āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4902

গল্প:- স্মৃতির পাতায়!
লেখা- Jaidul Islam
বাস্তব জীবন থেকে নেয়া।
.
এখন বাংলা ১ম মাসের শেষ সময়,প্রকৃতি নানারকম রুপে সুসজ্জিত হয় আবার কখনো ধারন করে ভয়ংকর পরিস্থিতি।

আজ ১৪ ই মে ২০১৮,
আমার এখনো ঠিক মনে আছে যখন আমি ৯ম শ্রেণি তে পড়তাম তখন অনেক চঞ্চলতা আমার মধ্যে ছিলো,ছিলো নানানরকম এর অদ্ভুত কাজ করার কারসাজি। বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সবসময় আনন্দে হাসিখুশিতে মুখরিত থাকতাম। ছিলো না রাগ-অভিমান-হিংসা-বিদ্বেষ, শুধু একটাই কাজ বন্ধুবান্ধবদের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত মজা করা।

কিন্তু কখনওই কেউ রাগ হতো না,আমার বন্ধুত্বের বিশালতা ছিলো অসীমে। ছোট-বড়,চেনা -অচেনা সবার সাথেই আমার ভাব ছিলো অনেক মধুময়!  আমি কখনো বৃষ্টিতে ভিজে স্কুলে যাই নি কিংবা ভিজে বাসায় ফিরি নি। তাই বলতে পারি না বৃষ্টিতে ভিজে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার আনন্দের কথা।
.
বৃষ্টি দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে, আমি বৃষ্টির সময় জানালার পাশে বসে দেখতাম। আর মনের মধ্যে নানানরকমের চিন্তাভাবনা সৃষ্টি হতো। ভাবতে ভাবতে কোথায় যে হারিয়ে যেতাম ইশ! ভাবলে অনেক মজা লাগে ও হাসি পায়।
.
দেখতে দেখতে কেটে যায় ৯ম শ্রেনির হাসিউজ্জল দিনগুলো। এবার ১০ম শ্রেনিতে উঠলাম।  উঠার পর আরো অনেক পরিবর্তন আমাদের সবার মাঝেই। কেননা , এখন আমরা স্কুলের সিনিয়র। নিজেদের সিনিয়র ভাবা অনেক গর্বের ব্যাপারস্যাপার। আমরা ও তাই অনুভব করতেছিলাম।
.
স্যারদের সাথে যেমন আমরা সবাই ফ্রি হয়ে গেলাম।স্যারেরা আমাদের যেনো এক নামেই চিনে,কারন হলো-: আমাদের ব্যাচের ছেলেদের একেকজন এর জন্য স্পেসাল স্পেশাল নাম ছিলো। তার মধ্যে অন্যতম হলো - খাচ্চোর ফইন্নি,ঘোড়া,গরিবুল্লা,ধেনু,চিনু,ব্যাটারি, কান্দুনি,ম্যাগনেট ( 😒), খাসি দ্যা গ্রেট, আন্ডা,মাইলস্টোন আরও অনেক মজার মজার নাম।
.
স্যারদের চোখে আমি কালারফুল ছিলাম 😳।এমন কোনো শিক্ষক / শিক্ষিকা নাই যে, আমাকে চিনে নাই 😁। ক্লাসে বসে শয়তানি করায় একধাপ এগিয়ে ছিলাম 😏। এটা আবার কোনো টিচার ধরতে পারতো না 😇। ৩৬৫দিনের মধ্যে আমাদের স্কুল খোলা থাকতো ২১০ দিন।আর এই ২১০ দিন ই আমরা চার বন্ধু একই বেঞ্চে বসতাম। ক্লাসের সাম্নের বেঞ্চ টা ছাড়া যেনো আমাদের আর অন্য কোনো বেঞ্চ ছিলো ই না।
.
পড়া পারি আর না পারি সবসময় ই সাম্নের বেঞ্চে বসতাম আমরা ৪জন। এদের মধ্যে স্বনামধন্য ইডিয়ট আমরা ৩জন। আমি,সজীব,রিয়াদ এই ৩জন একসাথে থাকা মানে ঐদিনের ক্লাসের বারোটা বাজানো। আরো একটা মজার ব্যাপার হলো আমাদের এতো শয়তানি করার পরও কিংবা স্যারেরা জানার পর ও আমাদের কখনোই আলাদা বেঞ্চে বসার জন্য বলে নাই অথবা সিট চেঞ্জ করে দেয় নাই।
.
এমন করেই কেটে যাচ্ছিলো আমাদের সোনালি রৌদ্রময় দিনগুলো। এরপরে আসে এক্সাম টাইম,এক্সাম দিলাম। আর আমরা ৪জন একই সাথে প্রাইভেট পড়া,স্কুলে যাওয়া-আসা,পিকনিক, স্টাডি টুর,হ্যাং আউট এসবের সবকিছু ই একত্রে করতাম।
.
এর মধ্যে আমরা একেকজন একেকরকম ছিলাম।
১-(হাসান)- সারাক্ষণ পড়া আর পড়া
২-(রিয়াদ)- সারাক্ষণ তামিল মুভি নিয়া রিসার্চ
৩-(আমি)- সারাক্ষণ ইন্টারনেট নিয়া রিসার্চ
৪-(সজীব)- সবসময় ব্রেকিং নিউজ শোনানো
.
হ্যা,
তোমাকে আগে বলেছিলাম আমরা ৬জন বেষ্ট ফ্রেন্ডস গ্রুপ ছিলাম।কিন্তু দুঃখের বিষয় এটা যে সবার সাথে  বন্ধুত্ব সবসময় থাকে না। এটা যখন প্রয়োজন ঠিক তখন ই ধরা দেয়,প্রয়োজন শেষে সবাই চলে যাবে আর এটাই স্বাভাবিক।
.
আমরা ৩ইডিয়ট সবসময় একইরকম আছি,ছিলাম, রয়েছিও।এরমধ্যে আমরা ২জন গভমেন্ট কলেজে, আর বাকি দুজনের মধ্যে একজন ঢাকায় আর একজন আমাদের পাশের কলেজে। কিন্তু দুরত্বটা বাড়লেও আমাদের রিলেশনশিপ একটুও কমেনি।
.
আমাদের ৩ইডিয়ট সবসময় ই একত্রে আছি। কিন্তু আগের মতো এতো চঞ্চলতা আমাদের মাঝে তেমন নেই। আগেরমতো শয়তানি আর খোঁচাখুঁচি এসব নেই। একসাথে থাকার পরও আমাদের মধ্যে নিরবতা বিরাজমান।কারন,আমাদের মাথা নেই। আমরা মাথা বিহীন একটা বডি। আমাদের মাথাটা ঢাকায় চলে গেছে। তাই আমরা নিশ্চুপতাকে বেছে নিয়েছি।
.
এতসব হওয়ার পর ও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ অনেকটাই হারিয়ে যাওয়া ভাইকে ফিরে পাওয়ার মতই।যখন ই চেনা সেই নম্বর থেকে কল আসে তখন এতো হ্যাপি ফিল করি,যা ভাষায় প্রকাশের মতো না। এখন তো আর আগেরমতো  কেউ কল করে বলে না,
.
-"জাইদুল তুই কই,"(হাসান),
- হ্যা,ভাই বলো,এইতো আমি।
-ভাই,একটু বাসায় আয় না,একা একা লাগতেছে।
-ওকে,আমি আসছি ৫মিনিট এর মধ্যেই।
.
তুমি আমাকে বিশ্বাস করো,আমি ৫মিনিট এর মধ্যেই তার বাসায় উপস্থিত হতাম।
.
মনে পরে সেই সময়কার কথা গুলো,
.
হাসান- যদি কখনো আমরা অনেক দূরে দূরে অবস্থান করি তাহলে আমরা ই-মেইলে যোগাযোগ করবো।
.
সজীব - ভাই, ইমেইল কিভাবে ইউজ করে?
.
রিয়াদ - ইমেইলে তোমাকে কাজল-আগারওয়ালের ছবি পাঠাবো 😝( ইন্ডিয়ান এক্ট্রেস)
.
আমি- সেতো খুব ভালো কথা, আর অনেক মজার ব্যাপার ও, যাই হোক আমি কিন্তু সবাইরে সাথে নিয়ে তোমার সাথে ভিডিও কলে কথা বলবোই এখন তুমি যেখানেই থাকো না কেনো।
.
এভাবে কেটে যায় ১০ম শ্রেনির দিন গুলো।দেখতে দেখতে সসচ-২০১৭ হাজির। এক্সাম দেয়ার পর কোথাও ঘুরতে যাবার সৌভাগ্য হয়নি কারো। সেদিন আমি কান্না করেছিলাম,যখন হাসান আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছিলো। আমি নিজেকে বুঝাতে পারিনি কোনোভাবে ই।
.
হাসানের সাথে আমার এখনো প্রায়শই যোগাযোগ আছে,অন্য ২জনের সাথে হাসানের কম যোগাযোগ থাকলেও আমার সাথে সবসময় যোগাযোগ আছে। এটা ভেবে অনেক প্রাউড ফিল করি।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ