āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4917

*****রাগিণী সুহাসিনী ****
(পর্ব এক)
,,
,,
,,
:-- কি রে মা !! এই পর্যন্ত দশ কাপ চা খেয়েছিস। আর কতো খাবি ??
,
:-- দেখ মা !!! আমার কিন্তু এখনও রাগ কমে নি। ইচ্ছে করছে ওই ছেলে টাকে মেরে ভর্তা করি। আমি দুই বছর ধরে গান করে সাধনা করছি। আর বলে কি না আমি রোজ সকালে ফাটা বাসের মতো চিৎকার করি। এতো বড়ো সাহস ।
,
:-- আচ্ছা তোর বাবা এলে তাকে সব জানাবো। ছেলে টা আমাদের বাসার পাশের বাসা টা ভাড়া নিয়েছে। আমরা তো রোজ তোর গান শুনে শুনে সয়ে গেছি তাই কিছু মনে হয় না। কিন্তু ছেলে টা নতুন তো তাই হয় তো বুঝতে পারে নি।
,
:-- আচ্ছা মা !!! তুমি বলো ?? আমি কি গান খারাপ গাই। কিন্তু ওই গোল আলু টা বলে কিনা ,,
:--আপনি গান গাওয়ার সময় আপনার রুমের দরজা জানালা বন্ধ করে নিবেন।
,
:-- আচ্ছা আমি তোর বাবা কে বুঝিয়ে বলবো । এখন চা রেখে দে। পরে আবার রাগ করলে খেতে পারবি।
,
:-- কি বললে তুমি ????
,
:-- না ,,, বলছিলাম তুই তো একটু পর পর রাগ করিস । আর আমার সব কাজ রেখে তোর চা বানাতে হয়।
,,
,,
এতো সময় জারা আর ওর মা কথা বলছিল । জারার খুব গানের শখ। কিন্তু সমস্যা ওর গলায় সুর নেই । কিন্তু ও সেই টা শিকার করতে নারাজ। ও প্রতি দিন সকালে গান গায়। আর এই গান শুনতে হয় ওর বাবা মায়ের । জারা একমাত্র মেয়ে তাদের । আদুরে দুলালী। সব ভাল ,,কিন্তু রাগ বেশি । আর ওর বদ স্ভাব হলো কিছু নিয়ে রাগ করলে কম করে হলেও দশ পনেরো কাপ চা খাবে। যার জোগান ওর মায়ের দিতে হবে । দুই দিন আগে ওদের পাশের বাসায় আবীর উঠেছে । একাই থাকে । ভার্সিটির ছাএ। কিছু দিন পর পরীক্ষা । সকালে পড়তে বসবে তখনই জারার গান শুনতে পেল। পরে জারা কে সিড়িতে পেয়ে যা যা বললো আপনারা তো সবই শুনলেন । জারা এবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ে । ওর লেখা পড়ার থেকে গানের আগ্রহ বেশি । ও ভবিষ্যতে গানের স্কুল খুলবে বলে ঠিক করেছে ।
,,
রাতে ওর বাবা এলো ,,,,
,
:-- কি রে মা !! মনে হচ্ছে তোর মেজাজ খারাপ ??
,
:-- একটু খারাপ না বাবা ,, অনেক বেশি খারাপ ।
,
:-- তা চা টা কি খেয়েছিস ??
,
:-- বাবা তুমি ও চায়ের খোঁটা দিচ্ছ !!
,
:-- এবার বল কি হয়েছে ???
,
:-- আমাদের পাশের বাসার আবীর না কবীর কি যেন নাম ওই ছেলে টা বলে কিনা আমার গলা ফাটা বাঁশের মতো।
,
:-- সত্যি ছেলে টা বলেছে ???
,
:-- হুম।
,
:-- তাহলে তো ছেলে টার ভিষন সাহস । আমি কাল ই ছেলে টাকে জিগ্যেস করবো । বলবো বাবা তোমার বুকের পাটা আছে।
,
:-- কি বললে তুমি ???
,
:-- আরে বলবো তোমার এতো বুকের পাটা যে আমার মেয়ে কে বলো ফাটা বাঁশ ।
,
:-- মনে থাকে যেন ।।
,,
সে দিন জারার আববু জারার মা কে বললো ,,,
,
:-- বুঝলে আমি এই রকম একটা ছেলে কে জামাই বানাবো বলে খুঁজছি। এই পারবে আমার মেয়ে কে সোজা করতে । এখন শুধু সব খোঁজ খবর নেওয়া দরকার ।
,
:-- কি বলছো তুমি এই সব ???
,
:-- ঠিকই বলছি । আমি কাল যাবো ছেলে টার সাথে দেখা করতে ।
,,
সকালে জারা আবীর বাইরে যাবে বলে বের হলো । গেটের সামনে দাড়িয়ে আছে । কিন্তু গাড়ি পাচ্ছে না। এমন সময় টের পেল ওর মাথায় কে যেন এক গাদা ময়লা পানি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে গেল । ওর মেজাজ পুরাপুরি গরম । ভার্সিটি তে যাবে এমন সময় কে এই জঘন্য কাজ টা করলো । মনে মনে আবীর ভাবলো বাড়ি ওয়ালার ওই গান পাগল মেয়ে টা নয়তো । !!!!!

,,

,,,

(চলবে )

Odhora Jarin
*****রাগিণী সুহাসিনী ******
***পর্ব দুই ***
,,
,,
আবীর প্রচন্ড রাগ নিয়ে আবার রুমে ফিরে গেল । নিজেকে পরিস্কার করে নিয়ে আবার আসতেই জারার সাথে সিড়িতে দেখা। ওর দিকে রাগের সাথে তাকিয়ে বললো ,,,
,
:-- এই যে মিস ফাটা বাঁশ , কাজ টা কিন্তু ঠিক করলেন না।
,
:-- কি বললেন আপনি ??? আমি ফাটা বাঁশ । আর কি করেছি আমি ??
,
:-- আমার সারা শরীরে নোংরা পানি দিয়ে বলছেন কি করেছেন ???
,
:-- এই যে মি: কবীর ???
,
:-- কবীর না আবীর ।
,
:-- আপনি কি দেখেছেন আমি এই কাজ টা করেছি ??
,
:-- সব কিছু দেখতে হয় না । এমনি বোঝা যায় । আর আপনার মতো মেয়ে দের কি করতে হয় যানেন ??? কানের নিচে দুই টা দিলে এরকম গলা নিয়ে গান গেয়ে সকালের সবার আরামের ঘুম হারাম করার শখ মিটে যাবে ।
,
:-- কি !!আপনার এতো বড়ো সাহস । আজ ই আমি বাবা কে বলে আপনাকে বিদায় করছি

,
:-- তার আর কোনও দরকার নেই মিস গায়িকা । আমি এমনিতেই চলে যাবো । আমার এই মধুর গান শুনে পরীক্ষা টা খারাপ দেওয়ার কোনও মানে নেই ।
,,
এই বলে আবীর চলে গেল । জারা সাপের মতো ফসফস করছে রাগে।মনে মনে বললো এই ছেলে কে শায়েস্তা করতেই হবে ।
,,
জারা ওর বাবার কাছে গিয়ে বললো ,,,
,
:-- বাবা !! পাশের বাসার ওই ছেলে টা আজকে আমাকে যাচ্ছে তাই বলেছে ।।
,
:-- কি বলেছে আমার আদরী কে ???
,
:-- বলেছে আমার কানের নিচে দুই টা লাগিয়ে দিলে আমার গান গাওয়ার শখ মিটে যাবে ।
,
:-- এতো বড়ো সাহস ছেলে টার ???

,

:-- তুমি কালই ওকে বিদায় করবা । না হলে আমি কিন্তু এই বাড়ি থেকে দাদু বাড়ি চলে যাবো ।
,
:-- আচ্ছা ঠিক আছে । আমি সকালে ছেলে টার সাথে কথা বলবো ।
,
:-- বাবা !! পারলে দুই একটা গালাগাল ও দিও ।
,
:-- আচ্ছা মা !! আজকে আমি কিছু সময় প্র্যাকটিস করবো কি কি বলা যায়। তুই মোটেই চিন্তা করিস না । শুধু সকাল টা হতে দে ।
,,
সকালে জারার বাবা গেল আবীর রের কাছে । জারার বাবা কে দেখে আবীর বললো ,,
,
:-- আসসালামু আলাইকুম আংকেল । কেমন আছেন ???
,
:-- ভাল আছি বাবা । তুমি কেমন আছো ??
,
:-- জী ভাল ।
,
:-- কোনও সমস্যা হচ্ছে নাতো ?? আসলে বাবা আমার মেয়ে টা খুবই রাগি। তুমি কিছু মনে করো না।
,
:-- না না আংকেল । আমি কিছু মনে করি নি। জাজার সাথে আমি মাঝে মাঝে দুষ্টামি করি। একটু রাগী কিন্তু অনেক মিষ্টি ।
,
:-- আচ্ছা বাবা !! তোমার তো বাবা মা কেউ নেই । বড়ো ভাই মানুষ করেছে । সে ও কিছু দিন আগে পৃথিবী থেকে চলে গেছে । তুমি যদি কিছু মনে না করে আমাদের বাসায় থেকে যাও। আমাদের বাবা মায়ের মতো দেখতে পারো। তোমার আন্টি ও তোমার কথা বলে । আসলে আমাদের কোনও ছেলে নেই তো।
,
:-- এটা তো আমার অনেক সৌভাগ্যের । আমি অবশ্যই আপনার কথা রাখার চেষ্টা করবো।
,
:-- শুনে খুব খুশি হলাম । আজ তাহলে যাই । মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় খেতে ডাকলে নিজের বাড়ি মনে করে এসো কিন্তু ।
,
:-- জী আংকেল আসবো।
,,,
জারার বাবা ঘরে যেতেই জারা ধরে বসলো ,,,
,
:-- বাবা কি কি বলেছো ???
,
:-- অনেক কিছু বলেছি মা ,,,একেবারে চৌদদ গুষ্টি তুলে গালাগাল করেছি। কিন্তু একটা জিনিস ভেবেছি !!!
,
:-- কি বাবা ???
,
:-- ছেলে টা এই বাড়ি তে থাকলে ওকে আরো বেশি করে শায়েস্তা করা যাবে। চলে গেলে তো ওকে আর পাওয়া যাবে না।
,
:-- কথা টা তুমি ঠিকই বলেছো । ওকে আবার চলে যেতে বলো নি তো ???
,
:-- না এই সব কথা চিন্তা করে থেকে যেতে বললাম ।
,
:-- ঠিক করেছো বাবা । কাল থেকে আমি আরও জোরে জোরে গান গাইবো । কেমন হবে ??
,
:-- একদম উচিত শিক্ষা হবে ।
,,
,,
,,
জারা চলে যেতেই ওর মা বললো ,,
,
:-- আচ্ছা তুমি মেয়ে কে নিয়ে কি শুরু করলে বলো তো ??
,
:-- আমি দুই জন কেই আগুনে ঝালাই করছি। সময় হলে জোড়া লাগাবো ।
,
:-- আমি তোমার কথা কিছু বুঝতে পারছি না।
,
:-- বুঝতে হবে না । তুমি আমার জন্য গরম গরম এক কাপ চা নিয়ে এসো ।
,,
,,
বিকেলে আবীর ছাদে বসে একটা বন্ধুর সাথে কথা বলছে এমন সময় জারা এলো ,,,
,
জারা কে দেখে আবীর জোরে জোরে বললো ,,,
,
:-- আমার সোনা ময়না কলিজা। অনেক মিস করি তোমাকে । তোমাকে অনেক কাছে পেতে ইচ্ছে করছে বেবি । উমমমা উমমমা রাখি বেবি পরে কথা বলবো ।
,,
কথা শেষ হতেই জারা বললো ,,,
,
:-- আপনার আবার সোনা ময়না ও আছে । আমি তো ভেবেছিলেন আপনি ফেরেশতা হবেন ।
,
:-- কেন এমন ভেবেছিলে মিস ফারা।
,
:-- কি বললেন ??? আমার নাম ফারা না জারা ।
,
:-- ওই হলো । ফারা জারা একই কথা ।

,
:-- দেখুন সব সময় আপনি আমাকে বেশি বেশি বলেন ।
,
:-- ও মা আমি আবার কখন বেশি বেশি বললাম । আমার কাছে যেইটা মনে হলো সেই টা বললাম ।
,
:-- আচ্ছা ফারা তুমি যেন কিসে পড়ো ??
,
:-- আপনি আমাকে আবার ফারা বলছেন । আপনি একটা বাদর হনুমান ।
,,
এই বলে জারা রাহনহন করে চলে গেল ।
আর আবীর ছাদে দাড়িয়ে হাসতে লাগলো ।
,,

,,

,,

(চলবে )

Odhora Jarin
***রাগিণী সুহাসিনী ***
**পর্ব তিন **

,,
,,
এভাবে আবীর আর জারা সারা দিন খুনসুটি করে চলে । আবীরের পরীক্ষা শেষ ।
এবার একটা চাকরি খুব
দরকার । ও একটা কলেজে জয়েন করলো। সেই কলেজে জারা পড়ে।
,,
প্রথম দিন আবীরের ক্লাস পড়লো জারা দের রুমে । আবীর রুমে ঢুকেই অবাক । জারা একটা বন্ধুর সাথে এক মনে গল্প করে চলেছে ।
আবীর মনে মনে চিন্তা করলো ,,
,
এই মেয়ে তো আচ্ছা ফাঁকিবাজ । শিক্ষক এসেছে ক্লাস নিতে অথচো কোনও খেয়াল নেই। ,,
আবীর একটু জোরে কাশি দিল।
- আবীরের কাশি শুনে জারা চমকে উঠে দেখে আবীর সামনের চেয়ারে বসে আছে । জারা ভাবতে লাগলো এই হনুমান টা এখানে কেন ??? ,,
আবীর কে প্রধান শিক্ষক সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। আজকে থেকে আবীর তোমাদের নতুন শিক্ষক । এই বলে তিনি চলে গেলেন । ,,
জারা মনে মনে ভাবছে । আমার এবার কলেজে এসে ও শান্তি নেই ।

এই আপদ টা এসে হাজির ।
,,
আবীর সবাই কে বললো ,,,
,
:-- আজ থেকে লেখা পড়া নিয়ে কারো ফাঁকিবাজি চলবে না। কেউ যদি লেখাপড়া ছাড়া আর কিছু নিয়ে মানুষের সমস্যা তৈরি করো তাহলে তাকে গুনে গুনে বিশ টা করে বেতার বাড়ি দেওয়া হবে ।

কাল থেকে তোমাদের ক্লাস পুরোপুরি ভাবে নেব। ঠিক আছে । আজ এই পর্যন্ত । ,,
,,
আবীর এই বলে জারার দিকে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে চলে গেল । জারা তো রেগে আগুন । ও ভাল করে বুঝতে পারছে কথা গুলি ওকে বলা হয়েছে । ,,
জারা বাড়িতে এসে বাবা কে বললো ,,, ,
,
:-- বাবা !! আমাদের পাশের ওই ছেলে টা আমার কলেজে জয়েন করেছে ।
,
:-- তাহলে তো খুব খুশির কথা ।
,
:-- তুমি খুশি হয়েছো ??? ও আমাকে কি বলেছে যানো ??
,
:-- কি বলেছে আমার আদরী কে ??
,
:-- আমি লেখা পড়া বাদে অন্য কিছু করলে গুনে গুনে বিশ টা বেতের বাড়ি দেবে ।
,
:-- কি ছেলে টার এতো সাহস । ওর একদিন কি আমার একদিন কি । তুই শুধু কিছু দিন অপেক্ষা কর । ওকে এমন মজা দেখাবো । লেজ গুটিয়ে পালাবে।
,,
এই বলে বাবা মেয়ে হাসতে লাগলো ।
,,
দুই দিন পর ,,,
,,
জারার বাবা মা কথা বলছে ,,
,
:-- আজকে একটু ভাল ভাল বাজার করো তো। (মা)
,
:-- কেন ?? কাল ই তো কতো গুলি মাছ কিনলাম । (বাবা )
,
:-- তা নয় । আজকে আবীর কে দুপুরে আমাদের বাসায় খেতে বলতে চেয়ে ছিলাম । (মা)
,
:-- আগে বলবা তো ,, আমি এখন ই বাজারে যাচ্ছি। আর যাওয়ার সময় আবীর কে বলে যাবো । ঠিক আছে ।
,,
জারার আববু বাজারে গেলেন । যাওয়ার আগে আবীর কে বলে গেলেন দুপুরে খেতে ।
,,
,,
জারা রান্না ঘরে এসে দেখে অনেক কিছু রান্না হচ্ছে । ও মাকে বললো ,,,
,
:-- মা আজকে কে আসবে ?? এতো কিছু রান্না করছো ??
,
:-- আজকে দুপুরে আবীর কে আমাদের বাসায় খেতে বলেছি ।
,
:-- কি ওই হনুমান টাকে বলছো দুপুরে খেতে । জানো না ওকে আমি দেখতে পারি না। ও আমার চির শত্রু ।
,
:-- কি বলিস তুই। ছেলে টা তো ভালোই।
,
:-- ভালো না কচু। আমি বাবা কে বলছি। কেন ওকে খেতে বলেছে।
,,
,,
একটু পর বাবা কে বললো ,,
,
:-- বাবা তুমি ওকে খেতে বলেছো কেন ?? জানো না আমি ওকে দেখতে পারি না।
,
:-- আমি তো ওকে শায়েস্তা করার জন্য বলেছি।
,
:-- মানে ??
,
:-- ও যখন খাওয়া দাওয়া শেষ করবে তখন তুই রুমে বসে গান গাইতে শুরু করবি। ও তোর গান না শুনে যাবে কোথায় ।
,
:-- হুম । ঠিক বলেছো । আমার লক্ষি বাবা।
,,,
,,
আবীর খেতে বসেছে ।
,,
খেতে বসে ভাবছে এই যে জামাই আদর। আমাকে এতো খাতির যত্ন করছে । কারণ টা কি। সে যাই হোক আগে তো খেয়ে নি। অনেক দিন ভাল মন্দ খাওয়া হয় না। একা একা এতো কিছু রান্না ও করতে পারি না। এবার একটা বিয়ে করে ফেলতেই হবে ।
,,
এই সব ভাবছেন এর মধ্যে জারার আববু বললো ,,,
,
:-- কি ভাবছো বাবা ??? খাবার পছন্দ হয় নি ??
,
:-- না না আংকেল আমি খুব খুশি হয়েছি।
,,
এবার কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললো ,,
,
:-- আজ যদি আমার মা বেচে থাকতো তাহলে আমাকে এই ভাবে আদর করে খাওয়া তো।
,,
আবীরের কথা শুনে জারার বাবা মা চোখ মুছে বললো ,,
,
:-- বাবা তোমার যখন মনে চাইবে আমাদের বাসায় চলে আসবে ।
,
:--- অবশ্যই আসবো আমি ।
,,
,,
এই বলে আবীর খেতে শুরু করলো । দুর থেকে জারা আবীরের খাওয়া দেখে মনে মনে বললো ,,,
,
:-- রাক্ষস রে বাবা । একাই সব সাবাড় করছে ।
,,
আবীরের খাওয়া শেষ । চলে যাচ্ছে । কিন্তু জারার গান গাওয়া হলো না। মনে মনে রেগে গেল ।
,,
,,
পরদিন সকালে জারা গান প্রাকটিস করছে ।
আবীরের ঘুম ভেঙে গেল । মিজাজ পুরো পুরি গরম । ভোরের দিকের ঘুম টা দারুণ হয়। আর এমন সময় এই ফাটা বাসের চিৎকার । আবীর মনে মনে ঠিক করে আজকে কলেজে গেলে তোমার খবর আছে ।

,,

,,

,,

(চলবে )

Odhora Jarin
****রাগিণী সুহাসিনী ****
***শেষ পর্ব ***
,,
,,
সকালে আবীর গেল কলেজে ,,, দেখতে পেলো জারা সব বান্ধবী দের সাথে প্রতি দিনের মতো গল্পে মগ্ন । কিন্তু আজকের গল্পের বিষয় ওর গান নিয়ে । ও যে কতো ভাল গান গায় সেইটা সবাই কে বলছে। আর ওর গানের ভক্ত অনেক সেই টা ও বলতে বাদ রাখছে না।
,,
একটু পর ,,,
,,
আবীর ক্লাস রুমে ঢুকলো । সবাই কে পড়া ধরছে বা বলে দিচ্ছে । আর আজকে জারা কে শায়েস্তা করবে বলেই আগের থেকে ঠিক করে আছে । এবার জারা কে বললো ,,,
,
:-- জারা !!! আজকের পড়া টা শুনাও ।
,
:-- ইয়ে মানে ,,, আমার মনে ছিল না পড়তে । অনেক ঝামেলায় ছিলাম ।
,
:-- হুম বুঝতে পেরেছি কিসের ঝামেলা । তুমি কান ধরে দশ বার উঠবস করবে । তাহলে পরের দিন আর ভুল হবে না ।
,,
জারা তো রেগে লাল। চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে । তাই দেখে আবীর আবার বললো ,,,,
,
:-- কান ধরবে নাকি বেতের বাড়ি খাবে ???
,,
জারা বাধ্য হয়ে কান ধরলো ।
,,
,,
সে দিন জারা বাসায় এসে কেঁদে কেঁদে চোখ ভাসিয়েছে। কিছু দিন ধরে গান ও বন্ধ । কলেজে যাচ্ছে না।
সারা দিন মন মরা হয়ে থাকে । হাসিখুশি থাকা মেয়ে টা অনেক বদলে যায় । কারণ সব বন্ধু দের সামনে এইটা ছিল খুব লজ্জার কাজ।
,,
,,
আবীর এখন আর সকালে গান শুনতে পারে না। কলেজে ও দেখে জারা নেই ।
ওর আস্তে আস্তে খারাপ লাগতে শুরু করে।
ও বুঝতে পারে জারা কে ও মিস করছে ।
,,
একদিন বিকেলে জারা ছাদে দাড়িয়ে আছে ।
এমন সময় আবীর উঠল ছাদে।
জারা আবীর কে দেখে
নেবে যাবে এমন সময় আবীর
জারার হাত টেনে ধরলো
আর জারা কে বললো ,,,
,
:-- জারা !!
,
জারা তবুও হেঁটে চলে যেতেই আবার
সামনে দাড়িয়ে বললো ,,,
,
:-- আমি জানি ,,, তুমি আমার উপর অনেক রেগে আছো। আসলে সে দিন আমি বুঝতে পারি নি তুমি এতো কষ্ট পাবে। প্লিজ সরি ।
,,
জারার চোখ থেকে টপটপ করে পানি পরছে। এবার আবীর জারা কে বুকের উপরে টেনে নিয়ে বললো ,,,
,
:--- এবার একটু হাস তো আমার রাগিণী ।
আমি তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি ফারা।
,,,
এবার জারা ফিক করে হেসে দেয়। তাই দেখে আবীর বললো ,,,
,
:-- তুমি আমার শুধু রাগিণী না সুহাসিনী ও ।
,,
,,

,,
আবীর বাসর ঘরে বসে আছে । কিন্তু জারার কোনও খোঁজ নেই। আপনারা ভাবছেন বাসর রাতে বউ বসে থাকে। কিন্তু জামাই কেন ???
,,
কারণ জারা অন্য ঘরে গান গাইতে বিজি। আর আবীরের আজকে বাসর ঘরের শাস্তি ।
,,
একটু পর জারা এলো বাসর ঘরে । তাই দেখে আবীর মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো । তাই দেখে জারা বললো ,,,
,,
:-- ঠিক আছে আমি আবার চললাম গান গাইতে ।
,,
তাই দেখে আবীর তাড়াতাড়ি জারাকে কাছে টেনে বললো ,,,।
,
:-- আমার মিষ্টি সুরেলা বউটা । আজকের মতো ক্ষমা করো। আর গান গেয়ে এই সুন্দর রাত টা শেষ করো না ।
,
:-- ঠিক আছে একটা শর্তে থাকতে পারি ।
,
:-- কি শর্ত শুনি ??
,
:-- প্রতি দিন সকালে আমার গান গাইতে হবে । কি রাজি তো ???
,
:-- রাজি মানে হাজার বার রাজি ।
,,,
এই বলে জারা কে জড়িয়ে ধরলো ।।
,,

,,

,,

(সমাপ্ত )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ