āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4188

ঠিক তখনি বেদানারা জেগে উঠতে চায়। যখন ‘প্রেম’ শব্দটি মনের আরশিতে ভেসে উঠে। কোন সন্ধা কিংবা রাতে যখন জাগতিক সকল কোলাহল থেকে মুক্ত হই তখনো ভাবনারা আমার সাথে খেলায় মেতে উঠে। আধাঁরে ডুঁব দিয়ে নিজেকে বোঝার চেষ্টা করি। জগৎটাকে বোঝাপাড়ার চেষ্টা চলে নিজের ভেতরে। তারপরও মনের আরশিতে বাজতে থাকে কর্মজীবি মানুষের জাগতিক সকল কোলাহল, রাস্তায় ন্যাংটা দাড়িয়ে থাকা পাগলটির হে হে শব্দ, ভিক্ষুকের আহাজারি, পতিতাদের হাকডাক, এ্যম্বুলেন্সের বিকট সাইরেন, রাজনীনিতীবিদদের শ্লোগানে মুখরিত‘করিম মিয়ার চরিত্র/ফুলের মত পবিত্র’, হৈ হৈ রৈ রৈ, রিকশাওয়ালার টিংটিং টুংটাং শব্দ আরো কত কি। একা থাকার চেষ্টা চলে, কখনো গান শোনার চেষ্টা করি। বই পড়তে চাই। পড়তে পারি আর না পারি, উল্টে পাল্টে দেখি। নিজেকে বিপরীত একটি স্রোতে নেয়ার চেষ্টায় থাকি। পারি না। চেষ্টা করতে করতে একটা জায়গায় দেখি সত্যি কি আমি আছি নাকি নেই। কি জানি, সম্ভবত আমরা কেউ নাই। এই নাই এর মধ্য থেকে আমরা নিজেদের আবিস্কার করি। খোঁজার চেষ্টা করি হয়ত। হৃদয়ে শত শত ও হাজার হাজার আশা নিয়ে ভাবি। প্রেমিকাকে কাছে পেতে চাই। ভাবি প্রেমতো মানুষের হৃদয়ের স্পন্দনে বয়ে যাওয়া একটি বিষয়।
এইত যেদিন তার সাথে দেখা হয় তখন সে ষোড়শী এক কন্যা। সেদিন আমাকে সে আকস্মিকভাবে আহবান করে গেল। আমাকে ডাকে চোখের ইশারায়, বাক ভঙ্গিমায়। কিছু একটা বলতে চায়। কি বলবে সে! কিছুটা ভয় ও কিছুটা অভয়ে আমি দুলতে থাকি। তার সামনে দাড়ালেই হাত পায়ের কাপন ধরে যায় আমার। কি করব আমি! হতে পারে সেদিন সে আমাকে ভিন্ন চোখে দেখেছিল। আমার চোখের মণিকোঠায় হয়ত সে দেখতে পেয়েছিলো তার স্বপ্নকুটির। সেদিনই তার সাথে কথা হলনা আর। কি নামে ডাকতে পারি তার জন্যে অনেকদিন ভাবতে হয়েছিলো। হঠাৎ একদিন দেখা হলে প্রথম আমি তাকে আপনি বলে ডাকি। স্বভাবত আমি এমনি। কী করব আমি এখন। কোন এক অদৃশ্য মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে যাই। আপন অজান্তে আমি যেন কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি। সকল চিন্তা ভাবনা আমার তখন তাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে। গভীর রাতে মনের আরশিতে জেগে উঠে সে। কোন এক সন্ধায় কিছুটা অন্ধকার ও কিছুটা আলোতে একাকি হাঁটছি। হাঁটতে হাঁটতে তার ভাষাগুলো বোঝার চেষ্টা করি। মনের গহীনকে বোঝার চেষ্টা করি। আরে! সে আমাকে তুমি করে বলছে অথচ আমি কিনা তাকে আপনি করে বলছি। সে আমাকে একটি বৃহৎ স্বপ্ন দেখাতে চায়। অথচ আমি কিনা আজন্ম যাযাবরের মত জীবটাকে কাটিয়ে দিচ্ছি। 
হ্যাঁ, সে আমার প্রেমের দেবী। যার পায়ে ভক্তি হয়ে পূজার অর্ঘ্যদান বাধ্য হয়ে উঠে। আচ্ছা, মানুষ আদিতে কি ছিল। হয়ত পশু নয়ত মানুষ। যদি মানুষ হই সম্ভবত তখনো আমি তাকে ভালোবেসে ছিলাম বলে মনে হয়। আমার চোখে প্রিয়তমা দেবীর মোহনীয় রুপ দেখতে পাই। যার কথা মনে পড়ে হৃদয়ে করুনা জাগ্রত হয় তার মুখের অম্লাান কান্তি পূজনীয় হয়ে উঠে আমার। যুগে যুগে হয়ত এভাবে প্রেমে পড়েছিল পৃথিবীর তাবৎমানব-মানবী। সে আমার মর্তের দেবী, প্রিয়া। সে আমার রাধা, সীতা কিংবা সরস্বতী।
তারপর আরো একদিন প্রিয়াবিহীন ভাবনারা আমার সাথে কিলিবিলি শুরু করে। নানা চিন্তা-ভাবনা আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলে। ভাবি, আমি কোথাও নাই, সম্ভবত আমরা কেউ নাই। আমাদের কোন অস্থিত্ব নেই। তোমাদের কথা অনুযায়ী আমি যদি থেকে থাকি তাহলে আমার বহি:প্রকাশ ঘটুক তোমাকে আবার নতুন করে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে। আর যদি কোন আপত্তি কর তাহলে চলে যাব একধম আড়ালে। একবারে লোকচক্ষুর আড়ালে। জীবনটাকে শেষ করে দেব পৃথিবীর কোন এক কোনে। আমার সীমান্তে। প্রিয়, প্রতীক্ষায় রইলাম তোমার। অনন্তকাল থাকবো। আমি জানি তুমি আসবে। অবশ্যই আসবে। তুমি যাওয়ার সময় আমাকে বলে যাওনি। সন্ধা আরো ঘনিয়ে পড়ে। বেদনারা আমাকে আরো অস্থির করে তোলো। প্রচ- ভাবাবেগে আমি ভাসতে থাকি। দেখি, দু’চোয়াল গড়িয়ে অথৈ যমুনার ন্যায় অশ্রু প্রবাহিত হয়ে ভাসতে থাকে।

মর্ত্যের দেবী প্রেম
Collected

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ