āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§Šā§§ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3560

----ব্যাকআপ💔
Writer :- Afsana Akter

মেয়ে--কেমন আছো?
ছেলে--সারাদিন খালি এক প্রশ্ন ও হে আর একটা আছে
          ভালোবাসি...এই দুটা ছাড়া আর কিছু জানো না তুমি?
মেয়ে--সরি😞 যানো আজ না নীল পাড়ের কাপড় পড়েছি☺
ছেলে--আর কিছু? (বিরক্তির সঙ্গে)
মেয়ে--হুম,,,,ম্যাচিং রেশমি চুরি, জুমকো, তোমার দেওয়া নূপুর
         গুলো আর হে....কাপালে টিপ পড়েছি☺☺☺
ছেলে--তো আমি কি করবো? আজিব
মেয়ে--আজিবের কি আছে? তোমার তো এমন সাজ খুব পছন্দ
          তাই না?
ছেলে--শুনো এই সব আজাইরা কথা একদম আমার সাথে বলতে
           আসবা না😡
মেয়ে--আমার কথা এখন আজাইরা হয়ে গেলো? কি হয়েছে
          তোমার আগেতো এমন করতে না😭(কান্না স্বরে)
ছেলে--এই সব ন্যাকা কান্না থামাও😡 আর হে আর কখনো
           কল করে বিরক্ত করবা না।
মেয়ে--এ কি বলছো তুমি?তুমি না আমায় ভালোবাসো
ছেয়ে--ভালোবাসা....তুমি আমার যোগ্য না😞 সো বাই...অন্য
          কেউকে খুজে নিও.....
মেয়ে--😭😭😭😭😭

      এই হলো আজকাল দিনের ভালোবাসা....না না একে ভালোবাসা বলা যায় না। এটা হলো ভালোবাসা নামে ছলনা। আর এই ছলনার স্বীকার হচ্ছে উক্ত মেয়েটির মতো হাজারো মেয়ে...ছেলেও আছে😞নেই যে তা বলবো না। আচ্ছা এইভাবে মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলাটা কি খুব দরকার...আজও আপনি একজনের ইমোশন নিয়ে খেলছেন...একদিন দেখবেন কেউ একজন আপনার ইমোশন নিয়ে খেলবে☺ So Be Careful.... খেলতে ইচ্ছে করে ব্লু হোয়েল খেলুন,,,,অনেক মজা পাবেন😒তারপর করো ইমোশন নিয়ে খেলার কোনো অধিকার আপনার নেই। স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন না,,,তাহলে স্বপ্ন দেখান কেনো? শুধু শুধু এইভাবে একটা মানুষকে কষ্ট দিয়ে কি মজা পান? আপনাদের মতো কিছু কিছু মানুষদের জন্য আজ বিশ্বাস শব্দটা থেকে বিশ্বাসটাই উঠে গেছে😡 এখন মানুষ ভালোবাসাতেও ভয় পায়....আর পাবে নাই না কেনো😖 তাই বলছি ইমোশন নিয়ে না খেলে গেমস খেলুন☺

3559

----ভালোবাসার_পূর্ণতা
Writer:- Afsana Akter

এলো বাঁকা কেশে ঘাসে পড়ে থাকা কৃষ্ণচূড়ার উপর লাল পাড়ের আচলটি বিচিয়ে বাঁকা কাজল আঁখিতে আনমনা মনে দীঘিরর ওই পদ্মটির দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে অনু। দুপুর ঘরিয়ে বৈকাল, বৈকাল যেয়ে সন্ধ্যে নামতে চলেছে কিন্তু আনুর চোখের পলক পড়ে না, শেষ হয় না আনমনা মনের ভাবনার রাজ্য। এ যেনো সীমান্তহীন রাজ্যে এসে পড়েছে অনু। ও দিকে এক পলক অনুকে আরাল না করা আবির তার অনুকে না দেখে খুজে চলে সারা বাড়ি কিন্তু কোথাও তার সারা শব্দ পায় না আর পাবেই বা কি করে অনু যে তার ভাবনার রাজ্যে বিচরণ করতে করতে তার বরটির কথা ভুলেই গেছে, ভুলেই গেছে যে তাকে না দেখে যে একজন একটি প্রহর ও কাটাতে পাড়ে না......

     অনুপমা রায়,,,, শম্ভুনাথ বায় এর একমাএ কন্যা। ছোটো বেলায় মেয়েটি মা হারানোর পর বাবার কাছেই বড় হয়। মা হারানো আদরের একমাত্র বেঁচে থাকার সম্ভল মেয়েটি অনু বলেই ডাকতো। অনু তো অনু নয় যেনো স্বর্গের এক রূপসী কন্যা। রূপে গুনে ছিলো অদ্বীতিয়। দেখতে দেখতে কখন আদরের সেই ছোট্ট অনু  বড় হয়ে গেলো শম্ভুনাথ বাবু বুঝতেই পারেনি। মেয়েকে যে অন্যের ঘরে পাঠাতে হবে সেটা ভাবনাতেই বিবর থাকেন তিনি। কারন, আগের মতো লক্ষ্মীর মঙ্গলঘটি যে আর ভরা নেই। কোনো মতে সংসার চলে কিন্তু আজকাল যে দেনাপাওনা ছাড়া মেয়ে বিয়ে দেওয়া বড় দায়। তারপর তিনি হাল ছেড়ে দেন নি, নিজের সবটুকু দিয়ে মেয়েকে বনেদি ঘড়ে বিয়ে দিয়ে তার সুখ দেখে স্বর্গে যাবে বলে পণ করেছে। কিছু দিন পর অনুর জন্যে বড় ঘর থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে, খুশিতে তো তিনি আত্মহারা হয়ে গিয়েছে তবে দেনাপাওনার কথা শুনে নিমেষেই সেই খুশি চিন্তায় পরিণত হয়....তারপর ও কিছু না ভেবে বরপক্ষকে বিয়েতে মত দিয়ে দেয়। ভেবেছিলো ধার,সুদে, যেই ভাবেই হোক টাকা ঠিকি জোগাড় করে নিবে। কিন্তু দূরভাগ্য বশত তা আর হয়ে ওঠে নি। বিয়ের মন্ডপে সম্পূর্ণ দেনা না দেওয়ার কারনে বরপক্ষ বিয়ের বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়,,,অনুর বাবা শতো অনুনয় অনুরোধ করা পরও তারা রাজি হয় নি।  চলে গিয়েছিলো,,,,আর ওই দিকে অনু লগ্নবষ্ঠা অপবাধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলো। এমন সময় আসার আলো হয়ে আছে আবির। অনুকে খুব ভালোবাসতো কিন্তু তাদের ধর্ম যে ছিলো ভিন্ন।আবির ছিলো মুসলমান,,,,,  তার এই ভালোবাসা যে সমাজ কখনো মেনে নিবে না। তাই মনের অন্তরালেই তার ভালোবাসাকে আরাল করে রেখেছিলো। কিন্তু আজ এমন দিনে সে আর চুপ থাকতে পারছিলো না তাই সে অনুর বাবার কাছে গিয়ে অনুকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। অনুর বাবাও মেয়ের সম্মান, জীবনের জন্য মেয়েকে আবিরের হাতে তুলে দেয়। ইসলামিক সকল নিয়ম মেনেই সে অনুকে বিয়ে করেছিলো,,,আর অনুও সব কিছু তার ভাগ্যের লিখন মনে করে আবিরকে মেনে নেয় এবং ইসলাম গ্রহন করে।  কিন্তু আবিরের পরিবার অনুকে মেনে নিবে না বলে জানিয়ে দেয়। আর আবিরও অনুকে অস্বীকার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। যার কারনে আবিরের পরিবার তাকে ত্যাগ করে। গ্রামের কোনো ছোট একটি বাড়িতে অনু আবির তাদের ছোট্ট সংসারটিকে খুছিয়ে নিয়েছে। তাদের বিয়ের আজ এক বছর পূর্ণ হয়েছে,,,এই বসন্তেই আবিরের ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছিলো। কিন্তু তার মহারানীকে যে আজ কোথায় খুজে পাচ্ছিলো না শেষ পর্যন্ত দেখা মিললো,,,,,,,

---এই যে মাহারানী,,,আপনি এখানো বসে আছেন। আর আমি আপনাকে সাড়া বাড়ি খুজে চলেছি।
----_____(আবিরের হাতের স্পর্শে বাস্তবে পিরলো অনু)
----কি ওই ভাবে কি দেখছো?
----কই কিছু নাতো।
----বুঝেছি,,, পদ্ম চাই☺
----হুম,,,কিন্তু..
----কোনো কিন্তু নয়। আমার মহারানীর চাই মানে,,,, আমাও চাই। তাই আমি ওটা এখুনি আনবো
----ওটাতে তো কাটা আছে...লাগবেতো তোমার
---আর না এনে দিতে পারলে যে আমার এই খানে লাগবে(বুকের বাম পাশে দেখিয়ে)
----পাগল একটা☺
-----তোনার জন্য.....

      হাতে পদ্মটি নিয়ে_____

   ভালোবাসি তোমায়,,,,
ভালোবাসি বলবো আজ....
এই বসন্তের শোভায়,
কৃষ্ণচূড়ার ঘ্রানে,
দীঘির শিতল জলকে;
সাক্ষী রেখে বলতে চাই,
তোমায় ভালোবাসি অনু.......
  ভালোবাসি_____

3558

ক্রিকেটার বউ😛
Writer:- Afsana Akter

  ব্যস্ততার কারনে অনেক দিন ক্রিকেট খেলা হয় না, তাই আজ ছুটির দিনটা ক্রিকেট খেলে কাটাবে বলে ঠিক করলো অভি। বন্ধুদের সাথে পড়ার মাঠে ক্রিকেট খেলছিলো। এমন সময় এক দল মেয়ে না মেয়ে বললে ঠিক হবে না রূপসীর দল,,,,

---ওই মিস্টার, এখানে কি তোদের ? মাঠ খালি করুন আমরা খেলবো।( তাদের মধ্যে একজন)
---জ্বী,,,আমাকে বলছেন?(অভি)
---না তোর ভূত কে বলছি😡
---এই যে ঠিক করে কথা বলুন
---ওমারে,,,,পিচ্ছি পোলা কি কয়😂(সবাই একসাথে হেসে)
---কি আমি পিচ্ছি???কিসে পড়েন আপনি?
---আমিতো চেয়ারে বসে পড়ি😂 আপনি বুঝি গাছের মগডালে বসে পড়েন?😂😂😂
---😡😡😡😡
---লাল টমেটোর মতো মুখ না করে তাড়াতাড়ি কেটে পড়তো দেখি...আমরা এখানে খেলবো
---হিহিহিহিহি....
---ওই হাবলার মতো হাসছ কেন?
---আপনারা খেলবেন? তাও আবার ক্রিকেট.....হাহাহাহা
---কেনো দেখে মনে হয় না বুঝি?
---একটুও না😂
---ওকে,,,,তাহলে হয়ে যাক ম্যাচ.....Girls VS Boys
---Done
---তবে হে,,, খেলা শেষে যে দল হারবে সে দল আর কখনো এই মাঠে খেলতে আসতে পারবে না।
---ঠিক আছে।

      টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে অনু (মেয়েটি ছিল অনু) মানে মায়েরা....খেলা এখন শেষ পর্যায় ব্যাটিং করছে অভি। অভিদের জিততে আর চার রান দরকার তাও আবার এটাই লাস্ট বল। সেই লাস্ট বলটি করছে অনু,,,,অভি ব্যাট করার প্রস্তুত হচ্ছিল এমন সময় অনু অভিকে 😉 অভি একটু ভ্যবাচেকা খেয়ে দাড়িয়ে পড়ল সেই সুযোগে অনু অভির দিকে বল ছুড়ে দিলো,,,আর অভির বেখেয়ালির জন্য মিডেল স্ট্যাম্প পড়ে গেলে এবং অনু জয় লাভ করলো😜😜😜

---কি হলো এটা???
---কেনো কি হয়েছে?😂😂😂
---আপনি আমাকে,,,,,
---হুম,,,,,বলুন। আমি আপনাকে কি?
---কিছু না😡
---শর্ত মতে,,,,
---হে হে,,,যাচ্ছি😡
---☺☺☺☺

       ছাদে বসে রাতের সৌন্দর্য অনুভব করছিলো অভি। আর অনুর কথা ভেবে একটু একটু রাগও হচ্ছিলো সাথে ভালো লাগাও,,,,এমন সময়....

---কিরে এতো রাতে একা একা এখানে (অভির মা)
---না মা,,,তেমন কিছু না। কেনো তুমি কিছু বলবে?(অভি)
---কি আর বলবো তোকে? কত করে বলেছে এবার ঘরে একটা বউ আন। তোর বাবার আমার অনেকতো বয়স হলো,,,আমাদের বুঝি নাতি নাতনীর মুখ দেখে মরতে ইচ্ছে হয় না?
---মা,,,,তুমি আবার শুরু করে দিলে। সবে মাত্র চাকরিতে জয়েন করলাম। আর তুমি বলছো এখন,,,,,
---😞
---উফ্ মা,,,,আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যেটা ভালো মনে করো সেটাই করো।
---সত্যি☺
---হুম মা,,,,তোমার কথা কি তোমার ছেলে কখনো ফেলতে পাড়ে?
--তাহলেই কালই চল☺
--কোথায়???
--কোথায় আবার মেয়ে দেখতে,,,
--কালকেই?
--হুম,,,তোর বাবার বন্ধুর মেয়ে পাশের পাড়াতেই থাকে,,,অনেক ভালো একটা মেয়ে আমারতো ওকে অনেক পছন্দ...এখন তোর পছন্দ হলেই হয়☺
--মা,,,,তোমার পছন্দই আমার পছন্দ। তুমি আর বাবা যাও আমি যাব না।
--শুন আমি এতো কিছু জানি না,,,,তুই যাচ্ছিস মানে যাচ্ছিস....অমেক রাত হয়েছে যা ঘুমুতো যা☺

       বসার ঘরে বাবা মা সাথে বসে আছে অভি,,,,মেয়ের বাড়িতে। খুব আনইজি ফিল করছিলো,,,কারন লাইফে ফাস্ট মেয়ে দেখতে এসেছে। এমন সময় মেয়ের বড় বোন মেয়েকে নিয়ে এলে.....নীল রঙ্গের কাপড় পড়া,,, সাথে হাত ভর্তি চুড়ি...খোলা বাঁকা চুল,,,কাপলে টিপ,,,কাজল বরণ আখিঁ.....সব মিলিয়ে অসাধারন☺ মেয়ের মুখখানি দেখে অভির চোখের চলক পড়ছে না,,,,😱😱😱😱 হা করে তাকিয়ে আছে অবাক দৃষ্টিতে। অভি যতোটা অবাক মেয়েটির সৌন্দর্য দেখে হয়েছিলো তার থেকে বেশি অবাক হয়েছিলো মেয়েটির মুখ দেখে। কারন,,,,মেয়েটি কার কেউ নয়.....অনু। মায়ের ডাকে অভির মুখ বন্ধ হলো,,,,,

---কিরে হা করে কি দেখছিস?(অভির মা)
---কই কিছু নাতো....😰(অভি)

     অভি আর অনুকে আলাদা ঘরে পাঠানো হলো নিজেদের মধ্যে কথা বলে নেওয়ার জন্য। দুজনে ঘরে ঢুকতেই অনু ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দিলো,,,যা দেখে অভি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো,,,

--ওই মিস্টার,,, তুই আমার পিছু নিতে নিতে আমার বাসায় পর্যন্ত ছলে  আসছত😡(অভির কলার চেপে ধরে)
--আরে আরে কি করছেন টা কি ছাড়োন বলছি(অভি)
--আর যদি না ছাড়ি কি করবি তাহলে???
--আগে কলার ছাড়োন তারপর বলছি☺
--হুম,,,এইবার বল(কলার ছেড়ে)
--কি করবো....এখনতো কিছুই করলাম না এখন করবো
--মানে(একটু ভয় পেয়ে)
--মানেটা খুব সহজ( আস্তে আস্তে অনু দিকে এগিয়ে এসে)
--ওই আপনি আমার কাছে আসছেন কেনো,,,একদম আমার কাছে আসবেন না।
---শুনুন আপনার কাছে যাইতে আমার বয়েই গেছে,,,আমি বসার ঘরে যাচ্ছি☺
---ওহ,,,,,আগে বলবেন না....
---জ্বী,,,,আর হে নীল শাড়িতে আপনাকে না দারুন লাগে। মাকে বলবো বিয়ের শাড়িটা যেনো নীল রঙ্গের ই নেয়,,,,কি বলবো তো???
--হুম😊(একটু লজ্জা পেয়ে)

        অভির কথা মতো শাড়িটা নীল রঙ্গেরি নিয়েছে। অনু বউ সাজে খাটের উপর বসে আছে,,,,পুরো ঘরটা ফুল দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। কারন আজ অনু আর অভির বাসর রাত,,,,অনেকক্ষন ধরে অনু ঘরের মধ্যে একাএকা বসে আছে কিন্তু অভি আসার কোন পাত্তাই নেই,,,,,, কি করে আসবে যা একটা বউ পেয়েছে না যানি বাসর রাতেও জগরা শুরু করে দেয়,,,,,এইসব ভাবতে ভাবতে শেষ পর্যন্ত রুমে ঢুকেই পড়ল,,,,,

--এতোক্ষন কি চোর পাহাড়া দিয়েছিলেন....(অনু একটু রেগে গিয়ে)
--না,,,মানে(অভি)
--এতো মানে মানে করছেন কেনো?
--আজকেও কি জগরা করবে?
--কি বললে,,,,আমি জগরা করি😡
--না,,না... তোমার মতো মিষ্টি শান্ত স্বভাবের মেয়ে কি কখনো জগরা করতে পারে?
--হুম,,,,,,
--হুম না ছাঁই,,,জগরুটে কথাকার(একটু আস্তে)
--এই কি বললেন😡
--কই কিছু না তো....
--😡😡😡😡😡
--রাগলেতো আপনাকে অনেক সুন্দর লাগে??
--আপনার সুন্দর আপনার কাছেই রাখুন আমি গেলাম😡😡😡
--এই না না,,,,

       "লে ছক্কা হৈ হৈ
  বউ পালাইয়া যায় কই"😂

______

3557

~~~~অসমাপ্ত স্মৃতি
Writer:-Afsana Akter

---এই যে শুনছেন??(সোহা)
---জ্বি,, আমাকে বলছেন?(একটু অবাক হয়ে সাঈফ)
---আপনি ছাড়া কি এখানে কেউ আছে?
---না,,,,তা ঠিক।
---আচ্ছা এই ঠিকানাটা কোথায় একটু বলবেন প্লিজ?(একটা চিরকুট এগিয়ে দিয়ে)
---জ্বি অব্যশই....আরে এই ঠিকানা চলুন আমার সাথে,,,
---না ধন্যবাদ,,,,আপনি দয়া করে ঠিকানাটা বলে দিন আমি একাই চলে যেতে পারবো।
---ভয় পাচ্ছেন নাকি....আর হে আপনি যেখানে যাবেন এর পাশেই আমার বাসা তাই বলছি,,,,,,
---ও আচ্ছা...
---যাওয়া যাক তাহলে?
---হুম☺

       সোহা ভার্সিটিতে পড়ে....গ্রাম থেকে শহরে এসেছে বেশি দিন হয় নি, বাবার মৃত্যুর পর ছোট ভাই, নিজের পড়ালেখার খরচ এবং কি পরিবারের সকল খরচ তাকেই বহন করতে হয়। যার কারনে পড়ালেখার পাশাপাশি দুই একটা টিউশনি করে। আজ নতুন একটা টিউশনিতে জয়েন করার কথা কিন্তু ঠিকানাটা খুজে না পাওয়ার কারনে সাঈফের সাহায্য নেয়। সাঈফ মার একমাত্র আদুর ছেলে আর বাবার কাছে বখাটে। সারাদিন বন্ধুদের সাথে মাজা মস্তিই তার একমাত্র কাজ। কিন্তু কে যানে বাবার এই বখাটেটা একদিন প্রমে পড়বে,,,,ওই দিনের পর থেকে সোহাকে না দেখলে যেনো তার দিনই শেষ হতো না। আর সামান্য কিছু মুহূর্ত দেখেও আর তৃপ্তি মেটতো না। তারা দুজনে এক ভার্সিটিতেই পড়ত কিন্তু সাঈফ ক্লাস না করার কারনে সোহা ভার্সিটিতে দেখি নি...আর এখন প্রতিদিনি ক্লাসে যায় তবে সেটা স্যার লেকচার শুনার জন্য নয়,,সোহাকে দেখার জন্য....

--আরে আপনি ওই ছেলেটা না(সোহা)
--সরি....আপনি কার কথা বলছেন?(সাঈফ,,,একটু না চিনার ভান করে)
--আরে চিনতে পারেন নি....ওই যে ঠিকানা...
--ওহ,,,হে হে মনে পড়েছে।
--কিন্তু আপনি এখানে?
--আমার ক্লাসে আমাকেই প্রশ্ন করছেন আমি এখানে কি করি?
--আপনার ক্লাস???আগেতো কখনো দেখিনি...
--না মানে,,,আগে দেখেন নাই তো কি হয়েছে এখন তো দেখেছেন☺
--হুম...দেখলামতো,,,আমি সোহা
--যানি(একটু আস্তে)
--কিছু বললেন??
--কই,,ও হে আমি সাঈফ
--ওকে আজ তাহলে আসি,,
--আচ্ছা আমারা কি ফেন্ড হতে পারি না😎
--........দেখা যাক😜

       এই ভাবেই শুরু দুজনের বন্ধুত্ব। সাঈফ সোহাকে আরাল থেকেই ভালোবেসে যায়। কখনো তার মনের গহীনে লুকানো অনুভূতি গুলোকে সোহার কাছে প্রকাশ করে নি।

--কিরে একাএকা বসে কি করছ(সাঈফ)
--না তেমন কিছু না(সোহা)
--কিছুটা কি সেটাতো বলবি..
--কালতো ভালোবাসা দিবস,,,
--ওহ,,,,,আমাকে প্রপোজ করবি বুঝি?😎
--তোকে প্রপোজ করতে আমার বয়েই গেছে😜
--😒😒😒
--জানছ আমার না খুব ইচ্ছে যে,,, আমার পছন্দের কাছের কেউ আমাকে প্রপোজ করুক☺(এই বলে সোহা চলে যাচ্ছিল)
--ওই কোথায় যাইতেচ্ছ,,,
--পাতালে...যাবি নাকি😡(একটু দূর থেকে জোর গলায়)

     ___পরদিন সকালে____

--এই সাঈফ..(সোহা)
--তুই আমার সাথে একটা কথাও বলবি না😡
--ওমা আমি আবার কি করলাম?
--কি করছত জানছ না তুই....তোর ফোন ওয়েটিং ছিলো কেনো কাল রাত??কার সাথে কথা বলছত😡
--ওহ,,এই ব্যাপার 😃এটা বাদ দে,,,তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে
--কি সারপ্রাইজ??
-- একটু অপেক্ষা কর...প্লিজ☺
--ওকে....
--সরি জান,,,আসতে একটু লেইট হয়ে গেলো😞(অভি)
--আজকের দিনেও তুমি লেইট করলে,,,,(সোহা)
--আর এমন হবে না(অভি)
--মনে থাকে যাতে...আর হে ও আমার ফেন্ড সাঈফ(সোহা সাঈফকে দেখিয়ে)
   আর সাঈফ ও হলো অভি....আমার বয়ফেন্ড(অভিকে দেখিয়ে)
--Hi...(অভি)
--Hlw...(সাঈফ)
--আচ্ছা সোহা চলো লেইট হচ্ছো আমাদের...(অভি)
--হুম...তোর সাথে পড়ে কথা হবে... Bye(সোহা)
--.........(সাঈফ)

       সাঈফ স্তব্ধ হয়ে সোহা আর অভির চলে যাওয়া দেখছে। সোহা এইসব কি বলে গেলো সাঈফ কোনো ভাবেই নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না...মানতে পারছে না সোহার কথাগুলোকে। ওই দিনের পর থেকে সাঈফ কখনো সোহার সামনে যায় নি,,,সোহার সামনে কেনো কারো সামনেই যেতো না...নিজেকে সারাক্ষণ বদ্ধ ঘড়ের মধ্যে বন্ধী করে রাখত। সাঈফ এর এই পরিবর্তন দেখে তার বাবা মা খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং তাকে এই অবস্থা থেকে বাহির করে আনার জন্য ওকে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দেয়। সাঈফও সব কিছু ভুলার চেষ্টা করে (যদিও আজও সে সোহাকে ভুলতে পারে নি) নতুন করে জীবন শুরু করে।ওইখানেই নিজের পড়ালেখা চালিয়ে যায়। আর আজ পাঁচ বছর পড় দেশে পিরেছে সাঈফ। যদিও আসতে চায়নি...তবে তার মার অসুস্থতার কারনে আসতে বাধ্য হয়েছে। ভেবেছিলো দেশে ফিরার পর হয়তো সোহার সাথে কখনো দেখা হবে না....কিন্তু কে যানে নিয়তি যে তার জন্য অন্য কিছু লিখে রেখেছে। একদিন শপিং মলে......

    একটা বাচ্চা মেয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কান্না করছিলো
--😭😭😭😭😭
--কি হয়েছে মামনি তুমি কান্না করছো কেনো?(সাঈফ)
--আংকেল আমি না আমার আম্মুকে খুজে পাচ্ছি না😭(বাচ্চা মেয়েটি)
--নাম কি তোমার? আমি তোমার আম্মুকে খুজে দিবো☺(মেয়েটিকে কোলে নিয়ে)
--তোহা..
--আম্মুর নাম কি তোহা?

    এমন সময় মেয়েটি সাঈফ এর কোল থেকে নেমে দৌড়ে একটি মহিলার কাছে চলে যায়....আর সে মহিলাটি হলো সোহা,,,,সাঈফ একদৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে রইল....

--তোহা....কোথায় চলে গিয়েছিলি তুই? জানিস তোকে কত খুজেছি,,,আর ওইখানে কার সাথে কথা বলছিলি?(সোহা)
--ভালো আংকেলের সাথে(তোহা)
--এটা আবার কে?
--ওই যে দেখো...(আঙ্গুল দিয়ে সাঈফকে দেখিয়ে)
--😱😱😱😱😱তুই(সোহা)
--অবাক হলি নাকি?(সাঈফ)
--হবারি কথা...
--তোর মেয়ে কিন্তু তোর মতেই হয়েছে...
--ঠাস্....👋(সাঈফ এর গালে জোরে একটা চড় বসিয়ে দিলো)
--.....(গালে হাত দিয়ে স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে সাঈফ)
--তোহা.....আম্মুকে ছেড়ে কোথায় গিয়েছিলে?(তিথি)
--জানো আম্মু সোহা আন্টি না ভালো আংকেল কে ঠাস্ করে একটা থাপ্পর মেরেছে... তুমি মাঝে মাঝে যে ভাবে আব্বুকে মারো ওইভাবে😂(তোহা)
--চুপ😡 খুব কথা শিখেগেছো তাই না(তিথি)
--😱😱😱😱😱(সাঈফ)
--😡(সোহা)
--তোর স্বামি কেমন আছে?(সাঈফ)
--ঠাস্👋(সাঈফ এর অন্য গালে আর একটা চড় বসিয়ে দিলো সোহা)
--.....(আবারো গালে হাত দিয়ে স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে সাঈফ)
--আহ্...সোহা কি শুরু করলি টা কি?(তিথি)
--😡😡😡😡(সোহা)
--আপনি নিশ্চয় সাঈফ?(তিথি)
--....(সাঈফ মাথা নেরে হ্যাঁ বললো)
--সোহা এখনো বিয়ে করেনি....আর ওই যে অভি ও হলো তোহার বাবা মানে আমার স্বামী..(তিথি)
--😱😱😱(সাঈফ অবাক হয়ে তিথির কথা শুনছে)
--আপনি যে সোহাকে ভালোবাসতেন সেটা সোহা বুঝতে পেরেছিলো। ও চেয়েছিলো ওই দিন ভালোবাসা দিবসে আপনি তাকে আপনার মনের কথা বলেন...কিন্তু ও জানতো আপনি কখনো তাকে মনের কথা বলবেন না... তাই আমরা প্লেন করে অভিকে সোহার বয়ফেন্ড হিসেবে আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই...যেনো আপনি সোহাকে হারানোর ভয়ে আপনার মনের কথা তাকে বলে দেন....কিন্তু আমরা এটা ভাবতে পারি নি যে এর উল্টো হবে। আপনিতো নিমেষের মধ্যে হাওয়া হয়ে গেলেন। আপনাকে অনেক খুজেছে সোহা কিন্তু পায় নি,,,,তাই আজও আপনার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে...(তিথি)
--সরি সোহা(সাঈফ)
--😡😡(অন্য দিকে মুখ করে দাড়িয়ে আছে সোহা)
--কিরে কথা বলবি না আমার সাথে....খুব ভয়ে ছিলাম যদি আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়...তাই ওই দিন বলে নি😖
--তো এখন বল😡
--Will You Marry Me....
--বুদ্দু এই ভাবে কি কেউ কাউকে প্রপোজ করে নাকি? তুই ফিল্ম দেখছ না😡
--না দেখি নাতো😜
--তোকে দেখতে হবে না আর বলতেও হবে না😡😡😡আমি গেলাম(সোহা দৌড়ে শপিং মল থেকে বাহির হয়ে রাস্তায় চলে গেলো)
--সোহা..........

        সোহা শপিং মল থেকে বাহির হয়ে রাস্তা এসে পিছন পিড়ে সাঈফ এর দিকে তাকাচ্ছিল.... এমন সময় একটা গাড়ি সোহাকে এসে ঠাক্কা দেয়......সোহার রক্তাক্ত দেহটি রাস্তার এক কোনে পড়ে আছে,,পাশে স্তব্ধ হয়ে বসে আছে সাঈফ...স্তব্ধ হয়ে আছে ক্ষনিকের মাঝে দেখা শত আসা শত স্বপ্ন______ #স্বপ্নপরী

3556

~~অস্তিত্ব
Writer:-Afsana Akter

      খুব বিরক্ত নিয়ে বড় ঘোমটা টেনে বসে আছে নীলা...সাথে তো  গহনা আর ভারি শাড়ি আছেই। শাড়ি পড়াটা বরাবরই অপছন্দের ছিলো নীলার..কিন্তু আজ শত বিরক্তি উপেক্ষা করে শাড়ি পড়েছে সে,,,কারন আজ তার বিয়ে। শাড়ি পড়ে থাকাটা যতোটা বিরক্তিকর অনুভব হচ্ছিল তার থেকে আরও বেশি বিরক্ত লাগছে বাসর ঘরে বসে নীলয়ের জন্য অপেক্ষা করাটা। নীলয়ের সাথে নীলার বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই হয়,,পরিবারের পছন্দ মতোই নীলা বিয়ে করে তবে বিয়েতে তার একটু অমত ছিলো...কারন সে চেয়েছিলো তার পড়ালেখা সম্পূর্ণ করে তারপর বিয়ে করবে কিন্তু কে শুনে কার কথা,,,, নীলার বাবা তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছিলো আর বাবার কথর উপর না বলার সাহসটা তার কখনোই ছিলো না। তাই নিরুপায় হয়ে বিয়েটা করেই নেয়...মেয়েদের বিয়ের আগে তার স্বামী সংসার নিয়ে খুব স্বপ্ন থাকে নীলার তেমনি অনেক স্বপ্ন ছিলো,,,, কিন্তু যাকে নিয়ে এতো দিন ধরে এতো স্বপ্ন বুনেছে তারই কোনো খবর নেই.....নীলা খুব বিরক্তি নিয়ে এসব ভাবছিলো এমন সময় নীলয় রুমে প্রবেশ করল। সে   নীলয়কে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে গেলে নীলয় পা সরিয়ে নেয়,,, যা দেখে নীলা খুব অবাক হয়!!!

--আপনি আমার একদম কাছে আসার চেষ্টা করবেন না(নীলয়)
--_____(নীলা অবাক হয়ে দাড়িয়ে আছে)
--আর শুনুন... আমি আপনাকে নিজের ইচ্ছেতে বিয়ে করিনি,,,বাবা জন্য আপনাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি। আপনার সব চাহিদাই আমি পূরণ করব কিন্তু কখনো আমার কাছে থেকে স্ত্রীর অধিকার পাবেন না।

     কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে নীলয় রুম থেকে চলে যায়। নীলয় এই সব কি বলে গেলো নীলা বুঝে উঠতে পারছিলো না। এক নিমেষেই যেনো তার দেখা সব স্বপ্ন কাচেঁর ন্যয় ভেঙ্গে গেলো। কি ভেবেছিলো আর কি হলো...নিয়তির লিখন ভেবে নীলা সব কিছু মেনে নিয়েছিলো। প্রতিদিন সকালে নীলা নাস্তা বানিয়ে টেবিলে গুছিয়ে নীলয়ের জন্য বসে থাকে একসাথে খাবে বলে কিন্তু তা আর হয় না কখনো সে খায় কখনো বা না খেয়েই চলে যায়। রাতে মাঝে মাঝে বাড়িতে পিড়ে আবার কখনো পিড়ে না,,,,নীলার সাথেও সে প্রয়োজন ছাড়া কোনো কথা বলে না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচটি মাস...এই পাঁচ মাসের মধ্যে কোনো দিন হয়তো নীলয়ের মনে নীলার জন্যে একটু ভালোবাসা জন্মেছিলো তার পরিণাম হিসেবে নীলা আজ অন্তঃসত্ত্বা। নীলা ভেবেছিলো নীলয় এটা জানার পর হয়তো পুরনো সব ভুলে নতুন করে শুরু করবে। তাকে এবং তার মাঝে বেরে ওঠা অস্তিত্বটিকে মেনে নিবে। কিন্তু নিয়তির যে তার জন্য অন্য কিছু লিখে রেখেছিলো সেটা যে ছিলো তার অজানা___

--কিছু বলার কিছু(নীলা)
--আমার খুব তাড়া আছে(নীলয়)
--একটু সময় কি হবে না....
--কি বলার তাড়াতাড়ি বলেন...নিহা আমার জন্য অপেক্ষা করছে(নিহা নীলয়ের গার্লফেন্ড)
--না মানে....
--এতো মানে মানে করার কি আছে??(একটু দমক দিয়ে)
--আমি আপনার সন্তানের মা হতে চলেছি(ভয় পেয়ে)
--What??
--জ্বি.....

      নীলয় একটু স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে থেকে রুমে চলে যায়...এবং একটি কাগজ নিয়ে আসে___

--এখানে কিছু টাকা আছে... হাসপাতালে গিয়ে এভোশন করিয়ে নিও,,,আর এই যে ডিভোর্স পেপার দয়া করে এতে সাইন করে আমাকে মুক্তি দাও। আমি আর এই মিথ্যে সম্পর্ক ধরে রাখতে চাই না। আমি নিহাকে বিয়ে করবো....(নীলয়)

     কথাগুলো বলে নীলার হাতে টাকা আর ডিভোর্স পেপারটি ধরিয়ে দিয়ে নীলয় চলে যায়। নীলা কি করবে বুঝতে পারছিলো না একটা মানুষ যে এতোটা নিষ্টুর হতে পারে সেটা তার জানা ছিলো না....তবে সে কোনো ভাবেই এভোশন করাবে না বলে ঠিক করে নিয়েছিলো.... রাতে নীলয় বাসায় পিড়ে খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলো কারন নীলা বাসায় ছিলো না দরজাটা খোলাই ছিলো। নীলাকে বাসায় না দেখতে পেযে নীলয় একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলো...এমন সময় তার নজর যায় টেবিলের উপর টাকা দিয়ে চেপে রাখা চিরকুটটির উপর। নীলয় চিরকুটটি হাতে নিয়ে পড়া শুরু করল.....

       নীলয়,,,
        জানো  সবার মতো না আমারও অনেক স্বপ্ন ছিলো। তোমার সাথে একসঙ্গে বাচার স্বপ্ন, সংসার করার স্বপ্ন....কিন্তু আমার এই স্বপ্নটা তুমি পূরন হতে দিলে না। বিয়ের দিন রাতে যখন তুমি আমাকে নিহার কথা বলেছিলে,,, সারা রাত যখন নিহার সাথে কাটাতে তখন আমার এতোটা কষ্ট হয়নি যতোটা কষ্ট আজ তুমি এভোশনের কথা বলাতে হয়েছে। আচ্ছা কি দোষ করেছিলো আনার সন্তান যে তাকে পৃথিবীর আলো দেখার আগেই পৃথিবী থেকে চলে যেতো বলছো???ওরতো কোন দোষ ছিলো না তাহলে ও কেনো শাস্তি পাবে?? জানি এর জবাব তোমার কাছে নেই। তাই চলে যাচ্ছি তোমার অস্তিত্বটুকু কে সঙ্গে করে। ভয় পেয়ো  না...আমি কখনো তোমার কাছে আমার সন্তানের অধিকার চাইতে আসবো না। ওকে ও কখনো তার এই নিষ্টুর বাবার কথা জানতে দিবো না...কথা দিচ্ছি। ওহ,,,হে ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিয়েছি,,,,এবার আর নিহাকে বিয়ে করতো তোমার কোনো সমস্যা হবে। তাড়াতাড়ি বিয়ে নতুন জীবনটা শুরু করে নাও....শুভ কামনা রইল। আর হে টাকা গুলোর আমার কোনো প্রয়োজন নেই...তাই রেখে গেলাম। ভালো থেকো____নীলা

          নীলয় ডিভোর্স পেপারটা হাতে নিয়ে দেখছে এমন সময় নিহার ফোন আসল,,,,

--হে নিহা...তোমার জন্য গুড নিউজ আছে(নীলয়)
--আমারও তোমাকে একটা নিউজ দেওয়ার আছে(নিহা)
--ওকে আগে তুমি বলো তারপর আমি বলছি,,,
--তোমাকে বলেছিলাম না,,,বাবার এক ফেন্ডের ছেলে ইতালি থাকে। ও আজ রাতে দেশে পিরছে। আর বাবা চায় ওর সাথে আমার বিয়েটা হোক,,,তুমিতো তোমার বউকে নিয়ে খুব সুখেই আছো তাই আমিও ভাবছি বিয়েটা করেই ফেলি। বিয়ের এক সপ্তাহ পর আমি ইতালি চলে যাচ্ছি...
--কি বলছো এসব তুমি???(একটু অবাক হয়ে)
--শুনোনা ও না ফোন দিচ্ছে...এখন রাখি। আর হে আমার সাথে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করো না।
--তুমি এমনটা আমার সাথে করতে পারো না নিহা...
--টু,,,টু,,টু...

       নীলয় কোনো ভাবেই নিহার কথা গুলো মেনে নিতে পারছিলো না। যার জন্য সে এতো কিছু করলো সেই আজ তাকে বলছে আর যেনো যোগাযোগ না করে। সে এখন বুঝতে পারছে যে কে তাকে সত্যিকারের ভালোবাসতো,,, কিন্তু এখন বুঝে কি লাভ সময় যে পুরিয়ে গেছে। নীলয় নিলাকে অনেক খুজেছে কিন্তু পায় নি,,,কি করেই বা পাবে সে যে তার মনের ভেতর হাজারো রাগ অভিমান লুকিয়ে আর নীলয় এর অস্তিত্বকে নিয়ে সাবার আরালে চলে গিয়েছিলো.....

___পাঁচ বছর পর___

   নীলার ছোট্ট একটি ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে....নুহা। নীলা একটি NGO তে জব করে...মেয়েকে নিয়ে খুব ভালোই দিন যাচ্ছিলো তার। বাবার অনুপস্থিতি মেয়েকে কখনো বুঝতে দেয় নি...কিন্তু মাঝে মাঝে যখন খেলতে গিয়ে বন্ধুদের তাদের বাবার সাথে দেখে তখন মার কাছে তার বাবার কথা জানতে চাইলে নীলার উওর চোখের পানি ছাড়া আর কিছুই থাকে না____ #স্বপ্নপরী

~~অস্তিত্ব..২
Writer:- Afsana Akter

--আম্মু কালতো আমার জন্মদিন.... (নুহা)
--হুম,,,মামনি..(নীলা)
--কাল আমার বন্ধুরা সবাই আসবে তাই না?
--হে আমার রাজকুমারী,,,,, সবাই আসবে
--সবাই....তাহলে আব্বুও নিশ্চয় আসবে!!!
--_____(চুপ করে অন্যদিকে মুখ করে আছে)
--কাল ও কি আসবে না? আব্বু খুব পঁচা...(কান্না ভাব নিয়ে)
--এভাবে বলতে নেই,,,,, আসবে...
--সত্যি কাল আব্বু আসবে....দাড়াও আমি আমার বন্ধুদের বলে আসি...(দৌড়ে চলে যায়)
--না,,, মা.... শোন..
--পড়ে শুনবো....

   ____পরদিন রাতে____

--চলো মামনি,,,,আমরা এখন কেক কাটবো...
--না....(বার বার দরজার দিকে তাকাচ্ছিল)
--কেনো...সবাইতো চলে এসেছে...আর বার বার ওদিকে কি দেখছো
--আম্মু কোথায় সবাই এসেছে,,,আব্বুতো এখনো আসেনি?
--____(চুপ করে দাড়িয়ে আছে)
--কি হলো বলো না....কখন আসবে??
--আসবে না....
--না আসবে....তুমি বলেছো আজ আসবে(একটু রাগ নিয়ে)
--বলেছি তো আসবে না..
--আমি জানি আব্বু বাহিরে দাড়িয়ে আছে...অনেক গুলো চকোলেট নিয়ে,,,দাড়াও আমি নিয়ে আসছি(দৌড়ে বাহিরে চলে গেলো)

        আজ নুহার জন্মদিন। আগে যখন তার মার কাছে বাবা কখন আসবে জানতে চাইতো তখন তার জন্মদিনে আসবে বলে মিথ্যে সান্তনা দিতো...আর আজ সেই দিন। আজ কিভাবে সান্তনা দিবে তার উপায় নীলার জানা নেই। নীলা এই ভাবিছো আর বসে চোঁখের পানি পেলছিলো.....

--কেঁদো না আম্মু...আব্বু খুব পঁচা, তাই আজও আসে নি....আর আসতেও হবে না। আমিও আর কখনো আব্বুর কথা জানতো চাইবো না...তুমি কেঁদো না,,,প্লিজ। চলো আমরা কেক কাটবো...(নুহা)
--হুম....আর কাদঁবো না

        ওইদিকে নীলয় আজও নীলা খুজে যাচ্ছে শুধু মাত্র একটি বার তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য,,তার ভুল গুলো ঠিক করে নেওয়ার জন্য। নীলয় একটি কোম্পানিতে জব করে আর কোম্পানির কাজে তাকে অন্য একটি শহরে শিপ্ট হতে হয়। পার্কের এক কোনে বসে নীলার কথা ভাবছিলো। তার সামনেই কতগুলো বাচ্চা খেলা করছিলো....ওদের দেখে নীলয় এর তার সন্তানের কথা মনে পড়ে যায়...তার সন্তানও তো এখন অনেক বড় হয়ে গেছে কোথাও হয়তো কারো সাথে এইভাবে খেলা করছে....

--এই যে আংকেল... (একট বাচ্চা মেয়ে)
--কি চাই...(নীলয়)
--আমাদের বলটা না ওই গাছে আটকে গেছে...একটু নামিয়ে দেন না প্লিজ
--কোথায়....চলো
--ওইতো ওইখানে...(গাছের উপর বলটিকে দেখিয়ে দিয়ে)
--এই নাও তোমাদের বল...তার আগে বলোতো নাম কি তোমার???(বলটি এগিয়ে দিয়ে)
--আমি নুহা...আর ওরা হলো আমার বন্ধু(সবাইকে দেখিয়ে দিয়ে)
--খুব সুন্দর নামতো তোমার...কে রেখেছে নামটা???
--আপনি একটা বোকা....আম্মু ছাড়া আর কে রাখবে আমার নাম?
--কোনো,,,তোমার আব্বু রাখবে...
--ওর আব্বু নেই..(বাচ্চা গুলোর মধ্যে একজন বললো,,,,আর নুহা মন খারাপ করে দাড়িয়ে আছে)
--আচ্ছা তোমরা চকলেট খাবে?
--হ্যাঁ...(সবাই জোড়ে এক সাথে বলে ওঠল)
--আচ্ছা তোমরা এখানে দাড়াও আমি নিয়ে আাসতেছি...(এই বলে নীলয় দোকানের দিকে চলে যায়)
--নুহা এইবার চলো,,,অনেক খেলেছো(নীলা)
--আর একটু খেলি আম্মু(নুহা)
--কাল খেলো আজ চলো..(নীলা নুহাকে নিয়ে চলে যায়)
--এই নাও তোমাদের চকলেট,,,আর তোমাদের সাথে ওই মেয়েটি কোথায় (নীলয়)
--ওর আম্মু এসে তাকে নিয়ে গেছে...(বাচ্চা গুলোর মধ্যে একজন)
--ওহ,,,এই নাও চকলেট.. (সবাইকে চকলেট গুলো দিয়ে)
--ধন্যবাদ...আংকেল(সবাই এক সাথে বলে চলে যায়)

     নীলয় ছাদে বসে তারা দেখছিলো আর নুহার কথা ভাবছিলো...এতো মিষ্টি একটা মেয়ের বাবা নেই,,,কথাটি শুনতেই কেমন জানি লাগছিলো তার। খুব মায়া হচ্ছিলো মেয়েটির উপর...

--আম্মু জানো পার্কে না আজ একটা বোকা আংকেলের সাথে দেখা হয়েছে(নুহা)
--বোকা আংকেল!!!(একটু অবাক হয়ে)
--হুম,,বোকা। আমাকে কি না প্রশ্ন করে যে আমার নামটা কে রেখেছে...আব্বু নাকি আম্মু,,,,আচ্ছা তুমিই বলো আমার নামটা তুমি ছাড়া আর কে রাখবে। পুরো বোকার মতো কথা না।
--তাই বলে তুমি ওনাকে বোকা বলবে নাকি??ওনি কি ভাববে বলতো...ভাববে মেয়েটা খুব খারাপ। পরে যখন দেখা হবে তখন তাকে সরি বলবে....
--আচ্ছা...
--মনে থাকে যেনো...

       পর দিন সকালে নীলয় পায়ে হেঁটে অফিসের দিকে যাচ্ছিলো...এমন সময় নুহার সাথে দেখা

--আরে তুমি এখানে কি করছো?(নীলয়)
--স্কুল ড্রেস পড়ে, স্কুলের সামনে মানুষ কেনো আসে?(নুহা)
--ওহ,,,সরি...তা কেমন আছো?
--ভালো দেখেই তো আম্মু স্কুলে পাঠিয়েছে...
--তাও ঠিক...(নুহার কথা শুনে মনে মনে হাসছিলো,,যে এতোটুকু একটা মেয়ে এতো চালাক)
--সরি....
--সরি কেনো(একটু অবাক হয়ে)
--কাল যে আপনাকে বোকা বলেছি...তাই আম্মু বলেছে আপনাকে সরি বলতে...
--সত্যিইতো আমি একটা বোকা..
--তাহলে আমি আপনাকে বোকা আংকেল বলে ডাকবো ঠিক আছে(একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে)
--আচ্ছা...ঠিক আছে।
--আম্মু আসবে নাকি তোমার?
--হুম...আপনি দাড়ান আমি আপনাকে আম্মুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো..
--আজ না অন্য একদিন..আমার লেইট হয়ে যাচ্ছে(এই বলে নুহার কপালে একটা চুমু দিয়ে নীলয় চলে যায়)
--এখানে দাড়িয়ে কি করছে আমার মামনিটা(নীলা)
--বোকা আংকেলের সাথে কথা বলছিলাম(নুহা)
--তুমি আবারও
--আংকেলি তো বললো তাকে বোকা আংকেল ডাকতে...
--অনেক পাকনামো হয়েছে...এখন বাসায় চলো
--হিহিহিহিহি...
--পাকা বুড়ি একটা....

         বিকেলে আজ আবারও নীল পার্কে বসে আছে আর বাচ্চাদের খেলা দেখছিলো। কিন্তু আজ নুহা আসে নি...নীল নুহাকে খুব মিস করছিলো..বিশেষ করে তার কথাগুলোকে। কেন জানি খুব একটা মায়া পড়ে গিয়েছিলো তার উপর। এমন সময় দেখে নুহা আসতেছে...একজনের হাঁত ধরে...নীল শাড়ি পড়া,,হাত ভর্তি চুড়ি সাথে খোলা চুল...বাতাসে চুল গুলো মুখের উপর চলে আসায় ভালো করে মুখটা দেখা যাচ্ছিলো না। নীলয় বসা থেকে ওঠে নুহার একটু কাছে যাওয়াতে সে আবাক হয়ে যায়। কারন ও যে নীলা... যাকে সে পাঁচ বছর ধরে খুচ্ছে..নুহা দৌড়ে এসে নীলয়কে নীলার সামনে টেনে নিয়ে যায়....

--আম্মু,,,, এই হচ্ছে আমার বোকা আংকেল...আর বোকা আংকেল এ হচ্ছে আমার আম্মু(নুহা) 
-_____(নীলয় আর নীলা অবাক হয়ে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে)
--কি হলো...কিছু বলছো না যে তোমরা?
--চলো নুহা(একটু রাগ নিয়ে নীলা নুহাকে কোলে তুলে নিয়ে চলে যায়)
--নীলা দাড়াও(নীলয় দৌড়ে নীলার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে)
--পথ ছাড়ো আমার(নীলা)
--প্লিজ নীলা..আমাকে একটা সুযোগ দাও তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার...প্লিজ
--আমি কিছু শুনতে চাই না....(এই বলে নীলা চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে নীলয় তার হাতে ধরে তাকে থামিয়ে দেয়)
--আমি জানি তোমার সাথে আমি যা করেছি তার ক্ষমা হয় না..তারপরও সরি নীলা প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও..
--হাত ছাড়ো...(রাগ নিয়ে)
--প্লিজ নীলা...
--ঠাস্....(নীলা নীলয়ের গালে চড় বসিয়ে দিয়ে নুহাকে নিয়ে চলে যায়)
--নীলা.......

     রাতে নুহাকে নীলা খাবার খাওয়াচ্ছিলো...

--আম্মু তুমি কিন্তু এখনো বলোনি যে তুমি কেনো বোকা আংকেল কে মেরেছো ?? (নুহা)
--চুপ করে খাইতে বলছি তোমাকে(নীলা)
--না আমি খাবো না..
--জেদ করে না নুহা...
--আমি খাবো না,,, খাবো না,,, খাবো না,,,,(এই বলে নুহা রুমে গিয়ে দরজা অফ করে দেয়)
--নুহা দরজা খোলো।
--না আমি খুলবো না....আগে বলে ওই আংকেল টা কে
--আগে দরজা খুলো তার পর বলছি....লক্ষ্মী মা আমার দরজাটা খোল...
--নীলা আপু বাসায় আছো...(অনু পাশের বাসায় থাকে)
--আরে অনু তুমি ভিতরে আসো...কি মনে করে আসা হলো??
--একজন অনেকক্ষন ধরে তোমার খোজ করছিলো..তাই...আরে ভিতরে আসুন...(দরজার দিকে নীলয়কে লক্ষ করে বললো)
--তুমি....(নীলা)
--আচ্ছা আমি এখন আসি...(এই বলে অনু চলে যায়)
--তুমি এখানে কেনো এসেছো(নীলা)
--সরি নীলা...প্লিজ একটা বার আমাকে সুযোগ দাও(নীলয়)
--চলে যাও তুমি...তোমার নিহার কাছে(একটি রাগ নিয়ে)
--নিহা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে...ধোকা দিয়েছে আমাকে..
--ওহ..নিহা চলে গেছে তাই বুঝি এখন আমার কথা মনে পড়েছে??আর তোমার এটাই প্রাপ্য
--না নীলা....আজ পাঁচটা বছর তোমাকে আমার মেয়েকে আমি...
--চুপ....নুহা শুধু আমার মেয়ে....ওর উপর তোমার কোনো অধিকার নেই। আমিই ওর মা আমিই তার বাবা
--এমন করো না নীলা।
--তুমি কি ভেবেছো আমার কাছ থেকে আমার মেয়েকে কেড়ে নিবে...ওটা তুমি কোনো দিনও পারবে না।
--আমি তোমাদের দুজনকেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছি...চলো নীলা প্লিজ....
--তোমার এই ইচ্ছে কোনো দিনও পূরণ হবে না...
--নতুন করে কি আবার শুরু করা যায় না...
--না যায় না...
--আব্বু....তার মানে বোকা আংকেলি আমার আব্বু(এতোক্ষন দাড়িয়ে নুহা তাদের সব কথা শুনে নিয়েছিলো)
--না নুহা উনি তোমার কেউ হয় না।(নীলা)
--না উনি আমার আব্বু,,, তুমি মিথ্যে বলছো(দৌড়ে গিয়ে নীলয়ের কোলে ওঠে)
--বললাম তো ও তোমার কেউ হয় না...আসো আমার কাছে..
--না আমি যাবো না..
--প্লিজ নীলা ওর জন্য কি সব ভুলা যায় না...প্লিজ(নীলয়)
--আজ থেকে আমরা এক সাথে থাকবো.... কি মজা....(নুহা)

        নীলা স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে...কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না। একবার ভাবছে সব ভুলে নতুন করে শুরু করবে... আবার ভাবছে সেই পুরানো কথা গুলো....একদিকে তার মেয়ে অন্যদিকে নীলয়ের প্রতি তার সব রাগ অভিমান গুলো....

--কি ভাবছো নীলা???(নীলয় নীলার হাত ধরে)
--......(চুপ করে কেঁদেই যাচ্ছে)
--অনেক কেঁদেছো...আর না(নীলয়)
--কেনো এমন করলে আমার সাথে??(নীলয়কে জরিয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে)
--সরি নীলা....সরি...আর এমন হবে না।
--হুম....আর যদি আম্মুকে কাঁদাও তাহলে তোমার হাড্ডি গুড্ডি ভেঙ্গে প্যাকেট করে পানিতে ভাসিয়ে দিবো....(নুহা)
--হিহিহিহি....আচ্ছা পাপাবুড়ি ঠিক আছে..(নীলয়)
--আম্মুকে ছাড়ো... আমাকে কোলে নাও,,,
--ছাড়ো...(নীলা একটু লজ্জা পেয়ে)
                                                 ______ #স্বপ্নপরী