জুনিয়রের জয় ( ভালবাসার জয় )
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
.....
...
..
- হাই ভাইয়া
- হ্যালো আন্টি
- ওই আমি তোমার আন্টি হয় কেমনে
- আমি আপনার ভাইয়া হয় কেমনে
- তুমি আমার থেকে বয়সে ছোট তাই আমি তোমাকে ভাইয়া বলতেই পারি
- আপনিও আমার থেকে বয়সে বড় আমিও আপনাকে আন্টি বলতে পারি
- দুর তোমার সাথে কথা বলাই বেকার
- তো কাজের কিছু করুন না
কথাটা কানে নিলো কিনা কে জানে, কলেজের দিকে রওয়ানা দিলো নিরু। আমি যেমন ফোনের দিকে মনোযোগী ছিলাম তেমন ই ফোনের দিকে আবার মনোযোগ দিলাম ।
পরের দিন সকালে,
- প্রতিদিন এখানে বসে বসে কি করো ভাইয়া
- Wifi চালাই আন্টি
- আবার ও আন্টি
- কেন আপনি আন্টির থেকে কম কই
- বাদ দাও, আগে বলো এখানে wifi এলো কোথা থেকে
- নতুন এসেছে আপনি জানেন না মনে হয়
- কই আমাকে পাসওয়ার্ড টা দাও তো
- দিন ফোন টা দিন
- কি হলো একটিভ হয়েছে
- আসলে একটা সমস্যা হয়েছে
- কি
- আন্টিদের মোবাইলে এই নেটওয়ার্ক পাই না ভাইয়াদের মোবাইল লাগবে
- ধুর তোমার আন্টির নেটওয়ার্কের গুষ্টির শষ্টি
পরের দিন,
- ভাইয়া
- জ্বি আন্টি
- প্রতিদিন কি আমাকে দেখার জন্য এখানে বসে থাকো !
- না তো আমি তো উট পাখির ডিম দেখার জন্য বসে থাকি।
- আমি কি দেখতে উঠ পাখির ডিমের মতো নাকি
- আমি কি আপনাকে বলছি নাকি
- ও আমি তো মনে করছি আমাকে বলছো
- তোমাকেই তো বলছি বুজলে না ( আস্তে করে)
- কিছু বললে ভাইয়া
- না আন্টি আপনি কলেজে যান।
নিরু কলেজে চলে গেলো। আমি বসে বসে গেমে মন দিলাম। দুজন একই কলেজে পরি কিন্তু নিরু আমার থেকে ওয়ান ইয়ার উপরে।
কলেজে প্রথম যেদিন নিরুকে দেখি সেদিন লাভ এট ফাস্ট সাইট হয়ে যায়। তার পরেই বাসা চেন্জ করে নিরু দের ফ্লাটে চলে আসি । আর এখানেই চলে লাভ থেরাপি।
প্রতিদিন সকালে দাড়িয়ে থাকি বাসার গেটের কাছে কারন নিরু প্রতিদিন কলেজ যায়। বাসা একটা হওয়ায় কলেজে খুব একটা যায় না আমি। নিরুকে তো প্রতিদিন দেখতেই পাই।
এর কিছুদিন পর নিরুর জন্মদিনে ঠিক রাত ১২ টায় ম্যাসেজ দিলাম নিরুকে,
- হাই আন্টি ১৮ তো ছুয়ে ফেল্লেন এবার একটা বিয়ে করুন আমরা একটা বিয়ে খাই
- ধুর এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করবো নাকি
- তো বিয়ে করছেন কবে
- তোমাকে বলতে হবে নাকি, যাও ফোটো ভাইয়া।
আর আর ম্যাসেজ দিলাম, মেয়েটা কি কখনো বুঝবে না যে আমি ওকে ভালবাসি। সব সময় বয়সে বড়ো বলে আপুগিরি দেখাই।
সকালে ঘুম থেকে উঠতে লেট হলো বিকালে নিরুর বার্থডে পার্টি তাই ওর জন্য একটা গিফ্ট কিনে আনলাম।
বিকালে পার্টি তে
অনেক লোকজন এসেছে ১০০ লোক হবেই মাস্ট। এত লোকের মাঝে চেনা কেউ নেই আমার। এলাকাই নতুন তাই। একাকি লাগছিলো তাই একটু ফাকা জায়গাই বসে ফোন ব্যবহার করছি,
হটাৎ নিরুর ডাক,
তাড়াফুড়া করে গেলাম নিরুর সামনে
- কি হয়েছে ডাকছেন কেন
- কেক কাটবো চলো তাড়াতাড়ি
- আমি কেনো
- আমার ভাইয়াকে বাদ রেখে আমি কি করে কেক কাটি
- জ্বি আন্টি চলুন
অনুষ্ঠান শেষে বাসায় চলে আসলাম।
...
চলবে.....
( পরবর্তি পর্ব আসছে)
জুনিয়রের জয় ( ভালবাসার জয় ) ( শেষ পার্ট)
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
.....
...
..
রাতে নিরুর ফোন,
- হ্যালো ভাইয়া
- জি আন্টি
- তোমার গিফ্ট দেখে অবাক হয়েছি তাই ফোন দিলাম
- অবাক হওয়ার কিছু নাই, যা দিয়েছি সেটা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ
- তাই বলে চশমা
- হুম আগের চশমা টা পড়লে আপনাকে আন্টির মতো লাগে
- তার মানে চশমার জন্য তুমি আমাকে আন্টি বলে ডাকো
- অনেকটা
- ওকে যাও এখন থেকে তোমার দেওয়া চশমা টাই পড়বো
- ধন্যবাদ
- ওকে বাই
- বাই
সকালে বসে আছি গেটের সামনে,
- কি করো মাহির
- গেইম খেলি আন্টি
- আমি কিন্তু তোমাকে ভাইয়া বলি নি তো তুমি কেনো আমাকে আন্টি বলছো।
- বাহ বুদ্ধি হয়েছে দেখি
- দেখ তোমার দেওয়া চশমা টা পড়ছি
- তার জন্য তো আন্টি থেকে আপডেট হয়ে বড় আপু তে এসে পড়েছেন
- আবার বড় আপু কেন
- আপনি তো আমার থেকে এক বছরের বড়।
- তাই কি আপু বলতে হবে নাকি, নাম ধরে ডাকবা, আর আপনে তাপনে বলবা না
- ওকে চেষ্টা করবো
- থাকো কলেজ যাই
- ওকে
নিরু কলেজ চলে গেল আমি বাসায় চলে আসলাম। নিরুকে এবার বোঝাতে হবে যে আমি ওকে ভালবাসি।
রাতে ফেসবুকে,,,
দেখি নিরু চ্যাটে,
- কি করো আপু
- এইতো বিএফের সাথে চ্যাট করি
- কি বলো তোমার আবার বফ এলো কোথা থেকে
- আজকেই হয়েছে
- আজকে কেমনে
- কেন তুমি জানো না ফেসবুকে পোষ্ট করছি তো দেখো, দেখলেই বুঝতে পারবে
নিরুর আইডিতে গিয়ে দেখি, নিরুর সাথে একটা ছেলের ছবি। ছবির সাথে লেখা আমার বয়ফেন্ড, কেউ নজর দিবা না কিন্তু।
পোষ্ট টা দেখে মাথায় আগুন ধরে গেলো। ফেসবুক যে কেনো ডিসলাইক অপশন টা দিলো না, দিলে তো ডিসলাইক টা দেওয়া যেত।
- কেমন দেখতে আমার বফ কে
- খুব ভালো
- লাইক দিলে না
- দিছি তো দুইটা
- আগুন ধরছে নাকি তোমার মোবাইলে
- আগুন ধরবে কেন
- না আমার মোবাইলে সামান্য তাপ লাগতাছে
আর কোনো ম্যাসেজ দিলাম না।
রাতে ঘুমালাম অনেক কষ্টে। সকালে আর নিরুকে দেখার জন্য নিচে নামলাম না।
পুরো ৪ দিন পর, বাসা থেকে বের হলাম,
ছাদে একা একা দাড়িয়ে আছি, কোথা থেকে যেন নিরুর গলা শুনলাম পিছন ফিরে তাকালাম না কেউ নেই, হয়তো ভুল শুনেছি
কিছুক্ষন পর আবার, কিছু বুঝতে পারছি না নিরু কোথা থেকে ডাকছে। ভাবলাম নিচে কোথাও থেকে হয়তো।
নিচে খুজলাম না নেই।
আবার ছাদে উঠার জন্য পা বারালাম। শেষ সিড়ি টাতে পা বাড়াতেই নিরু চিৎকার । আমি ভয়ে নিজের কন্টোল টা হারিয়ে ফেল্লাম , কয়েক দফা আছাড়, তার পরের কিছু মনে নাই।
যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখি আমি হসপিটালে। সবার আমার দিকে অমোগ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বাবা মা আমাকে দেখে অনেক খুশি হলো। ডাক্টার সবাইকে বাইরে যেতে বললো, সবাই গেলেও নিরু যায়নি। নিরু ধির পায়ে এসে সামনে বসলে
- সরি মাহির আমার জন্য তোমার এতো বড় ক্ষতি হলো
- না সমস্যা নাই তাছাড়া তুমি তো আর ইচ্ছা করে করো নি
- তবুও আমার যেনো কেমন খারাপ লাগছে তোমায় দেখে
- বাদ দাও
- ওকে
নিরু চলে গেলো রুম থেকে
সপ্তাহ খানিক লাগলো আমার সুস্থ হতে।
এই এক সপ্তাহে বুঝতে পারলাম নিরু কিছুটা হলেও আমার প্রতি এডিকটেড কারন এমন একটা দিন নাই নিরু আমার খোজ খবর নেই নি। এটাও বুঝতে পারলাম নিরুর কোনো এফেয়ার নেই। আগের যে পিকটা দিয়ে ছিলো ওটা যাস্ট আমাকে রাগানোর জন্য।
আমার সাথে মজা নেওয়ার জন্য এতকিছু আমিও তাই করলাম।
একটা মেয়ের সাথে পিক উঠে তার একটা ফেসবুকে আপলোড দিলাম
পরের দিন সকালে নিরুর সাথে জগড়া করার প্লান নিয়েই গেটের সামনে বসে আছি,
- কিরে মাহির,,, তোর সাথে একটা মেয়ের পিক দেখলাম ওটা কে
- আমার গফ।
- তোর আবার গালফেন্ড আসে কোথা থেকে
- তোমার বয়ফেন্ড যেমনে এলো আমার টাও তেমনেই এসেছে
- মজা করোস আমার সাথে
- কই মজা করলাম আমি তো প্রতিশোধ নিলাম
- তোর প্রতিশোধের গুল্লি মারি। কথা টা বলেই নিরু হাটা দিলো
আমি ডাক দিলাম,
- আন্টি
নিরু দৌরে এসে কপালে কলার ধরে
- আন্টি, আন্টি তোর, যাক বাদ দিলাম এখন থেকে আমি তোর গালফেন্ড বুঝছোস
- জোড় জবর দস্তি নাকি
- হুম জোড় জবর দস্তিই, কোনো সমস্যা
- হুম
- কি
- আমার গালফেন্ড টার কি হইবো
- আমার বয়ফেন্ড সাথে এফেয়ার করবো
- এটা কি হলো
- কন্টোল করতে পারি নি তাই
- তাই বলে এই খোলা জায়গাই।
- কেউ দেখি নি তো
- যাও কলেজ যাও, আর কখনো এই কাজ করবে না
- ওকে,,
...
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ