āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4147 (2)

গল্পঃপ্রথম প্রেম
.
পর্বঃ৫
.
.
---- কষ্ট হচ্ছে তাই না? এর থেকে অনেক বেশি কষ্ট আমি পাচ্ছি। প্লিজ সুবাসিনী আমার শাওন কে আমাকে ফিরিয়ে দাও, বিনিময়ে যা চাইবে আমি তাই দিবো।
.
জেরিন বিনা দ্বিধায় কথাগুলো বলে ফেললো। সুবাসিনীর করুণ চাহনি তে প্রকাশ পাচ্ছে অব্যক্ত কথা গুলো।
---- আপনি আমার  পুরো জাহান  কে চেয়ে দেখুন আমি দিয়ে দিতে পারবো কিন্তু উনাকে পারবো না।
---- আমি আমার পুরো পৃথিবীর বিনিময়ে শাওন কে চাইছি, প্লিজ না করো না..   
---- আপনি পারবেন?  শ্বাস প্রশ্বাস ছাড়া বেঁচে থাকতে?  উনি আমার শ্বাস প্রশ্বাস বলতে পারেন।
---- চেয়েছিলাম তুমি দিলে না, এখন প্রয়োজনে তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করেই নিবো।
---- ভালোবাসা এক অন্তহীন পরিবর্তন।
---- আগামী এক মাসের মধ্যে শাওন আমার হবে।
---- উনি যদি একবার বলে যে উনি আপনাকে ভালোবাসে, আমি চলে যাবো আপনাদের মাঝে থেকে.....    
.
.
সেই দিন টা পর আজ এক সপ্তাহ। সুবাসিনীর বিশ্বাস যে শাওন কখনো তাকে ঠকাবে না। কারণ ভালোবাসার প্রতি এতটুকু বিশ্বাস আছে।
আজ থেকে পাঁচ বছর আগের সুবাসিনী এবং এই সুবাসিনীর মধ্যে পার্থক্য নিজেই খুঁজে পায়। শাওনের সাথে পরিচয় হওয়ার আগেও সুবাসিনী ছিলো চঞ্চল একটা মেয়ে কিন্তু শাওন কে দেখার পর তার মধ্যে এক প্রকার পরিবর্তন চলে আসে।
যে মেয়ে সিগারেট সহ্য করতে পারে না, সেই মেয়ে সকল প্রকার নেশা করে এমন এক জন কে বিয়ে করতে রাজি হবে কেউ ভাবতেই পারেনি।
জেরিন চলে যাওয়ার পর শাওন এতটা ভেঙে পড়েছিলো যে সব প্রকার নেশা করে নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছিলো। কোন বাবা মা তার সন্তানের এমন অবস্থা সহ্য করতে পারে না। সুবাসিনী শাওনের মায়ের খালাতো বোনের মেয়ে।
বিয়ের প্রস্তাব দিলে প্রথমে সুবাসিনীর বাবার অমত ছিলো। কারণ কোন বাবা তার কন্যা সন্তান কে একজন মাতালের হাতে তুলে দিতে চায় না। সে যতই যোগ্য থাকুক না কেনো,। তার উপর সুবাসিনী ছিলো বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।
.
কিন্তু সুবাসিনী কি জেনো দেখেছিলো এই ছেলের দু চোখে।
মনে হয়েছিলো ছেলেটা ভালোবাসার কাঙাল। ভালোবাসা একটু যত্ন, একটু শাসন ছেলের জন্য খুব প্রয়োজন।
বিয়েতে রাজি হয় সুবাসিনী। কিন্তু শাওন রাজি ছিলো না।
এক প্রকার রাগ, অভিমান নিয়ে বিয়ে করে।
বাসর রাতেও নেশায় মত্ত ছিলো।
মাত্রাতিরিক্ত নেশার কারণে বমি করে পুরো ঘর নষ্ট করে ফেলে।
যে মেয়ে টা সামান্য ময়লা সহ্য করতে পারতো না সেই মেয়ে বিয়ের শাড়ীতেই তাকে সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে নেয়।
ধীরেধীরে শাওন পাল্টাতে থাকে। সুবাসিনীর মিষ্টি মিষ্টি ধমক তাকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়।
মেয়ে টার জন্যেই শাওন নেশা ছেড়ে দেয়। কারণ সিগারেট এর ধোয়ায় সুবাসিনীর অস্বস্তি হতো।
.
সময় বহমান নদীর মতো। এক কূল ভাঙে অন্য কূল গড়ে। ঠিক এমনি জেরিন চলে যাওয়ার পর যে কূল ভেঙে গিয়েছিলো, সুবাসিনী নিজ হাতে সেই কূল কে আবার গড়ে তুলেছে। নদীর বালি মাটিতেই ফুটিয়েছে রংবেরঙ এর হাজারো স্বপ্ন।
.
.
ইদানীং সুবাসিনী বুঝতে পারে।তার সাজানো বাগানে কেউ একজন নজর দিয়েছে। নষ্ট করে ফেলতে চাইছে তার স্বপ্নময় বাগান কে।
কিন্তু তার বিশ্বাস রয়েছে যে বাগানে কেউ অনাধিকার প্রবেশ করতে পারবে না।
সর্বত্র রয়েছে ভালোবাসার বেড়াজাল।
.
কথায় আছে বিশ্বাস ভালো কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস নয়।
.
ইদানীং শাওনের মাঝে বেশ পরিবর্তন
দেখা যাচ্ছে। আগের মতো এত টা সময় সুবাসিনী কে দিতে পারছে না। হয়তো কাজের চাপ।
বাসায় যত ক্ষণ থাকে মোবাইলে ব্যস্ত। বিষয় টা সুবাসিনীর খুব খারাপ লাগে কিন্তু কিছু বলে না।
.
এমন এক দিন,
.
ঘড়ির কাটায় প্রায় রাত ১.৩৭ মিনিট।
শাওন এখনো আসে নি। সুবাসিনী কয়েকবার কল দিয়েছে কিন্তু রিসিভ হয় নি।
খুব টেনশন হচ্ছে।
বিয়ের এত দিন হয়ে গেলো কোন দিন এমন করে নি।
.
প্রায় রাত দুটোর সময় কলিং বেল বেজে উঠে।
কয়েক বার বাজার পর যখন সুবাসিনী দরজা খোলে না তখন শাওন তাকে ডাকে। কিন্তু আজ সুবাসিনীর অভিমান যে হয়েছে, শাওন তো আর জানে না। কিংবা জানার চেষ্টাও করে না।
.
.
---- সুবা, এই সুবা। দরজা খোল।
---- খুলবো না। আগে বলেন আপনি কোথায় ছিলেন?
---- মেজাজ কিন্তু গরম হচ্ছে।
---- তাতে কার কি?  আগে উত্তর দিন?
---- আমি কিন্তু......
.
.
চলবে,
.
Sabiya moon (সৌরভে সুবাসিনী)

গল্পঃপ্রথম প্রেম
পর্বঃ৬
.
. ---- সুবা, এই সুবা দরজা খোল।
---- আগে বলুন, আপনি কোথায় ছিলেন?
---- মেজাজ গরম হচ্ছে কিন্তু 
---- তাতে কার কি?  আগে উত্তর দিন।
----আমি কিন্তু?
---- কিন্তু কি?

.
শাওন খুব রেগে গিয়ে দরজার মধ্যে সজোরে ঘুষি মারে।
সুবাসিনী একটু ভয় পেয়ে যায়। কারণ শাওনের রাগ সুবাসিনী প্রচণ্ড ভয় পায়।
তাড়াতাড়ি দরজা খুলতে গিয়ে শাওনে শেষ ঘুষি টা লাগে সুবাসিনীর নাক বরাবর।
রক্ত বের হতে থাকে কিন্তু সেদিকে শাওনের কোন খেয়াল নেই। সে চেঁচিয়ে উঠে বলে....
.
এত দেরী হয় কেনো দরজা খুলতে?  দরজা খুলতে বলছি, তাড়াতাড়ি খুলবি...  এত কৈফিয়ত দিয়ে হবে কেনো?
এই বলে শাওন রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।
.
সুবাসিনী বাহিরে ব্যাথায় কাতরাতে থাকে, চিন্তা করে এই মানুষ টা কে?
নেশার ঘোরেও তো কোনদিন তুই করে বলেনি?  তবে আজ কেনো?
পর মুহূর্ত চিন্তা করে হয়তো আজ বেশি ক্লান্ত, এবং দোষ তো তারই। কেনো সে দরজা তাড়াতাড়ি খুললো না??
.

কি আশ্চর্য!  সামান্য হাতে ফোস্কা পড়াতে শাওন অস্থির হয়ে উঠতো। নিজের একটু অসাবধানতা বশত সুবাসিনীর একটু লেগে গেলে বার বার জিজ্ঞেস করতো কষ্ট হচ্ছে কি না?  সরি বলতো সে আজ নিজে এত টা পাল্টে গিয়েছে?
নিজে হাতে সুবাসিনী কে এত টা কষ্ট দিয়েও কিছুই বলছে না? একটি বার জিজ্ঞেস পর্যন্ত করার প্রয়োজন বোধ করলো না? 
তবে কি সত্যি শাওন এবং জেরিনের মাঝে এসে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সুবাসিনী?  নাহ্, তা কি করে হয়?  শাওনের ভালোবাসার প্রতি সন্দেহ করছে? এর থেকে বড় পাপ আর কিছু হতে পারে না।
ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে নিজেই বুঝে উঠে নি।
.
সুবাসিনী মনে করেছিলো হয়তো শাওন এক্ষণি আসবে এবং সুবাসিনী কে সরি বলে সব ঠিক করে নিবে।
এই অপেক্ষাতে সারা রাত পার হয়ে গেলো কিন্তু শাওন এলো না।
খুব সকালবেলা উঠে সুবাসিনী খাবার বানিয়ে নিলো।
মানুষ টা কাল সারা রাত খায় নি। শুধু মাত্র সুবাসিনীর বেয়াদবির জন্য।
.
খাবার টেবিলে সুবাসিনী শাওন এর জন্য অপেক্ষা করছে।
এমন সময় শাওন এসে বসে, নীরবতা ভেঙে বলে..   
.
--- গেস্ট রুম গুছিয়ে ফেলো, আজ থেকে জেরিন আমাদের সাথে থাকবে।
--- কেনো?  উনার বাসা কি হয়েছে?
--- ও একা থাকতে ভয় পাচ্ছে।
--- ভয় পাচ্ছে কেনো?  আমার বাসায় আমি উনাকে রাখবো না।
--- তোমার বাসা?  কি অদ্ভুত?  তাই না?
তোমার নাকে নাক ফুল টা দেখছো?  জেরিন এর জন্য কিনেছিলাম, হাতের চুড়ি এমন কি তোমার ওয়ারড্রব এর প্রত্যেকটি শাড়ী। তুমি যে বাড়ি যে সংসার এর কথা বলছো, সেসব একদিন জেরিন এর হওয়ার কথা ছিলো। জানো এই কয়েকদিনে সব পাল্টে গিয়েছে। তবুও তোমার ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। তাই আমি যাচ্ছি জেরিন কে ফিরিয়ে নিতে।
চিন্তা করো না, তোমার সব দায়িত্ব আমি পালন করবো কিন্তু আমি একা কখনো তোমার হতে পারবো না।
আমার সব অধিকার আমি তোমাকে দিতে পারবো না।
.
.
কথা গুলো বলে শাওন চলে গিয়েছে। সুবাসিনী যেনো ঠায় পাথরের এক মূর্তি বিনে কিছুই নয়।
.
আজ মনে হচ্ছে সে হেরে গিয়েছে।
জেরিন নামক মেয়েকে খুন করতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু এতে শাওন কষ্ট পাবে।
মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। মা বলতো বিয়ের পর স্বামী মেয়েদের শেষ ভরসা এবং ঠিকানা।
যে কথা গুলো ভুলেও কখনো সুবাসিনী চিন্তা করেনি আজ করছে।
জেরিন এর সাথে নিজের তুলনা করছে।
হ্যাঁ, অবশ্যই জেরিন তার থেকে ভালো।
সে পারবে না লেট নাইট পার্টি করতে, ওয়েস্টার্ন কাপড় পড়তে কিন্তু জেরিন তো সব পারে।
নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে ।
সামনে থাকা ধারালো ছুড়ি  নিতে চাইছে রক্তের সাধ।
কিন্তু পরক্ষণেই আমার আমি এক স্বত্বা ভিতর থেকে কড়া নেড়ে বলছে -- কেনো?  কি করেছি আমি? 
.
আজ শাওনের বলা একটি কথা মনে পড়ছে...  
--- সুবাসিনী তোমার ভালোবাসা এক বন্ধন যা সব সময় আমাকে বেধে রাখে কিন্তু জেরিন এর ভালোবাসায় ছিলো মুক্তি।তোমার ভালোবাসা অধিকার আদায় করে নিয়ে অধিকার দেয় কিন্তু জেরিনের ভালোবাসা আমাকে আমার মুক্তির সাধ দেয়।
.
চলবে....
.
----Sabiya moon (সৌরভে সুবাসিনী)

গল্পঃপ্রথম প্রেম
পর্বঃ ৭
.
.
সুবাসিনী তোমার ভালোবাসা এক বন্ধন যা সব সময় আমাকে বেধে রাখে কিন্তু জেরিন এর ভালোবাসায় ছিলো মুক্তি।তোমার ভালোবাসা অধিকার আদায় করে নিয়ে অধিকার দেয় কিন্তু জেরিনের ভালোবাসা আমাকে আমার মুক্তির সাধ দেয়।
.
সেদিন প্রতিউত্তরে সুবাসিনী কোন কথা বলে নি। কিন্তু আজ বলতে ইচ্ছে করছে
যে ভালোবাসা কষ্ট দেয় সেই ভালোবাসা কে ছেড়ে দেওয়া ভালো।
আমাকে ভালোবাসা হয়তো শাওন কে খুব কষ্ট দিচ্ছে।
হয়তো আমি সত্যি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছি।
.
কি প্রয়োজন অন্য কারো কষ্টের কারণ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে মৃত্যু অনেক ভালো।
.
.
প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর .....
শাওন বাসার কলিংবেল বাজাচ্ছে।
অনেক সময় হয়ে যাওয়ার পর ভিতর থেকে কোন সাড়া শব্দ নেই।
বাধ্য হয়ে চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে যায়।
পুরো বাসা অনেক টিপ টপ করে সাজানো। কিন্তু বাসায় কি যেনো নেই। কেমন যেনো একটা খালি খালি লাগছে।
কোন কিছু না ভেবে রুমে গিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়।
চোখ বন্ধ করে চিন্তা করতে থাকে।
জীবনে কি পেয়েছে,কি হারিয়েছে।
হারিয়ে যাওয়ার হিসেব টা অনেক বড় কিন্তু পাওয়ার হিসেব টা অত্যন্ত নগণ্য কিন্তু অমূল্য এবং সেই পাওয়া হচ্ছে সুবাসিনী।

.
জেরিন আজ ও শাওন কে বেছে নেয় নি। বেছে নিয়েছে তার ক্যারিয়ার কে।
মাঝের সময় শুধুই ছিলো এক প্রকার মায়া। যে মায়া জড়িয়েছিলো শাওন কে। আজ ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে গেলো।
কিন্তু এবার শাওন বুঝতে পেরেছে প্রথম প্রেম হয়তো ভুলা যায় না কিন্তু এর নাম করে দিব্যি ছলনা করে আবার ক্যারিয়ার এর দোহাই দিয়ে চলে যাওয়া যায়।
.
অনেক ক্ষণ হয়ে এলো সুবাসিনীর কোন সাড়া শব্দ নেই।
শাওন নিজেকে খুব অসহায় মনে করতে থাকলো, যাওয়ার সময় অনেক কথা শুনিয়েছিলো।
চোখ মেলে শাওন বাসায় কমতি টা ধরতে পেলো।
বাসায় এখানে ওখানে অনেক ছবি ছিলো সুবাসিনীর।
যেদিকে চোখ যেতো হাস্যজ্জ্বল ছবি তে পরিপূর্ণ ছিলো। কিন্তু পুরো বাসা তন্নতন্ন করে খুঁজে শাওন সুবাসিনীর কোন ছবি পেলো না।
ড্রেসিং টেবিল এর উপর একটা কাগজ রাখা।
তার উপর সুবাসিনীর হাতের চুড়ি,গলার চেইন, কানের দুল এবং বিয়ের আংটি রাখা।
শাওন কাগজ হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করে.......
.
.
জানেন তো?  সত্যি প্রথম প্রেম কে কেউ ভুলতে পারে না, ছেলে কিংবা মেয়ে। কেউ নয়।
কি বলবো?  জানি না এই চিঠি পড়বেন কি না,। তবুও বলছি, আচ্ছা আমি মেয়ে টা খুব খারাপ তাই না?
হ্যাঁ আমিও জানি। জানেন তো আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি। আপনি আমার প্রথম প্রেম, আমার ভালোবাসা। কিন্তু হয়তো আমি আপনার কিছুই নই। জেরিন আমাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলো যে আপনাকে কেড়ে নিবে, কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিলো আপনি শুধুই আমার।
কিন্তু আমি হেরে গিয়েছি।
জানেন?  কাল আপনাদের এক সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে তোলা ছবি জেরিন আমাকে পাঠিয়েছে।
আপনারা সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন।
কিন্তু আমি জিজ্ঞেস করা তে আপনি এভাবে কি বলবো।
একজন নারী সব পারে, শুধু পারে না স্বামী কে অন্য কাউকে দিয়ে দিতে।
আপনি মুক্তি চেয়েছিলেন আমি দিয়ে গেলাম। আপনারা সুখী হোন। আপনার প্রথম প্রেম আপনি পেয়ে অবশ্যই সুখী হবেন। আমি না হয় দূরে থাকবো। আপনার জেরিন এর সব ফিরিয়ে দিয়েছি, শুধু নাকফুল টা আমি দিতে পারবো না।
সব হারিয়ে আপনার এমন একটা অংশ আমি সাথে নিয়ে যাচ্ছি যে আমাকে দিলো না নিজেকে শেষ করতে।
ভয় পাবেন না। কোন দিন অধিকার নিয়ে সামনে এসে দাঁড়াবে না।
ভালো থাকুন।
.
ইতি.... 
সুবাসিনী।
.
.  চিঠি টা পড়ে শাওন স্তব্দ হয়ে গেলো। প্রথম প্রেম নামক শব্দ টা কি তার জীবন থেকে ভালোবাসার শেষ অংশ কেড়ে নিবে? 
.
সমাপ্ত।
.
গল্প টা এখানে শেষ। এখন ইতি টা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
দুই টা পরিণতি হতে পারে....
১. শাওন সুবাসিনী কে কখনো ফিরে পেলো না। ভুলের মাশুল সারা জীবন তাকে দিতে হলো। এবং অসমাপ্ত রয়ে গেলো জীবন কাহিনীর সব থেকে বড় অংশ।
২. শাওন পাগলের মতো খুঁজে ফিরে পেলো সুবাসিনী কে । কিন্তু সুবাসিনীর অভিমান ছিলো অনেক। তাদের সন্তান হয়ে উঠলো তাদের মিলনের কারণ। এবং সুবাসিনী সব ভুলে ফিরে এলো তার শাওনের কাছে।
সিদ্ধান্ত আপনাদের। :-) :-) :-)
.
Sabiya moon ( সৌরভে সুবাসিনী)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ