āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4918 (2)

Odhora Jarin
~~~~বড়োলোক বাবার বখাটে ছেলে ~~~~
~~~পর্ব চার~~~
,,
,,
,,
সে দিন কক্সবাজার এসে আমি নীলের আরেকটা জঘন্য রুপ দেখতে পেলাম । আমি নীল কে জড়িয়ে ধরতেই ও আমাকে জোড়ে একটা চড় দিয়ে ধাক্কা মেরে খাটের উপরে ফেলে দিয়ে বললো ,,,
,
:-- তোর এতো বড়ো সাহস হলো কি করে । আমাকে সপর্শ করার। এখানে আমি যা বলবো তাই হবে । আর কখনও আমাকে সপর্শ করলে তোকে খুন করবো ।
,,
আমি নীলের কথা শুনে চমকে উঠলাম । আমি জানতাম নীল খারাপ কিন্তু এতো টা জঘন্য খারাপ ধারনার বাইরে ছিল । সে পুরুষ নিজের স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে সে কখনও ভাল হতে পারে না।
,,
নীল আমার সামনের থেকে চলে গেল । আমার সারা রাতের জার্নির কষ্ট আর নীলের দেওয়া প্রথম অত্যাচার সব মিলিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেলাম । আমার যখন ঘুম ভেঙেছিল অনেক বেলা হয়ে গেছে । আমি তাকিয়ে দেখলাম নীল ঘরে নেই । টেবিলে খাবার রাখা। তাঁর মানে নীল দুপুরে খেয়ে বাইরে গেছে । আমার খাবারের কোনও ইচ্ছে ছিল না । আমি বাইরে বের হলাম । সমুদ্রতীরে গিয়ে বসলাম । কিছু সময় পর সূর্য ডুবে যাবে । আমি বসে বসে সূর্য ডুবে যাওয়া দেখলাম । চারিদিকে অন্ধকার নেমে এলো । আমি আস্তে আস্তে উঠে হোটেলের দিকে ফিরলাম ।
,,
আমি রুমে ঢুকতেই দেখলাম নীল বসে বসে সিগারেট খাচ্ছে । ওকে দেখে আমার ভয় করে উঠলো। শুধু একটা কথা বার বার কানে বেজে উঠলো ""তোকে খুন করে ফেলবো ""
আমাকে দেখে নীল বললো ,,,
,
:-- এতো সময় কোথায় ছিলে ???
,
আমি ভয়ে চমকে উঠলাম । আবার যদি আমাকে মারে। আমি ভয়ে ভয়ে উওর দিলাম ,,
,
:-- সূর্য ডুবে যাওয়া দেখতে গিয়ে ছিলাম ।
ও বললো ,,
,
:-- নাকি বয়ফ্রেন্ড্ এর সাথে রোমাঞ্চ করতে গিয়ে ছিলি ???
,,
আমি নীলের কথা শুনে ভাবতে পারছি না। ও কতোটা জঘন্য । ওর প্রতি আমার ঘৃণা বেরে গেল । আমি বললাম ,,,
,
:-- আপনি যেমন আমাকে ও তাই মনে করবেন না ।
,
আমি এই কথা বলতেই ও আমার দিকে এগিয়ে এলো । আমি মনে করলাম এখনই হয় তো আমার গায়ে হাত উঠাবে। কিন্তু না ও তার থেকে ও কঠিন কথা বললো ,,,
আমাকে বললো ,,,
,
:-- তোর হাতে দুই টা পথ আছে । যে কোনও একটা পথ তোর বেছে নিতে হবে । হয় এখান থেকে অনেক দুরে চলে যাবি না হয় আমাকে ডিভোর্স দিবি।
,
আমার সমস্ত পৃথিবী কেঁপে উঠলো নীলের কথা শুনে । আমি কি বলবো ওকে ????
,
ও আবার বললো ,,,
,
:-- তুই এখান থেকে চলে গেলে আমি বাবা কে বলবো তুই রাতের আধারে পালিয়ে গেছিস। আমার আর কোনও চিন্তা করতে হবে না । বল কোন টা করবি।
,
আমি বললাম ,,
,
:-- নীল !! তুমি দয়া করে এমন করো না। তোমার বাবা মায়ের কথা একবার চিন্তা করো ।
,
:-- আমি অনেক চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
,
আমি বললাম, ,
,
:-- তুমি আমাকে একটু সময় দাও ,,
,
:-- ঠিক আছে কাল আমাকে জানাবে । আর আমাকে এই রুমে থাকতে হচ্ছে । কারণ কোনও রুম খালি নেই । তুমি ওই সোফায় গিয়ে ঘুমাবে। আর এই সব কথা যদি বাবা ভুলেও জানতে পারে তাহলে আমার আরো জঘন্য রুপ দেখতে পাবে ।
,,
আমার সারা রাত ঘুম হয়নি । শুধু ভেবেছি কি করবো। আমি যদি রাজি না হই ও আমাকে সত্যি হয়তো খুন করে ফেলবে। কারণ ও সব পারে সব।
,,
আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে ,, আমার যে করে হোক আগে ফিরতে হবে । নীল কে বলবো আমি ওকে ডিভোর্স দিতে রাজি আছি। আর একবার ফিরে যাই তারপর যা করার করা যাবে ।
,,
আমি সকালে আমার সিদ্ধান্তের কথা নীল কে জানালাম । ও শুনে খুব খুশি হলো । কেউ যে ডিভোর্স এর কথা শুনে এতো টা খুশি হতে পারে সেই টা ওকে দেখে বুঝলাম ।
,,
দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ কেটে গেল । আমরা আমাদের মতো থেকেছি। কাল সকালে ফিরে যাবো । সেই টা আমাকে নীল মনে করিয়ে দিল। আমি মনে করেছিলাম এই হানিমুন টাই আমার জন্য সুখের বার্তা এনে দেবে। কিন্তু না আমাকে পৃথিবীর সব থেকে কষ্টের বার্তা এনে দিল ।
,,
ফিরার আগের রাতে। ,,
,
আমি ঘুমিয়ে আছি। হঠাৎ করে নীল এলো । সে দিন ও প্রচুর মদ খেয়েছিল । ওর কোনও হুস ছিল না । ও এসে আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো । আমি ওর চোখে অন্য কিছু দেখতে পারছিলাম । ওর চোখে কামনার আগুন জলজল করছিল । ও আমাকে ওর অনেক কাছে টেনে নিল। এই প্রথম আমি ওর সপর্শ পেলাম । এক রকম বাধ্য হয়ে আমি নিজেকে ওর কাছে সঁপে দিলাম ।
,,
সকালে নীল আমাকে বললো ,,,
,
:-- আমি কালকে বেশি নেশার ভিতরে ছিলাম । কি হতে কি হয়েছে বুঝতে পারি নি। সরি।
,,
আমার ভিতরে যে খুশি টুকু ছিল এক নিমিশে হারিয়ে গেল । আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছিল ,,,
,,,,
তোদের মতো কাপুরুষ দের কাছে আমরা নারী রা বলির পাঠা।তোরা হাজার টা অন্যায় করলে একবার সরি বললে সব মাফ। আর নারী দের একটা ভুল হলে তার মাশুল দিতে হয় কঠিন ভাবে । সে দিন আমার নীল এর উপরে ঘৃণা খুব বেশি হয়েছিল ।
,,
আমরা ফিরে চলে এলাম। এসে দেখি আমার শশুড় অনেক অসুস্থ । তাকে তাড়াতাড়ি করে ক্লিনিকে ভর্তি করা হলো। হার্টে সমস্যা হয়েছে । তিনি ইমার্জেন্সিতে দুই দিন ভর্তি রইলেন । তারপর চলে গেলেন না ফেরার দেশে । আমি অনেক ভেঙে পড়েছিলাম । যে মানুষ টা আমার পাশে ছায়ার মতো ছিল সে আজ নেই ।
,,
কিন্তু যাওয়ার আগে আমার শশুড় সমস্ত সম্পত্তি আমার নামে লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন । সেইটা শুনা মাত্র নীল রেগে আগুন । আমি নীল কে বললাম ,,,
,
:-- তোমাদের সম্পত্তির উপরে আমার কোনও লোভ নেই । তুমি চাইলে আজই সব লিখে নিতে পার।
,,
দেখতে দেখতে কয়েক দিন কেটে গেল । আমি আর নীল ঠিক করলাম আমরা কাল উকিলের কাছে যাব। একবারে সব কিছু নীলের নামে লিখে দেব। আর ডিভোর্স পেপারে সাইন করবো ।
,,
,,
সকাল বেলা ,,,
,
আজকে উকিলের কাছে আমি আর নীল যাচ্ছি । হঠাৎ করে আমি মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম । আমার শাশুড়ি তাড়াতাড়ি করে ডাক্তার খবর দিলেন । ডাক্তার যা বললো তাঁর জন্য আমি আর নীল মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না।
,,
ডাক্তার বললো আমি মা হতে চলেছি। আমি শুনে খুশি হবো না দুঃখ পাব বুঝতে পারছিলাম না। নীল কে দেখলাম দুরে দাড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । ওর মুখে খুশি নাকি দুঃখ সেই টা আমি বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু আমার শাশুড়ি সবাই কে বললেন ,,,
,
:-- কে কোথায় আছিস ??? তাড়াতাড়ি মিষ্টি নিয়ে আয়।
,,
,,
,,
(চলবে )

~~~~বড়োলোক বাবার বখাটে ছেলে ~~~~
~~~শেষ পর্ব ~~~
,,
,,
,,
আমি আর নীল উকিল সাহেবের চেম্বার এ বসে আছি । উকিল সাহেব সব শুনে বললেন ,,,

,
:-- আপনাদের মাএ দুই মাস বিয়ের বয়স । এই ভাবে কোনও দিন ডিভোর্স হবে না । আপনারা আরো এক বছর সংসার করবেন । যদি বনিবনা না হয় তখন এই পদক্ষেপ নিতে পারবেন । (উকিল )
,
:-- আমরা এক সাথে থাকতে চাইনা । এর কোনও পথ নেই । ( নীল )
,
:-- দেখুন মি : নীল । আপনার স্ত্রী তার উপর গর্ভবতী । এভাবে ডিভোর্স হবে না ।
আপনার স্ত্রীর বাচ্চা হবে তারপর । আর আপনার বাবা মারা যাওয়ার আগে সব সম্পত্তি আপনার স্ত্রী কে দিয়ে গেছেন। এখন এই টা আপনার স্ত্রীর । তাকে এই বিষয় নিয়ে জোর জবরদস্তি করা যাবে না । তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। যদি আপনার স্ত্রী খুশি মনে কাউকে লিখে দেয় তাইলে সেই টা তার ইচ্ছা ।
,
আমরা বাসায় ফিরে এলাম। নীল আমার সাথে এই নিয়ে আর একটা ও কথা বলেনি। ও মনে মনে কি ফন্দি আটছে বুঝতে পারছি না । আমার শাশুড়ি আমাকে দেখে জিগ্যেস করলো ,,,,
,
:-- বৌমা !! তোমরা নিশ্চয় ডাক্তার এর কাছে গিয়েছিলে ?? দেখেছো নীল কতো খুশি বাবা হচ্ছে বলে ।
,
আমি কিছু না বলে একটা হাসি দিয়ে চলে গেলাম ।
,,
রাতের বেলা ,,,
,
নীল নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে । কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই ।আমি বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম । আমি কতো রাত পার করেছি এই বারান্দায় দাঁড়িয়ে।
কতো নির্ঘুম রাত !!!!
কি করবো আমি ?? আমি কি সব কিছু নীলের নামে লিখে দেব। তাহলে তো নীল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে । আমার শশুড় তাহলে তো ওকেই সব লিখে দিতে পারতেন । আমাকে অনেক বিশ্বাস করে সব কিছু দিয়ে গেছেন । শুধু তার কষ্টের সম্পত্তি রক্ষা করতে । না না আমি কিছুই ওকে এখন দেব না। আগে ও বদলে ফেলুক নিজেকে তারপর । আমাকে এই নিয়ে কঠিন হতেই হবে । আর ওকে আমি এমন শিক্ষা দেব । ও প্রতি টা মূহুর্ত বুঝতে পারবে কাছের মানুষ কষ্ট দিলে কেমন লাগে । আর আমার শশুড় কে দেওয়া কথা রাখতেই হবে । আমি একা হলে কোনও চিন্তা ছিল না । আমার জীবনের সাথে আরেকটা জীবন জড়িয়ে পড়েছে ।
,,
,,
নীল আমাকে দু দিন পর বললো ,,,
,
:-- কাল আমরা একটা উকিলের কাছে যাব। তার সাথে সব কথা ফাইনাল । তুমি শুধু সই টা করে দিলেই হবে ।
,
:-- আমি আর কোনও উকিলের কাছে যেতে পারবো না ।
,
নীল অবাক হয়ে বললো ,,,
,
:-- কেন ??
,
:-- কারণ, আমি কিছুই তোমার নামে লিখে দেব না।
,
:-- কি বললে তুমি । তোমার এতো বড়ো সাহস ।
,
এই বলে আমার দিকে আসতে লাগলো ।
আমি বললাম ,,,
,
:-- আমার গায়ে একবার যদি হাত তুলেছো। আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। এই টা কক্সবাজার না। যা ইচ্ছে তাই বলবে ।
,
:-- তোর এতো বড়ো সাহস । এখনই এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবি।
,
:-- মি : নীল চৌধুরী ,, ভুলে যাবেন না। এই বাড়ির মালিক এখন আমি । আমি ইচ্ছে করলে আপনাকে বের করে দিতে পারি।
,,
সে দিন নীল আমার কথা শুনে হা হয়ে গেছিলো। তাই তো আর এক মূহুর্ত দেরি না করে বাইরে চলে গিয়েছিল । আমি ও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । আমার এতো সাহস কি করে হয়েছিল । আসলে আমাকে পরিস্থিতি বাধ্য করেছিল ।
,,
আমার শাশুড়ি চেচামিচি শুনে আমাকে বললেন কি হয়েছে । আমি তাকে সব কিছু খুলে বললাম । সে অনেক কষ্ট পেলেন । আর বললেন তাকে কেন জানালাম না।
,,
,,
দেখতে দেখতে কয়েক মাস কেটে গেল । নীল এখন বেশি বাইরে থাকে । আমার ওই কথা শুনার পর থেকে । মাঝে মাঝে শাশুড়ির সাথে দেখা করে চলে যায় । আমার শশুড়ী কিছুই বলে না। তিনি ও চান ছেলে টা ঠিক পথে ফিরে আসুক । পৃথিবী কতোটা কঠিন পদে পদে টের পাক।
,,
হঠাৎ একদিন আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়লাম । আমাকে ক্লিনিক এ ভর্তি করলো। আমার সুন্দর ফুটফুটে একটা মেয়ে হলো । ঠিক যেন ওর বাবার মতো। নীল কে খবর দেওয়া হলো। ও এসেছিল মেয়ে কে দেখতে । মেয়ে কে যখন ওর কোলে দেওয়া হলো তখন আমি ওর চোখে মুখে পিতৃত্বের ছায়া দেখতে পেলাম । ও পরম মমতা নিয়ে মেয়ে কে আদর করেছিল ।

,,
আমি সে দিন ওকে কিছুই বলিনি । কিন্তু ওকে বললো এমন কঠিন কথা যা ও কল্পনা ও করতে পারবে না ।
,,
আমি বাসায় ফিরে এলাম। মেয়ের সুন্দর একটা নাম রাখা হলো। নিধী। নীলের সাথে মিশিয়ে আমার শাশুড়ি নাম রাখলেন ।
,,
এখন নীল ঘনো ঘনো বাসায় আসতে শুরু করলো। আর আমি মনে মনে এই টাই চাইছিলাম । ওর মায়া হোক মেয়ের জন্য বেশি বেশি । কিন্তু আমার সাথে কথা বলে না। কিন্তু আমি ওর চোখে মুখে অনুশোচনা দেখতে পাই।
,,
একদিন নীল এসেছে বুঝতে পেরে আমি নিধী কে ইচ্ছে করে কাদালাম। আমি চুপচাপ বসে বসে ওর কান্না দেখছি। নীল মেয়ের কান্না শুনে অস্ত্রির হয়ে গেল । আমি আরো ইচ্ছে করে চুপ করে রইলাম । এমন সময় নীল ছুটে এলো । আমাকে বললো ,,,
,
:-- লাবণ্য !! কি হচ্ছে এই টা ?? তুমি ওকে ইচ্ছে করে কাঁদিয়ে যাচ্ছো।
,
:-- তাতে আপনার কি মি: নীল চৌধুরী ??
,
:-- আমার কি মানে !! এই টা আমার সন্তান ।
,
আমি জোরে জোরে হেসে দিয়ে বললাম। ,,,,,
,
:-- এই টা আপনার সন্তান ????
ভুলে গেছেন সেই দিনের কথা । যে দিন টা আপনার কাছে একটা ভুল ছিল । এইটা তো আপনার ভুলের ফসল । ভুলের ফসল কে ভুলে গেলেই ভাল হয়।
,
:-- এবার চুপ করো । আমার অনেক শাস্তি হয়েছে । আমি এখন তোমাদের নিয়ে থাকতে চাই।
,
:-- কিন্তু আমি তো চাই না। আপনার সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়ে আমার মেয়ে নিয়ে চলে যাবো। আর যাওয়ার আগে আপনি আপনার ডিভোর্স পেপার পেয়ে যাবেন ।
,,
আমার কথা শুনে নীলের চোখে পানি টলমল করছিল । ও কিছু না বলে চলে গেল ।
,,
কিছু দিন পর, ,,
,
নীল আসতেই আমি একটা পেপার ওর দিকে দিলাম । ও আমাকে বললো ,,,
,
:-- কি এই টা ??
,
:-- ডিভোর্স লেটার সই করে দেন। আমি আপনার জীবন থেকে সরে যাব। আমার মেয়ে কে নিয়ে ।
,
ও শোনা মাত্রই আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বললো ,,,
,
:-- লাবণ্য আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না। আমার যথেষ্ট শাস্তি হয়েছে । তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাউ।
আমার ও চোখের পানি তে নীলের জামা ভিজে যাচ্ছে।
তারপর ও আবার বললো ,,
,
:-- এই দেখো তোমার দেওয়া ঘড়ি । আমি অনেক আগেই ড্রাইভার চাচার থেকে নিয়েছি। আমি তোমাদের সবাই কে নিয়ে সুখে থাকতে চাই। বলো আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না ???
,
এবার আমি নীল কে জড়িয়ে ধরে জোরে জোরে কাঁদতে লাগলাম । এক সময় যখন দু জনে একটু স্বাভাবিক হলাম । তখন নীল কে আমি বললাম ,,,
,
:-- আমি জানতাম তুমি তোমার ভুল বুঝতে পারবে । আমি ও তোমাকে নিজের থেকে ও বেশি ভাল বাসি।

,
:-- তাহলে কেন ডিভোর্স পেপার দিলে ???
,
:-- ওটা একবার খুলে তো দেখবে কি আছে ।
,
:--- মানে ,, আজকে আমার জন্ম দিন । আর তারই শুভেচ্ছা কার্ড ।
,
:-- হুম আমার মিষ্টি বাবুর আববু।
,
:-- আর আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বাবুর আম্মুর আজকে অনেক শাস্তি পেতে হবে ।
,,
এই বলে নীল আমাকে জড়িয়ে ধরতে এলো ,,,
আমি বললাম ,,,
,
:-- এই কি করছো ,,,, একজন সব কিন্তু দেখছে।
,
নীল অবাক হয়ে বললো ,,,
,
:-- কই আমি তো কাউকে দেখছি না ।
,
:--- আমি নিধী কে দেখিয়ে বললাম ওই যে আমাদের দুষ্ট মেয়ে টা।
,
নীল বললো দেখুক না তাতে সমস্যা কি। এই বলে ও আমাকে কোলে তুলে খাটের দিকে এগিয়ে গেল ।
,,

,,

,,

(সমাপ্ত )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ