দোলনা আর আমি পাশাপাশি হাটছি..
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো।রাস্তায় যত মানুষ ছিল সবাই দৌড়াদৌড়ি করে আশে পাশের দোকান বা যাত্রী ছাউনিতে ঢুকে যাচ্ছে।
কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়াতে দোলনার মধ্যে কোন তাড়া দেখতে পেলাম না। যেন কিছুই হয়নি।
ধীরে ধীরে বৃষ্টি বাড়তে লাগলো।রাস্তায় কোন মানুষই নেই। যারা আছে তাদের মাথায় ছাতা আর আমাদের মাথায় আকাশ।
ওকে বললাম,
-দোলনা বৃষ্টি বেড়ে গেছে।চলো সামনের দোকানটায় গিয়ে দাঁড়াই।
ও আমার কথা যেন শুনতেই পায়নি।
রাস্তার পাশের চা দোকানটায় ঢুকতে যাবো ঠিক তখনি দোলনা হাত টেনে ধরলো।
বাঁধা পাওয়াতে দাঁড়িয়ে গেলাম।
বললাম, কি হলো ঢুকবেনা?
—নাহ বৃষ্টিতে ভিজবো।
—পাগল নাকি? আমি পারবো না।এমনিতেই ১২মাস স্বর্দি লেগে থাকে।তারপর কিছুনদিন আগে জ্বরও হইছে!
—সমস্যা নেই।জ্বর না আসা পর্যন্ত আমার সাথে ভিজবে।তারপর নাপা খেয়ে শুয়ে থাকবে।
প্রয়োজনে তোমার মাথায় পানিও ঢেলে দিবো।চল ভিজি।…
মেয়েটা অদ্ভুত। ১ বছর প্রেম করে আজও একটুও বুঝতে পারিনি ওকে।হঠাৎ ই গিরগিটির মতো রং পাল্টায়।
ওর পাশাপাশি হেঁটে চলছি।
ঝাউ গাছের ডালে বসা কয়েকটা কাক অস্থিরভাবে ডানা ঝাপটাচ্ছে। ভিজে গেছে পুরোই।রাস্তা দিয়ে গাড়ি গুলো আপন গতিতে চলে যাচ্ছে।রিক্সাওয়ালাগুলো ভিজে ভিজে জীবিকার টানে প্যাডেল চেপে যাচ্ছে।কেউবা অবাক হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে দেখছে।
সেদিকে আমার তোয়াক্কা নেই।
কেমন যেন রোমান্টিক রোমান্টিক লাগছে। সেদিনও এই রাস্তা দিয়ে বৃষ্টির সময় বাসার ফিরেছিলাম।তখনতো রোমান্টিক লাগেনি।তবে আজ কেন?
ওহ! পাশে দোলাবতী আছেতো।
অপেক্ষায় আছি কখন মেঘ ডেকে উঠবে আর মেয়েটা ভয় পেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরবে! রোমান্টিকতা বেড়ে যাবে।ঠিক বাংলা মুভির মতো।
দোলনার দিকে তাকালাম। ও সামনে দিকে তাকিয়ে হাঁটছে।হাতটা এখনো ছাড়েনি। চুল বেয়ে বেয়ে বৃষ্টিজল পড়ছে।মুখের উপর কিছু চুল সেপ্টে গেছে।অসাধারণ লাগছে।
কোথায় যেন পড়েছিলাম, মেয়েদের ভেজা চুলে দারুণ লাগে। মন্দ বলেনি।
বা'হাত দিয়ে কিছু চুল সরিয়ে দিলাম।
ও আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল।ভয় পেয়েও ভয় পেলাম না।
'এই চুলে হাত দিলা কেন?
--মুখে এসে পড়েছেতো চুলগুলো।
—তো কি হয়েছে? রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা তাইনা?
তখনতো ভিজতে বললাম জ্বরের দোহাই দিলে।ভিজতে চাইলেনা।
—হুম।
—এখন জ্বর আসেনি?
মস্ত ভুল করেছি মনে হয়। ইচ্ছে করে কয়েকটা কাশি দিলাম। ও আমার কপালে হাত দিয়ে বললো,+
'জ্বর এখনো আসেনি।আরো ভিজতে হবে।…
আমি ওর দিকে অসহায় ভঙ্গিতে তাকালাম।
আমার অসহায়ত্ব হয়তো ওকে মায়ায় ফেলে দিলো।কি ভেবে যেন ওর ওড়নাটা দিয়ে ভাগাভাগি করে আমার মাথা আর ওর মাথা ঢেকে দিলো। ছাতা হিসেবে ভালই কাজ করছে।
ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম,
আমার জীবনের প্রতিটি বর্ষায় এভাবে আমার ছাতা হয়ে থাকবেতো?বৈশাখের ঝড়ের মতো হঠাৎ চলে যাবেনাতো?
ও আমার কান টেনে ওর মুখের কাছে নিয়ে বললো, আমি চলে গেলে তোমায় নাপা কিনে দিবে কে শুনি?
দুজনেই হেসে উঠলাম।হাসির শব্দটা বৃষ্টির শব্দের সাথেই মিলিয়ে গেল।তখন বৃষ্টি থামেনি....!
.
.
------বৃষ্টি বিলাস----
আরাফাত রুবেল(আদু ভাই)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4914
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§ā§Ļ:ā§Ļā§Ŧ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ