āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

3981

গল্প(): এ কেমন বৌ
লেখক : শেখ আলী

উস্ন শীতের সকালে,আমি নিদ্রারত হয়ে পড়ে আছি বিছানার মধ্যে লেপটা জড়িয়ে। অফিস ছুটি, তাই অপ্রত্যাশিতভাবে পড়ে আছি বিছানার মধ্যে। তখনই
বাজ পড়ার শব্দে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম। 
লেপটা মুখ থেকে সরিয়ে দেখি সামনে এক রূপসী রমনী রাগান্বিত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে।

--কে গো তুমি?
--চিনতে পারছিস না?
--না,কে গো রমনী?
--আমি, তর বৌ!
--বৌ,আমি তো বিয়েই করিনি!বৌ কোথা থেকে আসল,
--দেখবি কোথা থেকে আসল,
--হ্যা,
পাশে থাকা ঝাড়ুটা নিয়ে, আমার সামনে এসে দাঁড়াল!
--দেখবি?
-- মেয়ের এ কেমন রূপ!
--জানিস না মেয়েরা বিদুষী।
--না, কিন্তু বৌ বাঝের শব্দ হল না!
--তুমি তাহলে নাটক করছিলে,
--হ্যা,আচ্ছা ওই যে শব্দ হল না ওটা কি বাঝের?
--না।
--তাইলে?
--আমার!
--কি?
আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম বিছানার মধ্যে।

আমি শেখ আফরান,একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করি। আর ইনি হলেন আমার বৌ,আনিকা।
যার একটাই কাজ প্যারা টু ভালবাসা।
মানে এ প্যারা যেমন দেয়,তেমন ভালবাসাটাও।

যখন জ্ঞান ফিরল, তখন আমি ফ্লুরের মধ্যে পড়েছিলাম,আর সমস্ত শরীর ভিজা ছিল। চোখ দুটো খোলে দেখি সামনে সেই বিদুষী রূপওয়ালা সেই রমনী।
--সমস্ত শরীরটা ভিজা কেন?
--মাথায় পানি দিছি!
--কিন্তু সেটা সমস্ত শরীরে পৌছাল কি করে?
--আমি দিছি। এখন বাজারে যাও?
--পারব না।
--তাইলে আজকে খাওয়া দাওয়া বন্ধ।
--এর সাথে বাজারের কি সম্পর্ক?
--কেননা,বাসায় কিছুই নেই রান্না করার জন্য।
--আচ্ছা যাচ্ছি বাজারে!

অজ্ঞতা বাজারে যেতেই হল।
বাজার থেকে ফিরে এসে আমি বিছানার মধ্যে, লেপটা নিয়ে লেলিয়ে দিলাম সমস্ত শরীরটা।
--বৌ?
........
--ও বৌ?
ধপাস ধপাস করে শব্দ শুনা যাচ্ছে।
হঠাৎ দেখি বটি হাতে রমনীর আরেক রূপ!
--বটি কেন?
--মাছ ফেলে তকে কাটব?
--কি?
--হ্যা,চুপচাপ এখানে বসে থাক।

বুড়ু আঙুলটা মুখের মধ্যে রেখে আমি বসে থাকলাম বিছানার মধ্যে। কয়েক মিনিট পর দেখি চায়ের কাপ হাতে রমনীর আগমন......
--তুমি জানলে কিভাবে যে আমি এখন চা খাব?
--এতদিন ধরে সংসার করছি, আর এটা জানব না।
--তুমি না অনেক ভাল, আরর.....
--আর কি?
--অনেক খারাপ ও।
বিদুষী রূপ দেখিয়ে রমনী সেখান থেকে চলে গেলেন।
আর আমি অসহায়ত্বের মত বিছানায় পড়ে রইলাম।
ওর সাথে আমার খুনসুটি লেগেই থাকে।

টেবিলের মধ্যে দুজনে বসে খাওয়া শুরু করেছি।
তখনই সাধের মোবাইলের তর্জনগর্জন শুরু করে দিল।
আমি উঠতে যাব...
--দাঁড়াও আমি যাচ্ছি!
--আচ্ছা!

পাঁচমিনিট পর, বিরাট হুংকারের শব্দে, খাওয়া ছেড়ে দৌড় দিলাম রুমের দিকে।
গিয়ে দেখি আনিকা মোবাইলটা পাশে রেখে রাগান্বিত হয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে।
--তুমি কোনকিছু হলেই, রূপ পাল্টাও কেন?
--তোমার মোবাইলে কোন মেয়ে কল,দিছে?
--আমার মোবাইলে,দেখিত!

মোবাইলটা হাতে নিয়ে কল লিস্টে ডোকে দেখি ১২১
থেকে কল এসেছে।
--আরে বাবা ১২১ থেকে কল দিছে?
--কি?
--হ্যা,ওই তো অফার জানাতে!
--কিসের অফার?
--এমবি,বা মিনিটের।
--ওহ,আমি ভাবলাম কোনো মেয়ে।
--এবার খেতে চল....
--হ্যা,চল....
খাওয়ার সময় হঠাৎই মাইয়া বলে উঠল,,,
--আমি মার্কেটে যাব?
--যাও!
--তোমাকেও যেতে হবে।
--আমাকে মাফ করেন আফা।
--কি আমি আফা,নিজের বৌকে কেউ আফা ডাকে!
--মাইয়া!!
--কি?
-- এ কেমন বিদুষী রূপ তোমার!হঠাৎ মায়াবী, আবার হঠাৎ লাল মরিচের মত!
--এটাই রমনী,

বিকেলে দুজনে বের হলাম প্রকৃতি দেখতে।
মুক্ত আকাশ, ধমকা বাতাস, তার মধ্যে আমি আর আনিকা হাতে হাত ধরে, হেটে চলেছি নিজের গন্তব্যে। 

.......সমাপ্তি।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ