গল্প:#স্বস্রেয়
লেখক-গালিব হোসেন(রোমান্টিক ম্যাজিশিয়ান)
★
(০১)
রাত তখন প্রায় দুইটা...
নীলার ভাবনায় নির্ঘুম রাট কাটাচ্ছি এমন সময় রুমে আব্বুর প্রবেশ।
- এখনো জেগে আছিস!
- তো কি করবো।বললাম 'নতুন নতুন সেকা খাইছি,একটা গার্লফ্রেন্ড খুঁজে দেন' তা না করে আপনি আপনার মতন ব্যস্ত।
- এই দিয়ে সাতটা সেকা খাইলি,এবার কি দুই হালি পূর্ণ করতে চাচ্ছিস!
- নীলাকে ভুলে থাকার অন্য কোনো বুদ্ধি আছে আপনার কাছে?
- বিয়ে করে ফেল।
- কিইইই?[চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে]
- জ্বি।
- খাওয়াবো কি?
- তোর বাপের কি টাকার অভাব পরছে?
- তাও ঠিক,ওকে এবার মেয়ে আপনি চয়েস করে দিবেন।
- চয়েস করা আছে।
- হিহিহি,কে?
- নিধী।
- কোন নিধী?
- তোর ফাস্ট লাভ্।
- আপনি ঠিক আছেন!ওই মেয়ে আমার জিবনে অভিশাপ।ওর সাথে প্রেম না করলে বাকি ছয়টা সেকা কখনো খাইতাম না।
- আরে পাগল এর জন্য তো বিয়ে করবি,প্রতিশোধ নিতে হবেনা?
- [কিছুক্ষণ ভেবে]এতো বুদ্ধি নিয়ে ঘুমান কিভাবে!
- তোর বুঝার বয়স হয়নি।এখন একটা কল দিয়ে নিধীর সাথে কথা বল,তাহলে আর নীলার কথা মনে পরবেনা।
- ওতো দশটায় ঘুমিয়ে যায়।
- তোদের ব্রেকয়াপ হওয়ার পর মেয়েটা পুড়ো বদলে গেছে।এখন সারারাত তো ভাবনায় জেগে থাকে।
- হুহ্,ব্রেকয়াপ করছিলো কেনো!......ওয়েট ওয়েট,আপনি এতকিছু জানলেন কিকরে?
- এক্সপ্রিয়েন্স ম্যান।
- দাঁড়ান সকালে আম্মুকে বলতেছি।
- ধুরর,আমি তোর উপকার করছি আর তুই বাঁশ চাস।
- হুম,গিয়ে বউ সামলান।আমি আমারটা দেখি কি অবস্থা।
- গুড নাইট।
অতঃপর আব্বু মহান উপকার করে চলে গেলেন।আমিও খুশি মনে সাথে সাথে নিধীকে কল দিলাম।
দুবার রিং হতে রিসিভ হলো,কিছুটা অবাক করা বিষয়.....
- আসসালামু ওয়ালাইকুম।
- ওয়ালাইকুম আসসালাম,কেমন আছো?
- ভালো,আপনি?
- তোমার বদদোয়ায় ভালো নেই।
- আমি বদদোয়া দিলাম কবে?
- যেদিন ব্রেকয়আপ করছিলা।
- আমি ব্রেকআপ করিনি,জাস্ট অভিমান করেছিলাম।
- ব্রেকআপ বলে চলে যাওয়া অভিমান হলো কবে থেকে?
- আপনি একবার সরি বলে দেখতে পারতেন।
- হুহ্,ভুলটা কি ছিলো?
- স্নেহার ছবিতে লাভ্ রিয়েক্ট মাড়ার কথা ভুলে গেছেন!
- তাইবলে সামান্য বিষয় নিয়ে ব্রেকআপ দিবা?
- হুম দিবো,শতবার দিবো,হাজারবার দিবো,লক্ষবার দিবো আপনার সমস্যা!
- সমস্যা হবে কেনো!নতুন প্রেম করতে পারবো।
- আপনি তো চানই এটা,আমায় কষ্ট দিয়ে অন্যকারো সাথে স্বপ্ন বুনতে খুব ভালোলাগে তাইনা!এবার আর তা হতে দিচ্ছিনা।আপনি একটা ছাগল,বেড়াল,ইদুর।[কান্না করে দিয়ে]
- কান্না করছো কেনো?
- তো কি করবো!ছয় ছয়টা প্রেম করছেন।না জানি কতো ঠোঁটের ছোঁয়া আপনার গালে লেগে আছে।
- ধুরর,হত ধরাতে দেয়নি আর ঠোঁট।
- সত্যি তো?
- প্রমিস।
- আমার হাত ধরবেন?
- দিবা?
- শর্ত আছে।
- কি শর্ত!
- কখনো ছাড়তে পারবেন না।
- উমমমম..টয়লেটে গেলে?
- ধ্যাত।
- এখন ধরতে দিবা?
- কিভাবে?
- বাসার সামনে আসি?
- এতো রাতে!
- আমার প্রব্লেম নেই।
- আপনি একটা পাগল।
- তোমার কাছে সেকা খাওয়ার পর থেকে।
- হুহ্,সেকা খাইলে আর ছয়টা প্রেম করতেন না।
- ওগুলো তোমার স্মৃতি ভুলে থাকার ঔষধ ছিলো মাত্র।
- বুঝছি,এখন আসেন।
- সত্যি!
- আমার বুঝি আপনায় দেখতে ইচ্ছা করেনা?
- হাহাহা,তাহলে তুমি আসো।
- ধ্যাত,তাড়াতাড়ি আসেন।
টুট..টুট
(২)
অন্ধকার রাত আলোকিত করে আকাশের মাঝে চুপটি করে বসে আছে চাঁদ।তার উপস্থিতিতে ঝিঝি পোকারা গান ধরেছে,মাঝে মাঝে তাল মেলাচ্ছে পেঁচা।
এমন পরিবেশের মাঝ দিয়ে আমি একলা পথিক জনমানবহীন পথ ধরে হেঁটে চলেছি নিধীর বাড়ির উদ্দেশ্যে।
দশ মিনিটের পথ,মনের ভেতর টান টান উত্তেজনা।একবছর পর আবার নিজের মতন করে দেখা পাবো তাঁর।
"সে কি আমায় দেখে কান্না করে দিবে?
নাকি,
একমুঠো হাসি দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিবে?
না,
রাগি মুখে ভারী কণ্ঠে বলবে ভালবাসি?
হয়তো বা,
অভিমান করে অন্যপাশ ঘুরে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকবে?"
ব্যাকুল হৃদয় এমন হাজার প্রশ্ন ছুড়ে দিলেও,উত্তর অজানা।
.
ভাবনার জগতে সময় কাটিয়ে পথ চলতে চলতে অল্প সময়ে নিধীদের বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হলাম।বালিকা জানালা দিয়ে আমার দেখা পেয়ে দৌড়ে বেড়িয়ে এলো।
তারপর দুজন সামনাসামনি দাঁড়িয়ে।উভয়ের মুখ দিয়ে কথা বেড় হতে নারাজ।
তবে এভাবে আর কতক্ষণ,তাই আমি শুরু করলাম "ভালো তো ফরসা হয়ে গেছো।কি ক্রিম ইউজ করো?"
কথাটা বলার পর নিধীর মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হলো ভুল কিছু বলে ফেলেছি।চোখের দিকে তাকি থমকে গেলাম,রক্তাক্ত রূপ ধারণ করে আছে।
তবে বালিকা অবাক করে দিয়ে নিমেষে হেসে দিলো।যেই হাসির দিকে মুগ্ধ হয়ে চেয়ে রইলাম আমি।
- হাসিতেও কি ক্রিম ইউজ করো?
- হিহিহি।আমি ক্রিম খাই,হইছে!
- হা করোতো,দেখি।
- ধ্যাত।
[তারপর আবার কিছুক্ষণ নীরবতা]
- রফি।
- হুম।
- আমায় ভালবাসো?
- অনেক।
- আমারি ভুল,সামান্য বিষয় নিয়ে তোমার সাথে ঝগড়া করা।বিনিময়ে এতোকিছু ঘটে গেলো।I'm sorry.
- I'm sorry too.
- ভুলটা আগে বুঝলে হয়তো আজ কষ্টের পরিমাণ কম থাকতো।
- মন খারাপ করতে হয়না সোনা,প্রমিস ভালবেসে সব কষ্ট মুছে দিবো।
- প্লিজ,ভালবাসার ভাগটা আর কাউকে দিওনা।
- দিবোনা,জোসনা এই রাতে চাঁদ তারা সাক্ষি রেখে বলছি হৃদয়ে যতো ভালবাসা আছে সবটা দিয়ে শুধু তোমায় ভালবাসবো।
- আই লাভ্ ইউ।
- আই লাভ্ ইউ টু।
অতঃপর আবেগ সামলাতে না পেরে নিধী জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পরলো।
আমি নির্বাক স্রোতা।মেয়েটাকে কথায় ভুলিয়ে সামলানোর যথেষ্ট ভাষা আমার কাছে নেই।
জানি এভাবে চলবে কিছু সময়,তারপর জিবনের প্রতিটা ধাপ ফেলার সুন্দর এক রুটিন তৈরী করে দিবে।
যেটা অনুসরণ করে প্রটিটা পা ফেলা হবে আমার মূল উদ্দেশ্য।
*
অভিমানে ভেঙে যাওয়া ভালবাসা কখনো হারিয়ে যায়না।
বেদনায় জর্জরিত পথ অতিক্রম করে আবার মিলন ঘটবেই।
…………………<সমাপ্ত>……………………
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4930
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧝:ā§Šā§§ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ