āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4916

..সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখলাম পেট ফুলে বেশ গোলগাল একটা কুমড়ো হয়ে গেছে। আঙ্গুল দিয়ে কয়েকটা টোকা দিলাম। বাহ্। কাঁঠাল পাকলে যেরকম ঢপঢপ আওয়াজ হয় ঠিক সেইরকমই আওয়াজ শুনতে পেলাম।
বুঝলাম, আজ অবস্থা খ্রাপ আছে।
বিছানা থেকে নামতে যাবো, ঠিক সেই মুহূর্তে অনুভব করলাম পিছন থেকে সামান্য আওয়াজের সঙ্গে বাতাসের মতো কিছু বের হয়ে গেলো।
বুঝতে বাকি রইলো না যে, এটা পাদ্রবায়ু তথা -পাদ ছিল।
পরক্ষনেই নাকে একটা পঁচা গন্ধ
এসে অ্যাটাক করলো। (কেউ জানতে চাইবেন না এটা কিসের গন্ধ।)
নাক চেপে ধরে বাথরুমে দিকে দৌড় দিলাম।
বাথরুম থেকে এসে একটা শান্তি কাজ করলো। যাক! পেটটা কমে এখন তরমুজের মতো দেখাচ্ছে। এবার আর কোনো সমস্যা নেই।
কিন্তু এ শান্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। কেননা, পরমুহূর্তে আবার সেই পিছন থেকে বিকট শব্দের সঙ্গে পঁচা বাতাস।
বাথরুমের দিকে আরেকবার দৌড়।
এভাবে ছয় ছয়বার যখন বাথরুমের দিক বরাবর দৌড়াদোড়ি করেও পিছনের দিক দিয়ে বাতাস নির্গত হওয়া বন্ধের কোনো হদিস পেলাম না তখন বুঝে নিলাম আজ কপালে শনি-শুক্র-বুধ-বৃহস্পতি সবগুলোই ফুটবল খেলবে।
এদিকে কাজে বের হওয়ার সময় এসে গেছে। তাই কোনোরূপ চিন্তা বাদ দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা না করেই বেরিয়ে পড়লাম।
-
বাসস্টপে গিয়ে বাসের জন্য আধা ঘন্টা থেকে দাড়িয়ে আছি।
কিন্তু কোনো বাসের টাকের চুল পর্যন্ত দেখা মিলছে না।
শেষমেশ যখন একটা লোকাল বাস আসলো সেটাতেই ঠেলাঠেলি করে ঢুকে পড়লাম। লোকাল বাস, তাই সিট সংখ্যা কম । এমন সময় বাসের মাঝ বরাবর একটা ফাঁকা সিট দেখতে পেলাম। অবশ্য দুইটা পাশাপাশি সিটের জানলার পাশেরটাতে অতি সুন্দরী একজন মেয়ে বসে ছিল। মনে মনে ইয়াহু বলে চিৎকার দিলাম। এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি..।
ধপাস করে গিয়ে পাশে থাকা অপর সিটটিতে বসে পড়লাম। আমি বসা মাত্রই পাশে থাকে সেই সুন্দরি আমার দিকে তাকালো, আমিও একটা জয়মার্কা হাসি দিলাম।
হাসি দেখে উনি খুশি হয়েছিলেন কিনা জানিনা কিন্তু পরক্ষণেই আমার মনে সকালের কথা মনে পড়ে গেলো।
পেটটা এখনো ফুলে আছে। আর মাঝেমধ্যে ঢেকুর বের হচ্ছে।
বাসের মধ্যে যদি -পাদ এসে যায় তাহলে কি হবে!
-
চারপাশটাতে একবার ভালোভাবে তাকালাম।
১০-১২ জন দাড়িয়ে বাদুর ঝোলা হয়ে যাচ্ছে।
আমার সামনের সিটে মাঝবয়সী স্বামী-স্ত্রী বসে আছে।
এনারা আমি বাসে উঠা থেকেই সেই যে গল্প শুরু করে দিয়েছেন, এখনো চলছে।
পিছনের সিটে দুজন বয়স্ক লোক। দুইজন সম্ভবত লেংটাকালের বন্ধু হবে। হয়তো ভুলবশত আজ অনেক দিন পর বাসে দেখা হয়েছে দুজনের। তাই কার কয়টা বাচ্চাকাচ্চা, নাতি-নাতনী, নিজের বউয়ের কয়টা দাঁত পড়েছে আর কয়টা বাকি আছে এসংক্রান্ত আরো বিবিধ আলাপ-আলোচনা। বাসে এনাদেরই গলা বেশি শোনা যাচ্ছে।
আমার বামের সাড়ির সোজা সিট দুটোর সামনের সিট দুটোতে চশমা পরিহিত দুজন মেয়ে বসে একবার একজন আরেক জনের সঙ্গে কথা বলতেছে, আরেকবার মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কি জানি কি করতেছে। সবার পিছনে সিটে সাধুবাবা নামক জটাধারী একজন ব্যাক্তি চোখমুখ বন্ধ করে প্রায় ধ্যান মগ্ন হয়ে বসে আছে। হয়তো মন থেকে চাইলে সব জায়গাতেই ধ্যান করা সম্ভব।
হোক সেটা টয়লেট কিংবা লোকাল বাস।
আর আমার পাশে সেই সুন্দরী কানে হেডফোন গুজিয়ে জানালার দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে মাঝেমধ্যে মাথা ঝাকাচ্ছে।
এমন সময় স্বয়ং আমার পিছনে সকালের মতো সেই চাপ অনুভব করলাম। বুঝতে বাকি নেই একটা কেজি খানেক পাদের আগমন খুব শীগ্রই ঘটতে চলেছে।
কিন্তু এখানে এই বায়ু ছেড়ে দিলে তো বাসের অর্ধেক লোক অজ্ঞান হয়ে যাবে।
বলা বাহুল্য, পাদ্রবায়ুর যা সুবাস!
..বেশ কিছুক্ষণ পিছনের সেই পদ্রবায়ুর সঙ্গে অস্ত্রহীন যুদ্ধ করলাম।
এমন যেন, জেলখানার দারোগা আমি, আর আসামি পদ্রবায়ু (পাদ।)।
আসামী বের হতে চাচ্ছে আর আমি তাকে মেরেমুরে আবার হাজতে ঢুকাই দিচ্ছি।
কিন্তু সর্বশেষ আমাকেই পরাজয় বরণ করে নিতে হলো।
যা হওয়ার হবে, এইভেবে দিলাম আটকে রাখা বাতাস ছেঁড়ে।
ফলস্বরূপ, কিছুক্ষণ পরই একটা বর্ণনাতীত সরা গন্ধযুক্ত সুবাস পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়লো।
সামনের মাঝবয়সী স্বামী-স্ত্রীর কথা বলা, নড়া -চড়া বন্ধ হয়ে গেল।
পিছনের বয়স্ক ব্যাক্তি দুটির কথাও হঠাৎ করে কেন জানি থেমে গেল।
উল্টো দিকে থাকা চাশমিশ মেয়ে দুটি মোবাইলে গুতাগুতি বিরতি নিয়ে নাকে হাত দিয়ে ঢাকন দিল। বাসে থাকা একজন আরেকজনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো। হয়তো বলতে চাচ্ছে, কে এই অসামাজিক কাজটি করলো!
এমন সময় পিছনে থাকা সেই সাধুবাবা বলে উঠলেন, "শান্তি নাই রে, শান্তি নাই। ঘরেও নাই, বাসেও নাই।"
আমাকে যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে তাই আমিও এমন ভান করলাম যেন আমি এসবের কিছুই জানিনা। তাই বিধি মোতাবেক পকেটে রুমাল না থাকায় গায়ে থাকা শার্টের সামনের বোতাম খুলো কলার দিয়ে মুখে ঢাকন দিলাম।
এমন সময় আমার পাশে থাকা সেই সুন্দরী তিনবার হিচকি তুলে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে গেলো।
-
-পাদতত্ত্ব-
-Rimon Roy ||

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ