সিনিয়ারের সাথে প্রেম ( পার্ট ১)
.
.
..
কলেজ এ খুব একটা যাই না। কিন্তু আজ যাকে দেখলাম। তাতে এখন প্রতিদিন কলেজ যেতে হবে।
.
আর এখন থেকে আমার ইমপরটেন্ট ঘুম টাকেও নষ্ট করতে হবে। নষ্ট না হয় করলাম একজন মানুষের জন্য।
.
কি ভাবছেন কে সেই মানুষ ?
মেয়েটার নাম নীলিমা । আমাদের কলেজে পরে। জানি না কোন ইয়ার ।
.
মেয়েটা দেখতে স্নিগ্ধ সুন্দরী।মায়া মায়া চেহাড়া টা যেন সম্পুর্ণটায় জাদুমাখা। বিশেষ করে তার চুলটা ছিলো অসাধারন। লম্বা চুল। সুন্দর কালার করা। বলতে গেলে তার চুলটা আমায় বেশি আকর্ষিত করতো। কপালের উপর দিয়ে ভাজ করা থাকতো চুল গুলো।
.
এতো কিছুর মাঝে আমি আমার পরিচয় টা দিতেই ভুলে গেছি,
.
আসলে আমি রাফসান । ইন্টার 1ম বর্ষের ছাত্র।
দেখতে স্মাট প্রকৃতির। (সবাই বলে)
কিন্তু পড়াশোনাই একদম কাচা।
.
এতো বিত্তান্ত না দেই আবার লেখকের নামে ভান্ত্র ধারনা তৈরী হবে।
গল্পে আসি,
.
পরের দিন,
.... ঘুম থেকে উঠতে লেট। তবুও তাড়াহুড়া করে বের হলাম। কারন লেট হলে আবার দেখা হবে না স্নিগ্ধ সুন্দরির সাথে ।
.
যেতে যেতে অনেক লেট তবুও রাস্তায় দেখা।
তাকিয়ে আছি তার দিকে। চলে যাচ্ছে পাশ কেটে ।
.
ক্রিং ক্রিং ক্রিং,
ঔই মামা তুলে দেবো নাকি উপর দিয়ে।
- জি মামা, কিন্তু কেন?
- আরে, মামা রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে আছেন কি আর করবো।
- ওও তাইলে তুলে দেন। না না না আমি যাচ্ছি।
-
রিকসাওয়ালা কে সরি বলে কলেজে চলে আসলাম ।
.
এসে দেখি ইমন বসে আছে।
(ইমন আমার বেস্ট ফেন্ড)
ইমন - কিরে এতো লেট কেন?
আমি : আরে বলিস না। রাস্তায় জ্যাম ছিলো, গাড়িতে গ্যাফ ছিলো না আর ঘুম থেকে উঠতে লেট।
ইমন : বিশাল কাহিনী। আচ্ছা বস।
আমি : বন্ধু ঔই মেয়েটাকে চিনোস?
ইমন : কোন মেয়ে?
আমি : সুন্দর করে, চুল কালার করা।কিছুক্ষণ আগে যে কলেজ থেকে বের হয়ে গেলো।
ইমন : ও ও ওতো সেকেন্ড ইয়ারের বড়ো আপু। নীলিমা নাম।
আমি: বড়ো আপু। ( আমি তো পুড়াই সকড)
ইমন : হুম আমার বাসার পাশেই থাকে।
আমি : কিন্তু বন্ধু আমার তো বড়ো আপুরে ভালো লাগছে।
ইমন : কি বলো বন্ধু তুমি সিনিয়ার আপুর সাথে প্রেম করবে।
আমি : মন তো তাই বলছে ।
ইমন : মনের কথা শুনবি না মাথার?
আমি : মানে?
ইমন : তোর মনের কথা শুনবি নাকি আমার মাথার কথা।
আমি : তোর মাথা কি বলে ।
ইমন: মাথা বলছে শুধু শুধু টাইম লস করে লাভ নাই।
আমি : কিন্তু বন্ধু একবার মনের কথা শুনি দেখি কি হয় ।
ইমন : তোর ইচ্ছা। তবে শেষে উল্টা পাল্টা কিছু করিস না।
আমি : ওকে।
.
বিকালে চলে গেলাম বন্ধুর বাসায়।
.
উদ্দেশ্য নিলীমা কে দেখা।
.
বিকালে প্রায় আধা ঘন্টা দেরি করার পর বারান্দায় আসলো ।
.
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর নিলিমার সাথে চোখাচোখি হলো।
.
আমি একটা ছোটো হাসি দিলাম। কিন্তু নীলিমা কেমন যেন মুখটা গোমড়া করলো।
বিষটা মনে হয় বুঝতে পারছে । কি যেনো কি চিন্তা করে চলে গেলো রুমের ভিতর।
.
আমি আর দেরি করলাম না। বাসায় চলে আসলাম
.
পরের দিন কলেজে আসলাম। আজ আগেই চলে এসেছি ।
ক্লাস থেকে বের হতেই দেখা নিলীমার সাথে।
পিছু পিছু ছুটলাম। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর নিলিমা পিছে ফিরে তাকালো । আমাকে দেখে মনে হয় অবাক হলো।
.
আমি তো পিছন ফিরে হাটা শুরু করলাম।
অনেকটা দুরে গিয়ে পিছন ফিরে তাকালাম, দেখি চলে যাচ্ছে।
.
আমি কলেজ চলে আসলাম ।
.
এভাবে টানা 4 মাস নিলিমার পিছু পিছু ঘুড়লাম
কোনো সাড়া পেলাম না । তবুও হাল ছেড়ে দেয় নি ?
.
কলেজ শেষে পিছু পিছু যাচ্ছি। নিলিমা পিছন ফিরে তাকালো। আজ আর পিছন ফিরে হাটা শুরু করলাম না। চুপ্টি করে তাকিয়ে আছি নিচের দিকে। সামনে তাকাতেই দেখি নিলিমা সামনে।
.
আমি একটু চমকে উঠলাম। (চাপে আছি আবার বড়ো আপুর অধিকার না দেখায়।)
.
নিলিমা: নাম কি তোমার?
আমি : রাফসান ।
নিলিমা : আমাকে চিনো?
আমি : কেনো চিনবো না । আপনি তো আমাদের ....
নিলিমা : হুম আমি তোমার বড়ো আপু। আমাকে ফলো করতে লজ্জা করে না।
আমি : কখনো না ?
নিলিমা : একটা থাপ্পর দিবো । মুখে মুখে তর্ক করো কেন। আর যদি আমাকে ফলো করো তো তোমার খবর আছে। যাও এখান থেকে।
আমি : ওকে।
নিলিমা : আর শুনো এখন থেকে আমার সাথে দেখা হলে আপু বলে সালাম দিবে।
আমি : পারবো না।
নিলিমা : কেন পারবে না। এটা আমার আদেশ।
আমি : আমি বড়ো আপু বলতে পারবো না। যদি বলেন তো ম্যাডাম বলতো পারবো।
নিলিমা : ঠিক আছে। যাও এখন।
..
.
যেতে যেতে এক বড়ো ভাই ডাক দিলো,
আমি: জি ভাই ?
-- তুমি এই মেয়ের প্রেমে পড়ছো। আজ পর্যন্ত যতো জন ওকে প্রপোজ করছে সবাই একটা করে থাপ্পর উপহার পেয়েছে। তোমার তো ভাগ্য ভালো এখনো কিছু বলে নি। যদি থাপ্পর খেতে না চাও তো নিলিমার পিছু ছেড়ে দাও।
আমি : ধন্যবাদ ভাই উপদেশের জন্য। তবে আমি এর ইন্ডিং টা দেখতে চাই ।
-- তোমাকে সাবধান করার ছিলো করে দিলাম। বাকিটা তোমার হাতে।
আমি: ওকে ভাই আমি যাই। ক্লাসের লেট হচ্ছে।
-- ওকে।
.
চিন্তায় পড়ে গেলাম একদিকে নিলিমা সাশিয়ে গেলো অন্যদিকে বড়ো ভাই ভয় দেখালো। সবাই শুধু ভয় দেখায়।
সাহস দেখানোর মতো শুধু একজন ই দেখছি । আমার মন। জানি না এর সাহসে কতো দিন টিকতে পারবো। তবুও আশায় ।
.
নিলিমার কথার ভয়ে পিছু হটি নি,
পরের দিন থেকে আবার ফলো করা শুরু করলাম। প্রায় এক সপ্তাহ হলো ফলো করি।
.
বিষয়টা যেনো অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে ।
ভাবছি আর নিলিমার পিছু পিছু যাচ্ছি।
নিলিমা : এই ছেলে
আমি: বাস্তবে ফিরে সামনে তাকাতেই খেয়াল করলাম আমার আর নিলিমার মধ্যে দুরুত্ব খুবই কম। আসলে ভাবতে ভাবতে হাটছি কখন যে নিলিমা দাড়িয়ে গেছে খেয়াল করি নি।
সরি বলে পিছিয়ে আসলাম ।
নিলিমা: তোমাকে না বলছি আমাকে আর ফলো করবে না।
আমি : হুম।
নিলিমা : তাহলে আবার পিছু পিছু আসছো কেন ?
আমি : জানি না। তবে আপনাকে অনেক দেখতে মনে চাচ্ছিল।
নিলিমা : আমাকে দেখার মতো কিছু নাই । আর আমি না বলছি আমাকে দেখলে সালাম দিবা।
আমি : সরি ভুলে গিয়ে ছিলাম ।
নিলিমা : এই সামান্য ব্যাপার ভুলে যাওয়ার মতো তো কিছু নাই।
আমি : আপনাকে দেখলে সব গুলিয়ে যায় ।
নিলিমা : তোমার এতো কথা শোনার টাইম নাই । আমার তাড়া আছে ।
শুনো আর যদি পিছু পিছু আসো তো আমার থাপ্পরের হাত থেকে তোমাকে কেউ বাচাতে পারবে না বুঝছো।
আমি : কিন্তু...
নিলিমা : কোনো কিন্তু না। যাও বলছি।
.
পিছন ফিরে হাটা দিলাম
.
পরেরদিন সত্যি সত্যি কলেজ ক্যাম্পাসে থাপ্পর টা মারলো।
ভাবতেই পারি নি। অনেক জোড় আছে শরীরে। গালে হাত দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
চলবে.....
সিনিয়রের সাথে প্রেম (শেষ পর্ব)
.
আজ তিন সপ্তাহ পর কলেজ যাচ্ছি,
একটি থাপ্পর খেয়ে মনে হয় সেলে ব্রিটি হয়ে গেছি। সবার নজর আমার দিকে। সরা সরি চলে গেলাম ক্লাসে।
.
স্যার আমাকে ডেকে নিয়ে গেলো। শুনো রাফসান আজ তোমাদের বড়ো ভাইদের একটি গানের পার্টি আছে। তোমাকে সেখানে গান গাইতে হবে।
আমি স্যারের কথাই আর না করলাম না ।
.
বসে আছি গানের পার্টিতে। বড়ো ভাই রা, আপুরা গান বলে আমি শুনি। বিষয়টা ভালোই মজার।নিলিমাও গান বললো । তবে ওর গানটায় অবাক হওয়ার কিছু আছে। সম্পুর্ণ গানটা মনের কথা দিয়ে লেখা
.
ভাবতে ভাবতেই,
নিলিমা চেচিয়ে উঠলো,
এবার রাফসানের পালা,
আমি একটু অবাক হলাম। বুঝলাম না এতে নিলিমার এতো উৎসাহ কিসের ।
যাই হোক,
মনে হয় গান গুলা ভালোই হয়ছে। তা না হলে এতো হাত তালি পেতাম না ।
.
গান শেষে ক্লাস করে বাসায় চলে আসলাম।
নিলিমার পিছু আর যাই না। ওর যেহেতু পছন্দ না শুধু শুধু ওকে ডিস্টাব না দেওয়ায় ভালো হবে।
.
বেশ কিছুদিন হলো নিলিমার আচরন টা কেমন যেনো লাগছে। আমাকে দেখলে তাকিয়ে থাকে, আমার খোজ করে, কিন্তু অভিমানের ভরে আমি তাকে আর আগের মতো কেয়ার করি না। পাবলিক প্লেসে থাপ্পর মেরে ছিলো । কি মর্মান্তিক।
.
কলেজ শেষে বাসায় যাচ্ছি,
কে যেনো ডাক দিলো। বুঝতে পারলাম না। পিছনে তাকিয়ে দেখি নিলিমা। কাছে গেলাম
.
আমি : জি আপু কিছু বলবেন।
নিলিমা : কে আপু হুম একটা থাপ্পর দেবো।
আমি : আপনিই তো বলছেন আপনাকে বড়ো আপু করে বলতে আবার এখন বড়ো আপু বলছি আর রাগ করছেন।
নিলিমা : হুম। আমি যা বলবো তাই হবে বুজছো।
আমি : আমার বাসায় যেতে হবে। কাজ আছে। বলে হাটা দিলাম।
নিলিমা দুই তিন বার ডাক দিলো কিন্তু পিছন ফিরে আর তাকায় নি।
.
.
পরেরদিন কলেজ শেষে,
নিলিমা : তুমি আমাকে এতো অবহেলা করো কেন? আগে তো ঠিক ই পিছে পিছে ঘুড়তা । আর এখন আমি কথা বলতে চাই আর আমায় অবহেলা করো।
অামি : আসলে আমার ইন্টারেস্ট নাই ?
নিলিমা : ইন্টারেস্ট নাই মানে কি । থাপ্পর দিয়ে দাত ফেলে দেবো।
.
আমি : থাপ্পর টা পারমানেন্ট খাওয়ার প্লান নাই বলেই তো আমার কোনো ইন্টারেস্ট নাই।
নিলিমা : ও ও ,, আচ্ছা যাও থাপ্পরের টপিক আর আনবো না।
আমি : তাহলে ভেবে দেখবো ?
নিলিমা : ভেবে দেখবো মানে কি হুম। একটা থাপ্..... সরি।
আমি : আমি জানি পারবেন না। আমি চলি।
.
এটা কি করো পাবলিক প্লেসে এমনে কলার ধরে রাখলে লোক জন কি বলবে
নিলিমা : লোক জনের যা ইচ্ছা বলুক। আমি বললাম তো সরি। আচ্ছা তোমার জন্য এতো কিছু করলাম তাতেও কি তোমার অভিমান যাবে নাকি?
আমি : তা কি কি করলেন ?
নিলিমা : তোমার জন্য প্রতিদিন কলেজ শেষে এখানে দাড়িয়ে থাকি, তোমাকে ফলো করি, তোমার জন্য ক্লাসে গানের পার্টি দিলাম, পার্টি তে এতো সুন্দর করে গানের মাধ্যমে মনের কথা বললাম। এগুলা কি চোখে পড়ে নাই নাকি।
আমি : কিন্তু আপনি তো আমাকে লাইক করেন না। আপনাকে ফলো করতাম বলে থাপ্পর ও মেরেছিলেন।
নিলিমা : আসলে আমি বুজতে পারি নি , তোমার মিসিংটা আমায় এমনভাবে জ্বালাবে।
তুমি যখন পিছু পিছু ঘুড়তা তখন মনে হতো, জুনিয়ার সিনিয়র প্রেম, বিষয়টা কেমন না, লোকে কি বলবে । তাই আমি সামনে আগাতাম না। তবে তোমাকে যে লাইক হতো না তা না কিন্তু তুমি তো জুনিয়র ।
তাই তোমাকে আমার পিছু ছুটানোর জন্য ঔইদিন থাপ্পর মারছিলাম। কিন্তু তুমি যে অস্তির মনটা আর নির্ঘুম চোখ দুটার সাথি হবে কে জানতো।
আমি : তা এখন লোক চক্ষুর ভয় করে না।
নিলিমা : লোক চক্ষু ভয় করি না। তোমাকে ভালবাসি এটাই জানি। তুমি যে আমার সব এটাই মানি । লোকে যা বলার বলুক।
আমি : তাহলে অভিমান টা কনটিনিউ করাই যাই।
নিলিমা : অভিমান মানে।
আমি : ও সরি, ভালবাসাটা।
নিলিমা : হুমম, জানু। তবে একটা কথা বলি শুনবা প্লিজ।
আমি : কি?
নিলিমা : লাস্ট একটা থাপ্পর মারি তোমায়।
আমি : কিন্তু কেন?
নিলিমা : সখ হয়ছে।
আমি : কথা দাও। আজ ই শেষ আর মারবা না কখনো।
নিলিমা : ওকে, প্রমিস।
আমি : আজ না কাল।
নিলিমা : কেন?
আমি : আরে আজ মেন্টালিটি পিপারেশন নাই, কাল নিয়ে আসবো পিপারেশন।
নিলিমা : তুমি না, সত্যিই।
আমি : কি ?
নিলিমা : কিছু না, বাসায় যাও ।
আমি : ওকে ম্যাডাম।
..
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ