āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4926 (1)

গল্প:#ফিনিশR_
লেখক-গালিব হোসেন(রোমান্টিক ম্যাজিশিয়ান)

আধার কালো রাতে খোলা আকাশের নিচে কোনো এক মাঠে সিগারেট হাতে দাঁড়িয়ে আছি।অনুভূতি যেনো মুগ্ধতার একরূপ।
দক্ষিণ দিক হইতে বইছে ঠাণ্ডা শীতল বাতাস।শরীরটা তখন প্রকৃতির কাছে উজাড় করে দিয়ে নিজেকে পোড়াতে লাগলাম নিকোটিনের বিষাক্ত ধোঁয়ায়।

হঠাৎ দূর থেকে একটি,দুটি,তিনটি পর্যায়ক্রমে অর্ধশত বাইক আমার দিকে ধেয়ে আসতে লাগলো।আফসা ভাবে বোঝা গেলো সকলের হাতে হক স্টিক এবং পিস্তল।আমি মনস্থির করে পকেট থেকে রিভোলবাট বেড় করে লোড করলাম।
তারপর যখন বাইক গুলো সামনে এসে ঘিরে দাঁড়িয়ে থামলো,আমি অবাক।

সিগারেট ফেলে দিয়ে মুচকি একটা হাসির সাথে বললাম "তোরা এখানে কি করিস?"

  - আপনায় নিতে আসলাম।(সুমিত)
  - কেনো!কোথায় যাবি?
  - সত্যি বলবো?(সুমিত)
  - বল।
  - সিয়ামের গ্যাং উড়াতে।(সুমিত)
  - ওরা আবার কি করলো?
  - আপনার নামে বদনাম।(সুমিত)
  - কি বদনাম?
  - আপনি নাকি আমাদের ভালবাসেন না।(সুমিত)
  - এটা আবার কেমন বদনাম?
  - জানিনা বস্,কিন্তু সহ্য করতে পারছিনা।ওরা কি জানে ভালবাসা কাকে বলে?ছোটো থেকে নিজের মতন করে বড় করছেন।সবাই যখন দূরে সরিয়ে দিছে আপনি তখন বুকে টেনে নিয়ে আপন ভাই বলে ডেকেছেন।এটা অনেক আমাদের জন্য।আপনি যদি আমাদের মেরেও ফেলেন তবুও ধরে নিবো ভালবেসে মেরেছেন।(সুমিত)
  - মাথা ঠাণ্ডা কর,ওরা অবলা।না বুঝে হয়তো বলে ফেলেছে।বাচ্চা ভেবে মাফ করে দে।
  - আপনি যাবেন কি না?(সুমিত)
  - ওহ্ গড,এতো জেদ কেনো তোদের!
  - হিহিহি,কি অ্যাটাক দিবেন?(সুমিত)
  - লাঞ্চার?
  - এতো তাড়াতাড়ি গেম শেষ করা ভালোলাগেনা।(সুমিত)
  - স্নাইপার?
  - কষ্ট কম পাবে।(সুমিত)
  - AK47?
  - মশা মারতে বেশী গুলি খরচ কড়ার ইচ্ছা নাই।(সুমিত)
  - বস্,আমরা নতুন অ্যাটাক বেড় করছি।(রাফসান)
  - নাম কি?
  - হক স্ট্রিক অ্যাটাক।(রাফসান)
  - এইটা আবার কেমন?
  - তেমন কিছুনা,শুধু বারি মারা।(রাফসান)
  - চল,মজা হবে।
  - ওয়ে...আকিল বাইক স্টার্ট দে।(রাফসান)
*
অতঃপর বালকগণের সাথে সিয়ামের আড্ডায় গেলাম।

প্রবেশ পথে লোহার বিশাল এক গেট।গেটের দুপাশে পিস্তল হাতে দুজন দাঁড়ানো।
আমি পেছন থেকে পিস্তল বেড় করে নিমেষে তাদের ঘুমের দেশে পাঠিয়ে দিলাম।তারপর সকলকে উদ্দেশ্য করে বললাম "যা ভাই এবার তোদের পালা।"
অনুমতি পেয়ে বাইক থেকে নেমে সকলে চিৎকার দিয়ে ছুটে গেলো।
কয়েক সেকেন্ডে গেট উধাও।
এর মাঝে সিয়ামের গ্যাংয়ের সকলে সজাগ হয়ে গেছে।পিস্তল হাতে বিল্ডিং থেকে দলে দলে নেমে আসতে লাগলো।
আমি,রিফাত,সাব্বির এবং জাহিদ দূর থেকে স্নাইপার দিয়ে সবার হাতে গুলি করে পিস্তল ফেলে দিতে লাগলাম।
সেই সুযোগে মজার সাথে ভরপুর ফায়দা তুলে আমার গ্যাংয়ের বাকিরা হক স্ট্রিক দিয়ে ক্লিয়া করতে লাগলো।
খোলামেলা আড্ডা চোখের পলকে হয়ে উঠলো প্রতিবন্ধি স্থল।কেউ হাতে ভড় করে পালাতে চেষ্টা করছে কেউ বা ক্ষমার দৃষ্টিতে কাকুতিমিনতি করছে।আমি নিঠুর হতে পারি পাষাণ নই,তাইতো সকলের এমন অবস্থা দেখে আমার গ্যাংয়ের সবাইকে থেমে যেতে বললাম।
ব্যস,চারিপাশ স্তব্ধ রূপ ধারণ করলো।
তার কয়েক সেকেন্ড পর সাঈ করে এক শব্দ,ব্যাপারটা বোঝা মাত্র বুকে হাত দিয়ে খেয়াল করলাম স্নাইপারের গুলি বুক চিরে বেড়িয়ে গেছে।
অবাক হয়ে সামনে তাকাতে দেখি পাঁচতলায় সিয়াম এবং মুখোশধাড়ি দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে।তখন বিন্দু মাত্র দেরী না করে স্নাইপার সিয়ামের দিকে তাক করে কপালের মিড পয়েন্ট ফুটো করে দিলাম।
ভাগ্যক্রমে মুখোশধাড়ি  ব্যক্তিকে গুলি করার আগে হাত থেকে পিস্তল পড়ে গেলো,সাথে আমিও লুটিয়ে পরলাম মাটির বুকে।
এমন সময় পকেটে ফোন বেজে উঠলো,রিফাত অশ্রু চোখে পকেট থেকে মোবাইল বেড় করে দিয়ে  বললো "রফি বস্,নিধী ভাবি।"
To be continue..........

গল্প;#ফিনিশR_2
লেখক-গালিব হোসেন(রোমান্টিক ম্যাজিশিয়ান)

চোখ খোলার পর চারিপাশ একবার দেখে নিয়ে বুঝলাম আমি কোনো এক হাসপাতালে শুয়ে আছি।তারপর ধীরে ধীরে রাতের কথা মনে পরতে লাগলো এবং কানে একটি শব্দ ভেসে আসলো "রফি বস্,নিধী ভাবি।"
আমি তখন স্তব্ধ ভাবতে লাগলাম।
ভাবার এক পর্যায় গিয়ে মনে পরলো মুখোশধাড়ি লোকটার কথা।চেহারা বোঝা না গেলেও কিছু একটা মিল রয়ে যায় তাঁর হাঁটার ধরণের সাথে।হয়তো খুব পরিচিত কেউ একজন।

এমন সময় কেবিনে নিধীর প্রবেশ।বালিকার দিকে তাকিয়ে,আমি ভয়ে সব ভাবনা ছেড়ে অশ্রুসিক্ত ফোলা দুটি চোখের ভাবনায় পড়ে গেলাম।কি সে মায়া,কতনা ভালবাসা,অভূত চাহনি।মন চাইছে ডুবে যাই,হারিয়েছি তো সেই কবে।

  - এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?
  - সুস্থ হওয়ার চেষ্টায় আছি।
  - তাকিয়ে থেকে কেউ সুস্থ হয়?
  - জানিনা,তবে আপাতত আমার ভালো হওয়ার মূল ঔষধ এটাই।
  - হুহ্,খুব ভালোভাবে বুঝি।
  - কি বুঝো?
  - কিছুনা।এমনটা হলো কিকরে?
  - মনে নেই,মস্তিষ্ক জুড়ে যে এখন তোমারি বিচরণ।
  - মিথ্যা বলা বন্ধ করবা!
  - সত্যি বলছি।
  - ওকে..রাতে কোথায় ছিলা?
  - মাঠে।
  - গুলি লাগলো কিকরে?
  - দাঁড়িয়ে ছিলাম,হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলাম।ঠিকমত চেয়ে দেখি গুলি লাগছে।বাকি মনে নেই।
  - তোমায় কতবার বলেছি রাতে বাহিরে থাকবানা!
  - কাল খুব গরম পরছিলো তাই একটু.....
  - বাসায় এসি নেই!
  - বিদ্যুৎ ছিলোনা।
  - ওও..জেনারেটর নিশ্চই নষ্ট হয়ে গেছিলো?
  - উঁহু,তেল ফুরিয়ে গেছিলো।
  - বাহ্,সব দোকান বন্ধ ছিলো যার জন্য তেল আনতে পারোনি।
  - আরে বাবা,তেল আনতে তো বেড় হইছিলাম।এমন সময় ঠাণ্ডা শীতল হাওয়া বইতে শুরু হলো।পরে আর লোভ সামলাতে না পেরে!বাকিটা তো জানো.....
  - খুব ভালোভাবে জানি,তুমি সুস্থহও তারপর দেখাচ্ছি।
  - ভয় দেখাও কেনো!
  - ভয়ের কি দেখলা!এটাতো......

হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠলো।কোনো ভাবে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম সুমিত।বাধ্য হয়ে নিধীর সামনে রিসিভ করলাম.....

  - হ্যা,সুমিত বল।
  - কেমন আছেন বস্?
  - আগের চেয়ে কিছুটা ভালো।
  - ভাবি কি পাশে?
  - হুম,কেনো কোনো দরকারি কথা বলবি?
  - না তেমন দরকারি নয়,জাস্ট একটা অনুমিত চাওয়ার ছিলো।
  - ওকে বল।
  - বস্,প্লিজ রাগ করবেননা কিন্তু।
  - ধুর,বল।
  - আজ রূপার বার্থডে।
  - দেখা করতে যাবি?
  - আপনি না করে দিলে যাবোনা।
  - হাহাহা,ওকে যা।F9 ড্রয়ারে দেখ একটা গিফট আছে,নিধীর জন্য কিনছিলাম।ওটা নিয়ে আমার পক্ষ থেকে রূপাকে দিয়ে দিস।
  - অনেক অনেক ধন্যবাদ,লাভ্ ইউ বস্।
  - লাভ্ ইউ টু,যা ভাগ।

কল কেটে যাওয়ার পর নিধীর দিকে তাকাতে দেখলাম বালিকা অগ্নি দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছি।ভয়ে কিছু একটা বলতে যাবো আর মোবাইল বেজে উঠলো।এবার রাফসান.....

  - আসসালামু ওয়ালাইকুম,বস্।
  - ওয়ালাইকুম আসসালাম।এতো ভালোবেসে সালাম দিলি হঠাৎ।শেষ যখন এমন ভালবাসা দেখাইছিস তখন আমার সাধের বাইকটা গায়েব,এখন কি লাগবে ভাই?
  - হিহিহি,অনুমিত।
  - তুইও সুমিতের মতন ক্যান্ডিডেট?
  - একটু আধটু,মিমের সাথে রিলেশনের এক বছর পূর্ণ হবে আজ।তাই.....
  - F6 ড্রয়ারে দেখ গিফট আছে।
  - লাভ্ ইউ,বস্।
  - লাভ্ ইউ টু,যা ইনজয় কর।

তারপর কল কাটতে না কাটতে আবার মোবাইল বেজে উঠলো।বুঝতে বাকি রইলোনা এবার রিফাতের পালা।রিসিভ করতে ওপাশ থেকে উৎফুল্ল সুরে ভেসে এলো.....

  - বস্,অনুমতি চাই।তাসফিয়ার বার্থডে।আমার বক্স নম্বর কত?
  - F3,আকিলরে ফোনটা দে।
  <কয়েক সেকেন্ড পর>
  - জ্বি বস্ বলেন।
  - তোর বক্স নম্বর F7,এবার আর কেউ কল দিবিনা।বাই......
*
অতঃপর কল কেটে মোবাইল ফ্লাইট মুডে রেখে দিলাম।
অপরদিকে নিধী রেগে লাল হয়ে আছে।
বালিকার রাগ ভাঙাতে,হাত টেনে বুকে জড়িয়ে নিলাম।তারপরি কিছুক্ষণ বাদে ঝরতে শুরু হলো বিনা মেঘে বৃষ্টি।

  - তুমি কান্না করছো কেনো?
  - তোমার কাছে আমার জন্য কোনো সময় নেই।
  - কে বলছে?আমার জিবনের প্রতিটা সেকেন্ড ঘিরে তো তুমি।
  - মিথ্যা কথা।
  - আমি যা বলি সব মিথ্যা,তো সত্যি কোনটা!
  - তুমি আমায় একদম ভালবাসোনা।
  - ওহ্ এই ব্যাপার।

বলে আলতো করে বালিকার চোখের পানি মুছে দিলাম।চেয়ে রইলাম মায়াময় চোখের দিকে।হঠাৎ কি ভেবে ঠোঁটের দিকে নজর গেলো।
তখন কিছু না বলে দুহাতে বুকে জড়িয়ে কপালে আলতো ছোঁয়ার সাথে ধীরে ধীরে ঠোঁটের দিকে এগোলাম।

নিধী!
সেতো ভালবাসা প্রিয়।নিশ্চুপ বুকে মাথা রেখে অনুভবে ডুবে রইলো ভালবাসার স্রতে।
.
রাত তখন নয়টা।নিধীর সাথে অনেকটা মুহূর্ত পাড় করে মোবাইল অন করলাম।
তার কিছুক্ষণ বাদে ডাটা অন করতে চারটা MMS মোবাইলে এসে হাজির।
অবাক হয়ে MMS অন করলাম।ব্যস,মাথা বাজ পড়া অবস্থা।"সুমিতকে রূপা গুলি করেছে।"
তারপর দ্বিতীয় MMS অন করে চোখে অশ্রু আটকে রাখতে পারলাম না,"মিম রাফসানকে গুলি করেছে।"
পরে দুইটা ভিডিওতে রিফাত এবং আকিলের একি অবস্থা।
কিছুতে কিছু বুঝে ওঠা মুশকিল হয়ে পরলো।
ওদের মৃত্যু নয়,যেনো আমার বুক হতে কলিজা ছিড়ে নিয়ে গেছে কেউ একজন।
তারপর নিজেকে কোনোভাবে সামলে কেবিনে গিয়ে বেডে গা মেলে ভাবতে লাগলাম-
কেনো হলো এমনটা?
কে আছে এর পেছনে?
ওদের গার্লফ্রেন্ড এর ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক তো ছিলো,তবুও!
উত্তর হয়তো অজানা,দেখার বিষয় সেটা কতদিনের।
To be continue.............

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ