ব্যাচেলর
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
-মাহির শোনো একটা কথা আছে
-......
( কথা শোনার কোনো ইচ্ছা নাই তাই হাটা দিলাম সামনের দিকে
- প্লিজ মাহির শোনো, একটিবার প্লিজ
-হুমম, বলো
- আসলে ওই দিনের জন্য আমি সরি
- ইটস ওকে বলে আবার হাটা দিলাম
- মাহির শোনো প্লিজ, এমন করছো কেন
- আবার কি
- আমাদের সম্পর্ক টা কি আবার কনটিনিউ করা যায় না
- কাছে আছো
- কেন
- আগেই আসোই তো
- ঠাস
- এটা কি হলো
- আরেক টা মারলে হয়তো বুঝবে কি হলো
মেয়েটার চোখে পানি এসে গেল,
- তুমি আমাকে এভাবে থাপ্পর মারবে ভাবতেই পারি নি
- মেরেছি ভালো করেছি যাও এখান থেকে
নিরু কে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হাটা শুরু করলাম,
কি ভাবছেন কোনো কারন ছাড়া কেন মারলাম নিরুকে। কারন তো আছে তবে সেটা শুনতে হলে যেতে হবে গল্পের শুরুতে,
আমি একজন ব্যাচেলর। ব্যাচেলর দের জন্য রুম পাওয়া যে কত কষ্টের তা তো জানেন ই। রুম খুজতে খুজতে অবস্থা খারাপ কোনো রুম পাই না। শেষ একটা রুম পেলাম তাও আবার সেটা একটা চিলে কোঠা।
- আংকেল আমি রুম ভাড়ার জন্য এসেছি
- হুমম বাবা বসো
- ওকে
- ব্যাচেলর নাকি
- হুমম...
- ব্যাচেলর তো ভাড়া দিতে চাই না, কিন্তু রুম টা একটু ছোট তো ফ্যামিলি ভাড়া পাওয়া কষ্ট।
- আমি কিন্তু এডযাস্ট করে নিতে পারবে
- কিন্তু
- প্লিজ আংকেল
- ওকে তবে শর্ত আছে কিছু
- জ্বি বলেন
- দুই মাসে এডভান্স দিতে হবে
- ওকে
- রাত ১১ টার আগে রুমে আসতে হবে
- ওকে
- কোনো ফেন্ড দের বাসায় আনা যাবে না
- কোনো ফেন্ডকে ও না
- না
-ওকে
- কোনো রকম গান বাজনা হৈ হুল্লোর চলবে না।
- ওকে
- মাসের ৫ তারিখের বিতর ভাড়া দিতে হবে
- ওকে আঙ্কেল
- ঠিক আছে যাও এবার এই নাও চাবি
- আংকেল আমি তো নিজে একজন পার্ট টাইম সিঙ্গার মাঝে মাঝে গান চর্চা করি, তো আমি চাই ছিলাম মাঝে মাঝে গিটার দিয়ে গান চর্চা করলে কি খুব বেশি সমস্যা হবে
- না,
- ওকে আঙ্কেল যাই
- শোনো বসো, রবিন্দ সঙ্গিত পারো
- জ্বি আঙ্কেল পারি
- বাহ ভালো তো, আমি আবার রবিন্দ সঙ্গিতের ফ্যান বলতে পারো
- ওও
- মাঝে মাঝে কিন্তু গান গেয়ে শোনাতে হবে
- ওকে আঙ্কেল
- যাও তাহলে এখন
- ওকে
যাক বাড়ি ওয়ালার কোনো একটা জিনিস তো পছন্দ হলো।
চিলে কোঠা খুব বেশি ছোট না, একা মানুষ খুব বেশি সমস্যা হবে না।
রুম টা সুন্দর করে গোছালাম।
রাতে বের হলাম ছাদে, সুবিধা একটাই ছাদ সবসময়ের জন্য উন্মুক্ত।
সুন্দর আকাশের সাথে বিশাল এই ছাদ টা বেটার একটা জিনিস বলতে গেলে।
রাতে ২-৩ টা গানের রিয়ারসেল দিতাম। কারন পরের দিন, একটা অনুষ্ঠানে গান গাইতে হবে।
গান শেষে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
ঠিক দুই দিন পর,
- আজ গান গাইবেন না
- না, কিন্তু কে আপনি
- আমাকে চিনতে পারছেন না
- না তো
- চিনে কি হবে, এতটুকু মনে রাখেন যে আমিও এই বাসায় থাকি।
- ওও,, ওকে
- আপনি তো ভালোই গান করেন
- চেষ্টা করি
- ঠিক আছে আপনি গান করুন আমি শুনি
- শুনবেন,,, ওকে
গান শেষে,
- সুন্দর, আচ্ছা আপনি আমাকে তুমি করে বলতে পারেন
- একা কেন আপনি বললে সমস্যা কি
- ঠিক আছে বাই
- কিন্তু নামটা তো বলে গেলে না
- নিরু
মেয়েটা যে বাড়ি ওয়ালার মেয়ে বুঝতেই পারিনি। বুঝে ছিলাম যেদিন ওর বাবা এসে ছাদে ওর নাম ধরে ডাক দিলো, আমি আর নিরু বসে ছিলাম
- নিরু, কি করিস মা
- ওনার গান শুনছিলাম
- এত গান শুনতে হবে না যাও এখান থেকে
- ওকে বাবা
আঙ্কেল আমার দিকে হেটে এলো, সামান্য ভয় পেলাম,
- মাহির
- জ্বি আংকেল
- একটা রবিন্দ সঙ্গিত শোনাও তো
- ওকে
গান শেষে আঙ্কেল বাহ বা দিয়ে চলে গেল।
আমি মনে করেছিলাম নিরু আর আসবে না গান শুনতে, কিন্তু না পরের দিন আবার এসেছে নিরু কিন্তু সাথে একটা টিফিন বাটি,
- এই নাও মাহির
- কি
- তোমার জন্য লুডুস রান্না করে এনেছি
- আমার জন্য
- নাও তো
- আঙ্কেল কিছু বললো না
- বাবা তো জানেই না
- ওও ওকে
- আচ্ছা আমি যায়, বিকালে আসবো তোমার গান শুনতে
- ওকে
বিকালে,
- আচ্ছা আমাকে একটু গান শিখাবে মাহির
- তুমি গান শিখে কি করবে
- এমনি সখের বসে
- কিন্তু আমি কিভাবে শিখাবো আমার কাছে তো হারমুনি নেই
- গিটার দিয়ে শিখাবে
- ওকে
-এই দেখ গিটার কেমনে ধরতে হয়
- ওকে দাও আমার কাছে
নিরু কে গিটার ধরা শিখাতে গিয়ে নিরুর সাথে কয়েকবার স্পর্শ লাগলো আমি সরি বললাম মেয়েটা শুধু মুসকি হাসি দিলো, এই হাসি টার মানে কি।
কখনো কোনো মেয়ের এত কাছে যায় নি, তাই একটা আন ইজি লাগছিলো
- এমন দুরুত্ব বানিয়ে রাখলে শিখবো কিভাবে
- আসলে আমার একটু লজ্জা করছে
- উল্টো কাহিনি দেখি
- কেমন
- আমি তোমাকে কাছে আসতে বলছি, আর তুমি বলছো তুমি লজ্জা পাও, লজ্জা পাওয়ার কথা তো আমার।
- আসলে
- ধুর কাছে আসো তো, আর হাত দিয়ে দেখিয়ে দাও কেমনে ধরতে হবে গিটার টা
আমি নিরুকে গিটার ধরা শিখিয়ে দিলাম। কিন্তু শিখতে নিরু বারবার ভুল করছিল, আমি জানি না কেন এমনটা করছিল, তবে প্রত্যেক বার ওকে স্পর্শ করতে হচ্ছিল।
একটা মেয়ের একটা সান্নিদ্ধ যেকোনো ছেলের মনে ঝড় তুলে দিতে পারে, তবুও নিজেকে কন্টোল করলাম।
- আজ এত টুকুই থাক, কাল আবার
- ওকে
নিরু চলে গেল। মনে হলো হাফ ছেড়ে বাচলাম। কখনো কোনো মেয়ের এত কাছে যায় নি।
কি চাই মেয়েটা গান শিখতে নাকি অন্য কিছু। যা হবার পরে দেখা যাবে।
পরের দিন টিফিন বাটিতে কি যেন নিয়ে আসলো নিরু,
- কি এনেছো
- খিছুরি
- বাহ ভালো
বিকালে বসে আছি আমি আর নিরু,
- নিরু আকাশ তো মেঘলা বৃষ্টি নামতে পারে কিন্তু
- নামলে নামুক সমস্যা নাই
কিছুক্ষন পর সত্যি সত্যি বৃষ্টি নামলো, আমি গিটার টা নিয়ে দৌড়ে রুমে চলে গেলাম, কিন্তু যেখানে ছিলো সেখানেই দাড়িয়ে থাকলো,
- বৃষ্টি তে ভিজছো আঙ্কেল কিছু বলবে না,
- বলবে না
- তাহলে ভিজ
- তুমি আসো না প্লিজ
আমাকে জোড় করে নিয়ে গেল নিরু,
বৃষ্টিতে যতটুকু ভিজছি, তার থেকে বেশি আমার খেয়াল নিরুর দিকে, কি চাই মেয়েটা, কোনো ভাবে কি আমাকে পছন্দ করে নাকি ।
- কি দেখ মাহির
- তোমাকে
- আমাকে কি আগে কখনো দেখ নি নাকি
- না, এই তোমাকে আগে কখনো দেখি নি
- দুর কি সব যে বলনা তুমি,
- সত্যি
- জানো বৃষ্টিতে ভিজতে আমার অনেক ভালো লাগে
- হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি
- আচ্ছা থাকো, যাই
- ওকে
পরের দিন,
- মাহির তোমায একটা কথা বলি
- হুম
- এখন না আগে প্যাকটিস টা করি তারপর
- ওকে
আমি আর নিরু বসে আছি পাশাপাশি,
গিটার টা নিরু হাতে
- কি হলো বাজাও
- মন চাইছে না, তুমি বাজাও
- ওকে দাও
- আমি গান করছি হঠাৎ নিরু আমায় কাতুকুতু দিলো
- এটা কি হলো
- কিছুনা বলেই আবার
- নিরু ঠিক হচ্ছে না কিন্তু
নিরু শুনলো না আমার কথা, আবার দিলো
আমি নিরু হাতটা চেপে ধরলাম
তখনই নিরুর বাবা এসে হাজির,
- হচ্ছে টাকি
- আমি আমতা আমতা করে কিছু না আঙ্কেল
- নিরু দৌড়ে তার বাবার কাছে গেল,
- মা নিরু,বদমাইস টা কি তোকে স্পর্শ করছে নাকি
নিরু দেখি মাথা নাড়ছে,
- সত্যি আঙ্কেল আমি কিছু করি নি, নিরুই আমাকে
- ঠাস,
গালে হাত দিয়ে দারালাম,
- তোমার আর কথা বলতে হবে হবে না, তুমি কি মনে করো আমার মেয়ে কে বাদ দিয়ে তোমার কথা শুনবো
আর কিছু কথা বললো যা বলার বাইরে
- কালই চলে যাবে বলে রাখলাম
- ওকে আঙ্কেল
আগের ছেলেটাও যেমন ছিলো এটাও তেমন ভেবেছিলাম ভালো হবে ছেলেটা । আঙ্কেল আস্তে আস্তে কথা গুলো বলতে বলতে নিরু কে নিয়ে নিচে নেমে গেল,
বুঝতে পারলাম কাজ গুলো নিরু ইচ্ছা করেই করে, নিজের আনন্দের জন্য
পরের দিন বাসা ছেড়ে চলে আসলাম,
অনেক কষ্টে একটা সাবলেটে উঠলাম।
নতুন বাসায় ওঠার পনের বিশ দিন পরেই দেখাই নিরুর সাথে তখনই কথা গুলো হয় নিরুর সাথে,,
- মাহির প্লিজ,
....
- হাত টেনে ধরলো নিরু, প্লিজ মাহির আমি তো মাফ চাচ্ছি, আমাকে মাফ করে দাও।
- নো ওয়ে, তুমি প্লিজ পারলে তোমার কোয়ালিটি কাউকে খুজে নাও
- কিন্তু
- কোনো কিন্তু না যাও প্লিজ
নিরু গেল কিনা কে জানে আমি আর পিছন ফিরে তাকায় নি
কয়েক কদম পার হতেই মনের মধ্যে একটা আনন্দ উদয় হলো, যাক কিছুটা হলেও রিভেন্স নিতে পারলাম,
আর মনের সুখে গান ধরলাম,
.
ব্যাচেলর আমি ব্যাচেলর
বিন্দাস লাইফে কোনো পেইন নেই আমার
.
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন....
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ