āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4935 (1)

বন্ধুত্ত ২   ( পার্ট ১) 
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়) 
.
- এ্যা এ্যা...... এ
- কি ছেলে মানুষ হয়ে কাদছিস
- কেন ছেলেদের কি কান্না করা নিষেদ নাকি
- নিষেদ না, তাই বলে পাবলিক প্লেসে কেও এমন ভাবে কান্না করে নাকি
- কান্না করবো নাতো কি করবো
-এ্যা এ্যা...... এ্যা
- আচ্ছা কান্না বাদ দে কি হয়েছে সেটা বল আগে
- কি আবার সামিয়া আমাকে ছেড়ে চলে গেছে
- যাবেই তো, তোর সাথে কোনো মেয়ে থাকবে নাকি
- তুই তো ঠিকই  আছোস
- আমি তো ফেন্ড হয়ে আছি
- হুমম,,, তোরা মেয়েরা এমন ই শুধু ছেলেদের কষ্ট দিস
- হুদায় কোনো কথা বলিস না, তোর এই কষ্টে তো আমিই তোর  পাশে আছি, কোন ছেলে আছে যে তোর দুঃখের সাথি হবে
- তা ঠিক, সবাই কেমন জানি স্বার্থপর
- এখন মেয়ে বাদে সবাই হয়ে গেছে তাই না
- হুমম, আচ্ছা বল না এখন আমি কি করবো
- কিসের কি করবি
- সামিয়া তো আমাকে ছেড়ে চলে গেল, আমাকে  দিয়ে কি প্রেম হবে না
- হবে না কেন হবে
- কিভাবে
- নিজেকে সময় দে, নিজেকে নিয়ে ভাব, বুঝতে শেখ সামনের মানুষ গুলো তোর কাছ থেকে কি চাচ্ছে, তাহলে দেখবি তোর জিবনে প্রেম টা সফল
- সত্যিই তো
- হুমম....চল এখন যায়, কিন্তু তোর বাইকটা কই।
- বাসায়
- ঠিক আছে চল রিক্সায় যায়
- ওকে চল
মাহির আর নিরু রিক্সায় করে রওয়ানা দিল।
নিজেদের মাঝের পরিচয় টা বন্ধুত্তের হলেও তাদের বন্ধুত্ত যেন একটা সম্পর্কের নাম, ভালবাসা, .. না তার থেকেও অনেক কিছু।
দুজন একই সাথে একই ভার্সিটি তে পরে, ফেন্ডশিপ ভার্সিটি লাইফের শুরু থেকে।
মাহির ছেলেটা অগুছালো, আর নিরু গোছালো টাইপের মানুষ। মাহিরের লাইফ টা গোছাতেই নিরুর দিন কাল পেরিয়ে যায়। আজ যেমন সামিয়া চলে গেছে অতিতে এ রকম আরো অনেক মেয়ে মাহিরকে  ছেড়ে চলে গেছে। মাহির কারোর সাথে রিলেশনে খুব বেশিদিন স্থায়ী হতে পারে না। প্রত্যেক টা রিলেশন ব্রেকাপের পর নিরু শান্তনা দেয় মাহির কে, নিরুর আশে পাশে থাকলে নিজেকে একটু স্থবির মনে হয় মাহিরের।
নিজের মনের কথা কোনো দ্বিধা ছাড়া বলতে পারে সে নিরুর কাছে
- চল মাহির কোনো রেস্টুরেন্টে বসি
- টাকা নাই আমার কাছে
- আমি খাইতে চাইলেই তোর কাছে টাকা থাকে না আর যাদের সাথে প্রেম করে বেড়াস তাদের তো সারাদিন ভরা খাওয়াস
- ফালতু কথা বলিস না, টাকা নাই বললাম না, টাকা থাকলে খাওয়াতাম মাস্ট
- ওকে চল আমি তোকে খাওয়াবো
- এই তো আমার গুলু গুলু ফেন্ড ( নিরু গাল টা ধরে)
- ছাড়,
- ওকে
খাওয়া দাওয়া করে নিরু আর মাহির বাসায় চলে আসলো
রাতে নিরুর ফোন,
- হুমম বল
- কি করিস
- ফেসবুকে চ্যাটিং
- কার সাথে
- একটা মেয়ে, কিছু দিন হলো পরিচয় হয়েছে
- কি বলিস,  আবার মেয়ে
- তো কি করবো সিঙ্গাল থাকবো নাকি
- থাকলে সমস্যা কি
- সমস্যা আছে আমি পারবো না
- ওকে প্রেম কর
- কিন্তু মেয়েটার রিলেশন শিপ স্টাটাস দেওয়া আছে রে
- তো তুই কেন এমন মেয়ের সাথে চ্যাট করিস কেন
- মেয়ে তো আমাকে ঠিকই সময় দেয়
- হয়তো রিলেশন শিপ স্ট্যাটাস টা এমনি দিয়ে রাখছে
- হুম হতে পারে
- আচ্ছা রাখি বাই, আর ডিনার করে ঘুমাস
- ওকে
ফোনটা  কেটে দিলো নিরু, মাহিরের জন্য মাঝে মাঝে তার অনেক চিন্তা হয়, কি হবে ওর ভবিষ্যত এর। সারাক্ষন শুধু মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত।

পরের দিন বিকালে,
- কি হয়েছে মন খারাপ কেন
-
- কিরে কথা বল
- কি বলবো, তোরা মেয়েরা মোটেও ভালো নারে
- কেন আবার কি হয়েছে
- কাল বললাম না একটা মেয়ে আমার সাথে ফেসবুকে কথা বলে, কাল দেখি একটা ছেলে ওর পিকে লাভ রিয়েক্ট দিছে
- লাভ রিয়েক্ট দিতেই পারে তো
- শুন না, আমি ছেলেটাকে বললাম ভাই আপনির ওর পিকে লাভ রিয়েক্ট দিলেন ক্যান
- সে কি বলে জানিস
- কি
- মেয়েটা নাকি ওর গার্লফেন্ড
- হা হা হা
- হাসছিস কেন
- তোর পাগলামি দেখে
মাহির মুড অফ করে বসে রইলো,
- শোন
- না
- শোন বলছি
- হুমম
- তোরা ছেলে রা কেমন এক উদভ্রট টাইপের, কোনো মেয়ে যদি তোদের সাথে কথা বলে হেসে হেসে, তাহলে তোরা মনে করস বা মেয়েটা তোদের আমার প্রতি এডিক্টেড, ওর সাথে প্রেম করাই যায়, আবার কোনো মেয়ে যদি তোদের সাথে ফেসবুকেও চ্যাট করে তো সেখানেও তোদের একই অবস্থা, মেয়েদের নিয়ে একটা কাল্পিক জগত বানিয়ে ফেলিস
- তো
- প্রেম করা বাদ দে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা কর, তা না হলে কিন্তু সবই হারাবি, এমন কি আমাকেও
- আমাকেও মানে, কোথায় যাবি তুই
- বিয়ে শাদি করে জামায় বাড়ি
- ও ও বিয়ে তো আমি ও করবো তাই বলে কি আমাদের বন্ধুত্ত নষ্ট হবে নাকি
- তুই কিছুই বুঝিস না কেন।
- বুঝি তো, তোরা মেয়েরা সব স্বার্থপর
- হুমম, তো মেয়েদের সাথে প্রেম করস কেন
- কি করবো, মায়া বাড়াস বেশি তাই তো প্রেম করি
- কে মায়া বাড়ায়
- মেয়ে জাতি
- ঢুর ফালতু কথা সব
- কই যাস
- বাসায়
- আমি কি একা একা বসে থাকবো নাকি
- থাকলে থাক
- না দ্বাড়া আমিও যাবো
- আই
- চিন্তা করছি আর কোনো প্রেম করবো না
- না করলে নাই
- হুমম
বাসায় দিকে রওয়ানা দিলো মাহির।

মাহির মাঝে মাঝে উবারে কাজ করে এটা তার এক্সট্রা একটা উপার্জন বলা যায়।
নিরু অবশ্য বিষয় টা জানে না। রাত পেরিয়ে সকাল বেলা বাইক নিয়ে বসে আছে সে, হঠাৎ করে মেসেজ আসলো, কেউ একজন দাড়িয়ে আছে বাইকের জন্য,
মাহির  ম্যাপ ফলো করে চলে আসলো,
- জ্বি কোথায় যাবেন
- ঘুড়তে যাবো
- ঘুড়তে যাবেন মানে
- হুম আমার বাইকে ঘুরার অনেক সখ তাই তো উবার নিচ্ছি, সারাদিন ঘুড়বো দেন ম্যাপ দেখে যা টাকা হয় দিয়ে দেব
- এমন কোনো অপশন তো নাই
- কেন
- আমাদের নির্দিষ্ট পথ দেখাতে হয় তবেই আমরা উবার থেকে টাকা পায়
- কিন্তু
- আচ্ছা এক কাজ করি, আপনি উবার ট্রিপ টা ক্যান্সেল করে দিন, তারপর আপনি আর আমি বাইক নিয়ে ঘুড়তে যাবো
- মানে কি
- মানে আমি ঘুড়বেন আমি বাইক চালাবো, দিন শেষে আপনি আমার ন্যায্য টাকা টা দিয়ে দেবেন
- ওকে চলুন
মাহির আর মেয়ে টা বেরিয়ে পড়লো,
- কোন দিকে যাবো
- জানি না যাস্ট লং ড্রাইভ
- ওকে তাহলে এক কাজ করি শহরের বাইরের দিকে যায়
- ওকে
- একটা কথা বলি রাগ করবেন নাতো
- না বলুন
- আপনার নামটা কি
- জিমি আফরোজ, ডাক নাম রোস
- আমার নাম মাহির
- জানতে চাইনি আপনার নাম
- লাগতে পারে তাই বলে রাখলাম
- লাগবে না
- ওকে
মাহির আর রোজ দুজনে বাইকে বসে বসে ঘুড়ছে, যেন হাওয়ায় ভেসে বেরাচ্চে তারা।
একটা মেয়ে তার সাথে লং ড্রাইভে বের হবে এটা মাহির  কখনো চিন্তা করে নি।
অনেকক্ষন ঘুরার পর বাইক থামাতে বললো রোস।
- কি কোনো সমস্যা
- না,  ফুসকা খাবো
- ফুসকা এখন
- হুমম,,, এখন চা খাই বিকালে না হয় ফুসকা খাবেন
- হুমম,,,, ওকে
চা খেয়ে বাইকে উঠবে মাহির তখনই রোস,
- আপনি কি ভালো মানুষ নাকি ভালো মানুষের অভিনয় করছেন
- কেন, এমন কেন বলছেন
- না বলছি এত সুন্দর একটা মেয়ে বসে আছে পিছনে একটা বার ও হার্ট ব্রেক করলেন না তাই বলছি
- আমি মেয়েদের সম্মান করি, তাছাড়া সাময়িক এই সুখ আমার কাছে এলার্জি টাইপের
- গুড বয়
- ওকে চলুন তাহলে
- ওকে চলো
মাহির সামান্য অবাক হলো তুমি বললো মেয়েটা তাকে নাকি শনার ভুল
যাইহোক আবার রওয়ানা দিলো অজানা গন্তব্যে,
ঘুড়তে ঘুড়তে দুপুর হয়ে গেল দুপুরে লান্স টা করলো একটা রেস্টুরেন্ট এ দুজনে।

খাওয়া দাওয়ার পর রেস্ট নিয়ে রওয়ানা দিলো বাসার দিকে
বাসায় পৌছাতে পৌছাতে বিকাল হয়ে গেল
মাহিরকে বেশ কিছু টাকা দিলো রোস,
- চলি বাই
- কিন্তু ফুসকা তো খাওয়া হলো না
- ও মিসটেক হয়ে গেল
- হুমম তোমাকে তখন বললাম তুমি তো শুনলে না
- আপনি চাইলে অন্য কোনো একদিন না হয়
- আবার ওকে,    কবে বের হবে।
- সময় নিয়ে কোনো একদিন
- ঠিক আছে তোমার ফোন নাম্বার টা সেভ করে দাও
- ওকে
.
পরবর্তি পর্ব আসছে....

বন্ধুত্ত ২  (পর্ব ২)
.
PM Abdullah Mahir ( নিরুময়) 
.
সারাদিনের ক্লান্তি তে  ধরাশয় মাহির , ঘুমে তার চোখ  বন্ধ হয়ে আসছে তাই বাসায় এসে একটা ঘুম দিলো মাহির,
- হায় মাহির
- হাই, কি অবস্থা তোমার রোস
- ভালো
- কিন্তু  তুমি আমার বাসায়
- হুম, তোমার সাথে ঘুড়তে যাবো তাই তোমাকে নিতে আসলাম
- আবার ও
- হুমম
- কিন্তু আমি তো ক্লান্ত
- ধুর চলো তো,
হাত টা ধরবে অমনিই মোবাইলের শব্দে ঘুম টা ভেঙ্গে গেল,
যা স্বপ্ন টাই ভেঙ্গে গেল,  মেজাজ গরম হয়ে গেল মাহিরের,
.- কি করলি এটা
- কি করলাম
- স্বপ্ন টা ভেঙ্গে দিলি
- স্বপ্ন টা কি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ন ছিলো
- হুম
- এখন তাহলে কি করবো
- কিছু না, বল কি বলবি
- কই ছিলি সারাদিন
- ছিলাম কোথাও
- ছিলাম কোথাও মানে কি
- একটু বাইক নিয়ে লং জার্নিতে গিয়েছিলাম
- আমায় একটু বলবি না আমিও যেতাম
- ঠিক আছে অন্য কোনো একদিন
- ওকে
- বল কি করিস
- এইতো চ্যাটিং
- সারাক্ষন শুধু চ্যাটিং নিয়েই থাকোস দেখি, কাল যে এসাইনমেন্ট আছে তার খেয়াল আছে
- কি বলিস কাল আবার কিসের এসাইনমেন্ট
- গতসপ্তাহে সার দিলো না সেটা
- এখন কি হবে আমি তো এসাইনমেন্ট করি নাই। তুই প্লিজ করে দিবি আমার টা
- পাবরো না, এখন তো ঠিকই আমাকে দরকার হচ্ছে তোর,  যখন ঘুড়তে যাস তখন তো আমাকে বলিস না।
- প্লিজ নিরু প্লিজ
- ওকে করবো কিন্তু ট্রিট দিতে হবে
- ওকে দিবো
- বাই

মাহির মনে করে ছিলো রোস হয়তো তাকে আর ফোন দিবে না, কিন্তু না তার ধারনা টা ভুল,  তিন দিন পর ফোন দিলো রোস,
- হাই কেমন আছেন
- তুমি আমাকে তুমি বলতে পারো, আপনি তে কেমন যেনো দুরুত্ব দুরুত্ব মনে হয়
- ওকে,  তুমি তেই এখন আপনি
- কি করো
- কিছু না,  তুমি
- বসে, কাল ফ্রি আছো তো
- না তো কাল আমার একটু ভার্সিটি তে যেতে হবে
- কিন্তু আমার তো ঘুড়তে মন চাচ্ছে
- কাল না তার পর দিন
- ওকে সেটা না হয় কাল দেখা  যাবে
- কেন
- কিছুনা বাই
- ওকে

মাহির নিরু ক্লাস করে বের হচ্ছে,  আজ নিরু কে নিয়ে ঘুড়তে যাওয়ার কথা, এক্সাম নিয়ে কি যেনো এক কথা হচ্ছিল তাদের মাঝে,
হঠাৎ রোসের ডাকে সামান্য অবাক হয়ে পিছন ফিরে তাকালো মাহির,
- একি তুমি এখানে
- চলে আসলাম
- কিন্তু তুমি আমার ভার্সিটি চিনলে কেমনে আমি তো নাম বলি নি
- তোমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বের করছি
নিরু অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছে মাহিরের কাহিনি, মুহুর্তেই সে ভুলে গেছে  যে সে ওর পাশে আছে, এখন আর মাহিরের পাশে থেকে লাভ নেই, আজ তার ঘুড়তে যাওয়ার ট্রিপ বাতিল সেটা ভাল ভাবেই   বুঝতে পারছে  নিরু। তাই  বিনা শব্দে কেটে পরলো সে,
- পরিচয় করে দিই,  ও হলো নিরু
- কই
- নিরু নিরু কই গেলি
- চলে গেছে মে বি
- হুমম,  চলো আমরাও যাই
- কি হয় তোমার মেয়েটা
- বেস্ট ফেস্ট
- তার বাইরে
- আর কিছু না
- ওকে চলো
- চলো

মাহির আর রোস বের হয়ে পড়লো বাইক নিয়ে, গন্তব্যহিন পথে তাদের সাথি বলতে গেলে আলো বাতাস,
- কই যাবে
- যেদিকে নিয়ে যাও
- মানে
- হুমম, আজ তোমার ইচ্ছায় ঘুড়বো
- ওকে চলো
ঘুড়তে ঘুড়তে ক্ষিদে গেলো দুজনের ।  লান্স এর জন্য বাইক টা থামালো,
খাবার টেবিলে,
- নাম কি মেয়েটার
- কে নিরু
- হুমম
- নিরু, আমি ওকে ডাক নাম দিয়েছি এটা , ও নিজেকে নিরু নামতে শুনতেই ভালবাসে
- তুমি দিয়েছো
- হুমম...
- তাহলে আমার একটা নাম দাও
- ওকে দিবো এখন খাবার  খাও, তুমি জানো আজ ওকে নিয়ে ঘুড়তে বের হওয়ার কথা ছিলো, মেয়েটা আমার এসাইনমেন্ট করে দিয়েছে, সাথে ক্লাস এক্সামে সব দেখাইছে
- সব
- হুমম,  মেয়েটা সবসময় আমার টেক কেয়ার করে
- জানি তো
-কেমনে
- বেস্ট ফেন্ড না তোমার
- হুমম,,,  ঠিক বলেছো
খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে আবার বের হলো, বিকাল পর্যন্ত ঘোরাঘুরির পর বাসায় ব্যাক করলো মাহির আর রোস।  ফুসকা খেতে ভুল হয় নি আজ।
বাসার গেটে দাড়িয়ে,
- কত হয়েছে মাহির
- কিসের কত
- টাকা, তুমি আমাকে নিয়ে ঘুড়লে না তার টাকা
- আরে লাগবে না
- লাগবে না কেন
অনেকটা জোর করে কিছু টাকা দিয়ে গেল মাহিরের হাতে
নিজের ভিতর কেমন যেনো খারাপ লাগলো তার, 
যেই মেয়েটা তার সাথে ঘুরতে যায়, তার কাছ থেকে টাকা নেওয়াটা কেমন যেনো মানায় না, মানা শর্তেও দিয়ে দিল কি করবে মাহির।
বাসায় ফেরত আসলো মাহির,

ফ্রেস হয়ে ফোন দিলো নিরু কে,
- কি করিস
- কিছুনা, তুই
- রাগ করিস নি তো
- না, তোর উপর আবার রাগ কোনোদিনই সম্ভব নাকি
- ধন্যবাদ দোস্ত
- মেয়েটা কে
- নাম রোস, আমি তো উবারে কাজ করতাম সেখান থেকে পরিচয়
- ওয়েট ওয়েট, তুই আবার কবে থেকে উবারে কাজ করস
- অনেক দিন হলো, তোকে বলা হয়নি, সরি
- সরি কেন বলস, আমি সরি শোনার দাবি রাখি না রে
- রাগ করিস না, মেয়েটা মেবি আমার প্রতি এডিক্টেড, তাই একটু গুরুত্ব দিচ্ছি, যদি প্রেম টা হয়ে যায়
- দেখ, তোর তো শুধু প্রেম করার ইচ্ছা, কখনো তো আশে পাশে তাকিয়ে দেখলি না
- আচ্ছা রাখ রোস ফোন দিছে
- ওকে টেক কেয়ার বাই
- বাই
.
হ্যা রোস বলো
-কি তোমার বেস্ট ফেন্ডের সাথে কথা বলছিলে নাকি
- হুমম
- ভাল,  কি করো শুনি
- তেমন কিছু না,  তুমি
- শুয়ে আছি
- কাল কি ভার্সিটি আছে
- হুমম যেতে হবে কাল এক্সাম
- এক্সাম তো পড়া বাদ দিয়ে বসে আসো কেন
- আমার পড়তে হয়না, নিরু আছে না, ওর সব সময় আমায় দেখায়
- কি বলো, তাহলে তো ভালোই
- কি আর বলবো ওর কথা, কখনো নিজের কথা ভাবে না, সারাক্ষন আমায় নিয়ে ওর ভাবনা
- ঠিক বলেছো, ফেন্ড রা এমনই হয়
- হুমম
- তাহলে এক্সাম ভালো করে দিও
- ওকে ডিনার করছো
- হুমম,,
- এদিকে নতুন একটা রেস্টুরেন্ট আছে যাবা নাকি ঘুড়তে
- কবে যাবা
- কাল দিন পর
- ওকে ফোন দিও
- ওকে রাখি কেমন
- ওকে

কেন যেন মাহিরের মনে রোস কে নিয়ে একটা কাল্পিক জগত তৈরী হচ্ছে, মেয়েটা পছন্দ হয় মাহিরের, মনে হয়
রোস ও পছন্দ করে তাকে কিন্তু প্রকাশ করে না,,,
.
চলবে...
পরবর্তি পর্ব আসছে....

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ