āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4933

গল্প:#প্রভাত
লেখক-গালিব হোসেন(রোমান্টিক ম্যাজিশিয়ান)

(০১)
  - জ্বর আসলো কি করে?
  - তুমি বাপের বাড়ি যাওয়ার পর পুকুরে গোসল করছিলাম।
  - হুম গুড,তো আর কি কি করছো?
  - বললে তুমি রাগ করিবা।
  - না রাগ করবো না,বলো বলো।
  - হিহিহি,দুদিন ঘরে বসে সিগারেট খাইছি আর প্রতিদিন রাতে বন্ধুদের ডেকে তাস খেলছি।
  - হুম,আমি না থাকলে তো তবে তোমার জন্য ভালোই হয়!
  - রাতে ঘুম আসেনা,আমার কি দোষ?
  - ধুর পাগল,তোমার দোষ হবে কেনো!দোষ তো আমার।
  - সরি।[মাথা নিচু করে]
  - সরি বলার কি আছে!যা করার করেছো,এখন আমার পালা।
  - সত্যি সরি।
  - দেরী হয়ে গেলো না?
  - কিসের দেরী?
  - পরে বুঝবা।
  - আবার বাপের বাড়ি যাবা?[নরম সুরে]
  - তো কি!তুমার সাথে থাকবো?
  - জানিনা।[মাথা নিচু করে]
  - হুম,এখন ডাক্তারের কাছে চলো।এই অবস্থায় তোমায় রেখে চলে গেলে পরে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।
  - প্লিজ,যেওনা।
  - যাবে কে!প্রথমে তোমার চিকিৎসা তো করাই।
  - উঁহু,শিওর দিয়ে বলো যাবানা।
  - আজব!আমি আমার বাপের বাড়ি যাবো না?
  - কিন্তু!
  - যাবানা তাইতো!ওকে বাপের বাডি গেলাম।
  - যাবো চলো।
  - গুড বয়।
তারপর রিহি এবং রফি ডাক্তারের কাছে গেলো।সেখান থেকে চেকয়াপ করিয়ে অনেক গুলো ওষধ সহ বাসায় ফিরলো।

বাসায় ফিরে রফি শুয়ে আছে এবং রিহি রান্না করতে চলে গেছে।
(০২)
রান্না শেষে ডাইনিং টেবিলে খাবার বেড়ে দিয়ে "খেয়ে নিও" বলে রিহি বেড় হলো।
রফি জিজ্ঞাসা করেছে "কোথায় যাও?" তবে কোনো উত্তর মিলেনি।

দশ মিনিট,পনেরো মিনিট,বিশ মিনিট এভাবে সময় ধীরে ধীরে অতিবাহিত হতে লাগলো এবং রফির মনে অতংকের ছাপ সৃষ্টি হয়ে বিকট রূপ ধারণ করলো।
"রিহি কি বাপের বাড়ি চলে গেলো?ও কি আমায় ছেড়ে যাবে?আমার এই অবস্থায় রেখে যেতে ওর বিন্দুমাত্র কষ্ট লাগলো না?" এমন প্রশ্নের সম্মুখীন করতে করতে রফি অস্থির হয়ে পরলো।
জ্বর এবং অস্থিরতায় নিজেকে সামলাতে না পেরে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো "রিহিইইই...."
ছাদ থেকে মেয়েটা চিৎকার শুনে দৌড়ে ছুটে এলো।এসে পুড়ো অবাক,অস্থিরতায় রফি ছটফট করছে।এরূপ অবস্থায় সে এক মুহূর্ত না দাঁড়িয়ে রফির বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো।
রফি যেন প্রাণ ফিরে পেলো।

অস্থিরতা ভাব কিছুটা কেটে যাওয়ার পর কাঁপা স্বরে রফি জিজ্ঞাসা করলো "কোথায় গিয়েছিলে?"
  - ছাদে।
  - বলে গেলা না কেন?
  - ভেবেছি তোমায় একটু ভয় পাওয়াবো,কিন্তু এমন পাগল কেনো তুমি?
  - জানিনা।
  - খেয়েছো?
  - না।
  - ওহ্ গড,উঠো আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
  - পরে,আর একটু জড়িয়ে ধরে থাকো।
  - ওষধ খাবা কখন?
  - তুমি তো আমায় প্রধান ওষধ।
  - হুহ্,সিগারেট খাওয়ার সময় মনে ছিলোনা?
  - তাহলে বাপের বাড়ি যাও কেনো?
  - আজব!বাপের বাড়ি যাবোনা!
  - না।
"ধ্যাত পাগল" বলে রিহি উঠে খাবার নিয়ে আসলো।
তারপর নিজ হাতে খাইয়ে দিয়ে ওষধ দিলো।
রফি তখন একবার ওষধ একবার রিহির ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে বললো "খাবো না"।"
  - কেনো?
  - অন্য কিছু খেতে ইচ্ছা করছে।[রিহির ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে]
  - কি?[চোখ বড় বড় করে]
  - কাছে আসো তারপর বলছি।
  - না,দূর থেকে বলো।
কে শোনে কার কথা!"ধ্যাত" বলে রফি রিহির হাত টেনে খাটের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।
(৩)
বৈশাখ মাসে বাহিরে বইছে ঝড়ো শীতল বাতাস।
রাত তখন প্রায় দুইটা।
এমন সময় রিহি রফিকে ডেকে তুললো।রফি ঘুম ঘুম চোখে জিজ্ঞাসা করলো "কি হয়েছে?"
  - চলো আম কুড়াই।
  - এখন!
  - হুম।
  - না থাক,কাল সকালে বাজার থেকে এনে দিবো।
  - আমার এখনি চাই।
  - এখন কোথায় পাবো?
  - এর জন্য তো বললাম,চলো কুড়াই।
  - তুমি আর তোমায় বায়না!আচ্ছা চলো।
অতঃপর বাড়ির পাশে আম বাগানে দুজন আম কুড়াতে ব্যস্ত হয়ে পরলো।
প্রতিটা আম খুঁজে পাওয়ার সাথে যেনো রিহির মুখে মিষ্টি হাসি ফ্রি।যেটা রফির হৃদয়ে স্পর্শ করে এক ভালবাসার প্রলপ এঁকে দেয়।
এভাবে অনেকগুলো আম কুড়িয়ে দুজন ঘরে ফিরলো।
.
  - এখন আসো ঘুমাই।
  - না।
  - কেনো?
  - তুমি বসে থাকবা,আমি আম কাটবো।তারপর লবন দিয়ে মাখিয়ে,খেয়ে ঘুমাবো।
  - দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই?
  - না।
  - যাও দুইটা ছুড়ি নিয়ে আসো,আমিও কেটে এগিয়ে দিচ্ছি।
কথা শুনে রিহি হেসে উঠলো।
ভূবন ভুলানো সেই হাসির দিকে চেয়ে রফি মনে মনে বললো "তোমার এই হাসির জন্য তো আমি হাজার রাত্রি অনিদ্রায় কাটিয়ে দিতে পারি।"
*
ভালবাসা তো সেটা-
যেখানে বিরক্তি অবৃদ্যমান।
...................<সমাপ্ত>……………...

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ