āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4931

গল্প:#অন্ধকূপ
লেখক-গালিব হোসেন(রোমান্টিক ম্যাজিশিয়ান)

(১)
"দিপা তোমায় প্রপোজ করছে?"
নিধীর কথায় অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম।
তারপর কিছুক্ষণ ভেবে বললাম "জাস্ট লাভ্ লেটার দিয়েছে।"
  - তুমি কি রিপ্লাই দেওয়ার কথা ভাবছো?
  - উম্ম...হ্যা বলে দেওয়া বেটার।বড় বোন তো প্রেম করতে নারাজ তাই ছোটো বোন দিয়ে কাজ চালিয়ে নিবো।
  - আমি জেনেশুনে আমার বোনকে তোমার মতন ছেলের হাতে তুলে দিবোনা।
  - কেন!আমি কোন দিক থেকে খারাপ?
  - তুমি একটা ফাজিল।
  - কিভাবে?
  - আমায় প্রপোজ করে আবার আমার বোনের কথা ভাবো।
  - দোষের কি করেছি!তুমি রাজি হবানা বলে কি চির কুমার থাকবো?
  - দরকার হলে তাই থাকবা।আর হুম,অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথাও বলবানা।
  - কেনো?
  - এমনি,আমার সহ্য হয় না।
  - তাতে আমার কি যায় আসে।এনিওয়ে রুমি কিন্তু দেখতে খারাপ না।
  - হুম,তো!
  - ওর সাথে প্রেম করি?
  - হুহ্,রুমির চয়েস এতো খারাপ না।
  - প্রপোজ করে দেখতে প্রব্লেম কি?
  - চুপ থাকো,কাল অফিস আছে?
  - হুম।
  - ওকে..নয়টায় কল দিবা।একসাথে বেড় হবো।যাওয়ার পথে ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে চলে যাবা।
  - যদি কেউ দেখে?
  - তো!
  - কি ভাববে?
  - চুপ থাকতে বলছি,যা ভাবে ভাবুক।
  - ওকে 'I love you.'
  - জানি,এখন ঘরে যাও।সন্ধ্যা নেমে এসেছে।আযান দিলে নামাজ পড়তে যাবা।তারপর বাসায় এসে খেয়ে রেস্ট নিবা।দশটায় কল দিবো,রিসিভ করতে যেনো লেট না হয়।
  - দশটায় রুমির সাথে কথা বলবো।
  - সিরিয়াস?
  - হুম।
"ওকে ওয়েট।" বলে বালিকা কোথা থেকে খুঁজে ইয়া বড় লাঠি নিয়ে আসলো।চোখ রক্তরূপ ধারণ করে আছে।
কিছু বললে রক্ষা নেই।তাই কোনোমতে মানিয়ে রুমে চলে আসলাম।
(২)
সান্ধ্যা পেরিয়ে রাত,রাত পেরিয়ে ভোর সবকিছু নিধীর দেওয়া রুটিন অনুযায়ী চললো।

মেয়েটা অদ্ভুত,নিজে প্রেম করেনা আমায়ও করতে দেয়না।অপরদিকে জিবনে চলা প্রতিটা ধাপে তাঁর রুটিন অনুসরণ করতে হবে।
একটু এদিকওদিক হলে ঝাড়বে সাথে না খেয়ে থাকবে।
অবশ্য তাঁর এই আজব ধরণের চালচলন আমায় সবচেয়ে বেশী আকৃষ্ট করে।
অদ্ভুত মায়া জন্মেছে নিধীর প্রতি।
.
গভীর রাত পর্যন্ত কথা বলে সকালে দারুণ স্বপ্নে মগ্ন।
এমন সময় নিধীর সুরে ভেসে এলো "এই ওঠো,অফিসে লেট হয়ে যাচ্ছে।"
স্বপ্ন এবং বাস্তবতায় একত্রিত হয়ে কিছু মুহূর্তের জন্য নিধীকে বউ ভেবে বসলাম।
তারপর দ্বিতীয়বার যখন বললো "পানি এনে ঢেলে দিবো কিন্তু" তখন চোখটা কোনোভাবে খুলে বালিকার হাত টেনে বুকে জড়িয়ে নিলাম।
নিধী মাটির পুতুল ন্যায় কিছু না বলে যেভাবে জডিয়ে ধরে আছি সেভাবে রইলো।
আফসোস হঠাৎ দিপার সুরে ভেসে এলো "আপু তুই পাগল হয়ে গেছিস?"
কথাটা শুনে দুজন আবেগের জগত থেকে বেড়িয়ে এলাম।
নিধী হতভম্ব হয়ে উঠে "ঠাসস" করে চর বসিয়ে দিলো।
দিপা তখন গালে হাত দিয়ে বললো "আপু, আমায় মারলি?"
  - তো কি করবো!আসার আর সময় পেলিনা।যা ভাগ এখান থেকে।
  - আমি সবাইকে বলে দিবো তুই রফিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিস।
  - প্লিজ উপকারটা কর,আব্বুকে এতো করে বিয়ের কথা বলছি তবুও রাজি হচ্ছেনা।
  - ওকে তোদের বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার তবে শর্ত আছে।
  - কি শর্ত?
  - সোহানের সাথে আমার সেটিং করিয়ে দিবি।
  - কোন সোহান।
  - তোর জামাইয়ের চাচাতো ভাই।
  - ওকে ডান।
আমি একলা পুরুষ মুগ্ধ হয়ে দুই বোনের মাঝে ঘটে চলা ডিলটা দেখলাম।
(৩)
কিছুদিন বাদে নিধীর বাবার কাছে আব্বুকে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালাম।
আব্বুর বন্ধু হওয়ার সুবাদে তিনি মানা করতে পারেনি।
আমিও অবশ্য খারাপ না।
যাইহোক,সব দিক বিবেচনা করে দুদিন বাদে বিয়ের তারিখ ফিক্সড করা হলো।
তবে শর্ত জুড়ে দিলো "আমাদের মাঝে এই দুদিন কোনো যোগাযোগ থাকবেনা।"
শর্ত মানতে প্রথম দিন কোনোভাবে কাটিয়ে দিলাম।ভাগ্যক্রমে দ্বিতীয় দিন আটকায় কে।
মনের আবেগ সামাল দিতে না পেরে সন্ধ্যায় সোজা নিধীর রুমে চলে গেলাম।
ওর আম্মু কিছুটা অবাক তবে সেটা ছিলো ট্রেলার মাত্র।তিনি আরো অবাক হলেন যখন নিধীর হাত ধরে সোজা ছাদে নিয়ে গেলাম।
.
সূর্য মাত্র অস্ত গিয়েছে,চারিপাশ থেকে ধেয়ে আসছে কালো অন্ধকার।
আকাশ জুড়ে কালো মেঘ বিরাজ করে আছে।
মেঘের আড়ালে চাপা পরে আছে সাদা বেশ ধারণ করা চাঁদ।
তারাদের কোনো দেখা নেই,হয়তো ওরাও মেঘের আড়ালে লুলিয়ে আছে।
তবে এতোকিছু খেয়াল করার সময় আমার কাছে নেই।সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে চাঁদ-তারাদের হার মানিয়ে তোলা অপরূপ এক সুন্দরী।
এখন মুহূর্তটা হতে হবে ''শুধু তাকে ভালবাসার।''
  - এভাবে আম্মুর সামনে থেকে নিয়ে আসলা কেনো?
  - কতদিন তোমায় দেখিনা।
  - কিইই!পরশুদিন তো দেখলা।
  - এখন দেখতে ইচ্ছা করছিলো।
  - হুহ্,আম্মু কি ভাবছে!
  - তাঁর মেয়েকে কত্ত ভালবাসি।
  - কচু ভালবাসো।
  - যা ইচ্ছা ভাবো।
  - হুহ্।[মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে]
  - এই তোমার হাতটা একটু ধরি?
  - না।
  - চুল গুলা ধরি?
  - না।
  - একটু জড়িয়ে ধরি?
  - না।
  - কিস তো করতে দিবা!
  - না..না..না।
  - রুমি হলে না বলতোনা।
  - যাও,তোমার রুমির কাছে যাও।আমার কাছে আসছো কেনো!
  - ভালবাসি তাই।
  - আমি বাসি না।
  - সত্যি?
  - হুম।
  - ওকে।থাকো তুমি,আমি গেলাম।
  - দাঁড়াও,কোথায় যাবা?
  - রুমে।
  - যাও,পরে কিন্তু আবার আসবা না।
  - এই তুমি এমন কেন!
  - হিহিহি,কেমন।
"দেখাচ্ছি" বলে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।
বালিকা নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে রইলো।
আমি সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললাম "I love you,এবার প্লিজ ফিরিয়ে দিও না।অন্তত বিয়ের আগের রাতটা তো প্রেম করি।"
  - বলবো।
  - বলে ফেলো।
  - ওকে,I love you too.
এমন সময় শাশুড়ির মিষ্টি কণ্ঠে ভেসে এলো "এগুলোর জন্য এখনো অনেক সময় আছে।"
*
ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী সে নয়-
যার একটা ধনী পরিবার আছে।
ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী সে হয়-
যার একটা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবার থাকে।
………………<সমাপ্ত>………………

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ