বন্ধুত্ত
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
...
..
.
>> দে দাম টা দে? ( নিরু)
>> কেনো ? আমি কেনো দেব, তুই দে? ( মাহির)
>> তুই তো অডার করছিলি, সো তুই তো দিবি
>> ঠিক আছে অডার না হয় আমি দিয়েছিলাম কিন্তু আমি তো খাই নি,, সব তো তুই একাই খাইছোস..
>> শুধু শুধু বাহানা করিস না তো দে বিলটা দে আর চল তাড়াতাড়ি,, বাসায় ফিরতে হবে
>> আচ্ছা,, মামা শুনেন, আপনি ফুসকা দিলেন,, তখনই আমার একটা ফোন আসলো,, ফোসটা রিসিভ করে কথা বলে এসে দেখি সব ফুসকা শেষ,, এখন তুমিই বলো,, বিল টা কি আমার দেয়া উচিত.?
>> আমি অতো কিছু কইতে পারুম না,, আমারে একজন বিল দিলেই হইবো। (মামা)
>> নাও, মামা তুমিও আমায় বুজলে না,, নাও তোমার বিল।
.
.
>>সামান্য একটা ফুসকার বিল নিয়ে তুই যে কেন এমন করিস,
>> সামান্য ফুসকা খাওয়ার জন্য তুই কেন আমার সাথে এমন করিস
>> আমি তো জগড়া করার জন্য এমন করি
>> আমিও মারামারি করার জন্য এমন করি
>> মানে কি
>> মানে তেমন কিছু না, চল একদিন আমরা জগড়া বাদ দিয়ে মারামারি করি
>> তোর কি মাথা ঠিক আছে
>> কেন, খুব ফালতু কিছু কি বলে ফেললাম।
>> তা নয়তো কি?
>> তোর ইচ্ছা না থাকলে করবো না যা।
>> হুমম,, চল বাসায় যায়।
.
কথা হচ্ছিল মাহির আর নিরু। বন্ধুত্তের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে তারা। প্রেম ভালবাসার থেকেও গভীর এই বন্দুত্ত।
.
কলেজে প্রথম দিন থেকেই তাদের বন্ধুত্ত। আজ তিন বছর পরও একদিন ও পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। সময়ের ব্যবধান টা যেমন বেরেছে, বেরেছে তেমন তাদের বন্ধুত্তের গভীরতা।
.
প্রতিদিন কিছু না কিছু নিয়ে জগড়া তাদের থাকবে। আজ যেমন ফুসকা, কাল হয়তো অন্য কিছু।
সব কিছু ভাগাভাগি করে নিলেও কখনো রিক্সা ভাড়া টা ভাগাভাগি হয়নি। সব সময় মাহিমের দিতে হয়েছে রিক্সা ভাড়া।
.
ব্যতিক্রম এখন ও নয়, ভাড়া দিয়ে রিক্সা থেকে নেমে পড়লো মাহির , নিরু যাবে আরো মাইল খানিক।
রাতে মাহির অনলাইনে কাজ করতে ছিলো তখনই নিরুর মেসেজ,
>> কি করিস
>> কাজ করি
>> কিসের
>> অনলাইনে
>> খুব বেশি বিজি
>> ১৫ মিনিট লাগবে
.........
>> হয়নি এখনো
>> না আর ৫ মিনিট
....
>> আর কতক্ষন
>> শেষ ৫ মিনিট
.....
>> এখন..
>> শেষ, ওও সরি একটা কাজ তো ভুলেই গেছি, ৫ মিনিট পর কথা বলছি।
>> তুই থাক তোর কাজ নিয়ে আমি গেলাম আমায় আর তিন দিন কোনো ম্যাসেজ দিবি না, তিন দিনে যতো কাজ আছে সব করবি।
>> হুমম..
>> ওকে বাই
বাই লেখে চলে যায় অনলাইন থেকে,
মাহির ম্যাসেজ দেয় কোনো লাভ হয় না, sms দেই কোনো রিপলে নাই, কাজ টা তো অনেক আগেয় শেষ, রাগানোর জন্য নেয়া ডিসিশন টা এখন হিতে বিপরীতে গেল।
.
মাহিম সকালে কলেজে গিয়ে দেখে নিরু পুকুর পারের কাছে নিচে বসে আছে, খুব চিন্হত।
>> কি হয়ছে
>>
>>কি হয়েছে বলবি তো
>>
>> ঠিক আছে থাক আমি যাই
>> দ্বারা, কই যাস, বস এখানে
মাহির বসলো,
>> ভাবসিলাম তোর সাথে তিন দিন কোনো কথা বলবো না
>> বলিস না
>> বলতে হবেই
>> তাহলে বল
>> তুই আসার কিছুক্ষন আগেই কলেজের এক বড় ভাই আমাকে প্রপোজ করেছে
>> তুই কি বলছিস
>> বলছি আমি অলরেডি ইন এ রিলেসনশিপ।
>> কি বলোস তুই কবে রিলেসশনশীপে গেলি বললি না তো।
>> আরে গাধা এমনি বলছি, যেনো আর প্রব্লেম না করে।
>> ওও, তোর তো ভালোই বুদ্ধি। চল এখন ক্লাসে যাই।
>> হুম চল।
.
বন্ধুত্তের টানে এগিয়ে চলা তাদের পৃথিবী অনেকেই আটকানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু পারে নি।
নিরুকে প্রপোজ করেছে প্রায় ৭-৮ জন। কিন্তু সবাইকে নিরু না বলে দিয়েছে।
মাহিরের ক্ষেত্রে ভিন্ন নয়, রুপা নামের একটা মেয়ে তাকে প্রপোজ করে ছিলো, নিরু তাকে কি কি বলে যেনো তাড়িয়ে দিছে। মাহিরের আজো বিষয় টা অজানা। তার পর থেকে কখনো কোনো মেয়ের দিকে ইন্টারেস্ট দেখায় নি মাহির।
.
দেখতে দেখতে তাদের পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে।
.
নিরু কিছুদিন কি নিয়ে যেনো গভীর চিন্তায় থাকে। চিন্তিত অবস্থায় নিরুকে দেখতে মাহিরের ভাল লাগে না।
>> কিরে কি হয়ছে
>> তেমন কিছু না
>> তোকে এমন চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?
>> চিন্তা করছি, পড়াশোনা তো প্রায় শেষের দিকে, কিছুদিন পরে তো তুই এক দিকে আমি অন্য দিকে, কি হবে তখন আমার আর তোর বন্ধুত্ত।
>> বন্ধুতের আবার কি হবে, বন্ধুত্ত সারা জিবন থাকবে।
>> বন্ধুত্ত নাম টা সারাজিবন থাকবে কিন্তু তোর আর মাঝের বন্ধুত্তে ভাটা পড়বে।
>> তা হয়তো কিছুটা কমবে।
>> চল এক কাজ করি
<< কি
>> আমরা বিয়ে করে ফেলি
>> বিয়ে, মানে কি
>> হুম, তাহলে আমরা আবার একসাথে থাকতে পারবো, কেউ আমাদের বন্ধুত্তের মাঝে বাধা হয়ে আসতে পারবে না।
>> তোর আইডিয়া টা খারাপ না তবে পরিবার কি মেনে নেবে।
>> মেনে না নিলে পালিয়ে বিয়ে করবে।
>> পালিয়ে বিয়ে কেমন দেখা যায় না। বাবা মাকে কষ্ট দিতে পারবো না আমি।
>> কষ্ট দিতে হবে না যা।
>> আচ্ছা আমি ভেবে দেখি।
>> দেখ।
নিরুর মা বাবা কেউ নেই। থাকে মামার কাছে। তাই তার বিয়েতে তেমন কারোর মত দেওয়ার না থাকলেও মাহিরের বিয়েতে অনেকের মত দেওয়ার আছে।
মাহির জানে তার পছন্দের কোনো গুরুত্ব তার বাবা মার কাছে নেই। কোনো দিন মেনে নেবে না যদি সে নিরু কে বিয়ে করে।
কিন্তু বন্ধুত্বের টানেই হোক আর মায়া নামক জড়তায হোক নিরুকে কে সে হারাতে চাই না। নিরু ছাড়া তার সুন্দর লাইফ টা প্রায় অসম্ভব।
তিন দিন পর মাহির ভার্সিটিতে যায় মাহির, নিরুর মনে দুক্ষের ছাপ
>> কি রে কি হয়েছে
>> কিছু না
>> চল বিযে করে ফেলি
>> সত্যি
>> হুম
নিরুর মুখের কাঠিন্য ভাব টা চোখের পলকে দুর হয়ে গেলে। নিরুর মুখের হাসি টাব টা যেনো দেখার মতো।
>> মাহির জানিস আমার না এখন আনন্দে নাচতে মন চাচ্ছে।
>> নাচতে হবে না, চল ক্লাসে যায়।
>> সত্যিই নাচবো না
>> হুম
নিরু আজ নিজের জিবনে সফল। তার ধারনা ছিল ভালবাসা না বন্ধুত্ত দিয়েও কাউকে সারাজিবন কাছাকাছি রাখা যায়। স্বপ্ন পুরনের দারপান্তে সে।
.
ফাইনাল পরিক্ষা শেষ, রেজাল্টের দেরী আছে।
মাহির আউটসোর্সিং করে ভালোই কিছু কিছু টাকা জমা করে ছিলো। সেই টাকা দিযে একটা দুই রুমের বাসা ভাড়া করলো। কিছু আসবারপত্র কিনলো।
তারপর তারা বিয়ে করে ফেললো কাজি অফিসে।
বাসর রাতে,
মাহির রাতের খাবার বাইরে থেকে কিনো আনলো, রাত্রে খাবার খেয়ে নিরু রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো, মাহির বুজতে পারলো না নিরু কেনো দরজা লাগিয়ে দিল।
মাহির খাবার খেয়ে রুমের দড়জায় আস্তে করে টোকা দিল কিন্তু নিরুর কোনো সারা শব্দ নেই। মাহির আবার টোকা দিল কিন্তু ভিতর থেকে কোনো আওয়াজ পাওয়া গেলো না।
আর কিছুক্ষন ডাকাডাকি করে মাহির বুজতে পারলো নিরু হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। তাই তাকে আর ডিস্টাব না দিয়ে মাহির অন্য রুমে চলে গেলো, অন্য রুমে গিয়ে তো মাহির অবাক, বিছানা পারা, বালিস ও আছে, কাথা ও আছে।
মাহিরের আর বুজতে বাকি রইলো না যে নিরু ইচ্ছা করে এই কাজ টা করেছে।
মাহির ভাবতে লাগলো, আসলে তার কপালের দোষ তা না হলে আজকের মতো একটা দিনে তাকে বউ রেখে অন্য রুমে ঘুমাতে হচ্ছে। অনেক চিন্তা ভাবনার মাঝে কখন ঘুমিয়ে গেলো মাহির নিজেই জানে না।
.
সকালে অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠলো মাহির। তার এখন চা খেতে মন চাচ্ছে। কিন্তু উপায় না, কেউ তাকে চা বানিযে দেবে না, তার নিজের বউ ও না কারন সে ঘুমেচ্চে। নিজের ও বানিয়ে খেতে মন চাচ্ছে না। আলসামিতে হাত পা জড়ো হয়ে আসছে। শুয়ে আছে মাহির, হঠাৎ নিরু চাযের কাপ নিয়ে ঘড়ে প্রবেশ করলো
>> গুড মর্নিং
>> গুড মনিং
>> নি চা খা
>> তুই মানে কি।
>> তোকে কি এখন আপনি করে বলতে হবে।
>> তুমি বললেই চলবে
>> শোন তোকে বিয়ে করেছি যাতে তোর আমার মাঝে যেনো বন্ধুত্তের কোনো দুরুত্ব না বাড়ে।
>> মানে কি
>> মানে খুব সহজ। তুই তোর মতো চলবি, আর আমি আমার মতো।
>> বিয়ে টা করার ই কি দরকার ছিলো।
>> বিয়ে করেছি যেনো তোর আর আমার মাঝের দুরুত্ব না বাড়ে, একই জায়গায় থাকতে পারি, সব কিছু যেনো আগের মতে থাকে
>> নতুন একটা কিছু কি লাইফে এড করা যায় না
>> কি
>> যার জন্য তুই রাতে রুমে দরজা দিয়েছিলি
>> নো চান্স
.
পরবর্তি পর্ব আসছে
বন্ধুত্ত ( পার্ট 2)
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
...
..
.
মাহির আর কথা বাড়ালো না, সে জানে নিরু যা না চাই তা করা অসম্ভব।
.
হাতে চায়ের মগটা থাকলেও তার দিকে কোনো খেয়াল নেই মাহিরের, গভীর চিন্তায় মগ্ন সে, ----
বিয়ে তো করলাম এখন কি ভাবে কি সামলাবো, চাকরিও তো এখন সম্ভব না। আউটসোর্সিং এর টাকাই কি হবে, সেখানে তো দেই মাত্র ১০০০০ টাকা। তা দিয়ে কি আর সংসার চলে। কিছু একটা করতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। চায়ের সাদা ধোয়া মাহিরের চোখ পড়তেই চিন্তার অবসান হলো তার।
.
চায়ের মগে চুমুক দিয়ে মগ টা টেবিলে রেখে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালো মাহির। নিজেকে কেমন যেনো অপরাধী লাগছে তার।
কি বলবে তার বাবা মাকে, যখন তারা বলবে তুই আমাদের না বলে কি ভাবে বিয়ে করলি।
নির্জিব নিরু মাহিরকে চিন্তিত দেখে,
>> কি হয়ছে রে
>> কিছু না
>> কিছু তো একটা হয়ছে তা না হলে তো এতো গভীর চিন্তা করতিস না
>> তেমন কিছু না ভাবছি সংসার টা কেমনে চালাবো
>> কেন সংসার চালাতে কিসের প্রব্লেম
>> চাকরি তো নেই, আউটসোর্সিং করে টাকায় পাই ১০০০০, রুম ভাড়া, খাওয়া দাওয়া, কতো খরচ, এগুলা কি এই অল্প টাকায় কভার দেওয়া সম্ভব হবে
>> আমি আছি না
>> তুই কি করবি রে
>> আমি কি করবো মানে, আমার খরচ আমি নিজেই চালাতে পারবো, আমাকে নিয়ে তোর চিন্তা করতে হবে না।
>> নিজে নিজে কি করে চলবি
>> টিউশনি করে আর আমার ব্যাংকে কিছু টাকা আছে সেটা দিয়ে
>> তো আমায় কেন বিয়ে করছোস, তোর যা ইচ্চা তাই করবি,আবার চলবিও নিজের ইচ্ছায়, স্বামী হিসেবে আমার তো কোনো দরকার দেখছি না তোর লাইফে
>> আরে বাবা রাগ করোস কেন, তোর চাকরি টা হয়ে যাক তখন না হয় টিউশনি বাদ দিয়ে দেবো
.
নিরু কথা শেষ করতেই মাহিরের ফোনে ফোন আসে। মাহির কথা উত্তর দিতে গিয়ে থেমে গেলো । কাপা হাতে ফোনটা রিসিভ করলো
>> আস্সালামুআলাইকুম
>> ওলাইকুম আসসালাম
>> কেমন আছেন
>> ভালো, তুই
>> জ্বি ভালো
>> তোর পরিক্ষা তো শেষ তাই না
>> জ্বি
>> বাড়ি আসবি কবে
>> বাড়ি
>> আমতা আমতা করোস কেন
>> না কিছু না, আসবো কিছু দিনের মধ্যে
>> ঠিক আছে, ধর তোর মায়ের সাথে কথা বল
>>কেমন আছিস
>> ভালো তুমি
>> ভালো না, গত রাতে খারাপ একটা স্বপ্ন দেখছি বাবা তুই একটু সাবধানে থাকিস
>> আচ্ছা
>> আর খাওয়া দাওয়া করিস ঠিকমতো
>> আচ্ছা, রাখি এখন
>> হুম
.
ফোনটা টা রেখে চিন্তায় মসগুল হয়ে গেলো মাহির।
>> কিরে কি হয়ছে
চিন্তা ভেঙ্গে,
>> বাবা, বাড়ি যেতে বলছে
>> তো যা, আমায় সাথে নিয়ে যাস
>> তোকে নিয়ে যাবো, তোর কি মাথা খারাপ, তোকে যদি সাথে নিয়ে যায় আমার সাথে তোকেও বাড়ি থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেবে
>> তুই শুধু শুধু চিন্তা করছিস, এমন কিছু তো নাও হতে পারে
>> এমনটাই হবে।
>> হবে না দেখিস
>> তুই যা তো আমায় আর প্যারা দিস না।
.
নিরু চুপচাপ রুম থেকে চলে গেলো।
.
মাহির ফ্রেস হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।
বাসায় ফিরলো ঘন্টা খানেক পর।
নিরু,
>> কই গিয়েছিলি
>> বাইরে
>> কেন
>> এমনি
>> চলনা বিকালে ঘুড়তে যাই
>> ঘুড়তে যাবি,ওকে কই যাবি বল
>> দিয়া বাড়ি যাই
>> ওকে
বিকালে দিকে পৌছে গেলো মাহির আর নিরু দিয়া বাড়ি।
কিছুক্ষন ঘুড়ে নিরু আবদার করলো সে ফুসকা খাবে। মাহির মানা করলো না, ফুসকার দোকানে গিয়ে বসলো
>> মামা ফুসকা দিয়েন তো দুই প্লেট
>> আরে না আমি খাবো না
>> তুই খাবি না কেন
>> আমি কি কোনো সময় খেতে পারছি সবসময় তো আমার টা তুই খেয়েছিস
>> ঠিক আছে মামা এক প্লেট দেন
.
এই নেন আপা ফুসকা
নিরু ফুসকা টা হাতে নিলো
>> নে হা কর
>> মানে
>> মানে মানে করোস কেন, হা করতে বলছি হা কর
নিরু কথা শুনে এমনি তেই হা হয়ে গেলো মাহিরের মুখ, কিছুক্ষনের জন্য যেনো তার মনে হলো হয়তো ভুল শুনছে সে। কিন্তু না ভুল কি করে হয় নিরু তো ঠিকই চামচ টা এগিয়ে দিয়েছে।
মাহির ফুসকাটা খেয়ে নিরুকে বললো
>> কিরে তোর কি হয়েছে
>> কি আবার হবে
>> না এতোদিন দেখতাম আমার ফুসকা তুই চুরি করে খেয়ে নিতিস, আর এখন সেই তুই নাকি আমায় তোর নিজের ভাগের ফুসকা খাইয়ে দিচ্ছিস।
>> এখন তুই আমার হাসবেন্ড, সো আমার সব কিছুতেই অর্ধেক তুই থাকবি
>> কথা মনে রাখিস ভুলে যেনো যাস না
>> ভুলে যাবো কেন, তুই এখন আমার অর্ধেক ই তো।
ফুসকা খেয়ে বিল দিলো মাহির।
খাওয়া শেষে আবারও হাটা দিলো তারা।
নির্জন একটা প্লেসে গিয়ে বসলো দুজন।
.
মাহিরের কাধে মাথা টা রেখে চুপচাপ বসে রইলো নিরু চোখের পাতা দুটোকে ফিযিক্সিের সুত্র খাটিয়ে স্থির করে দিলে মুর্তি বৈকি অন্য কিছু বোঝাবে না দুজন কে,
নিরবতা ভেঙ্গে নিরু বললো
>> কিরে কথা বলিস না কেন
>> কথা বলছি তো
>> কই
>> বলছি চুপে চুপে
>> চুপে চুপে বললে বুঝবো কি ভাবে
>> চোখ বন্ধ করে মন দিয়ে শোনার চেষ্টা কর দেখ শুনতে পাবি
>> দুর তাই কি সম্ভব নাকি
>> চেষ্টা করেই দেখ না
নিরু চোখ টা বন্ধ করলো, কল্পনায় নিরু দেখলো
>> মাহির যেনো কি বলছে বিরবির করে
নিরু মাউথ রিডিং জানে না জানলে বুঝতে পারতো কি বলছে মাহির, তবুও বোঝার চেষ্টা করছে নিরু
>> চল বাসায় যাই
নিরু চোখ টা খুললো, তোর কথা গুলো বুজতে পারলাম না
>> পারতি যদি
>> যদি কি?
>> কিছুনা
>> কিছুনা মানে, বল কি
>> বলসি যদি সময় করে শেখোস তবে বুজতে পারবি
>>কত দিন লাগবে শিখতে
>> অল্প কিছুদিনেই শেখা যায় আবার অনেক সময় সারাজিবন চেষ্টা করেও শেখা যায় না
>> ওকে দেখি কত দিন লাগে
>> চল বাসায় যায়
.
নিরু আর মাহির বাসায় চলে আসলো,
রাতে মাহিরের মা মাহিরকে ফোন দিলো, হালকা কান্না জড়িত কন্ঠে মাহিরের মা বললো,
>> তুই এটা কি করলি
>> কি করেছি আমি
>> তুই আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করে ফেললি
মাহির মুখের বুলি হারিয়ে গেলো, একি মা জানলো কিভাবে। কে বললো
>> তোর বাবা তো বলেছে ও যেনো কোনো দিন আর আমার সামনে না আসে
মাহির নিশ্চুপ
>> বিয়েই যদি করবি আমাদের জানাবি না, আমরা বিয়ে করাতাম
>> সরি মা ভুল হয়ে গেছে, মাফ করে দাও প্লিজ
>> আমি তো মাফ করে দিয়েছি কখন কিন্তু তোর বাবা, সে তো মানবে না
>> দেখি বাবার কাছে দাও একটু
>> কথা বলবে না
>> কোনো দিন না
>> হয়তো
.
মাহিরের কথা টা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। ফোনটা কেটে দিলো। আসলেই তো একবার বলেও তো দেখা যেতো, কিন্তু হুটহাট চিন্তা করে সব তার জলে গেছে
নিরু : কিরে কি হয়েছে, তোর মুখটা এমন শুকিয়ে গেছে কেন
>> মা বাবা জেনে গেছে যে আমি বিয়ে করেছি
>> কিভাবে
>> আমি কি জানি, কেউ হয়তো বলে দিয়েছে
>> এখন কি হবে
>> কি আবার হবে সারাজিবন ঢাকাই থাকতে হবে, বাড়ি আর যেতে পারবো না
>> তাহলে তো প্রব্লেম
মাহির কথার উত্তর না দিয়ে চুপ চাপ বসে রইলো নিরু ও তাই কইলো
.
দুদিন পর,
.
>> মাহির আমার একটু মামার বাড়ি যেতে হবে
>> কেন
>> মামির নাকি অসুখ
>> আসবি কখন
>> বিকালে
>> ঠিক আছে
.
নিরু চলে গেলো, বিকালে নিরু বাসায় না আসলে চিন্তায় পরে গেলো মাহির।
ফোন দিলো নিরুর ফোনে কিন্তু ফোন ধরলো অন্যকেউ
>> কে
>> আমি তোর মা
>> মা তুমি, তোমার কাছে নিরুর ফোন আসলো কি করে
>> নিরু আমার কাছে তাই
>> কি বলো,
>> হুম, মেয়েটার তো আর কোনো দোষ নাই, তাই ওকে আমি ফোন দিয়ে আসতে বললাম তাছাড়া তোর বাবাও পছন্দ হয়েছে নিরু মাকে, যখন শুনলো যে ও এতিম, তখন তোর জাগয়াটা ওর নামে বরাদ্দ করে দিলো।
>> বুজলাম না কি বলো
>> বুজতে হবে না, তুই এক কাজ কর, আমার মেয়ের জিনিস পত্র গুলা আমার বাড়িতে দিয়ে যা।
>> বুজতে পারছি, এতো তাড়াতাড়ি তোমার মেয়ে হয়ে গেছে না,
>> ওকে আমি সব জিনিস নিয়ে আসতাছি
>> তোর আসতে হবে না
>> আমি আসবো না মানে,
>> তোর আসা নিষেধ,
>> আমি না আসলে জিনিস পত্র অানবো কিভাবে
>> গেইট পর্যন্ত এনে দিলেই হবে
>> এ দেখি খালখাল কেটে কুমির আনার জো...
>> কালকের মধ্যে সব জিনিস পত্র দিয়ে যাস
.
মাহির রাগে ফোন টা কেটে দিলো, তার মানে, বাবা মাকে বিয়ের কথাটা ওই বলেছে, পাই সামনে, কিন্তু এক দিক দিয়ে ভালোই হয়ছে, তার নিজের তো বলার সাহস ছিলো না কাজ টা নিরুই করে দিয়েছে।
কিন্তু নিরু তার সাথে এতো বড়ো একটা ধাপ্পাবাজি করলো এটা বিশ্বাস করতে পারছে না।
পরের দিন জিনিস পত্র নিয়ে বাসার গিয়ে ফোন দিলো নিরুকে। ফোনটা আবার ধরলো মাহিরের মা
>> জিনিস পত্র এনেসিস
>> হ্যা, নিয়ে যাও
>> তুই রিক্সা টাকে ভিতরে পাঠিয়ে দে,
মাহির অবোধের মত রিক্সা টাকে ভিতরে পাঠিয়ে দিলো।
নিজেও বাসার সামনে থেকে চলে আসলো, কি হচ্ছে তার সাথে কিছুই বুজতে পারছে না মাহির।
.
বন্ধুর বাড়ি তে চলে গেলো মাহির, রাতে নিরুকে ফোন দিলো,
>> কি হচ্ছে কি
>> কি আবার হবে, তুই আউট হচ্ছিস আর আমি ইন হচ্ছি
>> নিরু মজা বাদ দে , এমনিতেও দুদিন হলো তোকে দেখি না, তার উপর ফ্যামিলি ড্রামা।
>> বাহ বাহ আমার জামাই এর দেখি আমায় নিয়ে অনেক টেনশন
>> টেনশন হবে না, আর তাড়াতাড়ি আমায় বাড়িতে ঢোকানোর ব্যবস্থা কর
>> করছি তো তবে ৩-৪ দিন সময় লাগবে
>> ওকে, লাগুক, এখন শোন, চল কাল কোথাও ঘুড়তে যাই
>> কাল, ওকে
পরের দিন বিকালে, নিজের বাড়ির সামনে অচেনা মানুষের মতো ঘুড়তে লাগলো মাহির, নিরুর বের হতে লেইট হচ্ছে বলে ফোন দিলো নিরুকে, কিন্তু নিরু ফোনটা রিসিভ করলো না। মিনিট ছয়- সাত পর শাড়ি পরে বের হচ্ছে নিরু। হঠাৎ ই দড়জায় দাড়ানো মাহিরের বাবা বললো,
>> কোথাই যাচ্ছো মা
>> এই তো বাবা একটু ঘুড়তে বের হচ্ছি
>> না না তোমার ঘুড়তে যেতে হবে না
স্তব্ধ মাহির ভয় ভঙ্গে বললো,
>> কেনো যেতে হবে না
মাহিরের বাবা ছেলের সাহসিকতায় অবাক হয়ে বললো, আমার মেয়েকে আমি যেতে দেবো না
>> আপনার মেয়ে হওয়ার আগে ও আমার স্ত্রী। ও যাবে আমার সাথে
>> না যাবে না
>> কেনো আমার সাথে এমন করছেন
>> কি করছি
>> মিস বিভেব করছেন কেন আমার সাথে
>> তোমার সাথে কই মিস বিহেব করলাম
>> এই যে আমার বউ কে আমার থেকে আলাদা করে রেখেছেন, আবার আমায় বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।
>> তুমি কি মাফ চেয়েছো
>> কিসের জন্য
>> কিসের জন্য মানে, ভুল করে আবার বলছে কিসের জন্য মাফ
মাহিরের আর বুঝতে বাকি রইলো না কি বলছে তার বাবা।
দৌড়ে চলে গেলো তার বাবার কাছে। বাবার পা ছুতে যাবে তখনই মাহিরের বাবা মাহিরকে টেনে বুকে নিয়ে নিলো,
>> আরে পা ধরতে হবে না , তুই আমার সাত রাজার ধন, তোর একটা দোষ কেন হাজারটা দোষ মাফ করে দিতে পারি
মাহিরের চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরতে লাগলো
কিছু বলার ভাষা তার নেই,
>> আরে কাদছিস কেন
>> ঠুকরে কাদছে মাহির
>> মাহিরের মা দেখো তোমার ছেলে কাদছে কেমন করে।
.
মাহির এবার হাসি কান্নার মিশ্রিত বললো, বাবা ইউ আর গ্রেট।
.
বন্ধুত্ত ((( শেষ পর্ব,,, তুই থেকে তুমি তে)))
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
...
..
নিরুর আসার পর থেকে ফ্যামিলি টা কেমন যেনো পরিপুর্ন হয়ে গেলো । মেয়েটাও কেমন জানি সবাইকে আপন করে নিয়েছে।
মাহিরের বাবা মাকে,,, মা আর বাবা বলে ডাকে নিরু যেখানে মা বাবা কে আব্বু আর আম্মু বলে ডাকতো মাহির। নিরু আসার পর সেটা চেন্জ করতে হয়েছে মাহির কে।
নিজের জিবনের সুন্দর এই মুহুর্ত গুলোকে মনে করতেই আনন্দ হয় মাহিরের।
বারান্দায় বসে বসে চিন্তা করছিল মাহির। কোথা থেকে যেনো নিরু আসলো।
- কিরে কি করস
- কিছু না,, আই বস
- ভাবতাছি তোকে তুই বলা বাদ দেব কিন্তু পারি না অনেক দিনের অভ্যাস তো
- হুম আমিও তো।
- মাঝে মাঝে তো বাবা মার সামনে লজ্জা জনক মুহুর্ত হয়ে যায় যখন তোকে আমি তুই বলি বা তুই আমাকে বলোস।
- হুম।
- এখন থেকে সব কথা তুমি করে বলতে হবে কেমন
- ওকে
নিরু চলে গেল মাহির বারান্দায় দাড়িয়ে রইলো
সকালে খেতে বসেছে মাহির নিরু তার বাবা মা।
মাহিরের বাবা - মা রান্না টা অনেক সুন্দর হয়েছে
নিরু - ধন্যবাদ মা
মাহিরের মা - বৌমা তুমি আসার পর তো একদিন ও আমায় রান্না ঘরে ঢুকতে দিলে না, আমার ও তো মাঝে মাঝে মন চাই রান্না করি।
নিরু : না মা আমি আছি না আপনাকে রান্না ঘরে যেতে হবে না আপনি শুধু রুমে বসে বসে আদেশ দিবেন কেমন।
মাহিরের মা - কিন্তু একা একা তো সময় পার হয় না, আমার জন্য তাহলে একটা নাতি নাতনির ব্যবস্থা করে দাও
কথা টা শুনে নিরুর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেল।
নিরু - মা আপনিও যে কি না, সেটা পরে দেখা যাবে
- পরে আর কবে বয়স তো অনেক হলো
- হয়েছে মা আর বলতে হবে না, তাছাড়া এই সব কথা কেন যে বলেন। আপনাকে আমাদের সাথে সারাজিবন থাকতে হবে।
- তাই কি সম্ভব
- যত টুকু সম্ভব ততটুকু তো থাকবেন
এর মাঝে হঠাৎ মাহির বেশম খেলো। একসাথে তিনজন মানুষ মাহিরের জন্য পানির গ্লাস এগিয়ে দিলো। মাহির কার গ্লাস নিবে। দ্বিধা বাদ দিয়ে তিনটা গ্লাস একসাথে নিলো হাতে মাহির। তার পর সব গুলা থেকে এক চুমুক করে খেলো, কাহিনি টা দেখে সবাই হেসে উঠলো ।
খাওয়া দাওয়া শেষে আবার বারান্দায় গিয়ে বসলো মাহির।
কিছুক্ষন পর নিরু আসলো
- কি করস
- কিছু না রেস্ট এ আছি
- আর কত রেস্টে থাকবি তুই
- কি করবো কাজ পাবো কই
- বাবা কে বল একটা ব্যবসা খুলে দিতে
- না ভাবতাছি ব্যবসা না চাকরি করবো
- চাকরি করতে হলে তো ঢাকা যেতে হবে
- হুমম তা তো যেতে হবে
- ঢাকা আমি যেতে দিবো না
হটাৎ মাহিরের বাবা বারান্দায় আসলো সাথে মাহিরের মা
- বাবা মা বসো তোমরা
নিরু উঠে গিয়ে চেয়ার আনলো দুটো।
- মাহির তোরা নিজেদের মাঝে তুই মুই করে কথা কেন বলিস এটা আমার তোর মার কারোর ই ভাল লাগে না।
- আসলে বাবা অনেক দিনের অভ্যাস তো তাই যাচ্ছে না।
- তাছাড়া আমরা চেষ্টা করছি তুমি আমি বলার। ( নিরু)
- হুমম,,,ভালো
- দেখুন না বাবা আপনার ছেলে নাকি ঢাকা যাবে চাকরি করতে
- কেন ঢাকা যেতে হবে কেন আমার যা আছে তাতেই চলবে তুমি বাড়ি বসে আমার ব্যবসা সামলাও
- না বাবা আমি চাকরি করবো
- চাকরি করার দরকার নেই তো
- আমার অনেক ইচ্ছা পড়াশোনা শেষে বড় একটা চাকরি করবো, পুরো ফ্যামিলিকে চালাবো
- আমার যা ব্যবসা আছে তাতে হয়ে যাবে তো
- প্লিজ বাবা
- যেতে দাও তো,,, ওর আর দরকার নেই নিরু থাকলেই চলবে। ( মাহিরের মা)
- ঠিক বলেছো নিরু মাকে নিয়েই থাকবো আমরা
- বাহ এখন দেখি আমার আদর সব টান্সফার হয়ে যাচ্ছে।
- ঢাকা গেলে আরো যাবে
নিরু মিট মিট করে হাসছে, আর মাহিরের কিন্ঝিত রাগ হচ্ছে।
মন যেতে চাইছে না মাহিরের তবুও কিসের যেনো একটা জিদ তৈরী হলো যাওয়ার।
কয়েক দিন পর,
- বাবা মা ভালো থাকবেন
- তুই ও ভালো থাকিস, আর ভালো মতো যাস
নিরুর দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটার চোখে পানি,
নিরুকে কাছে ডাক দিলাম,
- কাদছিস কেন
- তুই যাচ্ছিস কেন
-কাদার দরকার নেই আমি কিছুদিন পর ফেরত আসছি তো
- হুমম....
- ভালো থাকিস গেলাম
- মাহির শোন একটা কথা বলি
- কি
- তোর জন্য একটা অফার আছে
-কি বল না
- তুই যদি ঢাকা না যাস তাহলে এতো দিন তুই যা চেয়েছিস তা দেব।
- সত্যি
- হুমম
- না থাক আমাকে ঢাকা যেতে হবেই
- ওকে যা
বাসা থেকে বের হয়ে স্টেশন পর্যন্ত গেলো মাহির । কিন্তু বাসে আর ওটা হলো না তার,,,,
বাসায় চলে আসলো
- কি বাবা যাও নি তুমি
- না ভাবলাম তোমাদের সাথেই থাকি
- ভালো করেছ
- নিরু কই
- রুমে হয়তো
- আচ্ছা
রুমে গিয়ে দেখি নিরু শুয়ে আছে
- কিরে কি হয়েছে
- নিরু লাফ দিয়ে উঠলো , তুই যাস নি
- না এতো বড় একটা অফার কি ফেরত দেওয়া যায়
- তাই না ( লজ্জায় নিরুর মুখ টা লাল হয়ে গেল)
সত্যি সত্যি নিরু তার কথা টা রাখলো।
এর পর থেকে মাহির বাসায় স্থায়ি হয়ে গেলো । বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করে আর বাড়ি ঘর।
সেদিনের পর থেকে নিজের মাঝে কেমন যেনো একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করলো মাহির আর নিরু , কেমনে জানি তাদের কথা বলার ধরন চেন্জ হয়ে গেল। এখন চাইলেও তারা তুই মুই বলতে পারে না।
এভাবেই চলতেই থাকলো,
বছর খানেক পর,
নিরুর আর মাহিরের কোল জুড়ে এলো ফুটফুটে একটা ছেলে,
মাহিরের বাবা পিচ্চি কে কোলে নিয়ে বললো, দেখছো নিরু তোমার ছেলেটা পুরো আমার মতো হয়েছে।
মাহিরের মা পিচ্চি কে কোলে নিলে বললো, কই তোমার মত শুধু নাক টা হয়েছে তোমার মতো কিন্তু আর সব আমার মত।মাহির তার মায়ের কোল থেকে নিয়ে,,, না তোমাদের কারোর মত হয় নি,, ও হয়েছে আমার মত।
নিরু এবার বললো, তোমাদের কারোর মতোই না,,, ও হয়েছে আমার মত।
হুম ঠিক নিরুর মতই হয়েছে.....
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন......
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ