিন তুলে দিচ্ছি।(আমি)
মেয়েটি আমাকে তার ফোন দিয়ে ফুলের বাগানের মধ্যে গিয়ে দাঁড়ালো।আমি তার পিক তুলে দিলাম।সাথে কায়দা করে আমার ফোনেও একটা তুলে নিলাম।মেয়েটা আমাকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে তার ফোন নিয়ে চলে গেলো।সাথে আমার মনটাও নিয়ে গেলো।ফোনের শব্দে সবকিছুর অবশান ঘটলো।ফোন রিচিভ করলাম
:-তুই কোথায়রে? সেইযে তখন গেলি আর দেখা নেই।(আব্বু)
:-এইতো বাড়ির চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছি।(আমি)
:-পরে ঘুরিস এখন বাসার মধ্যে আয়।
:-আচ্ছা
ফোনটা রেখে বাসার ভিতরে যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম।আম্মুরা কয় তালাতে আছে সেটাতো জিঙ্গেস করা হয়নি।আম্মুকে ফোন দিলাম।
:-আম্মু তোমরা কয় তালাতে।(আমি)
:-তিন তালাতে আয়। (আম্মু)
:-আচ্ছা আসছি।
ফোনটা রেখে সিঁড়ি খুজতে লাগলাম।কিছুতেই সিঁড়ি খুজে পাচ্ছিনা।অবশেষে একটা পিচ্চিকে জিঙ্গেস করলাম।পিচ্চিটা দেখিয়ে দিলো।সিঁড়ি পিছনের দিকে আর আমি খুঁজতেছিলাম সামনের দিকে।সিঁড়ি দিয়ে তিন তলাতে ওঠে গেলাম।তিন তলায় অনেকগুলো রুম।আম্মুরা কোন রুমে সেটাতো জিঙ্গেস করিনি।আম্মুকে আবার ফোন দিলাম
:-আম্মু তোমরা কোন রুমে।(আমি)
:-ওই হাদারাম সবকিছু একবারে জিঙ্গেস করতে পারিস না।সিঁড়ি দিয়ে ওঠে ডানপাশের প্রথম রুমটাতে চলে আয়।
:-আচ্ছা।
ফোনটা রেখে ডানপাশের রুমে ঢুকলাম।একি কী দেখছি?সেই পরীটা এখানে কী করে?মেয়েটাও আমাকে দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে বললো
:-আপনি এখানে?নিশ্চয় আমার পিছু নিয়েছেন।আপানারা সব ছেলেই এক।সুন্দরী মেয়ে দেখলেই পিছু নেন।(মেয়েটি)
:-তুই ওকে আগে কোথাও দেখেছিস(মিষ্টি)
:-একটু আগে ওনিই আমার পিক তুৃলে দিয়েছে।
:-ও।আমি ভাবলাম কীনা কী।ও আমার বড়
ভাই।(মিষ্টি)
মিষ্টির কথা শুনে মেয়েটা লজ্জায় মুখ নিচের দিকে নামিয়ে ফেললো।আমি আর কিছু বললাম না।রুমের মধ্যে আরো অনেকেই আছে।আমার আব্বু আম্মু বাদে আরো দুইজন।উনাদের আমি চিনিনা।সবাই এতক্ষণ আমাদের কান্ড দেখছিলো।আব্বু আমাকে তার পাশে ডাকলেন।অপরিচিত দুইজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।উনারা আম্মুর আরেক বান্ধবী এবং তার স্বামী আর মেয়ে।আব্বু মেয়েটার নামও বললেন।মেয়েটার নাম নিশিতা।মেয়েটার সাথে তার নামের মিল আছে।আমি গিয়ে খাটের উপর বসলাম।মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম এখনো মাথা নিচু করে বসে আছে।লজ্জায় মেয়েটার মুখে লাল আভা সৃষ্টি হয়েছে যেটা মেয়েটার সৌন্দর্য আরো ২ গুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছে।আমি মেয়েটাকে যত দেখছি ততই তার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি।আমি এতদিন এরকম একটা মেয়ের ছবিই কল্পনাতে এঁকেছিলাম।আমি বসে বসে মেয়েটাকে আড় চোখে দেখছি।কিছুক্ষণ পর আম্মুর বান্ধবি (এই বাড়ি ওয়ালা)এসে খাবার জন্য ডেকে গেলেন।সবাই খেতে গেলাম।মেয়েটা এবং তার পরিবারের সবাইও গেলো।আম্মুর বান্ধবিরা ৩য় তলায় থাকে আর বাকিগুলো সব ভাড়া দেওয়া।আমি যেই চেয়ারে বসলাম তার ডান পাশেরটাতে মিষ্টি বসলো আর মিষ্টির পাশেরটাতে আম্মু বসলো।সামনের চেয়ারে আব্বু, নিশিতার আব্বু, আর নিশিতা বসলো।আমার বাম পাশের চেয়ারটাতে নিশিতার আম্মু বসলো।নিশিতা আমার সামনে থাকায় ওকে বারবার দেখছিলাম।দুএকবার নিশিতার সাথে চোখাচোখিও হলো।নিশিতার সামনে বসে খেতে কেমন জানি অসস্তি লাগছিলো। খাবার টেবিল থেকে আমি সবার আগে ওঠে আসলাম।হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে শুয়ে আছি এমন সময় নিশিতা আসলো।
:-আসলে কথাটা কীভাবে বলবো বুঝতে পারছিনা।খারাপ ব্যবহার করার জন্য আমি সরি।(নিশিতা)
:-না না ঠিক আছে।আপনিতো আর ইচ্ছা করে বলেননি।(আমি)
:-তখনি সরি বলতাম কিন্তু সবার সামনে কেমন জানি লাগছিলো।
আমাদের কথার মাঝে মিষ্টি রুমে আসলো।এসে নিশিতাকে ডেকে নিয়ে চলে গেলো।এখন মিষ্টির উপর অনেক রাগ হচ্ছে।একটু কথা বলছিলাম কত ভালো লাগছিলো।আর ও এসে সব মাটি করে দিলো।মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো।ফোনটা বের করে গেম খেলা শুরু করলাম।আমার যখন মন খারাপ থাকে তখনি গেম খেলি।কিছুক্ষণ পর আমার আম্মু আর নিশিতার আম্মু রুমে আসলো।নিশিতার আম্মু জিঙ্গেস করলো
:-তুমি কিসে পড়ো?(নিশিতার আম্মু)
আমি গেম খেলা বাদ দিয়ে উওর দিলাম
:-জ্বি আন্টি আমি অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি।(আমি)
:-এত অল্প বয়সে অনেক উপরেইতো ওঠে গেছো।আমার মেয়ে এবার অনার্সে থাকতো কিন্তু অসুস্থার কারণে ওর এক বছর পিছিয়ে গেলো।
:-কী করবি অসুখের পিছনেতো আর কারো হাত নেই।(আমার আম্মু)
:-আম্মু আমি বাইরে গেলাম।(আমি)
:-যা তবে বেশি দুরে কোথাও যাস না।(আম্মু)
:-আচ্ছা।
রুম থেকে বেড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে আসলাম।নিচে এসে নিশিতাকে খুজতে লাগলাম কিন্তু কোথাও পেলাম না।এখানে আমার সমবয়সী কাউকে পাচ্ছিনা তাই একাই বেড়াতে হচ্ছে।বাড়ির গেটের বাইরে আসলাম।ফোনে টাকা লোড দিতে হবে তাই লোডের দোকান খুজতে লাগলাম। দোকান খুজতে খুজতে একটু দুরে চলে আসলাম।ওইতো একটা দোকান দেখা যাচ্ছে। দোকানে গিয়ে লোড দিয়ে চলে আসতে যাবো তখনি বিধানকে দেখলাম।বিধান আমার ফ্রেন্ড।
:-এই বিধান
বিধান আমার ডাকে শুনে পিছনে ফিরে তাকালো।আমাকে দেখে এগিয়ে আসলো
:-কিরে তুই এখানে কী করছিস(আমি)
:-আর বলিস না আম্মু জোর করে মাসিদের বাসায় পাঠিয়ে দিলো।(ও হিন্দু)
:-ও।তো এখানে কী ২ একদিন থাকবি।
:-জানিনা একটা কাজে এসেছি হয়ে গেলেই চলে যাবো।তুইতো তোর আম্মুর বান্ধবির বাসায় এসেছিস তাইনা।
:-হ।এখানে আমার সম বয়সী কেউ নাই তাই একা একাই ঘুরছি।চল সামনের দিকে আগাই।
বিধান আর আমি গল্প করতে করতে বাসার সামনে চলে আসলো।
:-এই বাড়িটাই(আমি)
:-আমার মাসির বাসায় যেতে ৩ মিনিট লাগে।(বিধান)
:-তাহলে তুই যদি এখানে থাকিস আমাকে ফোন দিস।
:-আচ্ছা দিবোনে।এখন যাই পরে কথা হবে।সন্ধা হয়ে গেলো।
বিধান চলে গেলে আমি বাসার মধ্যে চলে আসলাম।সোজা রুমে চলে গেলাম।রুমে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে।এবার আরো নতুন তিনজনকে দেখতে পেলাম।
আমি যেতেই আম্মু উনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।এটা আম্মুর আরেক বান্ধবি।আম্মুরা চার বান্ধবি।আম্মুর এই বান্ধবির একটা ছেলে এসেছে।নাম রিফাত।ক্লাস টেনে পড়ে।ছোট হলেও একজন ঘোরার জন্য মানুষ পেলাম।কিছুক্ষণের মধ্যেই রিফাতের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠলো।রাত নয়টার দিকে শুরু হলো গানের অনুষ্ঠান।ফুলের বাগানের অপর পাশে পেন্ডেল করা হয়েছে।গানের অনুষ্ঠান শুরু হলে আমরা সবাই গিয়ে চেয়ারে বসলাম।অনেকেই গান গাইলো। এরপর শুরু হলো নাচ।প্রথম নাচটা শেষ হবার পর দেখলাম নিশিতা নাচতে গেলো।ওর নাচতে যাওয়া দেখে আমার প্রচন্ড রাগ হলো।ইচ্ছা করছে ওকে টেনে দুইটা থাপ্পর মারি।ওর আব্বু আম্মুর উপর আরো রাগ হলো মেয়েটা উনাদের সামনে নাচছে তাও কিছু বলছে না।নিশিতার নাচা শেষ হলে নিশিতা চেয়ারে এসে বসলো।আমার পরে মিষ্টি তার পরেই নিশিতা বসে আছে।আমি মিষ্টিকে বললাম আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে আয়।মিষ্টি চলে গেলে আমি নিশিতার পাশের চেয়ারটাতে বসলাম।নিশিতাকে বললাম
:-আবার যেনো কখনো নাচতে না দেখি।
বলে আগের চেয়ারটাতে এসে বসলাম।নিশিতা আমার এমন কথা শুনে অনেক অবাক হয়েছে সেটা ওর দিকে তাকিয়েই বুঝলাম।নিশিতা এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে।ও এখনো বোঝার চেষ্টা করছে কেনো আমি ওকে এই কথাটা বললাম।মিষ্টি পানি নিয়ে আসলে পানি খেলাম।মিষ্টি গ্লাসটা আমার কাছ থেকে নিয়ে চেয়ারে বসে পড়লো।এরপর আরো কয়েকটা নাচ হবার পর আবার নিশিতাকে মাইকে ডাকলো।নিশিতা ওঠে চলে গেলো।এবার আমার রাগটা আরো বেশি হয়ে গেলো।নিশিতা পেন্ডেলের কাছে গিয়ে একটা লোকের সাথে কথা বলে আবার চেয়ারে এসে বসলো।ওর চলে আসা দেখে বুঝলাম ও আর নাচবে না।নিশিতা চেয়ারে বসার ২ মিনিট পর আমি ওর দিকে তাকালাম।তাঁকিয়ে দেখি নিশিতা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমি তাকাতেই চোখ নামিয়ে নিলো।এভাবে কয়েকবার নিশিতার সাথে চোখাচোখি হলো।১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চললো।অনুষ্ঠান শেষে সবাই রুমে আসলো।আম্মু আমাকে আর রিফাতকে অন্য একটা রুমে শোয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন।আমি আর রিফাত শুয়ে পড়লাম।রিফাতের সাথে অনেক গল্প করলাম।সকালে ৭ টার দিকে ঘুম ভাঙ্গলো।আমি আর রিফাত ওঠে আম্মুদের রুমে গেলাম।এরপর আম্মু ওয়াসরুম দেখিয়ে দিলেন।ফ্রেশ হয়ে এসে রুমে বসলাম।কিছুক্ষণ পর মিষ্টি আর নিশিতা আসলো।আমি নিশিতার দিকে তাকিয়ে দেখি  নিশিতাও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।নিশিতা আমার সামনের সোফাতে বসলো।আমি বারবার ওর দিকে তাকাচ্ছিলাম।নিশিতাও তাকাচ্ছিলো।
১২ টার সময় আমরা কনেদের বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।মেয়েদের জন্য আলাদা গাড়ি আর ছেলেদের জন্য আলাদা গাড়ি।গাড়ির কাছে গিয়ে নিশিতাকে দেখে আমি পুরাই ক্রাশ বনে চলে গেলাম।নিশিতা শাড়ি পড়েছে।হাতে চুড়ি, চোখে কাজল।আবারো নিশিতার প্রেমে পড়ে গেলাম।নিশিতা মিষ্টির কানে কানে কী যেনো বললো।তারপর মিষ্টি আর কাছে এসে বললো
:-ভাইয়া তুইতো পানজাবি নিয়ে আসলি তো পড়িসনি কেনো?(মিষ্টি)
:-ভালো লাগছেনা তাই পড়িনি(আমি)
:-যা শার্ট খুলে পান্জাবি পড়ে আয়।
:-নারে এখন আর পান্জাবি পড়বোনা।
:-তুই যদি পান্জাবি না পড়িস তাহলে আমি বিয়ের সাথে যাবোনা।
কী আর করার বাধ্য হয়ে পান্জাবি পড়ে আসলাম।গাড়িতে সবার ওঠা শেষ হলে গাড়ি ছেড়ে দিলো।কনেদের বাড়িতে এসে নিশিতার আর দেখা পেলাম না।আম্মুকে জিঙ্গেস করলাম
:-আম্মু মিষ্টি কোথায়?(আমি)
:-মিষ্টি কনের রুমে।
:-ও আচ্ছা
তার মানে নিশিতাও কনের রুমে।বিয়ের সব কাজ শেষ হবার পরে কনের বাড়ি থেকে সবাই গাড়িতে ওঠে রওনা দিলাম।আমি আর রিফাত আগে গাড়িতে ওঠার কারণে নিশিতার সাথে আর দেখা হলোনা।বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেলো।আন্টিদের বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।নিশিতাদের গাড়ি এখনো এসে পৌঁছায়নি।আরো কিছুক্ষন পরে নিশিতারা আসলো।আম্মু এসেই বললেন
:-তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে বাসায় যেতে হবে।(আম্মু)
:-এখনি চলে যাবে?(আমি)
:-হ্যাঁ।তোর আব্বুর অফিসে একটা জরুরী কাজ পড়ে গেছে।
আমি সবকিছু গুছিয়ে নিলাম।নিশিতা এসে রুমের মধ্যে বসলো।ওর দিকে তাকিয়ে বুঝলাম ও কিছু বলতে চায়।কিন্তু ওর সাথে কথা বলার সুযোগ পেলাম না।সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে কিছুই ভালো লাগছিলো না।সারাটাক্ষণ শুধু নিশিতার কথা মনে হচ্ছিলো।রাতে ঘুম হলোনা।সকালে রেডি হয়ে কলেজে গেলাম। কলেজ থেকে ফিরতে ফিরতে ৩ টা বেজে গেলো।গেট দিয়ে বাসায় ঢুকতে যাবো তখনি ছাঁদে নিশিতার মত কাউকে দেখলাম।হ্যাঁ নিশিতাইতো।ও এখানে কী করছে।তাড়াতাড়ি করে গেট দিয়ে বাসায় ঢুকলাম।ড্রয়িং রুমে দেখলাম আমার আম্মু, নিশিতার আম্মু,আর নিশিতার আব্বু তিনজন বসে গল্প করছে।আমি গিয়ে সালাম দিলাম।
:-আপনার কখন এলেন?(আমি)
:-এইতো একটু আগেই।ভাবলাম এদিক দিয়েই যখন যাবো তখন তোমার আম্মুর সাথে দেখা করে যাই।(নিশিতার আম্মু)
:-আজকে কিন্তু আপনাদের যাওয়া হচ্ছেনা।দুএকদিন থেকে তারপর যাবেন।
:-যেতে দিলেতো যাবে।তুই যা ফ্রেশ হয়ে নে।মিষ্টি এখনো স্কুল থেকে ফেরেনি।নিশিতা ছাঁদে আছে ওর সাথে গিয়ে গল্প কর।(আম্মু)
:-আচ্ছা যাচ্ছি।
রুমে গিয়ে ফ্রেশ না হয়েই ছাঁদে চলে গেলাম।গিয়ে দেখি মহারাণী বসে আছে।আমি গিয়ে ওর পিছনে দাঁড়ালাম।আমি ছাঁদে এসেছি ও এখনো টের পায়নি।ফোনে কার সাথে যেনো কথা বলছে।কথা বলা শেষ হলে পিছন ফিরে তাকিয়ে আমাকে দেখেই ভুত দেখার মত চমকে ওঠলো।
:-আপনি কখন এলেন?(নিশিতা)
:-এইতো ২ মিনিট হবে(আমি)
:-ও।কেমন আছেন?
:-ভালোনা।আপনি?
:-জানিনা।
:-এ আবার কেমন কথা।
:-কিছুনা।আপনাকে কিছু বলার ছিলো?
:-আমিও আপনাকে কিছু বলতে চাই।
:-তাহলে আপনিই আগে বলুন।
:-না আপনি আগে বলুন
:-আপনার ফোন নংটা দেন।
:-০১৭৭৫-------
ফোন নংটা নিয়েই আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেলো।সিঁড়ির কাছে গিয়ে বললো মেসেজ চেক করেন।তারপর সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেলো।
ওর কথামত আমি মেসেজ চেক করলাম।মেসেজ চেক করতেই অবাক হলাম।মেসেজটা ছিলো এরকম
**আমার বর হবেন***
এরকম মেসেজ দেখে সত্যিই অনেক হাসি পেলো।আমি উওরে লেখলাম
**আপনার বর হতে পারবোনা কিন্তু আপনার ছেলের আব্বু হতে পারবো **
মেসেজটা রিচিভ হবার পরে উওর আসলো
**যাহ ফাজিল**
এরপর শুরু হয় আমাদের নতুন অধ্যায়।
**

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ