āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4909

বেশ কয়েকটা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট ঝুলে আছে। অনেক দিন হতেই।  ডিলেট করে দিবো ভেবেও কেন যেন এক্সেপ্ট করলাম!  হয়তো মনের ভুলেই।  এক্সেপ্ট করার পর মহুর্তেই একজন ইনবক্সে ম্যাসেজ দিলো।

-কেমন আছেন আপু?

-ভালো,  আপনি?

-ভালো।  আপনার বাসা কোথায়?  ভারত না বাংলাদেশ?

-বাংলাদেশ।

-গ্রাম?  জেলা?

-কেন?

-বন্ধু হতাম।

-কেমন বন্ধু?

-ক্লোজ্ড ফ্রেন্ড।

-কোন ছেলে আর মেয়ে কি ক্লোজ্ড ফ্রেন্ড হতে পারে অন্য কোন সম্পর্ক ছাড়া?

-কেন নয়?  ভয় পাচ্ছেন আমি আপনার সাথে প্রেম করবো।।

না অনেক হয়েছে।  এমনিতে দরকার ছাড়া কারো সাথে চ্যাটিং করি না।  সে সময় আর কোথায়?  সংসারের কত কাজ!  পড়তে হয়।  রান্না ঘরে যেতে হয়।  কাপর ধুতে হয়। ব্যস্ততার মাঝেও ফেসবুকে আসি অবসরে ফেসবুক ফ্রেন্ডের গল্প পড়তে,  যদিও বেশিরভাগ গল্পই বস্তাপঁচা প্রেম কাহিনী নির্ভর।

ছেলেটার প্রফাইলে গেলাম।  জন্ম সালটা ২০০২।  আমার জন্মের আঠারো বছর পর ছেলেটার জন্ম!  আর সে কি না আমাকে ওভাবে বলতেছে? আশ্চর্য হলুম না।  ভার্চুয়ালের এমন ঘটনা আজ কাল আর আমার কাছে অবাক করার মতো নয়।  জবাব দিলুম।

- সে সুযোগ নেই বাছা। আমি তোমার মা কিংবা বড় বোনের বয়সী।। আমার এবাউট দেখো।

- প্রেম কি বয়সের ভিত্তিতে হয় না কি? 

এর পর আর জবাব দেওয়ার মতো অবস্থা থাকে না।  ছেলেটাকে আনফ্রেন্ড করি।  ফেসবুকে মেয়ে দেখলেই আজকাল কিছু নাদান পোলার প্রেম জাগে!  ওই ছেলেটা অমনই।  একদিন চ্যাটিং করলেই পরের দিন প্রেম নিবেদন করাটা ওদের স্বভাব।  আজ আপু ডাকবে,  কাল সুযোগ পেলে জানু ডাকতে চাইবে।

শুধু কিই এই প্রেম নিবেদন?  কেউ কেউ সরাসরি তাদের সাথে নোংরা আলাপ করতে আহব্বান করে । কেউ কেউ নারী পুরুষের অশ্লীল নগ্ন ছবি পাঠিয়ে দেয় ইনবক্সে।  ছবিতে মন্তব্য করে সেক্সি,  সো হট.... ইত্যাদি।

এর কারন আছে।  রাস্তায় দাড়িয়ে বা গার্লস স্কুলের সামনে দাড়িয়ে মেয়েদের টিজ করার চেয়ে ফেসবুকে একটা মেয়েকে ইনবক্সে, তার  ছবি/লেখাতে মন্তব্য করে টিজ করা খুব সহজ এবং বেশ নিরাপদও। তাই সমাজের প্রতিষ্ঠিত ভদ্র পুরুষও কখনো কখনো ফেসবুকে ইনবক্সে নোংরা হয়ে ওঠে যে কিনা বাস্তব জীবনে নারী দেখলেই মুখ ফিরিয়ে পথ চলে,  হতে পারে  সেটা তার লোক দেখানো!

১৫/১৬ বছরের কিশোর ছেলেটা পর্ন দেখে, চটি পড়ে   নারীর সপ্নে বিভোর হয় ।  আমাদের সংস্কৃতি নামক চলচ্চিত্রের দেহলীলা বা প্রেমলীলা দেখে তাদের মস্তিষ্কে ঘুন ধরে। নিজেকে ভাবতে শুরু করে পরিনত পুরুষ।  তারো  প্রেমিকা চাই।  তারো একটা নারী দেহ চাই। দেহ না পাক অন্তত কুরুচিপূর্ন কথা বলার মতো একটা নারী সঙ্গী চাই। এই চাই, এদের এ চাওয়াটা বাস্তবিক জিবনে পাওয়া খুব কঠিন তাদের জন্য। সামাজিক নিয়ম কানুন,  বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করার দুঃসাহস তারা করতে পারে না।  তাই তারা ফেসবুকে নোংরা হয়ে ওঠে।  নারী প্রফাইলে হামলে পড়ে - ফেসবুকেই ধর্ষক হয়ে ওঠে তারা।

এটা একটা মানষিক ব্যাধি।  এটা হতে প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে।  তা না হলে পরবর্তী প্রজন্ম ধ্বংশ হয়ে যাবে অশ্লীলতাকে আকড়ে ধরতে গিয়ে। সে জন্য বিভিন্ন পর্নসাইট গুলো,  চটি ওয়েব পেজ / ব্লগ সমুহ বন্ধ করে দেয়া বা দেশীয় সার্ভার হতে ব্লক দেয়া আমাদের দেশের আইটি বিভাগের প্রধান কর্তব্য হয়ে দাড়িয়েছে। চলচিত্রের যে নগ্ন উৎসব চলে আসতেছে তাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।  প্রত্যেক পিতামাকাকে তাদের সন্তানের প্রতি আরো বেশি দায়িত্ববান হতে হবে। সন্তানের আচার আচরনের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।  পর্ন বা চটি কিংবা অপসংস্কৃতিকে সহজলভ্য করে এমন সব কিছুর ( ইন্টারনেট/বিভিন্ন টিভি সিরিয়াল/চলচিত্র) ব্যাপারে সন্তানকে নজরদারীতে রাখতে হবে। সন্তানকে ধর্মীয় অনুশাসন গুলো মানার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে। 

আর তা না হলে নারীরা বাস্তবিক জীবনের পাশাপাশি ভার্চুয়েলেও লাঞ্চিত হবে। নারীবাদের হাজার আইন/নিষেধ দ্বারা যা রোখা সম্ভব হবে না কখনো।

লেখা:  নুর আলম সিদ্দিক

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ