āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4929

গল্প:#নীলাম্বর
লেখক-গালিব হোসেন(রোমান্টিক ম্যাজিশিয়ান)

(০১)
চারিপাশ হতে কালো মেঘ ধেয়ে আসছে।বইতে শুরু করেছে ঝড়ো হাওয়া।
এমন সময় রাস্তার মাঝে বিভ্রান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রফি।বাড়ি ফিরতে এখনো দুই কিলোমিটার পথ পারি দিতে হবে তাকে।অপরদিকে কোনো রিক্সা সে পথে যেতে নারাজ।এমতাবস্থায় বিভ্রান্ত হবারি কথা।
আবার বাড়িতে নিধী তাঁর অপেক্ষায় বসে আছে।একটু দেরী হলে মেয়েটা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নায় ভেঙে পরবে।

এমত  চিন্তার মাঝ থেকে হঠাৎ একটি রিক্সা যেতে রাজি হলো।ভাড়া বেশী চাইলেও পরিস্থিতির স্বিকার হয়ে রফি দ্বিতীয় কথা না বলে উঠে পড়লো।
.
মাঝ পথে নেমে এলো তুমুল বৃষ্টি।ভিজিয়ে দিলো রফি সহ তাঁর ব্যাগে থাকা সব কাগজপত্র গুলাও।তবে সেদিকে রফির কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই,মন যে নিধীর তরে।

কিছুক্ষেণ বাদে রিক্সা পাঁচতলা এক বাড়ির সামনে এসে থামলো।বেলকনি থেকে নিধী রফির দেখে পেয়ে ছাতা হাতে বেড়িয়ে এলো।
তারপর রফি ভাড়া মিটিয়ে একি ছাতার নিচে ফ্লাটে চলে গেলো।
ভাগ্যক্রমে অল্প সময়ে শুরু হয়ে গেলো ব্যাপক চিল্লাচিল্লি....
  - তুমি বৃষ্টিতে ভিজলা কেনো?তোমার কতবার বলেছি বৃষ্টি হলে কোনো দোকানের নিচে দাঁড়াবা।
  - দোকান ছিলোনা।
  - কোন দেশে থাকো তুমি,যে দোকান থাকেনা!আমি কিছু বুঝিনা..না!আমায় জ্বালাবা বলে ইচ্ছা করে বৃষ্টিতে ভিজেছো।
  - বৃষ্টিতে ভিজার সাথে তোমায় জ্বালানোর কি সম্পর্ক!আর চিল্লাচ্ছো কেনো?
  - হুম,এখন তো আমার কথা গুলো চিল্লানি মনে হবে।পুরনো হয়ে গেছি যে।
  - ধ্যাত!কি রান্না করছো?
  - খিচুরি আর ইলিশ মাছ ভাজা।
  - ওয়াও,সত্যি!
  - হুহ্।
বলে বালিকা "ডাউলভাত এবং পুটি মাছ ভাজা" সামনে দিলো।
.
ভদ্র ছেলের মতন খাওয়াদাওয়া শেষে রফি যেইনা জিজ্ঞাসা করলো "তুমি খেয়েছো?",ব্যস শুরু হয়ে গেলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
  - সেটা জেনে তোমার কি হবে!আমি খাই বা না খাই তাতে তোমার কিছু যায় আসে!
  - এমন ব্যবহার করছো কেনো?
  - ওহ্,এখন ব্যবহার গুলাও সহ্য হয়না।ভালো খুব ভালো।
  - কি হইছে বলবা?
  - কি বলবো?বললে পরে তোমার যদি সহ্য না হয়!
  - ধুরর,ফুচকা খাইতে ইচ্ছা করছে?
  - নাহ্।
  - স্প্রিড খাবা?
  - না।
  - বিরিয়ানি!
  - না।
  - উম্ম..পিজ্জা?
  - ধ্যাত,এগুলা কিছুনা।
  - তো!
  - পরে কিন্তু সন্দেহ করবানা।
  - কি সন্দেহ করবো?
  - কিছুনা।
  - আচ্ছা বলো।
  - আচার খাবো।
  - ওহ্........কিইইই!
  - হুম।[মাটির দিকে তাকিয়ে]
  - অন্য কোনো ব্যাপার নাতো।
  - উলটাপালটা সন্দেহ করতে মানা করছি।
  - ওপস!ওকে,এখনি নিয়ে আসবো।
  - ছাতি নিয়ে যাও।
বউয়ের অনুগত বরের ন্যায় রফি ছাতি হাতে আচার আনতে বেড়িয়ে পরলো।
আফসোস
কিছুক্ষণ বাদে আচার নিয়ে বাসায় ফিরলেও ঝাড়ির হাত থেকে রেহাই নেই......
  - ওই তুমারে আমি এইটুকু আচার আনতে বলছি?
  - তো কতটুকু আনবো?
  - কমপক্ষে এক মাসের জন্য তো আনবা।
  - এতো দিয়ে কি করবা?
  - যা খুশি করি,তোমায় আনতে বলছি আনবা।
  - আবার যাবো!
  - যাওওও।
তারপর বলক গিয়ে কয়েক বোয়ম ভিন্ন ভিন্ন পদের আচার নিয়ে এলো।
তবে এবার আর হতাশার পালা নয়,কারণ নিধী আচার গুলো পেয়ে খুশিতে ড্যাবড্যাব।
(০২)
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর পরিবেশ কিছু অন্য থাকে।
চারপাশ শীতল আবরণে ভরপুর।
এবং সেটা যদি হয় রাত,তবে স্বপ্নাদ্যের রূপ।
ঠিক এমনি সময় নিধী ঘুম থেকে উঠে রফির কানে কানে বললো "এই তুমি আব্বু হতে চলেছো।"
কথাটা শোনা মাত্র রফি লাফ দিয়ে উঠলো।নিধী তখন হতোভম্ব  হয়ে জিজ্ঞাসা করলো "ঘুমাওনি?"
  - রাখো তোমার ঘুম,স্বপ্নে কে যেনো বললো আমি আব্বু হতে চলেছি।
  - ওয়াও!তারপর?
"তারপর আমি তাঁর দিকে ধীরে ধীরে এগোলাম" বলে রফি নিধীর একদম কাছে চলে গেলো।
নিধী এরূপ অবস্থায় নিচু স্বরে বললো "তারপর?"
  - আমি তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে,সেটা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে।চারিপাশে শীতল হাওয়া বইছে।কারো মুখে শব্দ নেই,দুজনেরি ঠোঁট কাপছে।"
  - তারপর?[রফির হাত চেপে ধরে]
  - সে শক্ত করে আমার হাত চেপে ধরলো,আমিও শক্ত করে তাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে ঠোঁট ছুঁয়ে দিলাম।
  - এটা কি হলো!
  - এখনো হয়নি,হবে।
  - কি!
  - বেবি।
  - কার?
  - তোমার।
  - তুমি না ঘুমিয়েছিলে?
  - হুম,তো?
  - জানলা কি করে?
  - কি জানলাম!
  - বেবির কথা।
  - হিহিহি,বেশী করে আচার কিনা দেখে দোকানদার বলেছে।
  - ধ্যাত,এখন যে আমার লজ্জা করছে!
"থাক সোনা,আমার বুকে মুখ লুকাও" বলে রফি নিধীকে আলতো ভাবে জড়িয়ে শুয়ে পরলো।
মনে আজ তাঁর রঙিন স্বপ্ন,ভালবাসার হাতছানি।
পূর্ণতা পেয়েছে সব চাওয়া,আকাশ যেমন মেঘহীন।
*
বৃষ্টি!
সে তো মেঘের দ্বিতীয় রূপ।
এবং ভালবাসা -
অভিমানের আরেক প্রতিরূপ।
…………………<সমাপ্ত>………......……

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ