গল্প :::( গল্প হবি আয়)
@PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
১...
- কোথাই তুই
- খুজে বের কর
মাহিরের মেজাজ টা সামান্য গরম হয়ে গেলো, এমনিতে সে একটা প্যারাতে আছে তার উপর এখন নিরু তার সাথে লুকোচুরি খেলছে। নিরুকে অনেক দরকার মাহিরের, কোথায় খুজবে, এত বড় ক্যাম্পাস। মন খারাপ করে এমনি এক দিকে পা বাড়াল মাহির, নিরুকে খোজার প্লান বাতিল তার। কোথাও নির্জন একটা প্লেসে বসবে সে। স্থির হয়ে মাথা টা ঠান্ডা করতে হবে। বিনা গন্তব্যে পা বাড়াল মাহির। কলেজ পেরিয়ে মাঠ, মাঠ পেরিয়ে কিছু কৃষ্ণচুড়া ফুল গাছ, তারপরেই পুকুর পার। মাহির গাছের ছায়া দেখে একটা সিরিতে বসে পরলো। মন খারাপ, ভেবেছিলো মন খারাপের কারন টা নিরু কে বলে মন ভাল করবে, কিন্তু না কেউ তো কারোর ভালো দেখতে পারে না, নিরুকেই তাই এখন খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মাহির চোখ বন্ধ করে বড় সড় করে শ্বাস নেওয়া শুরু করলো, এই পদ্ধতি টা শিখিয়েছে নিরু, মন ভালো করতে নাকি পদ্ধতি টা অনেক কাজে দেয়। এর আগে কখনো চেষ্টা করা হয়নি বিষয় টা। বিশেষ করে তেমন কোনো প্রয়োজন পরে নি মাহিরের। সব সময় নিরু কে পাশে পেয়েছে।
মাহির মেডিটেশন টা কনটিনিউ করলো, হটাৎ কার যেনো একটা অবয়ব ভেসো উঠলো তার সামনে, কিরে বোকা সামনে একবার তাকিয়ে দেখ নিরু বসে আছে, দ্রুত কথা টা বলে হারিয়ে গেল অবয়ব টা। মাহির মেডিটেশন ভেঙ্গে সামনে তাকালো। সত্যিই তো পানিতে পা ভিজিয়ে বসে আছে নিরু,,
মাহির ডাক দিলো নিরুকে,
- কিরে ওখানে বসে কি করস
- কিছু না আই এখানে এসে বস
- ওকে
মাহির গিয়ে বসলো নিরুর পাশে, জুতো টা খুলে পা ভিজালো পানি তে, মুহুর্তেই শরীর সামান্য ঠান্ডা হয়ে গেল,
- লুকোচুরির কি ছিলো
- কই লুকোচুরি করলাম
- বললি না কেন কই আছোস তুই
- বললে তো আর খুজে বের করতি না
- আমি তো তোকে খুজি নি
- হয়তো
- শোন না তোকে কখন থেকে খুজছি একটা কথা বলার জন্য
- বল এখন বল
- মিসকা আমার সাথে এমন কেন করে বলতো
- কি করলো আবার
- কাল রাত থেকে ফোন দিচ্ছি ধরে না, শুধু কাল রাতে না, সপ্তাহ খানের হলো এমন হচ্ছে ফোন দিলে ধরে না, ওয়েটিং এ থাকে, মাঝে মাঝে ফোন রিসিভ করে বলে বিজি আছে।
এমন কেন করছে বলতো
- হয়তো কোনো কাজে বিজি আছে তার জন্য তোকে সময় দিতে পারছে না
- তাই বলে আমাকে সময় দিবে না, আমার তো মনে হচ্ছে ও হয়তো আমার থেকে দুরে সরে যেতে চাচ্ছে।
- এমন টা মনে করার কোনো মানে হয় না, মেয়েদের কিছু কিছু ব্যাপার আছে যা তারা সবাই কে জানাতে পছন্দ করে না। হয়তো গুরুুত্বপুর্ন কিছু যা তোর না জানলেও চলবে।
- বুঝি না তোদের মেয়েদের আমি। কখন কোন দিকে যাস
- সন্দেহ করা বাদ দে, যা হবার হবে চল ক্যান্টিনে যায়
- কিন্তু একটা সমস্যা হয়েছে
- কি
- এই যে মিসকা আমাকে এভোয়েড করছে এর জন্য আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না
- এমন টা কেন
- জানি না
- তাহলে তো এক দিক থেকে ভালোই মিসকা তোকে ছেড়ে চলে গেলেও তোর খুব বেশি কষ্ট হবে না
- তোর কি মনে হয় মিসকা আমাকে ছেড়ে চলে যাবে
- মনে হয়,, কাল দেখলাম একটা ছেলে র সাথে ঘুড়ছে
- হুমমম এবার বুঝতে পারছি কাহিনি টা কই
- চল যায়
- ওকে
২...
নিরু আর মাহিরের সম্পর্কটা ভার্সিটি লাইফের প্রথম থেকে।
ভার্সিটি প্রথম দিন ক্লাস করতে এসেছে নিরু। প্রথম দিন তাই অনেক স্টুডেন্ট। যে যার যার সাথে পরিচিত হচ্ছে । এতো মানুষের মাঝে নিজেকে একা একা লাগছে নিরুর। তাই ফাকা জায়গা দেখে একটা বেন্ঝে গুটি সুটি মেরে বসলো নিরু। চারপাশ টা একবার ভালো করে দেখে নিচ্ছিলো নিরু, কিন্তু হটাৎ কাউকে দেখে স্থির হয়ে যায় তার চোখ। দলের কেন্দ্র মনি হয়ে সবার সাথে হাসি ঠাট্টা করছে ছেলেটা। ভাল লাগা তখন থেকেই। কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকতেই চোখাচুখি হলো মাহির আর নিরুর। নিরু চোখ টা নামিয়ে নিল।
নিচের দিকে তাকিয়ে নিরু চিন্তা করছে আমি যে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম সেটা হয়তো ছেলেটা বুঝতে পারে নি।
ছেলেটার দিকে আবার তাকাতেই অবাক নিরু একি ছেলেটা দেখি তার সামনে দাড়িয়ে
- হাই আমি মাহির
- আমি নিরু
- একা একা বসে আছো যে আমাদের সাথে জয়েন করতে পারো
- না আমি একাই ঠিক আছি
- ওকে বাই,,,,
বাই বলে চলে গেল মাহির, নিরু অবাক দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো। আবার ও দলের কেন্দ্র মনি হয়ে আড্ডায় মেতে উঠলো মাহির। মাহিরের এই গুন টা ভালো লাগলো নিরুর। ক্লাশ শেষে বাসায় চলে আসলো নিরু। একটা মেয়ে হয়ে একটা ছেলের উপর ক্রাস খাওয়া বিষয় টা তার কাছে ভিন্ন কিছু মনে হচ্ছে।
ভার্সিটিতে ক্লাস পর্ব শুরু হলেই শুরু হয় মাহির আর নিরুর বন্ধুত্ত পর্ব
প্রতিদিন দেখাশোনা কথা বার্তাই নিজেদের মাঝের দুরুত্ব টা কিছুদিনের মধ্যেই কমে যায়। এত তাড়াতাড়ি নিজেদের মাঝে দুরুত্ব টা কমে যাবে সেটা ভাবতে পারে নি নিরু।
মাহিরের সান্নিদ্ধ নিরুর মাঝের ভাল লাগা কে আর বাড়িয়ে দিয়েছে। নিরু মাঝে মাঝে চিন্তা করে মাহির কে বলে দেবে সে নিজের মনের কথা। কিন্তু নিজেদের মাঝের দুরুত্ব যেমন কমেছে তেমনই বেরেছে মনের মাঝে হারানোর ভয়। যার পিছুটানে নিরু পিছিয়ে আসে বার বার।
৩.
নিরু বসে আছে পুকুর পারে। ভালবাসার বিচারে বিচারক সে। দুই পাশের সিড়িতে বসে আছে মাহির আর মিসকা
মিসকা : নিরু তুমি মাহির কে বলে দাও,, আমার পক্ষে ওর সাথে রিলেশন রাখা সম্ভব না
মাহির : আমিই রাখবো না। এমন একটা মেয়ের সাথে রিলেশন করলাম যে কিনা একজনের সাথে রিলেশন থাকতে আরেক জনের সাথে ঘুরে বেরায়।
মিসকা : মুখ সামলে কথা বলো,, ছেলেটা আমার কাজিন ছিলো
মাহির : এখন তো কাজিন ই হবে
নিরু এবার সামান্য চিৎ কার দিয়ে,
কি শুরু করলি তোরা, থাম এবার। আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন,
যদি কারোর দোষ ধরতে চাস তবে অনেক দোষ পাবি। কারন কোনো মানুষ সম্পুর্ন না। তোরা নিজেদের দোষ গুলো বাদ দিয়ে ভালো গুন গুলেকে ভালবাসতে শেখ তবে দেখবি আর কোনো সমস্যা হবে না
মিসকা : যুক্তি দিয়ে লাভ নেই, আমার পক্ষে রিলেশন রাখা সম্ভব না
নিরু : কেন
মিসকা : এই রোবটের সাথে রিলেশন রেখে কি লাভ, ওকে বল তো ও কখনো আমার টেক কেয়ার করে কিনা।
মাহির : আমি টেক কেয়ার না করলে তো কে করে তোমার টেক কেয়ার
মিসকা : টেক কেয়ার করো না ছাই
হঠাৎ মিসকার ফোনে ফোন আসলো,
মাহির : যাও তোমাকে ডাকছে
মিসকা : যাবোই তো,, তবে যাওয়ার আগে একটা কথা বলি, তুমি আসলে কখনো আমাকে ভালবাসো নি, যদি ভালবাসতে তবে এখন আমাকে যাওয়া থেকে আটকাতে।
মাহির : তোমাকে আটকানোর কোনো ইচ্ছা আমার নেই। তুমি যাও। আর আমাকে কন্টাক থেকে মাস্ট ডিলিট করে দিবে।
মিসকা : সেটা অবশ্যই, কথাটা বলেই চলে গেল মিসকা।
মাহির আর নিরু বসে আছে,
নিরু : কি লাভ হলো মেয়ে টাকে কষ্ট দিয়ে
মাহির : কিসের লাভ হবে, চলে গেছে যেতে দে, থাকার হলে কখনো যাওয়ার কথা বলতো না।
নিরু : হুমম,,,তুই যা ভালো মনে করস।
...
চলবে.....
পরবর্তি পর্ব আসছে....
গল্প :::( গল্প হবি আয়) [ Last Page ]
.
@PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
...
৪.
মাহিরের কিছু দোষের মধ্যে অন্যতম হলো সে কখনো রিলেশনে সিরিয়াস থাকতে পারে না। এই বিষয় টা খুব ভালভাবে জানে নিরু। নিজের ভাললাগা মাহির কে না বলতে পারলেও মাহিরকে হারানোর ততটাও ভয় তার মধ্যে কাজ করে না।
মাস তিনেক ছিলো মাহির আর মিসকার রিলেশন। এত অল্প সময়ে মাহিরের রিলেশনে সিরিয়াস নেস শেষ।
ফলাফল মিসকার চলে যাওয়া।
সাধারন কিছু ভুল ত্রুটি সবার মাঝেই থাকে কিন্তু মাহিরের সমস্যা টা সাধারন কিছু না, অসাধারন ই বলা যায়।
এমন একটা মাহির কে নিয়ে জিবন গল্পে পারি দেওয়া সম্ভব না। তাই নিরু চেয়েছিলো মাহির কে নিজের মতো করে তৈরী করে নেবে। কিন্তু দিন পেরিয়ে যখন বিস্তর সময় হলো তখন নিরু বুজতে পারলো মাহির এই পৃথিবীতে সব থেকে বেশি ভালো বাসে খোদ নিজেকে। তাই মাহির কে চেন্জ করা বাদ দিয়ে সে নিজেকে চেন্জ করে তৈরী করেছে মাহিরের মতো। সব কিছুকে মাহিরের মতো তৈরী করে নিলেই রিলেশনে সিরিয়াস নেস টাকে ঠিক ই নিজের মাঝে রেখেছে নিরু।
রিলেশনে সিরিয়াস নেস আনতে হলে মুল যে কাজ টা করতে হবে তা হলো মাহির কে কষ্ট দেওয়া। তার জন্যই মিসকার সাথে রিলেশনে সাহায্য করেছে নিরু।
ভেবে ছিলো মিসকা তাকে কষ্ট দিয়ে চলে কিন্তু হলো তার উল্টো টা। তবুও হার ছেড়ে দেয় নি নিরু। কাজ যে তাকেই হাসিল করতেই হবে। জয় টা যে ভালবাসার।
৫.
- আর ভালো লাগে না রে নিরু
- ভালো লাগার কারন টা খুজে নে
- সেটাই ভাবছি
- কি পেলি ভেবে
- নতুন একটা রিলেশন করতে হবে
- ঠিক ভেবেছিস
- তুই সাহায্য করবি তো
- হুমম,,অবশ্যই
তিন দিন পর,
- একটা মেয়েকে পছন্দ হয়েছে রে
- কাকে
- আমাদের ডিপার্টমেন্ট এরই
- নাম কি
- জেইন
- ঠিক আছে ব্যবস্থা করছি
- ঠিক আছে দোস্ত ব্যবস্থা কর
পরবর্তি ১ সপ্তাহ মাহির ফলো করলো জেইন কে। জেইন মেয়ে টা সাধারন একটা মেয়ে, তবে অসাধারন কিছু গুন আছে তার মাঝে। যেমন তার চুল, তার ব্যবহার এবং তার কন্ঠস্বর। সব কিছু মুগ্ধ করার মত। বিষয় টা খুব ভালো ভাবে খেয়াল করে মাহির। মাহির বুঝতে পারে কিছুটা হলেও অসহায় সে জেইনের প্রতি। ধিরে ধিরে এর প্রকোপ বাড়তে থাকে। মাহিরের অজানা কিছু ফিলিংসের নাম এখন জেইন। বিষয় টা ভাবনার নিরু জন্য । কারন মাহির ভিতরের কিছু পরিবর্তন সে লক্ষ্য করেছে। সেটা বিস্তর না হলেও মোটামুটি ভাবে অনেক। কারোর জন্য সহানুভুতি দেখানো মাহিরের স্বভাবে ছিলো না। কাউকে নিয়ে চিন্তা করতো না মাহির। সেই মাহির এখন এমন কিছু কাজ করে যা তাকে মানায় না।
নিরু বুঝতে পারে মাহির জেইনের প্রতি এডিক্টেড।
নিরুর কাছে মাহিরের মু্ল আবদার জেইনে কে পটিয়ে দেওয়া। কিন্তু জেইন মেয়েটাই কেমন জানি, ভালবাসা টা তার কাছে এলার্জির মত। তবুও চেষ্টা করেছে নিরু। কিন্তু সফল হয়নি।
৬.
- কি করি বলতো নিরু
- কি আর করবি, জেইন যখন রাজি না তখন তো আর রিলেশন সম্ভব না।
- কিন্তু আমার তো জেইন কে দরকার
- জেইন কে যদি তোর খুব বেশি দরকার হয় তবে সেটা তোর লাইফে একাই চলে আসবে।
- হুমম, কিন্তু মাঝে মাঝে আমি দোটানায় পরে যায়, আমি কি সত্যি সত্যি ই জেইন কে ভালবাসি, নাকি এটা সাময়িক আকর্ষন।
- দেখ চিন্তা করে
- চিন্তা ভাবনা আমার মাথায় আসে না।
- তবে তুই এক কাজ কর, দুরুত্বের সৃষ্টি কর
- কেমন
- তোর আর জেইনের মাঝে
- বুঝলাম না
- বললাম তোর আর জেইনের মাঝে একটা দুরুত্ব তৈরী কর, তুই যদি জেইন কে ভালবাসিস তবে দুরুত্ব তোকে বুঝিয়ে দেবে ভালবাসার পরিমান
- ঠিক বলছিস, এক কাজ করি, কিছুদিনের জন্য সিলেট ফুফুর বাসায় ঘুড়ে আসি
- হুমম, সেটাই বেটার।
মাহির একাই রওনা দিলো সিলেটের পথে, জার্নি টা ভালোই হলো। ফুফুর বাসায় একদিন দুদিন করে পুরো সাত দিন থাকে মাহির। এই কয়েক দিনে মাহির বুঝতে পারে, সে জেইন কে না ভালবাসে নিরু কে। হুমম,,, দুরুত্ব যে কতটা জ্বালাতন করে তা সেটা নিরুর থেকে দুরে এসেই জানতে পেরেছে মাহির। নিরুর কথা, নিরুর সান্নিদ্ধ, নিরু টেক কেয়ার, সব ই মিস করছে সে। এভাবে আর দুরুত্ব মেনে নেওয়া সম্ভব নয় মাহিরের। তাই চলে আসে মাহির ঢাকা,
ঢাকা এসে পরে যায় মাহির প্রবলেমে, জেইন নাকি তাকে খুজে কিছু একটা বলার জন্য। মাহির জানে নিরু কি বলবে। এই কয়েক দিনে মাহির তার ফোন টা অফ করে রেখেছিলো, বুদ্ধি টা ছিলো নিরুর। যার জন্য কোনো যোগাযোগ নেই কারোর সাথে, নিরু বাদে কেউ জানতো না যে মাহির কোথায়। মাহির কে না পেয়ে জেইন বুঝতে পেরেছে মাহিরের গুরুত্ব আর মাহির নিরু।
ঢাকা আসতে নিরুর সাথে দেখা মাহিরের,
- সুখবর তোর জন্য
- কি
- জেইন তো তোকে খুজছে, আমার তো মনে হচ্ছে জেইন তোকে ভালবাসতে শুরু করেছে
- তুই দেখি খুব খুশি
- হুমম তোর আরেক টা আবদার পুরন করলাম।
- তুই কি সত্যি ই খুশি।
- খুশি হবো না কেন
হাসি মাখা মুখের পিছনে বিষন্নতার চাপ পরুষ্কার দেখতে পাচ্ছে মাহির।
- ওকে চল নিরুর সাথে দেখা করতে যায়
- আমি কেন
- তোকে যেতে হবেই
- ওকে যাবো
বিকালে দেখা হলো মাহির আর জেইনের,
- কোথায় ছিলে এত দিন, কত খুজেছি তোমায়
- কেন
- এত দিন জ্বালাতন করে এখন বলছো কেন
- এত দিন তো এগুলা ঠিকই অবহেলা করছো, আজ এত গুরুত্ব কেন দিচ্ছো
- কারন আমি তোমাকে ভালবাসি
- কিন্তু আমি তো তোমায় ভালবাসি না
কথাটা শুনে জেইনের থেকে বেশি চমকালো নিরু।
- মানে কি
- হুমম জেইন, আমি তোমাকে কখনো ভালবাসি নি, যে টুকু ছিলো তা শুধুই ভাল লাগা
- মাহির এখন এগুলো বলার কোনো মানে হয় না কিন্তু
- প্লিজ আমাকে মাফ করো, তাছাড়া আমি অলরেডি ইন এ রিলেশন শিপে
- কার সাথে
- নিরু
নিরু চোখ টা বড় হযে গেল, সে নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছে না
- কি বলিস এগুলা
- তুমি চুপ থাকো নিরু, আমি জানতাম এমন টা হবেই, তার জন্যই আমি মাহিরের সাথে রিলেশনে যেতে চাই নি। ভুল গুলো আমার ই। কথাটা বলে কান্না করতে করতে চলে গেল জেইন
নিরু এবার আর কিছু বললো না। চুপচাপ বসে রইলো কিছুক্ষন মাহির আর নিরু।
নিরাবতা ভাংলো নিরু,
- কেনো মিথ্যাটা বললি
- কই মিথ্যা বললাম
- তুই আমাকে ভালোবাসোস
- সত্যি ই তো বলছি
- মাহির জোকস বাদ দে
- জোকস না সত্যিই, আমি তোকে ভালবাসি
- তুই আমাকে ভালবাসোস মানে কি
- তুই আমাকে ভাল বাসোস তাই আমি তোকে ভালবাসি
- আমি তো তোকে ভালবাসি না
- সত্যিই তো
- হুমম
- সত্যি
- হুমম....
- ওকে তাহলে জেইন কে ফোন দেই,
-জেইন কে ফোন দিবি মানে কি, এত দিন বাদে এসে এতটুকু বুঝতে পেরেছিস যে আমি তোকে ভালবাসি, আর এখন বাহানা করছিস তাই না
- তুই ই তো বললি তুই আমাকে ভালবাসোস না
- আমি তোকেই ভালবাসি, ভালবাসি ভালবাসি
- এটাই তো শোনার ছিলো
...
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোকে দেখবেন.....
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ