সবার প্রেমকাহিনীতেই নানা রকম খলনায়ক থাকে। ফাহাদের জন্য সেই খলনায়ক হলো টাইমিং। বেচারার টাইমিং সবসময় খারাপ, তাই এত বছর রিয়ার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েও কোনও গতি করতে পারেনি। রিয়া ফাহাদ একই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়, দুইজনের তুই তোকারি বন্ধুত্ব না হলেও প্রতিদিন দেখা হলে রিয়ার রহস্যময় হাসি উপহার পাওয়ার সৌভাগ্য তার হয়। প্রথম যেদিন সে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে রিয়ার সাথে কথা বলতে গিয়েছিল, আয়নার সামনে অনেকবার রিহার্সেল দিয়ে কাঁপতে কাঁপতে যেই না রিয়ার সামনে গেল, ওমনি এক ভ্যানওয়ালা আর এক লেবুর শরবত বিক্রেতার মাঝে ঝগড়া বেঁধে গেল।
অকথ্য গালাগাল আর লুঙ্গির বিপদসংকেতের মাঝখানে আহ্লাদের কথা তো আর বলা যায় না। তাই অনেক ভেবেচিন্তে কেনা কার্ডটা গোপন করা ছাড়া উপায় থাকলো না। বন্ধুরা সবাই জানে ফাহাদের মানসিক অবস্থা, না বোঝার কি আছে? রিয়াকে দেখলেই সে ছোট্ট কুকুরছানার মত জ্বলজ্বলে চোখে তাকিয়ে থাকে। তাই রিয়ার ছবিতে লাইক দিলেও 'তাই মামা এই কাহিনী' বলে জ্বালাতন করে।
ফাহাদের মনে হয় রিয়া কিছুটা বুঝতেও পারে, মেয়েদের এসব ব্যাপারে মাথা পরিষ্কার। এইসব ভেবেই সে একেই এত দুশ্চিন্তায় থাকে, তার উপর সময় তার সাথে শত্রুতা করে যায়। এবার ফাহাদ ভাবল টাইমিং এর সাথে যুদ্ধ নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। কারণ আজ তার জন্মদিন। এমন একটা সময় রিয়াকে ভালবাসার কথা বললে তার না বলতেও করুণা হবে। বন্ধুদের বলল, 'ট্রিট ফ্রিট করে আমাকে বিরক্ত করবি না। আমি রিয়াকে বসুন্ধরার ভেতরে নিয়ে অনেক সারপ্রাইজ দিয়ে প্রোপোজ করব। তাহলে একবারে বিয়েতে আরাম করে কাচ্চি খাবি।'
ফাহাদের বদ বন্ধুরা কোনও উচ্চবাচ্য না করায় তার মনে একটু আশঙ্কা জাগলেও সে পাত্তা দিল না। তার প্ল্যান একদম বলিউড ধাঁচের। বাগানের মতো একটা জায়গায় সে আগেই সাজিয়ে রেখেছে। পিকনিক বাস্কেট, বেলুন, গোলাপ সব রেডি করে সে রিয়াকে নিয়ে গেল। রিয়া কোন প্রশ্ন না করে যেতে রাজি হয়ে গেল, ফাহাদ ভাবল টাইমিং শেষপর্যন্ত তার সাথে টম অ্যান্ড জেরি খেলা ছেড়েছে।
ঠিক তখনই তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছানোর আগেই একটা গাড়ি এসে থামল। ফাহাদের মনে হলো যেন চোখের সামনে সে তার ভয়ঙ্করতম দুঃস্বপ্ন দেখছে। মুখোশধারী করেকজন গাড়ি থেকে বের হয়ে ফাহাদকে টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করল। ফাহাদ সর্বশক্তি দিয়ে তাদের ধাক্কা দিতেই তারা ছুটে গেল। ফাহাদ এত জোরে দৌড় দিল যে তারা পিছে পড়ে গেল। একটু যেতেই ফাহাদ দেখল তারা ফেরত যাচ্ছে গাড়ির কাছে। ফাহাদ এবার তাদের দিকে দৌড়ে বলল 'রিয়া পালাও পালাও' কিন্তু রিয়া সম্মোহিতার মতো ওদের গাড়িতে উঠে গেল।
ফাহাদ বিশাল একটা লাফ দিয়ে গাড়ির পেছনে স্পাইডার ম্যানের মতো ঝুলছে আর এক হাতে গাড়ির কাঁচ ভাঙার চেষ্টা করছে। ফাহাদকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎ গাড়ি থেমে গেল। মুখোশ খুলে একে একে তার বদমাশ বন্ধুরা নেমে আসল। তারা জন্মদিনের সারপ্রাইজ পার্টিতে ফাহাদকে নিতে এই নাটক ফেঁদেছিল। ফাহাদের ইচ্ছা করল লাঠি মেরে সবকয়টার কোমড় ভেঙ্গে দেয়। ফাজলামোর তো একটা সীমা থাকে। খুব সহজেই এখানে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। কিন্তু ঠিক তখনি সে দেখল রিয়া গভীর প্রেমচোখে তার স্পাইডারম্যনকে দেখছে।
স্পাইডারম্যানের ভালোবাসা | সুহী আহমেদ সুসান
|
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ