āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4961

গল্প: শুধুই ভালবাসা
.
Mahir

পরী, আয় তোকে আঁকি, আমার আঙ্গুল হবে তুলি, আর তুই
ক্যানভাস ...
: ভাগ, অসভ্য কোথাকার, তোর মুখে কোন ভাল কথা নাই?
: কি আজিব, অসভ্যতা কই করলাম, একটা রোমান্টিক কথা
বললাম ...
: আহা ... আমি তোকে চিনিনা? সারাক্ষণ তোর মাথায়
অসভ্যতা কিলবিল করে, এই কথার মধ্যেও নিশ্চই কোন অসভ্যতা
আছে
: জ্বি না, ইউ এন্ড ইয়োর ডার্টি মাইন্ড ...
: আর নিজে খুব সাধু, স্বামী বিবেক ওবেরয় আসছেন
: বিবেক ওবেরয় না বিবেকানন্দ?
: পঞ্চাশ ষাট বছর আগে জন্মাইলে বিবেকানন্দ হইতে পারতি,
এখন না
: আল্লাহ বাঁচাইছে হই নাই, গেরুয়া বসন পইড়া বৃক্ষতলে
অবতরণের কোন ইচ্ছা আমার নাই
: সেই জন্যেই তো গাছে গাছে ঝুলতে থাকো
: মানে কি? কি বলতে চাস?
: মানে তুই একটা অসভ্য বান্দর জঙ্গলি উল্লুক
: তাই? তাহলে আমাকে বনে ছেড়ে দিয়ে আয়, গলায় শিকল
দিয়ে আটকিয়ে রেখে সারাক্ষণ ঝাড়ি মারস কেন?
: রাজামশাইয়ের বান্দরের গল্প মনে আছে?
: কোনটা?
: এক রাজার সিংহাসনের পাশে একটা বাঁদর বাধা থাকতো।
রাজা মশাই রোজ দরবারে বসার পর একটা চাবুক দিয়ে
বাঁদরটার পিঠে সপাং করে একটা বাড়ি দিতেন। বাঁদরটা ব্যথায়
কিচকিচ করতে থাকতো, তারপর চুপচাপ বসে থাকতো বাকিটা
সময়। দিনের পর দিন এই কাণ্ড দেখে একদিন দরবারীরা বললেন -
"রাজা মশাই, এত ভাল একটা বানরকে আপনি রোজ চাবকান
কেন?" রাজা বললেন - "এটা আমার খুব প্রিয় বানর, সে জন্য ওকে
আমার পাশেই রাখি, আর কেন প্রতিদিন মারি সেটা কি
আপনারা দেখতে চান?" পরদিন দরবারে বসে রাজা আর
বানরটাকে মারলেন না। বানর সারা দিন চুপ করে বসে থাকল।
পরদিনও বারা বানরটাকে মারলেন না। তৃতীয় দিনে বানর
নড়াচড়া শুরু করল। চতুর্থ দিনে সে রাজার সিংহাসনের হাতলে
চড়ে বসলো, পঞ্চম দিনে রাজার ঘাড়ে, ষষ্ঠ দিনে রাজার
মাথায় আর সপ্তম দিনে রাজসিংহাসনে রাজার মুকুট কেড়ে
নিয়ে বসে পড়ল। সেদিন রাজা আবার চাবুক হাতে নিলেন। বানর
কিচ কিচ করতে করতে তার স্থানে ফিরে গেল ... তুই হইলি সেই
প্রজাতির বান্দর, তোরে টাইটের উপর না রাখলে মাথায় উঠবি।
: খাইছে আমারে, তাইলে তুই রাজা মশাই, থুক্কু, রানী মশাই আর
আমি বান্দর?
: হুমমমম
: এহ্ ... কি ভাব ...
: ভাব তো নিবই, আমি দেখে এখনও একটা বান্দরের সাথে ঝুলে
আছি, অন্য কেউ হইলে কবে ভাগতো
: কেন, আমি কি কামড়াই?
: আবার অসভ্য কথা, তরে তুইলা একটা আছার দিব, ভাগ অসভ্য
: হে হে হে হে হে
: হাসবিনা, ব্যাক্কল কোথাকার
: আচ্ছা হাসবোনা, পরী ... জোসনা খাবি?
: উ... খাব, ফিল্টারের পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে দে, বাতাসে
অনেক ধুলা
: পারবনা, নিজে ধুয়ে খা
: দে না রে বাপ, জোসনা খেতে ইচ্ছে করছে তো, কি সুন্দর
হাওয়াই মিঠাইয়ের মত জোসনা
: মোটেও না, মাখনের মত জোসনা, আইসক্রিমের মত
: না, হাওয়াই মিঠাইয়ের মত
: আচ্ছা যা, তোর টাই ঠিক
: হি হি হি ... আই, অই কথাটা বলনা একবার ...
: কোন কথাটা?
: যেই কথাটা তুই লজ্জায় বলিসনা
: ভাগ, আমার অনেক লজ্জা লাগে
: আমি মেয়ে, আমার তো লজ্জা লাগেনা, তোর লাগে কেন? এই
দেখ আমি বলি - ভালবাসি, ভালবাসি, ভালোওওওওওওওবাসি
: আমি তোর মত বেলাজ, বেহায়া, বেশরম না, আমি লজ্জাবান
পুরুষ মানুষ, লজ্জা নারীর ভূষণ আর পুরুষের অলঙ্কার
: আহা ... কি আমার অলংকার পড়া পুরুষ রে
: হু ... পরী ... তুই আমার বউ হবি কবে?
: জীবনেও না, সেই আশা বাদ দে
: ভেরী গুড, আচ্ছা, তুই চিন্তা কর তো - আমি আরেকটা মেয়ের
সাথে প্রেম করতেছি, মেয়েটা সারাক্ষণ আমার দিকে
তাকিয়ে আছে
: কাটা চামচ দিয়া চোখ তুইলা নিবো, সারা জীবন আর কিছু
দেখতে পারবেনা
: কেন? আমার তো একটা বউ লাগবে, না কি? আমারও তো
বিছানায় শুয়ে শুয়ে মর্নিং টি খাইতে ইচ্ছা করে, শীতের দিনে
কম্বলের নীচে ...
: এই চুপ, চুপ, চুপ কর, অসভ্য বান্দর কোথাকার
: তুই এই কনজারভেটিভ কেন?
: কারণ তুই এক্সট্রা অর্ডিনারি অসভ্য, সেইটা ব্যালেন্স করি
: আমি না, আমার আঙ্গুল একটু অসভ্য, এমনিতে আমি অনেক
লাজুক লক্ষ্ণী বাবু
: আহা রে, আমার আর জানতে বাকি নাই
: তুই দেশে আসবি কবে?
: জীবনেও না, আমাকে হাতের কাছে পেলেই তুই তোর অসভ্য
আঙ্গুল দিয়ে ছবি আঁকতে চাইবি, বজ্জাত কোথাকার ...
: চাইতেই পারি, তুই বইলা কথা
: তোর প্রতিটা আঙ্গুলের জন্য আমি আঙ্গুল কড়া বানায় আনবো
: হা হা হা হা হা হা হা
: তোর আঙ্গুলে আঙ্গুল কড়া লাগিয়ে আমি তোর বুকের মধ্যে চুপ
করে শুয়ে থাকবো
: তখন আমার তোর চুলের ঘ্রাণ খাব
: তোর মাথায় হেলমেট পড়ায় সামনের কাঁচটা নামায় দিব, কোন
প্রকার অসভ্যতা করতে পারবিনা
: আচ্ছা, আমি শুধু তোকে দেখবো - নিস্পলক
: দেখিস, আমি অনেক কিউট না রে?
: হু ... ময়ূরীর মত কিউট
: ময়ূরী কে?
: বাংলা ছবির নায়িকা
: ওই ভুটকী? আমি ময়ূরীর মত দেখতে? তোর সাথে কোন কথা নাই
আমার, এই আমি লগ অফ করলাম, গুড বাই
: আরে ... রাগ করিস কেন?
: ... ... ...
: পরী, পরী, পরী ... ওই, কথা বল, লগ অফ তো করিস নাই
: কথা বলবো না তোর সাথে, তুই শয়তান, বান্দর, উল্লুক
: ভালবাসি, ভালবাসি, ভালোওওওওওওওবাসি
: কচু বাসিস
: কচু বাসা যায়?
: যায়, তোর পক্ষে সবই সম্ভব
: নাহ ... সব সম্ভব না, সম্ভব হলে আমি বিনা টিকেটে প্লেনের
ছাদে চড়ে তোর দেশে গিয়ে হাজির হইতাম
: ... ... অনেক ভালবাসিস আমাকে?
: হু ... অনেক
: কেন ভালবাসিস?
: কারণ তুই একটা ছোট্ট পুতুল, রঙ্গিন প্রজাপতি, আকাশ জোড়া
রংধনু, রাত জাগা নীল পাখী, সাগর পাড়ের মেয়ে, আমার অনন্ত
নীল আকাশে এক টুকরো সাদা মেঘ ...
: আমি একাই এত সব?
: হু... তুই আমার সব কিছু
: ... ... ...
: কি হলো?
: ভালবাসি রে, অনেক ভালবাসি তোকে ..

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ