āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧧⧝ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4281

আকাশের বুকে নীল
লেখা:অস্পষ্ট আমি(আপন)
--------------★--------------★
-------------
--দোস্ত তুই কই রে?
.
--বোটানিক্যাল এ আছি। কেন?
.
--একটু বসুন্ধরাতে আসতে পারবি?
.
--কেন? প্লট কিনবি নাকি? এখন
কোন প্লট বুকিং দিচ্ছে না।
.
--ঐ বান্দর, কুত্তা তোকে বসুন্ধরা
শপিংমলে আসতে বলছি।
.
--দোস্ত আমার পকেটের পেট
খারাপ। কোন কিছু লোড নেয় না।
তাই টাকা ও নেই। প্লীজ আমাকে
ডাকিস না।
.
--ঐ গাধা ভয় পাস না। তোকে কিছু
করবো না। একটা মক্কেল পেয়েছি।
ওর পকেট হালকা করবো। তুই আয়
তো।
.
--মক্কেল? কে আর কিসের মক্কেল?
.
--আরে আমার বাবার বন্ধুর ছেলে।
আমাকে বিয়ে করার সাধ জেগেছে।
আজ তা মিটাব।
.
--তোর হবু বর। সেখানে আমি গিয়ে
কি করে? ও মাইন্ড করবে তো।
.
--তুই আসবি নাকি আমি তোর কাছে
আসবো?
.
--দাড়া দাড়া আমি আসছি।
.
--হু আয়।
কথা হচ্ছিলো অভ্র আর নীলাদ্রির
মাঝে। খুব ভালো বন্ধু দুজন। সেই
হাই স্কুল থেকে একসাথে দুজনের
পথ চলা। প্রথমে খুব ঝগড়া হতো
দুজনের। কেউ কাউকে সহ্য করতে
পারত না। একজন আরেকজন কে
দেখলেই সাপের মত ফোঁস ফোঁস
করতো। এদের নিয়ে স্কুলে বেশ কিছু
বিচার ও বসেছিলো শিক্ষক
শিক্ষিকা রা। একেবারে তেল জল
অবস্থা ছিলো এদের। কিন্তু হঠাৎ
করেই একদিন নীলাদ্রি অভ্রের বন্ধু
হতে চায়। অভ্র খুব অবাক হয়েছিল
সেদিন। নীলাদ্রি যখন হাত বাড়িয়ে
বলেছিলো "আজ থেকে কোন
শত্রুতা নয়। আমরা বন্ধু হবো।"
তখন অভ্র নিজের অজান্তেই হাতটা
বাড়িয়ে দিয়েছিলো। অবাক নয়নে
তাকিয়ে ছিলো নীলাদ্রির দিকে।
যেখানে অভ্র ভাবছিলো আজ
নীলাদ্রির সাথে সব শত্রুতা মিটিয়ে
বন্ধু হতে চাইবে সেখানে নীলাদ্রি
আগে থেকেই কি করে সব করে
ফেললো? তারপর থেকে দুজন বন্ধু
হয়। ওদের এই বন্ধুত্বে পূরো
স্কুলে শান্তি আসে।সেই থেকে
দুজনের বন্ধুত্ব। কলেজে উঠে
দুজন। খুব ভালো বন্ধুত্ব তখন
দুজনের মাঝে। একে অপরকে ছারা
যেন কিছুই বুঝে না। কলেজের
পুরোটা সময় একসাথেই থাকতো
দুজন। একজন কলেজে না গেলে
অন্যজন যেতো না। একজন অসুস্থ
হলে অন্যজন ও ইচ্ছে করেই অসুস্থ
হতো। এমন পাগলামি করে দুজন
কলেজ জীবন পার করে। এডমিশন
নেয় ঢাবি তে। এবারে ওরা শুধু বন্ধুই
নয়। তার থেকে একটু বেশি কিছু। সেটা
হতে পারে ভালোবাসা অথবা অন্য
কিছু। অভ্র নীলাদ্রি কে নীল বলে
ডাকতো। তাতে নীলাদ্রি রেগে যেত।
ওর কাছে নাকি ছেলেদের নাম মনে
হয়। কিন্তু অভ্র যখন বলতো যে
"তোকে নীল বলি আমাদের নামের
মিলের জন্য। দেখ, আমার নাম অভ্র,
অভ্র মানে আকাশ। আর তোর নাম
নীলাদ্রি, আমি ছোট করে নীল ডাকি।
তার কানে নীল আর আকাশ পাশাপাশি
করলে কি হয়? নীল আকাশ। আর
আমরা সারাজীবন ঐ নীল আকাশের
মতই পাশাপাশি থাকবো। আকাশের
বুকে নীল" তখন নীলাদ্রি মুচকি মুচকি
হাসতো। সেই হাসি দেখেই অভ্র
নীলাদ্রির প্রেমে পরে যায়। কিন্তু
কখনই বলে নি নীলাদ্রি কে। কারণ
অভ্র জানে যে নীলাদ্রি ও ওকে
ভালোবাসে। আর সে চায় নীলাদ্রি
নিজেই ওকে বলুক ভালোবাসার কথা।
কিন্তু নীলাদ্রি কিছুই বলছে না। আজ
আবার নিজের হবু বর কে নিয়ে শপিং
এ বের হয়েছে।
হঠাৎ করেই অভ্রের মাথা বুদ্ধি
আসে যে নীলাদ্রি কে আজ একটু
পরিক্ষা করে দেখতে হবে। তা ভেবে
অভ্র পকেট থেকে ফোনটা বের করে।
ডায়াল করে নীলাদ্রির নাম্বার। রিং
হচ্ছে। দুইবার কল দেয়ার পর রিসিভ
করে নীলাদ্রি...
--হ্যা অভ্র বল? কোথায় আছিস?
.
--দোস্ত, আমি একটু আটকে
গিয়েছি। তুই একটু ম্যানেজ করে নে
প্লীজ।
.
--ঐ ইতর তুই আবার কিসে
আটকেছিস?
.
--দোস্ত, তিন্নি আমাকে ধরেছে।
ওকে নাকি মুভি দেখাতে হবে।, তাই
ওকে নিয়ে মুভি দেখতে যাচ্ছি।
.
--কি বললি কুত্তা? তুই অন্য মেয়ে
কে নিয়ে মুভি দেখবি? দাড়া ছুটাচ্ছি
তোর মুভি দেখা। তুই এখন কই
আছিস বল?
.
--আমি তিন্নির বাড়ির সামনে।
.
--তুই থাক আমি আসছি শালা।
বলেই নীলাদ্রি ফোন কেটে দেয়।
অভ্র জানে যে নীলাদ্রি তিন্নির
বাসার সামনেই যাবেই। তাই অভ্র
তিন্নি কে কল দিয়ে আগে থেকেই সব
বুঝিয়ে বলে। এবং কি করতে হবে সব
বুঝিয়ে দেয়। নীলাদ্রির আগেই অভ্র
পৌছে যায় তিন্নির বাড়ির সামনে।
আগেই একটা রিক্সা ডেকে
রেখেছিলো। তিন্নিও তৈরি হয়ে নিচে
নেমে আসে। এমন সময় নীলাদ্রি
নেমে আসে একটা নীল গাড়ি থেকে।
এটা দেখে অভ্রের কথা মত তিন্নি
এসে অভ্রের হাত জড়িয়ে ধরে। অভ্র
এ তিন্নি কে নিয়ে রিক্সায় ওঠে
হাসতে হাসতে নীলাদ্রির সামনে দিয়ে
চলে যায়। কিন্তু নীলাদ্রি কিছুই
বলছে না অভ্র কে। চুপচাপ আবার
ওঠে যায় গাড়িতে।
নীলাদ্রি বুঝলে ফেলেছে অভ্র ওকে
ভালোবাসে না। এতদিন যেই আশায়
বাবার পছন্দের পাত্র কে না করে
দিয়েছিলো সেই আশা আজ মিথ্যে
হয়ে গেলো। নীলাদ্রির চোখ থেকে
পানি ঝরতে থাকে অবিরাম। হাতের
ফোনটা নিয়ে নীলাদ্রি বাবার
নাম্বারে কল দেয়। ফোন দিয়ে বলে
যে ২ দিনের মধ্যেই যেন ওর বিয়ে
দিয়ে দেয়। নীলাদ্রির বাবাও মহাখুশি।
সাথে সাথে অভ্র কে কল দিয়ে
জানায় দুইদিন পর ওর বিয়ে। কিন্তু
অভ্র মন খারাপ করার বদলে যখন
হেসে বললো যে ইনভাইট করবি না?
তখন নীলাদ্রির বুকটা ফেটে যাচ্ছিল।
বাসায় গিয়ে নিজের রুমে দরজা বন্ধ
করে কাঁদতে থাকে নীলাদ্রি।
মোবাইল, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ
সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়
অভ্রের সাথে। দুইদিন ঘর থেকে বের
হয় না নীলাদ্রি। যাকে মনে মনে এত
ভালোবেসেছিলো সে এখন অন্য
কারো এটা মানতে খুব কষ্ট
হচ্ছিলো ওর। বাহিরে গেলেই ওদের
একসাথে দেখতে হবে তাই বাহিরেও
যায় নি নীলাদ্রি। ঘরেই ছিলো
দুইদিন।
→আজ নীলাদ্রির বিয়ে। পুরো বাড়ি
মেতে আছে উৎসবে। নীলাদ্রি কে
বৌ সাজাতে শহরের নাম করা
পার্লার থেকে বিউটিশিয়ান এসেছে।
নীলাদ্রির ঘরে বসে বৌ সাজাচ্ছে
ওকে। নীলাদ্রির কাজিন রা পাশে
দাড়িয়ে দেখছিলো। এমন সময়
দরজায় নক করেই ভেতরে ঢুকে
অভ্র। বেশ হাসি খুশি ই লাগছে অভ্র
কে। নীলাদ্রির সামনে একটা গিফট
বক্স দিয়ে হাসি মুখে অভ্র বলে
"নতুন জীবন সুন্দর হোক"। বলেই
চলে যায় অভ্র। আর নীলাদ্রির চোখ
থেকে পানি পরতে থাকে। নীলাদ্রি কে
বৌ সাজিয়ে বিয়ের আশরে নিয়ে
আসে ওর কাজিনরা। যদিও
আজকালকার মডার্ন মেয়েরা বিয়ের
সময় ঘোমটা দেয় না কিন্তু নীলাদ্রি
বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে
আশরে। আসলে ওর চোখের পানি
ঢাকার একটা প্রচেষ্টা। বর কে তো
আগেই দেখেছে। তাই আর দেখার
প্রয়োজন মনে করে নি। বেশ লম্বা
একটা ঘোমটা টেনে বসে আছে যেন
ওর চোখের পানি কেও না দেখে।
হঠাৎ অভ্র আসে নীলাদ্রির কাছে।
এসেই হাসি মুখে বলে সুখের হোক
তোমার নতুন জীবন। বলেই আবার
চলে যায়। নীলাদ্রি একবার ও তাকায়
নি অভ্রের দিকে। কিছুক্ষন পর
কাজি এসে বিয়ে পড়ায়। শেষ হয়
বিয়ের সব নিয়মকানুন। নীলাদ্রির
বাড়িতেই বাসরঘর সাজানো হয়েছে।
কারণ নীলাদ্রির ইচ্ছে ছিলো ওদের
বাড়িতেই ফুলসজ্জার রাত কাটাবে।
.
নীলাদ্রি বসে আছে বাসরঘরে। একা
একা বসে কাঁদছে। বর এখনো
আসছে না। নীলাদ্রি অপেক্ষা করছে
বরের। কারণ তখন রাগের মাথায় বিয়ে
করার কথা বলেছিলো। কিন্তু এখন
নিজেকে মানাতে পারছে না। অভ্র কে
ছারা নীলাদ্রির বাঁচা সম্ভব নয় এটা
সে বুঝে গিয়েছে। একটু পরেই বর
প্রবেশ করে বাসরঘরে। খাটের
একপাশে বসে তাকিয়ে আছে
নীলাদ্রির দিকে। নীলাদ্রি সেই একই
ভাবে বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বসে
আছে। বর এর উপস্থিতি পেয়ে
নীলাদ্রি বলে...
--আপনাকে আমার কিছু বলার আছে।
.
--.......
বর চুপ করে থাকে। নীলাদ্রি আবার
বলে
--আসলে এই বিয়ে করার কোন
ইচ্ছেই আমার ছিলো না। বাবার
মুখের দিকে তাকিয়ে আর একজনের
সাথে জেদ করে এই বিয়ে করেছি।
কিন্তু আমি একজন কে ভালোবাসি।
আর আমি সেই মানুষটি কে ছারা
বাঁচতে পারবো না। অনেক ভালোবাসি
তাকে আমি। আপনি হয়তো কখনও
কাউকে ভালোবেসেছেন। আপনি
বুঝবেন ভালোবাসার টান। আমি
আপনাকে কখনো স্বামী হিসেবে
মেনে নিতে পারবো না। আমাকে
ক্ষমা করবেন।
একনাগাড়ে কথাগুলো বলে যায়
নীলাদ্রি। বর কোন কথা বলছে না।
চুপ করে আছে বেশ কিছুক্ষন।
তারপর বলে
--যাকে ছারা বাঁচতে পারবে না তাকে
একা রেখে অন্য কে বিয়ে করতে
যাওয়া কি ঠিক?
কথাটা শুনেই চমকে উঠে নীলাদ্রি।
কন্ঠটা ওর খুব পরিচিত। ঘোমটা
সরিয়ে মাথা তুলে তাকায় নীলাদ্রি।
অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। বরের
যায়গায় অভ্র বসে আছে? কি করে
সম্ভব?
অভ্র বলতে থাকে:-
--যেদিন তুমি শপিং এর কথা
বলেছিলে সেদিন ই আমি এই প্লানিং
টা করি। আমাকে সাহায্য করেছে
তিন্নি। তিন্নি আমার বাসায় গিয়ে
আম্মু আব্বু কে সব খুলে বলে। আর
এটাও বলে যে তোমার আব্বু
তোমাকে বিয়ে দিতে চাচ্ছে। তখন
আব্বু আম্মু তোমাদের বাসায় গিয়ে
তোমার আব্বুর সাথে কথা বলে।
তখন তুমি রুমে দরজা বন্ধ করে
বসেছিলে। তোমার আব্বু আমার
আব্বু কে জানান যে তুমি দুইদিনের
মধ্যেই বিয়ে করতে চাচ্ছো। আব্বু ও
রাজি হয়। আর আমাদের বিয়ে। আর
মাঝে মাঝে তোমাকে দেখার জন্য
গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম তোমাকে
আর একটু কষ্ট দেই। তারপর রাতে
সারপ্রাইজ। কেমন হলো
সারপ্রাইজ টা?
.
--ঐ কুত্তা, তুই কথা বলবি না আমার
সাথে। জানিস কতটা কষ্ট হয়েছিলো
সেদিন? জানিস কতটা কষ্ট পাচ্ছি
আজ? যা তোর সাথে কথা নাই।
.
--ঠিক আছে, তাহলে আমি তিন্নির
কাছি চলে যাই।
.
--ঐ কি বললি? খুন করে ফেলবো
কিন্তু। আমাকে তোমার বুকে যায়গা
দিবে না?
.
--তাহলে হবে আকাশের বুকে নীল?
.
--হু হবো..
বলেই অভ্রের বুকে নীলাদ্রি নিজের
মাথাটা গুজে দেয়।আর অভ্র দুহাতে
জড়িয়ে নেয় নীলাদ্রি কে।
"আকাশের বুকে নীল"
বাকিটা লিখবো না। ওদের
পারসোনালিটি ফাস হয়ে যাবে।
নিজের বাসরঘরে যা করবেন সেটাই
ভেবে নি।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ