গল্প:#হঠাৎ
লেখক-গালিব হোসেন(রোমান্টিক ম্যাজিশিয়ান)
★
(০১)
সাদা কুয়াশা ন্যায় অয়ন সাহেবের মন নীল বেদনা গ্রাস করে আছে।কোনোকিছুতে যেনো শান্তি নেই।অসহ্য রকমের স্মৃতি বাড় বাড় চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
অতঃপর সে প্যাকেট থেকে সিগারেট বেড় করে দিয়াশলাই দ্বারা জ্বালানোর চেষ্টা করতে লাগলো।ম্যাচের কাঠি গুলাও বেঈমান,কাঁপা হাতে আগুন ঠোঁট পর্যন্ত পৌছাতে নারাজ।তবে হার মনেননি অয়ন সাহেব।ম্যাচের শেষ কাঠি দ্বারা সিগারেট জ্বালিয়ে ফেললেন।
তারপর চেয়ারে বসে দোল খেতে খেতে ভাবতে লাগলেন ঘটে যাওয়া আজ থেকে বিশ বছর আগের কথা......
<বিশ বছর আগে>
স্নেহার দরকারি ফোনে তাড়াহুড়া করে অয়ন সাহেব ক্যাম্পাসে ছুটে গেলো।
দূর থেকে দেখতে পেলো হলুদ শাড়িতে মেয়েটা কারো জন্য অধীর অপেক্ষা করছে,হয়তো তাঁরই!
তখন সে দ্রুত পা চালিয়ে মেয়েটার কাছে যেতে মেয়েটা মাথা নিচু করে বেদনা জর্জরিত এক বাক্য ছুড়ে দিলো "অয়ন আজ আমার গায়ে হলুদ।"
কথাটা কানে পৌছাতে অয়নের মাথায় এক চাপ সৃষ্টি হলো,তবুও সে নিজেকে সামলে বললো "তুমি কি মজা করছো?"
- এটা মজার কোনো কথা নয়।
- কাল পর্যন্ত তো সব ঠিক ছিলো।
- কিচ্ছু ঠিক ছিলোনা।দুমাস আগে আমার বিয়ে ঠিক।ছেলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,মাসে দুলক্ষ টাকা বেতন।তোমায় আগেই জানাতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরে ঝামেলা করবা বলে কিছু জানাইনি।
- তুমি কি বিয়েতে রাজি?
- জানিনা,পরিবার থেকে ছেলে পছন্দ করেছে।না বলতে চেয়েও বলতে পারিনি।
- আমার কি হবে?
- সেটা তোমার বিষয়,রিহানকে আমাদের বিষয় কিছু জানাতে চাচ্ছিনা।আমি আমার মতন করে নতুন ভাবে সাজিয়ে নিতে চাই,প্লিজ ক্ষমা করে দিও।
- ওহ্,ছেলের নাম রিহান!
- হুম,বাসায় গায়ে হলুদের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে মেবি।লুকিয়ে তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি।এখন যেতে হবে।
- কথাটা ফোনে বললে পারতা।
- পারতাম,তবে ভয় হচ্ছিলো যদি তুমি কোনো ঝামেলা করো।
- ধুর পাগলি,তুমি যেখানে খুশি মনে যেতে চাইছো সেখানে আমি ঝামেলা করবো!নিমেষে এতোটা সার্থপর ভেবে নিলে!যাইহোক,দেখেশুনে বাসায় যেয়ো আর নিজের খেয়াল রেখো।
অতঃপর স্নেহা ভরসা পূর্ণ জবাব পেয়ে "ভালো থেকো" বলে এক-পা দু-পা করে বাড়ি ফিরে গেলো।
অয়ন চেয়ে রইলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়া সেই পথচারীর দিকে।
.
থেমে থাকেনি সময় অপূর্ণ থাকেনি হৃদয়,কিছুদিন বাদে খুব কাছে বান্ধবী নীলা তাকে প্রপোজ করে বসে।
হাজার না বলা সত্তেও মেয়েটা পিছু ছাড়তে নারাজ।
স্নেহার অবর্তমানে অয়ন যখন গভীর হতাশায় এক মৃত্যু পথযাত্রী নীলা তখন দূত রূপে অয়নের জিবনে ঢাল হিসেবে আগলে কাছে টেনে নেয়।অবিরাম ভালবাসা দিয়ে নিজের মতন করে গড়ে তুলে এক নতুন অয়ন।
স্নেহার ভাবনা থেকে বেড়িয়ে অয়নও পারেনি নীলাকে ফিরিয়ে দিতে।মেয়েটার জেদ এবং ভালবাসার কাছে হার মেনে ঠিকি একসময় তাকে আপন করে নেয়।
(০২)
"সবকিছু তো ভালো চলছিলো,নীলা এবং তাদের ছোট্ট সন্তান অন্তুকে নিয়ে খুব একটা খারাপ কাটছিলোনা সময়।
তবে কেনো পুড়নো ঘা জাগ্রত করে স্নেহা আজ সামনে চলে এলো!"
অয়ন কথা গুলো ভাবতে ভাবতে পেছন থেকে মিসেস নীলার কণ্ঠে ভেসে এলো "তুমি আবার ধুমপান করছো?"
এমন অবস্থায় সে নীলার উপস্থিতি চায়নি।ভাগ্যে আজ তাঁর নিশ্চিত কঠিন শাস্তি রয়েছে।
ভয়ে এবং আতংকের সংমিশ্রণে অয়ন তড়িঘড়ি করে সিগারেট ফেলে দিয়ে নিচু স্বরে বললো "এক ফ্রেন্ড গিফট করলো,তাই টেস্ট করছিলাম।"
- আমায় কি বোকা পেয়েছো!সিগারেট গিফট করে কোন বন্ধু?"
- বুঝবানা।
- বুঝি না বুঝি আমার বিষয়,তবে তোমায় ঠিকি পরে বুঝাবো।
- আচ্ছা সরি।
- কিসের সরি!
- ধুমপান কড়ার জন্য।
- ওকে,আজকের মতন ছেড়ে দিলাম।
- তোমায় খুব খুশি খুশি মনে হচ্ছে।
- হিহিহি,কারণ আছে।
- কি কারণ?
- আমার সতিনের ডিভোর্স হয়ে গেছে।
- মানে!
- স্নেহার কথা মনে আছে?
- হুম।
- কোনো কারণে ওর ইঞ্জিনিয়ার হাজবেন্ডের সাথে নাকি ডিভোর্স হয়ে গেছে।
- কিইইই!তোমায় কে বললো?
- কাজের বুয়া।
- উনি....!
- এতো জেনে কাজ নেই,কেক নিয়ে এসো রাতে সেলিব্রেট করবো।
"পাগলী" বলে কেক আনতে বেড়িয়ে পরলো অয়ন সাহেব।
এবং চলার পথে মনে মনে ভাবতে লাগলো
"মেয়েটা সত্যি পাগলী,শত বেদনার মাঝে কিকরে যেনো পাথর হৃদয়ে ভালবাসা জাগিয়ে তুলতে জানে।তবে কি ভালথাকার মূল কারণ এই পাগলী!"
*
সে ধোকা দিয়ে হারিয়ে গেছে!
হতাশার কিছু নেই-
নতুন ভাবে গড়তে অন্য কেউ আপনার অপেক্ষায় আপনারি পথ চেয়ে বসে আছে।
……………<সমাপ্ত>……………
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ