4940

ভালবাসলে ছেড়ে যাওয়ার কথা কেন বলিস
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
.
-নিরু আমি তো তোকে ভালবাসি
- আমিও তো তোকে ভালবাসি
- সত্যি
- হুম
- তাহলে চল বিয়ে করে ফেলি
- ভালবাসলেই কি বিয়ে করতে হবে নাকি,
- হুম,, তা না হলে এই ভালবাসার পূর্নতা কই
- আমার কাছে এমন টা মনে হয়নি, তোকে ভালবাসছি, কিছুদিন তোর সাথে ঘুড়বো ফিরবো, নিজের মনের কথা শেয়ার করবো এই যা
- এই যা না, প্লিজ মজা করিস না, চল বিয়ে করে ফেলি
- আমি তো তোকে বিয়ে করতে পারবো না
- কেন
- আমার তো এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে
- কি বলিস কবে হলো কিভাবে হলো
- হয়েছে তো অনেকদিন হলো
- কই দেখি তোর হাতে আন্টি কই
- এই দেখ
- এত দিন তো ছিলো না
- এত দিন খুলে রেখেছিলাম, যদি হারিয়ে যায়, কিন্তু যেমন পিড়াপিড়ি শুরু করছোস তার জন্য না পরে এসে পারলাম না।
- বাহ ভালো তো, তাহলে আমার সাথে রিলেশন রেখে লাভ কি
- কারন আমি তোকে ভালবাসি
- তো তোর হবু হাসবেন্ড তাকে কি ভালবাসবি না
- বাসবো বিয়ের পর
- বিয়ের আগে কি আমাদের রিলেশন টা এমনই থাকবে
- হুমম...
- ধুর যত্তসব ফালতু কথা বার্তা
- কই যাস
- জাহান্নামে
- রাস্তা টা বলে যা
- সোজা গিয়ে ডানে যাবি তারপর তিন পাক ঘুড়ে আবার  পিছন ফিরে বামে রওয়ানা দিবি দেখবি পেয়ে যাবি
- ওকে যা আমিও আসছি
আর কোনো কথা বললাম না নিরুর সাথে, মন টাই খারাপ করে  দিলো। লাস্ট দুই টা মাস হলো কেমন যেন চেন্জ হয়ে যাচ্ছে নিরু। বুঝতে পারি না কি এমন হলো তার সাথে।
মেয়েটাকে আমি ভালবাসি আমি জানি ও আমাকে ভালবাসে, সেটা শুধু বলাতে আর বোঝাতেই সিমাবদ্ধ। তার উপর কিছু না। আজও আমরা দুজন দুজনকে তুই মুই বলি।

রাতে চুপচাপ শুয়ে আছি এমন সময় নিরুর ফোন,
- কিরে জাহান্নাম দেখতে কেমন রে
- তোকে বলতে হবে নাকি
- না, না বললেও চলবে কিন্তু রাগ করে থাকলে চলবে না
- আমি রাগ করি না
- তুই কিন্তু জানোস তুই রাগ করে থাকলে আমি খেতে পারবো না প্লিজ রাগ করিস না
- বললাম না রাগ করি নি
- না তুই রাগ করে আছোস
- আচ্ছা বাবা রাগ বাদ দিলাম তুই খা
- ধন্যবাদ
- কি করোস
- কিছু না তুই
- বসে আছি
- কাল ভার্সিটি আসবি তো নাকি
- হুমম
- রাখলাম বাই
- ওকে বাই
নিজেদের মাঝের বন্ধুত্ত্ব টা উচ্চ পর্যায়ে, ভালবাসায় যা সম্ভব না তা আমাদের বন্ধুত্ত্বে সম্ভব। কিন্তু এএখন কেন জানি নিরু  নিজেদের মধ্যে দুরুত্ব টা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
.
কলেজে,

- তুই কি আমায় কষ্ট দিয়ে মজা পাস
- আমি আবার তোকে কই কষ্ট দিলাম
- কষ্ট নাতো কি, এত দুরে চলে যাচ্ছিস কেন
- কই দুরে গেলাম তোর পাশেই তো বসে আছি, তুই চাইলে আঠা লাগিয়ে বসে থাকি
- মজা করস
- মোটেও না
- তুই চেন্জ হয়ে যাচ্ছিস
- হুম চেন্জ হচ্ছি তোর কোনো সমস্যা
- না, যাস্ট এটাই শোনার ছিলো
চুপচাপ বসে রইলাম,
আমি বুঝতে পারছি নিরু চেন্জ হয়ে গেছে কিন্তু নিরু সেটা আমাকে বুঝতে দিতে চাই না
- রাগ করেছিস
- না কার উপর রাগ করবো
- তুই আমায় এত সন্দেহ করোস কেন
- সন্দেহ নারে, এটা তোকে হারানোর ভয়
- আমি হারিয়ে গেলে কি হবে নতুন কাউকে লাইফে এড করে নিবি
- মজা নিচ্ছিস
- মজা না সত্যিই বলছি, তাছাড়া তুই তো কোনো মেয়ের সাথে রিলেশন ই করতে পারবি, লাস্ট তো আমিই তোকে ভালবাসার কথা বলেছিলাম
- কি চাচ্ছিস তুই
- চ্যালেন্জ একসেপ্ট কর
- কিসের
- নতুন একটা প্রেম করে দেখা, পারবি
- পারবো কিন্তু করবো না
- পারবি ই না শুধু শুধু চাপা মারোস কেন
- চাপা নারে সত্যিই বলছি
- ঠিক আছে করে দেখা
- তুই খুশি হবি আমি যদি তোর চ্যালেন্জ একসেপ্ট করি
- হুমম
- ওকে যা
- শর্ত একটা মেয়ে আমি ঠিক করে দেব

(নিরু জানে আমি চ্যালেন্জের ব্যাপারে কখনো ছাড় দেয় না তারপর ও আমাকে চ্যালেন্জ করলো, জানি না এর পিছনে মুল কারন টা কি, তবে ও যদি খুশি থাকে তবে ওর জন্য আমি সব কিছু করতে রাজি।)

- কিন্তু নিরু তোর চোখের নিচে কিসের যেন দাগ দেখতে পাচ্ছি, কাজল দিয়েছিস নাকি
- নাতো
- তাহলে দাগ কিসের
- জানি না
- হয়তো রাতে ঘুমাস কম এর জন্য
- তা ঠিক, রাতে একটু ঘুমায় কম
- কেন কি সমস্যা
- তেমন কোনো সমস্যা নাই ঘুম ধনে নাতো তাই
- ওকে যা এখন থেকে আমি তোকে ফোন দিয়ে গান শুনিয়ে ঘুম পারিয়ে দেব কেমন
- ওকে
পরের দিন ক্যাম্পাসে বসে আমি আর নিরু,
- দেখ মেয়েটা কত সুন্দর
- কোন মেয়েটা রে
- ওই যে একা একা বসে আছে গাছটার নিচে
- হুমম,অনেক সুন্দর
- যা এই মেয়ের সাথে প্রেম করে দেখা
- প্রেম তো করবো, কিন্তু প্রেম হয়ে যাওয়ার পর কি করবো
- কি আর প্রেম করবি
- কিন্তু তোর আর আমার মাঝের রিলেশন টা কি হবে
- তোর রিলেশন হতে হতে আমার বিয়ে টা হয়ে যাবে টেনশন নিস না
- কেমনে এই কথা গুলা বলস, আর চোখে পানি কেন
- কই আমার চোখে পানি
- কষ্ট পাস তবুও তো কথা গুলো বলা বাদ দিস না
- কথা বলিস না তো যা ওই মেয়েকে পটিয়ে দেখা।
নিরু চোখের জল আড়ালের চেষ্টা করছে আমার কাছ থেকে, কষ্ট পাচ্ছে তবুও কথা গুলো বলা বাদ দিবে না।
আমি গিয়ে দ্বারালাম মেয়েটির পাশে, নিরু তাকিয়ে আমাদের দিকে
- হাই
- জ্বি বলেন
- কেমন আছেন
- জ্বি ভালো
- আপনার নাম কি
- রিরি
মেয়েটার কোন ডিপার্টমেন্টে কোন ইয়ারে পড়ে সব খোজ খবর নিলাম।
পিছিন ফিরে তাকিয়ে নিরু নেই,কোথায় গেল,
কিছুক্ষন খোজার পর
- কিরে কি হয়েছে
- কই কিছু নাতো
- তো মুখ লুকিযে কাদছিস কেন
- আসলে বাবার কথা অনেক মনে পড়ছে তো তাই
- মিথ্যা কেন বলিস, তুই কি মনে করিস আমি তোর মিথ্যা বুঝতে পারি না
- কি মিথ্যা বললাম
- সত্যি করে বলতো নিরু কি হয়েছে
- কি আবার হবে কিছু না
- প্লিজ নিরু
- কিছু না
কথাটা বলে হাটা দিলো নিরু, আমি কয়েকবার ডাক দিলাম তারপর,
- কই যাস
- জাহান্নামে
- পথটা
- সোজা গিয়ে ডানে যাবি তারপর তিন পাক ঘুড়ে আবার  পিছন ফিরে বামে রওয়ানা দিবি দেখবি পেয়ে যাবি
.
পরবর্তি পর্ব আসছে....

ভালবাসলে ছেড়ে যাওয়ার কথা কেন বলিস ( last page)
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়)
...
.
নিরু চলে গেল আমি চুপচাপ বসে থাকলাম কিছুক্ষন।  নিরু যেহেতু চাই রিরির সাথে প্রেম করিয়ে দিতে, আমি প্রেম করবো কিন্তু সেটা হবে শুধু অভিনয়। হুম যেভাবেই হোক বিষয় টা রিরি কে বুঝাতে হবে।
পরের দিন,

- মেয়েটার নাম কিরে মাহির
- কোন মেয়েটার
- যার সাথে রিলেশন করবি
- রিরি
- এটা আমার কেমন নাম, ভয়ংকর টাইপ।
- হলে হবে তোর কি
- আমার আবার কি হবে
- খোজ খবর নিয়েছিস
- না নেবো,,
- ওকে নে... নিয়ে আমায় জানাস
- ওকে
- চল ক্লাসের দিকে যায়,
- ওকে চল

অনেক খোজাখুজির পর দেখা হলো রিরির সাথে, ও আমার থেকে জুনিয়র তাই অনেক ভয়ে ভয়ে ছিলো মেয়েটা,
- ভয় পাওয়ার কিছু নেই
- আমি ভয় পাচ্ছি না আপনি বলুন
- তোমার ফোন নাম্বার টা দাও
- লিখুন
- ওকে,
রিরির থেকে সব খোজ খবর নিলাম ওর সম্পর্কে, মেয়ে সব কথায় রাইট বললো খুব বেশি দিধা ছাড়ায়, অবশ্য অনেক ভয় ছিলো মেয়েটার, সেটা ওর মুখের ঘাম দেখেই বোঝা যাচ্ছিল
- শোনো তোমায় একটা কথা বলি
- হুম বলেন
- তোমাকে কিছুদিন একটিং করতে হবে
- কিন্তু আমি তো একটিং পারি না
- না পারলেও চলবে আমি শিখিবে দেব
- কিসের একটিং
- আমার সাথে রিলেশনের
- কি
- হুমম...যাস্ট কিছুদিনের জন্য
- কিন্তু কারন কি
- সব কিছু খুলে বললাম রিরি কে
- ওকে চেষ্টা করবে
- ধন্যবাদ
- বাই
রিরি সাথে কথা বলে ক্লাসে দিকে রওয়ানা দিলাম, ক্লাসে  গিয়ে দেখি নিরু ক্লাসে নাই, সামান্য অবাক হলাম, নিরু তো ক্লাস মিস দেয় না আর দিলেও আমায় ফোন দেয়, কিন্তু আজ এমন করলো কেন দিলাম নিলুকে ফোন দিলাম

- ভার্সিটিতে আসিস নি কেন
- এমনি ভাল লাগছিল না তাই
-তাই বলে আমাকে জানাবি না
- জানাব কিন্তু সময় পায়নি
-সময় পাস  নি শুধু এটুকু বলার  , যাই হোক কাল ভার্সিটিতে আসবি  তো
-  সরি দোস্ত,  আর হ্যা কাল আসবো
- ওকে রাখি স্যার চলে এসেছে
- ওকে বাই
ক্লাস করে বাসায় চলে আসলাম,
শুয়ে আছি এমন সময় রিরির নাম্বার থেকে ফোন
- আপনি এত মিথ্যা কথা বলেন কেন
- আমি আবার কি মিথ্যা বললাম
- নিরু আপু ফোন দিয়ে ছিলো
- নিরু কি বলো, তোমার নাম্বার পেলো কোথা থেকে
- আমি কি জানি
- কি বললো নিরু
- বললো আপনি নাকি আমাকে ভালবাসেন
- আমি তোমাকে ভালবাসতে যাব কেন
- নিরু আপু তো তাই বললো,
- মিথ্যা বলেছে
- তাছাড়া আরো অনেক কিছু বলেছে, আমাকে আপনাকে ভালবাসতে বলেছে
- ধুর ফোন টা রাখো, আর শোনো আমাদের মাঝে শুধু অভিনয় হবে  নো রিলেশন ঠিক আছে
- ওকে
- রাখো নিরু কে ফোন দেব
ফোন কেটে দিয়ে নিরু কে ফোন দিলাম,
- কিরে
- হুমম
- রিরির নাম্বার পেলি কোথা থেকে
- নিয়েছি কারোর থেকে
- নিয়েছিস ভাল হয়েছে, কিন্তু ওকে এই সব ফালতু কথা বলার মানে কি
- কি ফালতু বললাম
- আমি রিরি কে ভালবাসি
- এটা কি ফালতু কথা নাকি
- ফালতু  নয় তো কি
- তার মানে তুই রিরি কে ভালবাসিস না
- এখন ও বাসি না তবে তোর চ্যালেন্জের জন্য ভালবাসার চেষ্টা করছি
- চেষ্টা করতে হবে না
- কেন
- কারন সেয়ে এমনিতে তোর উপর পটে আছে
- কে বললো
- রিরি বলছে
- ফালতু কথা বাদ দে আর ভাল লাগছে না
- ওকে
- আর শোন তোর চ্যালেন্জ আমি হার মানলাম, আমি পারবো না এমন  কোনো চ্যালেন্জ নিতে যেখানে তোকে বাদে অন্য অন্য কাউকে চিন্তা করতে হয়
- তুই দেখি আবার পুরানো কথা বলছিস
- পুরনো কথা না আমি তোকে ভালবাসি
- ভাল তো আমি ও বাসি
- তো কেন চেন্জ হয়ে যাচ্ছিস, কেন দুরুত্ব সৃষ্টি করছিস
- দুরুত্ব তো একদিন বাড়বেই
- মানে
-কিছু  না, ফোন রাখ  মাথা ব্যাথা করছে
আমি হ্যালো করছি কিন্তু ওপাস থেকে কোনো রিপ্লে আসলো না, মনে মধ্যে কি যেনো একটা নাড়া দিয়ে উঠলো
সকাল হতে দৌড়ে চলে গেলাম নিরুর বাসায়। কিন্তু নিরুর বাসায় কেউ নেই, দাড়োয়ান বললো নিরু নাকি হাসপাতালে।
ঠিকানা নিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে গেলাম। 
নিরু মুখে মাস্ক, হাতে  অনেক গুলা ইনজেকশন লাগানো। বুকের ভেতর একটা বড় সড় ধাক্কা খেলাম। ভালবাসার মানুষকে এমন ভাবে দেখতে কারই বা ভালো লাগে।
এতদিন বুঝতে পারলাম নিরু কেন আমার আর ওর মাঝে দুরুত্ব বাড়াতে চাই
-
ঘন্টা খানেক পর নিরুর জ্ঞান ফিরলো, নিরুর বাবা মা কথা বলার পর আমি গেলাম,
- আমি তোকে ভালবাসি
- আমি ও তোকে ভালবাসি
কথা টা বলতে গিয়ে চোখ দিয় জল গড়িয়ে পড়লো নিরুর
- বিয়ে করবি আমায়
- নারে
- কেন
- মেয়েটা তোকে অনেক ভালবাসে
- কোন মেয়েটা
- পিছনে তাকিয়ে দেখ
রিরি দাড়িয়ে আছে,
- আমি তোকে ভালবাসি নিরু
- একটা কথা রাখবি
- কি বল
- রিরি কে তুই তোর করে নে
- পারবো না রে, তোরে যে কত ভালবাসি যদি বুঝতিস
- প্লিজ মাহির আমার কসম
- আমি পারবো না
- ভালবাসার কসম
- আর কত কসম কাটবি
- রাজি হ তাহলে
- শর্ত একটা
- কি
- তোর চোখ দিয়ে কোনো পানি বের করতে পারবি না
নিরু আমার কথাটা শুনে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছল।
- ওকে যা বের হবে না
- দেখি কতক্ষন পারিস
- রিরি এদিকে আস তো
- জ্বি আপু
- এই যে ছেলে টাকে দেখছো না, খুব বেখেয়ালি, সব সময় ওর খেয়াল রাখবে, খোজ খবর রাখবা ও কি করছে, কি খাচ্চে, কোথায যাচ্ছে। আমি না থাকার বাহানায় যেন নিজেকে শেষ না করে দেয় ঠিক আছে
- ঠিক আছে আপু

কথা গুলো শুনে নিরুন উপর মেজাজ টা গরম হয়ে গেল। ভালবাসা কি ছেলে খেলা নাকি যে একজন কে ভুলে আরেক জনকে দুয়েকদিনের মাঝে আপন করা যায়। হাসপাতালের বেলকনিতে চুপচাপ দাড়িয়ে,
- মাহির
- হুম বলো
- আমাকে কি একটা চান্স দেওয়া যায় না, আমি নিরু আপু হয়েই থাকবো তোমার লাইফে
- ঠাস..
নিরু উপর হওয়া রাগ টা রিরির উপর খাটিয়ে দিলাম। মেয়েটার ই বা দোষ কি। তবুও নিজের রাগ কে কন্টোল করতে পারলাম না
চোখের জল মুছতে মুছতে,
- আপু তোমাকে ডাকছে
- ওকে যাও আসছি
দেখতে দেখতে সপ্তাহ খানেক হয়ে গেল, প্রত্যেক টা দিন পাহারা দিই আমি নিরু কে, মেয়েটা শুকিয়ে পুরো কাঠ, মুখে মাস্ক, চোখের জলের কারনে চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে,
আমি মাঝে মাঝে নিরু কে এই অবস্থায় দেখে নিজেকে কেমন যেন স্থির রাখতে পারি না । কি দোষ করেছি যে আমার লাইফে থেকে এভাবে কেড়ে নিচ্ছো আল্লাহ। আল্লাহ এর কাছে অভিযোগ আবদার একটাই।
এত কিছুর মাজে আমি অবাক হয় রিরিকে দেখে, সব সময় খেয়াল রাখে আমার আর নিরুর।
নিরুর বাবা মা সবাই এখন থাকে হাসপাতালে।

নিরুর আশে পাশে ডাক্টারের সংখ্যা প্রথম দিন থেকে কমতে কমতে ১ জনে চলে এসেছে। জানি এর মানে কি।
.
নিরু আর এখন কাদে না, আমরা আর হাসি না, নিরুর চলে যাওয়া আমাদের শোকে কাতর করে দিয়ে যাবে, সব সম্পর্ক ছিন্ন ভিন্ন করে চলে যাবে সে।
২ দিন পর,
নিরুকে সারাজিবনের জন্য হারিয়ে ফেললাম, যাওয়ার আগে আমার কাছে চাওয়া নিরুর শেষ ইচ্ছা টা ছিলো আমি যেনো সব সময় রিরির খেয়াল রাখি, রিরির মাঝে নাকি বেচে থাকবে সে, যদি রিরি কে কষ্ট দেই তাহলে নাকি ও কষ্ট পাবে।
মানা করতে পারি নি।
প্রায় দুই বছর পর,
আমি আর রিরি বাসা থেকে বের হচ্ছি নিরুর কবর জেয়ারত করতে।
তবে আজও আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি না, নিরু কি সত্যিই রিরির মাঝে আছে নাকি নেই।  তা নয়তো রিরি কিভাবে নিজেকে নিরুর মত করে তৈরী করে নিলো।
কেমন এক গোলক ধাধা।
.
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন.