āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

3997

গল্প(: থাপ্পড় থেরাপি!
লেখক: শেখ আলী (আফরান)

সকালে বাসা থেকে বের হতেই, এক বোরখা পরিহিতা যুবতী মেয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে।মনে হচ্ছে অনেকক্ষণ ধরেই অপেক্ষা করছে আমার জন্য।কিছু বুঝে উঠার আগেই মেয়ে আমার গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিল।
গালে হাত দিয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করলাম। যখন মনে হল কোনো ভুল করিনি,যার কারণে কেউ আমাকে থাপ্পড় মাড়বে,তখন আমি উলটা থাপ্পড় মেড়ে বসলাম।
দুচোখ দিয়ে অগ্নি দৃষ্টিতে চেয়ে, মুখের পর্দাটা সরাল।তখনই আরেকটা শক খাইলাম।
--আনিকা, তুমি?(পাশের বাসার মেয়ে)
--হ্যা আমি,তুই আমায় থাপ্পড় মাড়লি।
--তুমিও তো মাড়লে!
--ভুল করেছিস বলে মেড়েছি।
--কিসের ভুল?
--শুন তাইলে
--বল,....
--আর কোনোদিন যদি গোসল করে ছাদে গিয়ে চুল শুখিয়েছিস তো, তর একদিন কি আমার একদিন।
--ছাদে চুল শুখাইব না কোথায় চুল শুখাইব সেটা আমার ইচ্ছে।
--দেখ না আরেকদিন চুল শুখিয়ে?
--সমস্যা কি চুল শুখাইলে?
--তর চুল দেখে আমার বোন ক্রাশ খাইছে,কাল মনে হয় প্রপোজ করতে পারে!
--ভাল!
--ভাল মানে?(ধমক দিয়ে)
--না,কিছু না।
--যদি আমার বোন আসে,ডাইরেক্ট না করে দিবি।
--কেন?
--না হলে আজ তো শুধু থাপ্পড় মাড়ছি,কাল ছেলেপুলে দিয়ে পিটাইব।
--তাহলে এই চুল কোথায় শুখাইব?
--মিশিন কিনছ না কেন?আর মেয়েদের মত চুল কেন,কাটতে পারিস না।
--না!
কি মেয়েরে বাবা,নিজের বোনের বিরুদ্ধে থাকে।আর নিজে তো প্রেম করবে না,উল্ট আমাকেও প্রেম করতে দেবে না।
আমি শেখ আলী,এবার অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আর বোরখা পরিহিতা হলেন,আমাদের পাশের বাসার
মেয়ে,ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

বাসায় বসে বসে ম্যাগাজিন পড়ছিলাম, তখনই মা সামনে এসে হাজির!
--ওয়াশরুমে আমার একটা নতুন শ্যাম্পুর প্যাকেট ছিল,ওটা কই?
--আমার মাথায়!
কিছু বুঝে উঠার আগেই কষে একটা থাপ্পড় মাড়লেন!
--নিজে শ্যাম্পু এনে দিতে পারিস না।
আজ ঘুম থেকে উঠে যে, কার মুখমণ্ডল দেখেছিলাম
আল্লাহ্‌ জানেন।যেই পাচ্ছে সেই থাপ্পড় মাড়ছে।

বিকেলে এক বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য বাসা থেকে বের হতে যাব, ওমনি বাবা এসে হাজির!
--থাপ্পড় মাড়বে তো?
--তুই কিভাবে বুঝলি!
--এই নেও, মেড়ে যাও।
থাপ্পড়টা মেড়ে বাবাও চলে গেলেন।বাবার থাপ্পড় মাড়ার কারণ অব্যশই আছে। কেননা,বাবার পকেট কাটছি আজ।
এক গালে হাত দিয়ে,বাসা থেকে বের হতেই দেখি আনিকার বোন আদিবা গেইটের সামনে দাঁড়ানো।
--ভাইয়া?
--বল,
--আপনার চুল গুলা না অনেক সুন্দর!
--আর কি?
--আপনিও!
--তারপর.....
--আমি না আপনাকে ভালবাসি।
--আমি ভালবাসি না!
ঠাস করে একটা শব্দ হল।আমি ওপর গালটা ধরে আছি।আনিকার বোনও আমায় থাপ্পড় মাড়ল।দুহাত দিয়ে দুগালে ধরে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছি।
ওদের বাসার দিকে চেয়ে দেখি, বারান্দায় আনিকা দাঁড়িয়ে আছে। আমি অসহায়ের দৃষ্টিতে আনিকার দিকে চেয়ে আছি।

বন্ধুর সাথে দেখা হতেই, বন্ধুর প্রথম প্রশ্ন?
--কি রে,তর গাল দুটো লালা মরিচের মত লাল কেন?
--থাপ্পড় থেরাপি।
--মানে?
--দুস্ত, আমি শেষ।
--কি হয়েছে?
--শুনলে তুইও থাপ্পড় মাড়বি। তাই বলার দরকার নাই।

থাপ্পড় থেরাপির হাত থেকে বাচার জন্য কি করব,কিছুই বুঝতে পারছিনা।ঠিক সেই মুহূর্তে একটা বুদ্ধি মাথায় আসল।
সোজা চলে গেলাম মোটর বাইকের দোকানে।
--স্যার ভিতরে আসুন?
আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম।
--স্যার এইটা দেখুন,পুরাই নতুন মডেল!(একটা বাইক দেখিয়ে)
--আমাকে একটা হেলমেট দিন?
--তাহলে তো বাইক আছে!
--না,
--তো হেলমেট দিয়ে কি করবেন?
--আত্নরক্ষার জন্য
দোকানী অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে।
দোকান থেকে হেলমেট নিয়ে বাসায় চলে আসলাম,
বাসায় ঢোকতেই না এসে হাজির!
--বাইক কিনার টাকা কোথায় পেলি?
--যে পকেট চালানোর জন্য বাবার পকেট কাটে, সে কোথা থেকে বাইক কিনবে!আমি শুধু হেলমেট কিনছি!
--কেন?
--আত্নরক্ষার জন্য।
--কিসের থেকে?
--থাপ্পড় থেরাপি থেকে।
--তুই আসলেই একটা বোকা,

নিজের রুমের মধ্যে শুয়ে শুয়ে একটু লেখালেখি করছিলাম,তখনই মোবাইলে ফোন আসল,একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে।
--হ্যালো!
--সরি(রমনীর কণ্ঠস্বর)
--কে?আর সরি কিসের?
--আমি আদিবা,আনিকার ছোট বোন।
--হুম, তো।
--আপু সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু খায়নি!
--কেন?
--আপনাকে থাপ্পড় মাড়ার জন্য।ও না খুব কেঁদেছে।
--তো আমি কি করব।
--আপনি একটু আমাদের বাসায় আসবেন?
--না।
--আসুন না,কিছু খায়নি এখনও।
কলটা কেটে দিলাম।কি মেয়েরে বাবা,থাপ্পড় মাড়ল তো মাড়ল, এখন গাল হাত দিয়ে বুলাতে চাচ্ছে।এই মেয়ের মনটা বুঝা খুব অসম্ভব বেপার। ভালবাসে কিন্তু বুঝতে দেয়না। যাই এখন, সারাদিন না কি খায়নি।

বাসা থেকে হেলমেটসহ বের হলাম,আনিকাদের বাসার উদ্দেশ্যে।
বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কলিংবেল মাড়ব,তার আগে হেলমেটটা পড়ে নিলাম।এদের উপর বিশ্বাস নেই,কখন কি করে বসে।
কলিংবেল চাপ দিতেই আনিকা এসে দরজা খোলে দিল।
-- যান জুলিয়েট না খেয়ে আছে,আর হেলমেট মাথায় কেন নতুন বাইক কিনেছেন না কি?
--না,শুধু হেলমেট কিনেছি,
--কেন?
--আত্নরক্ষা,থাপ্পড় থেরাপি থেকে।
--আপনি আসলেই একটা বোকা।
--মনে হয়।

আনিকার রুমে প্রবেশ করে দেখি,ও চুপচাপ বসে আছে।চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে,যা দেখে বুঝাই যাচ্ছে কাঁদছে।
--কাঁদতে কাঁদতে চোখেরজল শেষ করে ফেললে যে,
বিয়ের সময় কাঁদার জন্য কিছুটা জল তো অবশিষ্ট রাখতে পার।
--আই এম সরি!!!
--ঠিক আছে,এখন খাও?
--কিন্তু,এই হেলমেট কিসের জন্য।
--গালের সুরক্ষা,এখন খাও তো
--তার আগে প্রপোজ কর?
--কাকে?
--আমাকে!
--আমি তো পারিনা।
--কি? থাপ্পড় খাবি?
--দিয়ে দেখ না(একটা বিজয়ের হাসি দিয়ে)
তখনই পিছন থেকে একটা ছুড়ি বের করল।
--থাপ্পড় থেরাপি দিতে না পারি,ছুরি থেরাপি তো দিতে পারব।
--এই না,
--প্রপোজ করবি কি না?
--করছি,করছি!

অজ্ঞতা মাইয়াকে প্রপোজ করতে হল।
তবে আমার চিন্তা বিয়ের পর,মানে ওই রাতের জন্য।
ওই রাতে তো আর হেলমেট নয়ে যাওয়া যাবে না।নতুন
কোনো বুদ্ধি বের করতে হবে।না হলে থাপ্পড় থেরাপি খেতে খেতে জীবনটা শেষ হয়ে যাবে!
...............সমাপ্তি।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ