āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4918 (1)

Odhora Jarin
~~~বড়োলোক বাবার বখাটে ছেলে ~~~
~~পর্ব এক ~~
,,
,,
আমার নাম লাবণ্য । আমি অনেক বড়ো লোক বাড়ির বউ। আজকে আমার বাসর রাত। আমি বাসর ঘরে বসে আছি । অনেক সময় ধরেই । আমার শশুড় মশাই এই শহরের ভিতরে ধনী দের মধ্যে একজন । আর তাদের একমাত্র ছেলে নীল। অনেক আশা নিয়ে আমার শশুড় আমাকে এই বাড়ির বউ করেছেন । আমার বাবা তাঁর খুব ছোট বেলার বন্ধু । নীল ছোট বেলা থেকেই অনেক অসভ্য । সে তার জীবনে এমন কোনও কাজ নেই করেনি। শুধু মানুষ খুন করা ছাড়া । এক ভাবে বাবার টাকা উড়িয়েছে আর বন্ধু দের নিয়ে ফুর্তি করেছে । তার গার্লফ্রেন্ড্ বদলানো ছিল খুব সামান্য জিনিস । আমার শশুড় খুব বিরক্ত নিজের ছেলের উপরে ।
,,
আপনারা ভাবছেন আমি এতো কিছু জানার পর ও কেন এই বিয়ে তে রাজি হলাম !!!!
,
শুধু আমার শশুড় মশাই এর চোখের পানি দেখে । সে আমার কাছে অনেক আকুতি করে অনুরোধ করেছিল । তাঁর বখাটে ছেলে টাকে বিয়ে করতে ।
,,
আমিও আমার নিজের সাথে বাজি ধরেছি ওকে ঠিক পথে আনবো । আর আমার বাবার মতো শশুড়ের মুখে হাসি ফোটাবো।
আর নীল ও এই বিয়ে তে রাজি হয়েছে শুধু বাবার সম্পত্তির জন্য । না হলে আমার শশুড় বলেছিলেন সব কিছু এতিম খানায় দিয়ে দেবেন ।
,,,
নীল এই মাএ বাসর ঘরে ঢুকলো ,,,
,
ও কাছে আসতেই আমি এগিয়ে গেলাম সালাম করতে । ও বললো ,,,
,
:-- আমার এই সব আদিখ্যেতা ভাল লাগে না । সব সময় আমার থেকে দুরে দুরে থাকবেন ।
,
আমি এই সব কথার জন্য আগের থেকে প্রস্তুত ছিলাম । তাই কোনও প্রতিবাদ না করে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলাম । তাই দেখে ও রাগের সাথে বললো ,,,
,
:-- আপনি অনেক ভুল করেছেন আমাকে বিয়ে করে। আমি কখনও আপনাকে মেনে নিবো না। শুধু বাবার সম্পত্তির জন্য আপনাকে বিয়ে করেছি। এক বার হাতের মুঠোয় সব পাই তাঁর পর আপনাকে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
আর বাবার সামনে আমরা স্বাভাবিক ভাবে চলবো। না হলে আমার সব কিছু হাত ছাড়া হয়ে যাবে ।
,
:-- কিন্তু আজকে আমাদের বাসর রাত !! ( আমি )
,
:-- বাসর রাত আমি আমার গার্লফ্রেন্ড্ এর সাথে করে এসেছি। (নীল )
,
আমি অবাক চোখে ওর দিকে তাকালাম । মানুষ কতো রকম হতে পারে । ও আমাকে দেখে বললো ,,,
,
:-- সবে তো শুরু । আস্তে আস্তে আরো অনেক কিছু দেখতে পারবা।
,
এই বলে ও বিছানায় শুয়ে পড়লো। আর আমাকে বির বির করে বললো ,,,
,
:-- তুমি ওই সোফায় ঘুমিয়ে পড়ো। খবর দার আমার কাছে ঘেঁষবেনা।
,
এই টুকু বলেই ঘুমিয়ে গেল ।
,
আমি নিস্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছি। আমি আস্তে আস্তে ওর কাছে গেলাম । ওর পায়ের জুতো জোড়া খুলে দিলাম । ওকে ঠিক করে বালিশে শুইয়ে দিলাম । ওর শরীর থেকে মদের গন্ধ বের হচ্ছিল । তার মানে ও মদ খেয়ে এসেছে । এতো সময় মাতাল ছিল । কি অদ্ভুত সব কিছু । কিন্তু আমাকে শক্ত থাকতে হবে । না হলে একটা মানুষের কাছে আমি হেরে যাবো।
,,
,,
আমি এসে বাইরে বারান্দায় দাঁড়ালাম। দুরে ওই আকাশে চাঁদ দেখা যাচ্ছে । চাঁদের আর আমার সাথে অনেক মিল খুঁজে পেলাম । চাঁদ কোনও বিনিময় ছাড়া সবাই কে আলো দেয়। কখনও কারো কিছু আশা করে না। আজ থেকে আমার ও কোনও বিনিময় ছাড়া এই বাড়িতে থাকতে হবে । চাঁদ একা একা তো ভালই আছে । তবে আমি কেন পারবো না !!!
,,
,,

,,
দেখতে দেখতে সকাল হয়ে গেল । কখন সকাল হয়েছে কিছুই টের পেলাম না। রুমে গিয়ে দেখলাম নীল ছোট বাচ্চা দের মতো ঘুমিয়ে আছে । ওর ঘুমন্ত চেহারা দেখতে অনেক ভাল লাগছিল । আমি জানি না কখনও ওর কাছে আমার মর্যাদা পাব কিনা।
,,

,,

:-- সকালে নাস্তার টেবিলে সবাই বসে আছি । আমার শাশুড়ি বললেন, ,,
,
:-- বউ মা !!! নীল অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠে । তুমি আমাদের সাথেই নাস্তা সেরে নেও ।।
,
আমার শশুড় বললেন ,,,
,
:-- এখন থেকে আমরা সবাই এক সাথে নাস্তা করবো । যাও মা নীল কে ডেকে নিয়ে এসো ।
,,
আমি আস্তে করে রুমে গেলাম । কিন্তু কি বলে ডাকবো কিছু ভেবে পাচ্ছি না। হঠাৎ পানির দিকে চোখ গেল । আমি ওর মাথায় পানি ঢেলে দিলাম । ও হুড়মুড় করে লাফ দিয়ে উঠে বসলো । আমাকে বললো ,,,
,
:-- এটা কি হলো ??? (নীল )
,
:-- কি করবো বাবা ডেকেছে নাস্তা করতে । তাই ডাকতে এসেছি। আর আপনাকে তো টাস করা যাবে না । তাই এই পদ্ধতি বের করলাম । (আমি )
,
:-- আমি কিন্তু এই সব মোটেই পছন্দ করি না। মা আসতে পারতো আমাকে ডাকতে যতোসব । (নীল )
,,
এই বলে নীল ওয়াশ রুমে ঢুকলো। আমার অনেক হাসি পাচ্ছিল । আমি মনে মনে বললাম ,, ঘুঘু দেখেছো ফাঁদ দেখোনি । আমি টাইট দেব একদম লাঠির মতো সোজা হয়ে যাবে ।
,,

,,

আমরা সবাই নাস্তা করতে লাগলাম । এমন সময় আমার শশুড় নীল কে বললো ,,
,
:-- তোদের হানিমন টা সেরা একবারে আমাদের সব কাজ বুঝে নে। আমি আর কতো সামলাবো । বয়স হয়েছে । (শশুড় )
,
:-- বাবা আবার হানিমন কেন ??? (নীল )
,
:-- কি বলিস !!! বিয়ে করেছিস। হানিমন করবি না।
এবার আমার দিকে তাকিয়ে বললো ,,,
,
:-- তুমি কি বলো বউ মা ??
,
:-- জী বাবা !! আপনি ঠিক বলেছেন ।
,,
এই বলে আমি নীলের দিকে তাকালাম । দেখলাম ও আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে । আমি বললাম ,,
,
:-- নীলের যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে থাক।
,
নীল অনেক টা বাধ্য হয়ে বললো ,,,
,
:-- না না ঠিক আছে আমি যাবো । অবশ্যই যাবো ।

Odhora Jarin
~~~~বড়োলোক বাবার বখাটে ছেলে ~~~~
~~~পর্ব দুই ~~~
,,
,,
নীল রুমে এসে আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে বললো ,,,
,
:-- তোমার এতো সাহস হলো কি করে আমার সাথে হানিমুন করার। অনেক শখ তাই না ???
বাবার সামনে ছিল ,না হলে আজকেই তোমাকে এক চড়ে সব দাঁত ফেলা দিতাম ।
,
:-- আমাকে শুধু শুধু বকছেন কেন ??? আপনি বাবা কে,, না বলতে পারতেন ।
,
:-- চুপ ,,আমার কথার উপরে কথা বলবা না। ভয় তো একটাই সম্পত্তি গুলি । একবার হাতে পেয়ে যাই।
,,
এমন সময় নীলের ফোন বেজে উঠলো । আমার দিকে আড়চোখে একবার তাকিয়ে বারান্দায় চলে গেল । হয়তো ওর গার্লফ্রেন্ড্ ফোন করেছে । আমি রুমে বসে আছি । আমার কানে ওদের কথা অল্প অল্প ভেসে আসছিল । আমি ভাল করে বুঝতে পারছিলাম দু জনের কতো টা রোমান্টিক কথা হচ্ছে ।
,,
আমি মনে মনে ঠিক করলাম দাঁড়াও কাটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হবে । যদিও আমার শশুড় আমাকে সব কিছু করার অনুমতি দিয়েছিলেন । শুধু ছেলে কে ঠিক পথে আনার জন্যে । ও রুমে ঢুকতেই আমি ফোন কানের কাছে নিয়ে বললাম ,,,,
,
:-- আমি যানি বাবু তুমি আমাকে কতো টা মিস করছো। কোনও চিন্তা করো না । আমি তাড়াতাড়ি তোমার সাথে দেখা করবো । ঠিক আছে । বায়।
,,
আমি আড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম নীল হা করে তাকিয়ে আছে । আমি ওর দিকে তাকাতে ও বলে উঠলো ,,,,
,
:-- বাহ ,,, খুব ভাল । এক জনের স্ত্রী হয়ে এভাবে অন্য লোকের সাথে কথা বলতে লজ্জা লাগে না ।
,
:-- দেখুন ,, আমি এখনও স্ত্রীর মর্যাদা পাই নি।
,,
আমি এই কথা বলতেই ও হনহন করে চলে গেল । আমি মনে মনে বললাম যাক ঔষধ কাজে লেগেছে ।
,,
ছেলে দের এই একটা ভিষন দোষ। নিজেরা যা ইচ্ছে তাই করে । কিন্তু বউ খুঁজে ফেরেশতার মতো।
,,
,,
এখন অনেক রাত। নীল এখনও বাসায় ফিরে নি। আমি কয়েক বার ফোন করেছি। বিজি পেয়েছি । আমার শশুড় শাশুড়ি অনেক আগেই খেয়ে শুয়ে পড়েছেন । আমি আসার আগে শাশুড়ি রাত জেগে অপেক্ষা করতেন । আজকে আমি জোর করে পাঠিয়েছি। আমি এখনও রাতের খাবার খাইনি। নীলের জন্য বসে আছি । এক সাথে খাব বলে । আমি যদিও জানি নীল আমাকে কখনও খেতে বলবে না। বা আমি না খেয়ে থাকলে মুখে খাবার তুলে দিবে না। আমি এই সব ভাবতে ভাবতে নীল এলো । আমি তাড়াতাড়ি করে দরজা খুলে দিলাম । ও কোনও কথা না বলে রুমে চলে গেল । আমি নীল কে বললাম ,,,
,
:-- আপনি আসুন । আমি খাবার দিচ্ছি ।
ও বললো ,,,
,
:-- আমি খেয়ে এসেছি। আমার ক্ষুদা নেই ।
,,
আমি কিছু না বলে খাবার গুলি তুলে রেখে দিব এমন সময় তাকিয়ে দেখলাম আমার শশুড় আমার পিছনে দাড়িয়ে । আমি দেখলাম তার চোখে পানি টলমল করছে। আমি নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বললাম ,,,
,
:-- বাবা !!আপনি এতো রাতে উঠে এলেন কেন ???কিছু লাগবে আপনার ???
আমার শশুড় মাথায় হাত দিয়ে বললেন ,,,
,
:-- মা রে !!! এই বুড়ো ছেলে টার জন্য তুই তোর জীবন টাকে শেষ করে দিলি।
আমি হেসে দিয়ে বললাম ,,,
,
:-- আমার এই বুড়ো ছেলে টা আমার পাশে থাকলে আমার আর কোনও কিছুর দরকার নেই ।
,,
,,
সকাল বেলা ,,,
,
আমরা সবাই নাস্তা করছি। শুধু সকালেই নীল কে নাস্তার টেবিলে পাওয়া যায় । নীল কে শশুড় বললেন ,,,
,
:-- তোমাদের হানিমুন করার টিকিট কেটেছি কক্সবাজার । খুব সুন্দর জায়গা । তোমার মাকে নিয়ে আমি ও ওই খানে হানিমুন করতে গিয়েছিলাম ।
,,
এই বলে আমার শশুড় হাসতে লাগলো । হয় তো অতীতের কিছু মনে পড়ছিল ।
আমি ভাল করে বুঝতে পারছিলাম । আমার শশুড় ইচ্ছে করেই সব কিছু তাড়াহুড়ো করে করছেন ।
নীল বললো ,,,
,
:-- ঠিক আছে বাবা ।
,,,
,,,
,,
নীল ঘরে আসতেই আমি বললাম ,,,
,
:-- আমার কিছু কেনাকাটা করতে হবে ?? (আমি )
,
:-- সেই টা আমাকে বলে লাভ নেই । মা কে গিয়ে বলো ।
,
:-- মা বলেছে যেতে পারবে না । আজকে শরীর ঠিক নেই ।
,
:-- দেখ ,, আমার এই সব একদম পছন্দ না।
,
:-- ঠিক আছে আমি একাই যাব।
,
:-- আচ্ছা ঠিক আছে যাও তৈরি হয়ে নাও। কিন্তু একটা শর্ত আছে ???
,
আমি অবাক হয়ে জিগ্যেস করলাম ,,,,
,
:-- কি শর্ত ???
,
:-- তুমি আমার দুই হাত দুরে দুরে থাকবা। মনে থাকে যেন ???
,
:-- ঠিক আছে ।
,,
এই প্রথম আমি আর নীল বাইরে বের হলাম । কি যে ভাল লাগছে । যদি ও নীল আমার থেকে অনেক দুরে। তাতে কি সাথেই তো যাচ্ছি ।
,,
,,
,,
(চলবে )

Odhora Jarin
~~~~বড়োলোক বাবার বখাটে ছেলে ~~~~
~~পর্ব তিন ~~
,,
,,
,,
আমি ঘুরে ঘুরে সব কেনাকাটা করছি। আর নীল দুরে দাড়িয়ে একটার পর একটা সিগারেট খাচ্ছে । আর ফোনে কথা বলে যাচ্ছে । আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই । একটা মানুষ এতো কথা ফোনে বলে কি করে। ও এমন ভাব করছে আমি যেন ওর অপরিচিত ।
,,
আমি টুকটাক সবার জন্য কেনাকাটা করলাম । অনেক পছন্দ করে নীলের জন্য একটা ঘড়ি কিনলাম । মনে মনে ভাবলাম এই টা নীল কে দিলে অনেক খুশি হবে । আমার কেনাকাটা শেষ হয়েছে বুঝতে পেরে নীল বিল দিয়ে গাড়ি তে উঠলো। আমি ওর থেকে কিছু টা দুরত্ব রেখে বসলাম । একটু পর আমি ঘড়ি টাকে বের করে ওর দিকে ধরলাম।
ও জিগ্যেসা দৃষ্টি তে আমার দিকে তাকালো। আমি বললাম ,,,
,
:-- আপনার জন্য এইটা কিনলাম অনেক সুন্দর ঘড়ি ।
,
নীল কিছু না বলে চুপ করে রইলো। আমি মনে মনে খুব খুশি ।
গাড়ি আমাদের বাসার সামনে নামতেই ও গাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভার চাচা কে বললো ,,,,,
,
:--চাচা এই টা আপনার জন্য । এই ঘড়ি আপনার হাতেই ভাল মানাবে ।
এই বলে আমার দিকে তাকিয়ে বললো ,,,,
,
:-- এতো সস্তা দামের ঘড়ি এই নীল পড়ে না। আর কখনও আমার জন্য এতো আদিখ্যেতা দেখাতে আসবে না। আমি তোমাকে এই বাড়ির কেউ বলে মনে করি না। আর হা তোমাকে আমি মার্কেটে নিয়ে গেছি বলে ভেব না আমি তোমার প্রেম এ পড়েছি। শুধু বাবা কে খুশি করার জন্য ।
,
এই বলে নীল চলে গেল । সেদিন আমার কষ্টে মনে হচ্ছিল আমি হয়তো মরে যাবো। কেন আমার সাথে এমন হচ্ছে । নীল কোনও দিন কি আমাকে বুঝবে না । আমাকে দেখে আমার শাশুড়ি বললো ,,,,
,
:--- তোমার কি হয়েছে বৌমা ?? চোখ মুখ ফোলা কেন ?? নীল কিছু বলেছে ??
,
:-- না মা কিছু না । বাইরে থেকে আসলাম তো এই জন্য এমন লাগছে । একটু রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে ।
,
এই বলে তাদের জন্য আনা গিফ্ট গুলি দিলাম । অনেক খুশি হয়েছে আমার শশুড় শাশুড়ি । এই টা বা আমার জন্য কম কিসের । তাদের মুখের হাসি তো দেখতে পাচ্ছি ।
,,
,,
,,
সকাল থেকে রেডি হচ্ছি। আজকে আমি আর নীল কক্সবাজার যাচ্ছি । যদিও আমাদের কারো মনে এই নিয়ে কোনও ফিলিংস নেই । আসলে আমরা দুই জনই ভাল অভিনয় করছি। আমি করছি নীল কে নিয়ে ভালবাসার অভিনয় । আর নীল করছে ওর বাবার সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিনয় । আমি সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছি। কিন্তু নীল এখনও রেডি হয়নি । কারণ ওর কিছুই খুঁজে পাচ্ছে না। আর আমার সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধ ওর কিছু ধরা।
,,
আমি মনে মনে বললাম, ,, এই বার মজা বুঝুক । কেমন লাগে । নীল চেঁচিয়ে যাচ্ছে । আর বলছে ,,,
,
:-- মা মা !!! আমার জিনিস গুলি খুঁজে পাচ্ছি না। এমনি তেই দেরি হয়ে যাচ্ছে ।
,
আমার শশুড়ি বললেন ,,,
,
:-- বৌমা তুমি একটু দেখ ও কি কি পাচ্ছে না ???আমার হাতে একটা ঝামেলার কাজ রয়েছে ।
,
আসলে শাশুড়ি ইচ্ছে করে আমাকে পাঠালেন ,,
আমি কাছে যেতেই নীল বললো ,,,
,
:-- তুমি কেন এসেছো ?? মা কোথায় ??
,
:-- আমাকে পাঠালেন ।
এই বলে আমি ওকে সব কিছু গুছিয়ে দিলাম ।
,,
আমি শশুড় শাশুড়ি কে সালাম করে গাড়ি তে উঠলাম । আমাদের গাড়ি কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে রওনা দিল। কি যে সুন্দর চারিদিক । আমি মুগ্ধ চোখে চারিদিক দেখছি। নীল আমার পাশেই বসা। না বসে উপায় নেই । দেখতে দেখতে অনেক রাত হলো । সারা গাড়ি তে নীল কখনও কথা ফোনে কথা বলেছে কখনও গেম খেলেছে । আমরা রাতের খাবার খেয়ে নিলাম । দু জনেই চুপচাপ । আমি বাইরে দিকে তাকিয়ে আছি। রাতের অন্ধকার বাইরের প্রকৃতি আরো সুন্দর করেছে। আমি হঠাৎ খেয়াল করলাম নীল আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে । হয়তো ঘুমের ঘোরে কিছু টের পাচ্ছে না। আমি নীলের শরীরের গন্ধ পাচ্ছিলাম । আমার নেশার মতো কাজ করছিল । এই ভাবে সকাল হয়ে গেল । বাইরের আলো চোখে পড়তেই নীলের ঘুম ভেঙে গেল । ও কিছু টা লজ্জা চোখে আমার দিকে তাকালো আর বললো ,,,
,
:-- আসলে আমি দুঃখিত । টের পাইনি।
,,
আমি কিছু না বলে চুপ করে রইলাম ,,,
নীল যদি বুঝতো আমার রাত টা কতো টা মধুর কেটেছে ।
,,
আমরা হোটেলে উঠলাম । একটু পর আমার শশুড় কে ফোন করে জানিয়ে দিলাম আমরা ভাল মতো এসে পৌছে গেছি। নীল আমাকে বললো ,,,
,
:-- এই খানে আমি এক রুমে থাকবো না। আমি আরেক টা রুম ভাড়া করবো।
আমার মন টা খারাপ হয়ে গেল । কিছু না বলে চুপ করে রইলাম ।
,,
সারা দিন জার্নি করেছি। তাই আগে গোসল সারতে চাইলাম । আমি কাপড় নিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকলাম। কিন্তু ভিতরে একটা তেলাপোকা দেখে ভয়ে চিৎকার করে নীল কে এসে জড়িয়ে ধরলাম। নীল হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে ,,,,, !!!!!!
,,

,,

(চলবে )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ