#অণুগল্প_বুড়ি!
লেখক: শেখ আলী
রাস্তার পাশে, ভ্যানগাড়িতে করে এক বুড়ি পিঠা বিক্রি করেন! আমি প্রতিদিন রিক্সা দিয়ে যাবার সময় তার দিকে চেয়ে থাকি। খুব অবাক হই, যে নিজ কর্ম করে তিনি বাকিটা জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই শহরে আসার পর থেকে আমার পিঠা খাওয়া একদম হয়নি। কেননা,বাড়িতে থাকলে মা নিশ্চিত সন্দেশ করে খাওয়াতেন।
সেদিন আমি খুব আগ্রহ নিয়ে সেই বুড়ির কাছে গিয়েছিলাম সন্দেশ পিঠা খাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি সন্দেশ তিনি বানান নি।
--বুড়ি!
--হ বাবা।
--সন্দেশ আপনি বানান না?
--না বাবা।
--ওহ,আমি আসলে এখানে আসার পর সন্দেশ পিঠা খাওয়া হয়নি,বাড়িতে থাকলে মা পিঠা বানাতেন।
--তুমি খাবে বাবা!
--হ্যা,
--কাল আইসো, আমি বানামু নে।
--আচ্ছা।
পরেরদিন আমি ঠিক সময় এসে উপস্থিত হলাম।
এসেই দেখি বুড়ি আলাদা করে গুটা কয়ক সন্দেশ বানিয়ে একটি থালার মধ্যে রেখে দিয়েছেন, আমি যেতেই আমাকে দিয়ে দিলেন!
--নেও বাবা,খাও!
আমি অবাক হয়ে বুড়ির দিকে চেয়ে আছি,
এ কেমন আদর স্নেহময়ী নারী,যার ভিতরে শুধু আদর
আর স্নেহের বসবাস।
আমি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থেকে থালার সব কয়টা সন্দেশ খেয়ে নিলাম। আর বুড়ি আমার পাশেই বসে থেকে তা দেখলেন।
আসার পথে হাতে একশো টাকার একটা নোট গুঁজে দিয়েছিলাম! তখনই স্নেহের বদলে রাগটা দেখেছি।
উনি বলেছিলেন!
--আমার ছেলে মনে করে তোমাকে খেতে দিলাম বাবা,আর তুমি।
টাকাটা পকেটে ভরে বুড়ির পায়ে সালাম করে ,
দুয়া নিয়ে আসলাম।
পৃথিবীতে প্রকৃত ভালবাসা হল ছেলের প্রতি মায়ের ভালবাসাটা। যা সব ভালবাসাকে হার মানায়।
......সমাপ্তি।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ