অবহেলা অতপর ভালবাসা
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময় )
- ওই তোমার সমস্যা টা কি
- আবার আবার কিসের সমস্যা হবে, আমি তো বিন্দাস আছি
- এতদিন না আমার বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকতে আজ আবার আমার ফেন্ডের বাসার সামনে কেন দাড়িয়ে আছো
- এতদিন তোমায় ভালবাসতাম আর এখন তোমার ফেন্ড কে ভালবাসি।
- মানে কি
- মানে তেমন কিছু না, তুমি তো আমায় ভালবাস না তো আমি কি একা একা থাকবো নাকি , তাই নতুন কাউকে লাইফে এড দেওয়ার চেষ্টাই আছি
- তুমি আসলেই একটা ফালতু
- সেটা আমি জানি
- জানবেই তো, ভেবেছিলাম তোমায় একটা সুযোগ দেব কিন্তু এখন দেখছি না, তুমি তার যোগ্য নও
- আমার লাইফে তোমার কোনো দরকার নেই, তুমি হিন বেটার আমি
- ধ্যাত ফালতু একটু
কথাটা বলেই নিরু হাঁটা শুরু করল। আমি চুপচাপ তাকিয়ে মিটমিট করে হাটছি। আর মনে মনে বলছি, বুঝো কেমন লাগে যখন ভালবাসার মানুষ কষ্ট দেয়।
কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর নিরু আর জেইন একসাথে বের হলো
- হাই জেইন
- হ্যালো মাহির
- ওই ফালতু ছেলেটার সাথে কথা বলতে হবে না তুই চল আমার সাথে
- তুই একটু বাইরে গিরে দ্বারা আমি পাচ মিনিটের মধ্যে আসছি
- ধ্যাত থাক তুই তোর কথা নিয়ে
মুখ টা ফুলিয়ে চলে গেল নিরু। আমি আর জেইন মিট মিট করে হাসছি। জেইনের সাথে প্লান করে এমন টা করছি যাতে নিরু কে একটু কষ্ট দেওয়া যায়।
মিনিট পাচেক পর জেইনের সাথে গেইট দিয়ে বের হলাম,
নিরু দেখি রাগে ফোস ফোস করছে।
- বাই জেইন
- বাই
- চলতো ,, এই ফালতু ছেলের মাঝে তুই যে কি পেলি বুঝি না
- তুই বুঝবি কেমনে বুঝলে তো আমার আগে তুই ই রিলেশন করতি
- চল তো
নিরু আর জেইন চলে গেল। আমিও বাসার দিকে পা বারালাম।
আমি আর নিরু একই ফ্লাটে থাকি, কিন্তু জেইন থাকে আমাদের পাশের ফ্লাটে।
গল্পের শুরুতে আমি প্রতিদিন আমাদের ফ্লাটের নিচে দাড়িয়ে থাকতাম নিরুকে দেখার জন্য। মেয়েটা দেখতে সুন্দর। ভাললাগতো অনেক। ভাললাগাকে কনভার্ট করে ভালবাসায় আনতে মেয়েটাকে পটানো জন্য রোজ দাড়িয়ে থাকতাম। সুন্দরি মেয়েদের একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তাদের অহংকার। নিরুর ও ছিলো, বলতে গেলে একটু বেশিই ছিলো। পিছুটানে ভয় করতাম না। তাই অহংকার কে গুরুত্ব দিতাম না।
পুরো একটা মাস নিরুকে যাস্ট একনজর দেখার জন্য বাসার নিচে দাড়িয়ে থাকতাম। নিরু যখন আমার দিকে তাকাতো, আমি সুন্দর একটা হাসি দিতাম আর মেয়েটা রাগি একটা লুক দিয়ে চলে যেত। কেমন যেনো বিরক্ত আমার প্রতি সে । যাই হোক ততটাও গুরুত্ব দিতাম না। ভাবতাম কিছুদিন পর এই বিরক্তি হয়তো হাসি তে রুপান্তরিত হবে। কিন্তু না তার কিছুই হলো না। নিরুকে প্রপোজ করবো সেই সাহস টা করতে পারছিলাম না। কেমন যেনো বিরক্ত সে আমার প্রতি, তার উপর যদি প্রপোজ করি তাহলে নিশ্চয় না বলে দেবে।
দ্বিধা দন্দ বাদ দিয়ে নিরুকে প্রপোজ করার জন্য প্লান করলাম।
হাতে ফুল নিয়ে দাড়িয়ে,
- নিরু শোনো একটা কথা বলার ছিলো
- কি বলবে বলো আমার তাড়া আছে ( রাগি মুডে)
হাটু গেরে,
- আমি তোমাকে ভালবাসি
- কি ফালতু কথা বলছো , নিজের চেহারা টা আয়নাতে দেখছো, দেখতে বদ টাইপের একটা ছেলে, সে নাকি আমাকে ভালবাসবে, তোমার কি করে মনে হলো আমি তোমাকে বালবাসবো
- আসলে....
- আমতা আমতা বাদ দাও, আর শুনো, আমাকে এই কুকুরের মত ফলো করা বাদ দাও, তোমার চেহারাটা দেখতে মন চাই না।
- কুকুরের মত
- তা নয় তো কি
- সরি আপু এই যে কানে ধরলাম, আর কোনোদিন ডিস্টাব দিব না
নিরুর কথা গুলো সরাসরি ইগোকে হার্ট করলো, কি মনে করে নিজেকে, আজ শুধু ভালবাসি বলেই এত গুলো কথা হজম করতে হলো।
সোজা বাসায় চলে আসলাম।
আমাকে কষ্ট দেওয়া, কুকুর বলা, ঠিক আছে প্রতিশোধ আমিও নেব।
ভালবাসার মানুষটিকে যখন অন্য একজন মানুষের সাথে দেখবে তখন নিরু বুঝবে কেমন লাগে।
এর জন্যই নিরুর ফেন্ড জেইনের সাথে প্লান করলাম।
প্লানের শুরু তেই বুঝতে পারলাম নিরুর কষ্ট হচ্ছে। তাই বিষয় কনটিনিউ করতে লাগলাম।
দুদিন পর,
আমি আর জেইন বসে আছি ফুসকার দেকানো। পাশেই বসে নিরুর।
- মামা ফুসকা কি তিন প্লেট দেবো
- না দুইটা দেন
- ওকে মামা
- দুটো কেন (জেইন)
- তুমি আমি এক প্লেট আর তোমার বান্ধবি এক প্লেট
কথাটা শুনে নিরু চোখ বড় বড় করে তাকালো আমার দিকে,,.....
.
পরবর্তি পর্ব আসছে.....
অবহেলা অতপর ভালবাসা ( শেষ পার্ট )
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময় )
- তোমার বান্ধবি মানে তুমি কি আমার নাম জানো না নাকি
- জানি তো, বান্ধবি বললে সমস্যা কি
- সমস্যা আছে
- কি
- কিছু না
দোকানদার মামা দুইপ্লেট ফুসকা দিলো, আর একটা পানির বোতল দিলো। নিরু একটা প্লেট নিলো সাথে পানির বোতলও।
আমি জেইন কে খায়িয়ে দিচ্ছি তা দেখে নিরু কটকট করে দাত কামরাচ্ছে,
- ওই মামা এত ঝাল দিছেন কেন
- রাগ কি মামার উপর নাকি অন্য কারোর উপর
- তোমাকে বলতে হবে নাকি তুমি তোমার কাজ করে
- ওকে
কথা বলতে গিয়ে খেলাম বেশম,
- মামা পানি দেন ( জেইন )
নিরু আর জেইন একসাথে দুটো বোতল এগিয়ে দিলো
আমি জেইনের হাত থেকে বোতল টা নিলাম,
নিরু রাগ করে নিজের হাতের বোতল টা ঢিল দিয়ে ফেলে দিলো
- কি ফেলে দিলে কেন
- তোমাকে বলতে হবে নাকি
- না বললেও চলবে
- নিরু তুই মাহিরের সাথে এমন বিহেব কেন করিস, ছেলে টা কত্ত কিউট দেখলেই তো মনটা ভালো হয়ে যায়
- রাখ তোর কিউট নেস, ফালতু একটা
- তোকে আর আমাদের সাথে কোথাও আনবোই না
- তা আনবে কেন , তোমাদের কির্তি কলাপ তো আমি জেনে যাবো
- আচ্ছা বাবা এবার দুজনে চুপ করো, চলো বাসায় যেতে হবে
- ওকে চলো
বাসায় চলে আসলাম,
জেইন কে ওদের বাসায় রেখে আমি আর নিরু আমাদের বাসায় প্রবেশ করলাম,
- মাহির আমায় এত এভোয়েট কেন করো
- আমি তোমায় এভোয়েট কেন করবো, তুমি আমার কে
- আমায় না তুমি ভালবাসতে
- সেটা তো অতিত ছিলো
- দুদিন আগের কাহিনি অতিত হয়ে গেল
- আমার কাছে অতিত
- ধুর তোমার সাথে কথা বলাই বেকার
- হুমম
নিরু চলে গেল ওর বাসায় আমি আমার বাসায়। এবার বুঝো কেমন লাগে যখন প্রিয় মানুষটা কষ্ট দেয়
একদিন পর,
আমি আর জেইন শপিং মলে যাচ্ছিলাম, কোথা থেকে যেনো নিরু হাজির
- কই যাস
- ঘুড়তে
- আমায় বলিস নি কেন
- তোকে বলে কি হবে তোকে তো নিবো না
- মানে কি আমায় নিবি না কেন
- তুই শুধু মাহিরের সাথে খারাপ বিহেব করস
- আচ্ছা যা আর করবো না.
শপিং মলে,
- মাহির দেখ তো এটা কেমন লাগে
- এটা ভালো না তুমি ওইটা নাও
- ঠিক বলেছো ওটার কালার আরো সুন্দর
- নিরু দেখতো আমায় কেমন লাগছে
- আমি কি বলবো যে পছন্দ করে দিয়েছে তাকে বলে
- ঠিক বলেছিস তোকে বলে আর কি হবে
শপিং করে, রিক্সা ডাক দিলাম,
নিরু রিক্সায় উঠলো,
- মাহির তুমি এখানে এসে বস ( নিরু)
- কেন, ও আমার সাথে যাবে ( জেইন)
- সব সময় তো তোর সাথেই যায় আজ আমার সাথে গেলে কি হবে
- না না তা হবে না
- তাই হবে
নিরু আমায় টেনে তার রিক্সায় উঠালো।
- কি আজ আবার এমন কি হলো যে টেনে রিক্সায় তুললে
- কথা আছে
- কি
- মাহির প্লিজ আমি আর নিতে পারছি না
- তোমার মাথায় তো কোনো বোঝা নেই, নিতে না পারার কি হলো
- মজা করো না প্লিজ
- মজা করছি না একদম সিরিয়াস তুমি বলো
- আমি যে তোমায় ভালবাসি সেটা কি তুমি বুঝো না
- আমার তো গালফেন্ড আছে
- তাইলে আমায় ভালবাসবে না
- না
- ওকে নামো রিক্সা থেকে
- নামবো মানে
- যাও জেইনের সাথে যাও
- ওকে
ক্ষেপেসে মেয়েটা। তবে রাগলে সেই লাগে ।
জেইনের ম্যাসেজে সকালের ঘুম টা ভাঙ্গলো,
- কি হয়েছে
- তুমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসো নিরু বিষ খেয়েছে
বিছানা ছেড়ে দিলাম দৌড়,
- কেমনে কি
- বুঝতে পারছি না
ঘন্টা দুই পর আমাদের কেবিনে ঢুকতে দিলো
- এই কাজ কেন করছো
- তুমি তো আমাকে ভালবাসো না, আমি একা কেমনে চলবো তাই এই কাজ
- কে বলছে আমি তোমাকে ভালবাসি না
- তুমিই তো বলেছিলে
- ওটা তো রিভেন্স নিতে
- কিন্তু জেইন
- ও তো যাস্ট একটিং করেছে এতদিন
- মানে কি সব মিথ্যা ছিলো
- হুমম, তোমাকে একটু কষ্ট দেওয়া জন্য
- মানে কি, আমাকে কষ্ট দিতে নতুর একটা রিলেশনের ভান করলে
- হুমম উপায় ছিলো না
- হারামি আজ যদি সত্যি সত্যি বিষ খেয়ে ফেলতাম তো কি হতো
- মানে,, সত্যি সত্যি খাও নি
- না
- কি আর হতো তুমি না থাকলে জেইন কে লাইফ পাটনার বানাতাম
- হারামি কোথাকার, ফালতু একটা।
কথা গুলো বলেই কিল ঘুসি মারা শুরু করলো,
- আরে বাবা লাগো তো
- লাগলে আমার কি
- নাও এবার মার
জরিয়ে ধরলাম নিরুকে,
- ছাড় ছাড় বলছি, আর মারবো না যাও
- না না মার সমস্যা নাই মার......
.
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন....
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ