āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

3978

গল্প: খুনসুটি
লেখক: শেখ আলী (অভিশপ্ত লেখক)

   -ওই মেয়েটা কে?

ভার্সিটি গেইট দিয়ে ঢোকতেই আনিকা এসে উপরোক্ত কথাটি বলে উঠল।
  -  -কোন মেয়েটা!
  -  যার সাথে হেসে হেসে কথা বলে ভার্সিটি আসছিলি!
  -  ওহ,তুই কি আনিলার কথা বলছিস?
  -  কোন আনিলা?
  -  আরে,আমি তো ওদের বাসার উপরে থাকি!
  -  বাসার উপরে মানে, ছাদে থাকিস না কি?
  -  না,চিলেকোঠার রুমে।
  -  বাসায় থাকস ঠিক আছে,কিন্তু এই মেয়ের সাথ্র এত কথা কি?
  -  ওই একটা অঙ্ক বুঝতেছিল না,
  -  তাই আপনে বুঝাইয়া দিলেন!
  -  ঠিক তাই।
রাগান্বিত হয়ে আমার দিকে থাকাল,যেন আমি কোনো বড় ধরনের অপরাধ করে ফেলেছি। হঠাৎই বলে উঠল.
   - মোবাইলটা দে তো?
   - কি করবি?
   - দিতে বলেছি (ধমক দিয়ে)
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দিয়ে দিলাম। পাঁচমমিনিট মোবাইলটা  টিপাটিপির পর হাসিমুখে মোবাইলটা দিয়ে দিল।
- চল?
- কোথায়?
- ফুচকা খাব?
- কিন্তু...
  -  -যাবি না কি ঘাড়ধাক্কা দিয়ে নিব
  -  চল.....

আমি শেখ আফরান,এবার অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। আর ইনি আনিকা আমার বন্ধু কি না জানি না,তবে শত্রু ঠিকই। একি ভার্সিটিতে একি ডিপার্টমেন্টে।
আমার মনে হয় মেয়েটা আমায় ভালবাসে, কিন্তু প্রকাশ করে না। আমিও ঠিক এরকম, প্রকাশ করতে চাইনা।

ফুচকার দোকানে গিয়ে দুটো টুলে বসে পড়লাম।
  -  -মামা কি খাবেন?(ফুচকাওয়ালা)
  -  দুই প্লেট ফুচকা খুব ঝাল দিয়ে(আনিকা)
ঝালের কথা শুনে অসহায় দৃষ্টিতে আনিকার দিকে থাকালাম। আমি যে ঝাল একদমই খেতে পারিনা,এটা বুঝাই কিভাবে?
  -  -এই নেন মামা (দুই প্লেট ফুচকা এগিয়ে দিয়ে)
  ফুচকার প্লেট নিয়ে মেয়েটা আপনমনে খেতে চলেছে।
আর আমি অসহায়ের মত ফুচকার দিকে চেয়ে আছি। খাব কি না এটাই চিন্তা করছিলাম।না খেলে আবার মেয়েটা অভিমান করবে,আর খেতে গেলে আমার পেটের করুণ দশা হবে।
একটা ফুচকা খেতেই আমার মুখে জ্বালা শুরু করে দিয়েছে। চোখ দিয়ে মনে হচ্ছে জলের বদলে লাল অশ্রু বের হচ্ছে।
  -  -মামা পানি!
  বলেই উঠে দাঁড়ালাম। পাশেই পানির ৫ লিটার বোতল ছিল,জ্বলা সহ্য করতে না পেরে ৫ লিটার বোতল দিয়ে পানি খেতে লাগলাম।মনে হচ্ছে এ তৃপ্তি শেষ হওয়ার নয়।
আমার এ অবস্তা দেখে মাইয়া পুরাই আবাক।
  -  -ঝাল খেতে পারস না বললেই হয়?
  আমি কিছু না বলেই মাইয়ার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি। কি বলব, কিছুই মাথায় আসছে না।
  -  -মামা,আরেক প্লেট ঝাল ছাড়া ফুচকা দেন?
  -  না,না,আমি খাব না।
  -  কেন?
  -  এমনি!
  -  তাহলে চল,আমারও আর খেতে ইচ্ছে করছে না।
  -  তুই খা,আমি আছি।
  -  খাব না,চল.....
 
দুজনে নিরবে পাশাপাশি হেটে চলেছি।
নিরবতা ভেঙ্গে মেয়েটা বলে উঠল....
  -  -আজকের আকাশটা অনেক সুন্দর!
  -  যদি না তুই পাশে থাকতে (আস্তে আস্তে বললাম)
  -  কি?
  -  না, কিছু না।চল বাসায় যাওয়া যাক....
  -  কেন,তর আনিলা না কি, তাকে দেখতে ইচ্ছে করতেছে?
  -  তর ঘাড় ত্যাড়া মনে হয়য়।
  -  কি?
  -  হ্যা,বেশি বুঝিস।
  -  কি,কি বললি!
  -  কেন, এখন কানেও কম শুনিস!
  রাগে হাতে থাকা ব্যাগটা দিয়ে সজোরে আঘাত করল, যা আমার কপালে গিয়ে পড়ল। কপালে হাত দিয়ে দেখি কপাল ফোলে আলুর মত হয়ে গেছে।
ব্যথার যন্ত্রনায় কাঁদব আমি,চেয়ে দেখি মেয়েটা কাঁদতেছে।
এ কি মেয়েরে বাবা,মাড়ল তো মাড়ল এখন আবার কাঁদতেছে। এই মাইয়া গুলার মন বুঝা না আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
  -  -মারলে আমাকে,ব্যথা পেলাম আমি,তাহলে কান্না তো আমই করব!
  -  সরি!
  -  হয়েছে, এবার কান্না থামা।
  কি এক বিদুষী মাইয়া আমার কপালে জুটল,যে কি না
সময়ের সাথে সাথে নিজেরও রঙ বদলায়।
আনিকাকে বাসায় দিয়ে আমি বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে ঢোকতে যাব ওমনি আনিলা এসে হাজির!
  -  -মোবাইল কোথায়?
  -  কেন পকেটে?
  -  আমার বাসায় থেকে, আমাকে ব্লক মাড়লি।
  বলেই বড় করে একটা থাপ্পড় বাম গালে বসিয়ে রমনী এ স্থান ত্যাগ করলেন।
আর আমি অসহায়ের মত গালে হাত দিয়ে মূর্তির মত সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। মাথায় তো কিছুই ঢোকছে না। ঠিক সেই মুহূর্তে আনিকার কথা মনে পড়ল।
মেয়েটা তাহলে মোবাইলটা নিয়ে আনিলাকে ব্লক দিছে।
কেউ আমারে এই বিদুষীর হাত থেকে রক্ষা কর।
রুমের মধ্যে গালে হাত দিয়ে বসে আছি। গালটা কেমন লাল হয়ে আছে। ঠিক সেই মুহূর্তে দরজায় শব্দ।
উঠে গিয়ে দরজা খোলে দেখি আনিলার বাবা দাঁড়িয়ে।
  -  -জ্বি আঙ্কেল?
  -  কাল রুমটা খালি কর!
  -  কেন আঙ্কেল?
  -  বজ্জাত ছেলেপুলে আমি বাসায় রাখব না।
বলেই আঙ্কেল চলে গেলেন। ভাগ্য ভাল যে, এক্ষণি
বাসা থেকে বের করে দেন নাই।
মোবাইল বের করে আনিকাকে ফোন দিলাম।
  -  -হ্যালো!
  -  কি হয়েছে?
  -  বাড়িওয়ালা কাল বাসা ছাড়তে বলছে?
  -  ভাল!
  -  এখন কি করব?
  -  আমি কি জানি,তবে...
  -  তবে কি?
  -  একটা বুদ্ধি আছে!
  -  কি?
  -  আমাদের চিলেকোঠায় থাকতে পারিস,যদি....
  - যদি কি?
  -   যদি আমাকে ছাড়া অন্য কোনো মেয়ের দিকে না থাকাস!
  -  মানে?
  -  মানে,আমি না তোকে ভালবাসি!
  -  কি?
  যাক মাইয়া শেষমেশ প্রপোজ করল। এমনিতেও ব্যাচেলারদের বাসা পাওয়া মহা মুশকিল, আর এই মেয়েকে তো এমনিতেই ভালবাসি, তাহলে হ্যা বললে ক্ষতি কি????
  -   আমিও ভালবাসি!!
..........সমাপ্তি।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ