গল্প:স্যারের সাথে বিয়ে>পর্ব:১
লেখা:মল্লিকা মলি(দুষ্টু পেত্নী)
.
.
আমি মল্লিকা মলি। দশম শ্রেনীতে পড়ি,, এখনো কারো প্রেমে পড়িনি।আজ হঠাৎ স্কুলে একটা ছেলেকে দেখে ক্রাশ খাইলাম।পরে জানতে পারলাম ওটা আমাদের নতুন স্যার,আজকেই জয়েন করেছে।মনডাই খারাপ হইয়া গেলো একটা ছেলের উপ্রে প্রথম বার ক্রাশ খাইলাম সে আবার স্যার ধুর ভালোই লাগে না।
।
ক্লাশে গেলাম, তারপর দেখি ক্রাশ স্যার আসলো আমাদের ক্লাশে।প্রথমদিন জন্য বেশি ক্লাস না করিয়ে শুধু পরিচয় দেওয়া নেওয়া করেই চলে গেলো।
।
আমার মনে স্যারের প্রতি ভাল লাগা কাজ করছে কিন্তু কাউকে বলছি না বললেই তো বাঁশ খেতে হবে সবার কাছে,,বান্দবীদের কাছে আরো বেশি কারন আমাদের দলে প্রেম ভালবাসা চলে না আমরা প্রেম করি না,যে করে তারে টাইট দেই ভালো করে কিন্তু নিজেইতো ফ্যাইসা গেছি তাও আবার স্যারের উপ্রে এখন আমার কি হপ্পে :'(
।
স্যারের সম্পর্কে একটু খোজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম সে নাকি আমার এক ক্লাসমেট এর কাজিন, তো যাই হোক আমি আর কিছু ভাবিনি স্যার কে নিয়ে,স্যার হয়তো কি আর ভাবতাম ভালুবাসাকে ব্যাঙের বাচ্চার মতো বড় হওয়ার আগেই গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করছি।তাই আর কিছু বলিনি।স্যার স্যারের মতো চলছে আর আমি আমার মতো।
এস এস সি টেষ্ট দিলাম,তারপর বিদায় অনুষ্ঠানের দিন অনেক কান্না করছিলাম কারন আজকের পর থেকে আর স্কুলে আসতে পারবো না রোজ রোজ আর দেখা হবে না।আর আমিতো স্কুলেই যেতাম না ক্রাশ খাওয়ার পর প্রতিদিন যেতাম একটা টানে আহা দিলের টানে যাইতাম গো আজ থেকে আর দেখা হইবো না আমার পরানের পাখির সাথে।মমতাজের গানডা গাইতে মন চাচ্ছে ফাইটা যায় বুকটা ফাইটা যায়।কান্না করে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম।
।
এস এস সি পরিক্ষা শেষ। রেজাল্ট দিয়েছে 'এ গ্রেড 'পাইছি।আমি যে এ তো ভালো রেজাল্ট কেমনে করলাম বুঝবার পারলাম না আমারতো ফেইল করার কথা। যতো ভালো ছাত্রী আমি।স্যারদের কাছে মোটামুটি ভালো ছাত্রী আমি কিন্তু কেনো যে বুঝি না। আমি তো পড়িই না,,যাইহোক রেজাল্ট তো ভালো হয়েছে আর কি চাই।সবাই আমার কাছে এ প্লাস আশা করে আর আমি কোনমতে পাশ করলেই বাঁচি।
।
নতুন কলেজে এডমিশন নিবো তাই স্কুলে গেলাম মার্কশিট আর প্রশংসা পত্র তুলতে,,আমার যদি সত্যি প্রশংসা করতে পারতো স্যারেরা তবে প্রশংসার থেকে কি কি দোষ করছি আমরা সেগুলোর লম্বা লিষ্ট দিতো।যাইহোক সেসব কথা বাদ এখন বড় হয়েছিতো ভদ্র হতে হবে নতুন কলেজে যাবো।
স্যার:কি ব্যাপার মল্লিকা,, কেমন আছো,,রেজাল্ট কেমন?
।
আমি:আলহামদুলিল্লাহ ভালো স্যার। আমি স্যারকে সালাম দেইনা। স্যার হিসেবে মানিই না সামথিং সামথিং আছে তো।
।
আমি:স্যার কতজন প্লাস পেয়েছে,,?
।
স্যার:বিশ জনের মতো পেয়েছে,,তুমিওতো প্লাস পাইছো তাই না,?
।
আমি:হা,,কি বলেন স্যার,,আমি আর প্লাস,,!
।
স্যার:হুম,শুনলাম তুমিও প্লাস পাইছো?
।
আমি:না স্যার আমি প্লাস পাইনি,,আপনি ভুল শুনছেন আমিতো '৪.৯১' পেয়েছি,,আমাকে দিয়ে ঐসব প্লাস সেলাই পাওয়া সম্ভব না।
।
স্যার:হাহাহাহা,,কেনো সম্ভব না,,? একগাল হেসে বললাম কথাগুলো।
।
আমি:এমনি সম্ভব না স্যার,,আমাকে দিয়ে সত্যিই এতো ভালো কিছু সম্ভব না।
।
স্যার: হাহাহা,,সম্ভব হবে হবে,,চেষ্টা করলে সবই সম্ভব।
।
স্যারের কাছে থেকে কথা বলে শেষে স্কুলে যে যে কাজ ছিলো সেড়ে নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম।
।
শুয়ে শুয়ে স্যার আর আমার আজকের কথা গুলো ভাবছিলাম।স্যারের শেষ কথাটি খুব ন্যাড়া দিল মনে,কি বললো স্যার চেষ্টা করলে সব সম্ভব।আমি কি আমার আর স্যারের ব্যাপারটা নিয়ে কিছু ভাববো,,স্যার হয় জন্য বেশিদুর এগোয়নি। এইবার একটু এগোতে ইচ্ছে করছে।ভাবলাম চেষ্টা করে দেখি কি হয়।
।
নতুন কলেজে ভর্তি হইলাম।একটা বান্ধবীও নাই।সবগুলো ডাইনী আমারে একা করে দিয়ে অন্য কলেজে ভর্তি হলো।আর আমারে এই গরু হাটি চৌধুরী আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজে ভর্তি করিয়ে দিলো সবাই।আহারে কতো ইচ্ছে ছিলা বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে পড়বো,,তা আর হলো না। আমার আশায় লাল বাত্তি জ্বালায় দিলো সবাই।কি আর করবো কলেজে নতুন নতুন বান্ধবী পাতালাম।তাদের সাথে সব কথা শেয়ার করলাম।তারা বললো একবার চেষ্টা করে দেখ কি হয়,,হতেও তো পারে।কিন্তু আমার মনে ভয় ছিলো যে যদি কাজ না হয়,তবে ব্যাপার টা কি রকম একটা হয়ে যাবে স্যার কি ভাববে,!
।
মিশন শুরু স্যার কে পটানোর।আমার যে ক্লাসমেটের স্যার কাজিন হয় ওর কাছে থেকে অতিকষ্টে সিফাতের মানে স্যারের নাম্বার নিলাম।এতোক্ষন তো আপনাদের নামটাই বলিনি স্যারের,,স্যারের নাম হলো সিফাত।।যাইহোক ফোন নাম্বার নিয়ে ভাবলাম যে কল করি কিন্তু করতে পারলাম না।কি যেনো বাধা দেয়।
।
অবশেষে ভয়ে ভয়ে একটা মেসেজ দিয়েছিলাম।
।
আমি:কেমন আছেন,,মেসেজে।
।
সিফাত:কে,,আপনি,, রিপ্লে দিলাম।
।
আমি:আর রিপ্লে দিলাম না।
।
একটুপর ফোনটা বেজে উঠলো।কে আবার ফোন করলে,ফোনে তাকিয়ে দেখি ওরে আল্লাহ এটাতো স্যার ফোন করছে এবার কি হবে,ভয় লাগছে খুব।ভয়ে ভয়ে ফোনটা রিসিভ করলাম।
।
আমি:হ্যা,,হ্যালো,,!
।
সিফাত:কে,,আপনি,,?
।
আমি:মানে আমি আসলে আ আমি,,,!
।
সিফাত:কি ব্যাপার এভাবে কথা বলছেন কেন,, এভাবে আমতা আমতা না করে বলুন কে আপনি?
।
আমি :একটু সাহস নিয়ে বললাম আমি মল্লিকা।
।
সিফাত:কোন মল্লিকা,,চিনতে পারলাম না তো,,?
।
আমি:হায় আল্লাহ কয় কি,,?আমি যারে সারাদিন ভাবি সে আমারে চিনতে পায় না।মনে মনে বললাম।স্যার আমি সেই মল্লিকা ২০১৪ সালে এস এস সি দিয়েছি,,আর টেষ্টে ফেল করেছিলাম।
।
সিফাত:ও হ্যা মনে পরেছে,,তুমি সেই মেয়েটি না।টেষ্টে ফেল করে পরে সেই কি কান্না,, সবাই তেমায় কি বকবে উল্টে তোমায় সান্তনা দিচ্ছে।সবাই বলছে যে টেষ্টে ফেল করেছো তো কি হয়েছে ফাইনালে ভালো করো,,কান্না না করে ভালো করে পড়ো।তারপরো তোমার কান্না থামছিলোই না হাহাহাহা পাগলি মেয়ে।
।
আমি:স্যার তখন খুব ছোটো ছিলাম তো তাই।
।
সিফাত:তো কেমন আছো,?
।
আমি:এইতো আছি ভালোই,,আপনি কেমন আছেন?
।
সিফাত:হুম,,বেশ ভালোই আছি,,তারপর তোমার পড়াশুনার কি খবর,,কেমন চলছে পড়াশুনা,,?
।
আমি:এইতো চলছে স্যার মোটামুটি ভালোই।
।
সিফাত:আচ্ছা ভালো থেকো তাহলে,,ভালো করে পড়াশুনা করো,,আগের মতো দুষ্টুমি করো না।তোমাদের তো রেকর্ড আছে এই স্কুলে দুষ্টুমির দিক দিয়ে।
।
আমি:হুম,,আচ্ছা,,!
।
সিফাত:আচ্ছা ভালো থাকো আল্লাহ হাফেজ বলে ফোনটা কেটে দিলাম।
।
স্যারের সাথে কথা বলে মনটা খুব হালকা লাগছে।
।
মাঝে মধ্যে স্যারের সাথে কথা হয়। এভাবেই চলতে লাগলো দিন,,সময়গুলো আমার এখন খুব ভালোই কাটে।
।
আমি আর আমার মনের কথা গুলো গোপন রাখতে পারলাম না।বলেই দিলাম একদিন ফোনে সব।
।
আমি:স্যার আমি আপনাকে ভালোবাসি,প্রথমদিন স্কুলে দেখেই ভালো লেগে যায়। তারপর ভালোবেসে ফেলি।
।
কথাটি শোনা মাত্রই স্যার রেগে গেলো।
।
সিফাত:ফাজলামি করো আমার সাথে,,আমাকে কি তোমার ফাজলামির পাত্র মনে হয়,,?
।
আমি:না স্যার কি বলেন আপনি আমি ফাজলামি কেন করবো আপনার সাথে,সত্যিই আমি আপনাকে ভালো বাসি।
।
সিফাত:চুপ একদম চুপ,কিসের ভালোবাসা হ্যাঁ,, ভালোবাসার বোঝো কি তুমি পুচকে একটা মেয়ে,ভাকবাসার কথা বলে,,নেক্সটবার আর এই কথা মুখে আনবে না।আর ভুলে যেওনা আমি তোমার স্যার আর তুমি আমার ছাত্রী।
।
আমি:কি বলবো বুঝতে পারছি না ,, কান্না আসছে খুব স্যারের কথাগুলো শুনে।নিজেকে কন্ট্রোল করে বললাম স্যার এরকমতো অনেক হয় শিক্ষক ছাত্রীর বিয়ে,আর আমাদের হলে সমস্যা কি আমি আপনাকে,,,!
।
সিফাত:চুপ একদম চুপ ওকে কথাটা পুরোপুরি বলতে না দিয়ে আমি বলা শুরু করলাম, অনেক হয় তো কি হয়েছে, অনেকের হয় আমাদের হবে না ব্যাস।আর আমার বিয়েতে এলার্জি আছে।বিয়ে করার ইচ্ছে নেই আমার, সেটাও আবার ছাত্রীকে কখনোই না। তোমার আর কিছু বলার আছে থাকলে বলো,,নইলে ফোন কাটব আমি,!
।
আমি:না,, আর কিছু বলার নেই ববলতেই ফোনটা কেটে গেলো।
।
আমার চোখের পানি থামছে না। অনেক কান্না করছিলাম।এতদিনেরএকটু একটু করে দেখা স্বপ্ন একনিমেষেই শেষ হয়ে গেলো।
।
স্যারকে আর কখনো ফোন করিনি সেদিনের পর থেকে কোন কথায় হয়নি স্যারের সাথে,নিজেকে সামলিয়ে নিয়েছি। স্যারকে নিয়ে আর কিছু ভাবিনি,,কলেজ আর বাড়ি,,বাড়ি আর কলেজ এভাবে কাটতে লাগলো দিন।
।
আমি এখন অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি,তবে এবার গরুহাটী তে পড়ছি না। আমার স্বপ্নের কলেজে ভর্তি হতে পেরেছি আমি,,খুব খুশি আমি।
।
আমার একটা বিয়ের সম্বন্ধ এলো। পাত্রের বাবা,মা আমাকে দেখে গেলেন।আমায় পছন্দ হয়েছে ওনাদের। বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গেলো।আমাকে বরের একটা ফটো দিয়ে ছিলো।কিন্তু আমি দেখিনি।আমার বিয়েতে ইচ্ছে নেই খুব কষ্ট হচ্ছে যাকে ভালবাসি তাকে পেলাম না।কিন্তু কি করবো বিয়ে তো করতেই হবে যাকে ভালবাসি সেতো আর ভালোবাসেনা আমায়।তাই বিয়েতে রাজি হয়েছিলাম।বরকে এখনো দেখিনি দেখার ইচ্ছেও জাগেনি।
#চলবে,,
গল্প>স্যারের সাথে বিয়ে >পর্ব:২ ও শেষ
লেখা>মল্লিকা মলি(দুষ্টু পেত্নী)
.
.
আজ বিয়ে হয়েছে আমার। আমি এখন শশুড়বাড়িতে বাসর ঘরে বসে আছি। দরজা খোলার শব্দ পেলাম। মনে হলো আমার বর ঘরে এসেছে।
।
বিছানা থেকে নেমে সালাম করে বরের মুখের দিকে তাকাতেই যেন মনে হলো আমি অজ্ঞান হয়ে যাবো।পুরো থমকে গেছি।কে এটা আমি স্বপ্ন দেখছি নাতো।এটাতো স্যার, তার মানে স্যার আমার স্বামী , আমিতো অবাক এটা কিভাবে সম্ভব ভাবছি।তখনি একটা ধমকে কেপে উঠলাম।
।
সিফাত:কি ব্যাপার কি তুমি এখানে বউ সেজে কি করছো,?
।
আমি:হা করে তাকিয়ে আছি।আর ভাবছি এটাও কি সম্ভব।
।
সিফাত:কি হলো উত্তর দিচ্ছো না কেনো,,তুমি এখানে কেনো,,?
।
আমি:আজ আমার বিয়ে হয়েছে,এটা আমার শশুড়বাড়ি আর এটা আমার আর বরের বাসর ঘর।
।
সিফাত:তার মানে তুমি আমার বউ, আমি তোমাকে বিয়ে করেছি,,তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। এটা তোমার প্লান।তুমি প্লান করে আমার সাথে বিয়ে করেছে। কি ভেবেছো এভাবে বিয়ে করে আমাকে স্বামী হিসেবে পেয়ে যাবে কখনোই না।আমি কোনোদিনো তোমাকে বউ বলে মানবো না।
।
আমি:কি যাতা বলছেন কখন থেকে হ্যাঁ,আমি কেনো প্লান করতে যাবো আমিতো জানতামই না আপনার সাথে আমার বিয়ে হচ্ছে।
।
সিফাত:এই মেয়ে ন্যাকামি করো নাতো,,আমি ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছি এসব তোমার প্লান।সেদিন বারন করেছিলাম জন্য তুমি এতোদিন প্লান করছো যার ফলাপল স্বরুপ আজ বিয়ে করেছো।
।
আমি:ওকে ফাইন,,হুম আপনিই ঠিক এসব আমার প্লান।কিন্তু আপনি আমাকপ কেনো বিয়ে করলেব।বিয়ে ভেংগে দিতে পারেন নি।
।
সিফাত:আমিতো জানতাম না যে তোমার সাথে বিয়ে হচ্ছে,,আমিতো তোমায় দেখিনি।
।
আমি:কেনো দেখেনি আপনাকে তো আমার ফটো দেওয়া হয়েছিলো,,?
।
সিফাত:আমার এখন বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে ছিল না।বাবা জোড় করে বিয়েতে রাজি করিয়েছে তাই রাগে ফটো দেখিনি।
।
আমি:তাহলে এতে আমার কোনো দোষ নেই।
।
সিফাত:কে বললো তোমার দোষ নেই তোমারি সব দোষ। যাইহোক তোমাকে আমি বউ হিসেবে মেনে নিবো না।বর হ্যাঁ আমার ওপর বউয়ের অধিকার দেখাতে আসবে না বলে রুম বেরিয়ে চলে আসলাম।
।
আমি:নির্বাক হয়ে বসে থাকলাম।কিছুই বুঝতে পারছি না।কি হতে কি হলো,,সারারাত একাই ঘরে তাকলাম উনি আসেনি।বসে থাকতে থাজতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি জানি না।
।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি স্যার বিছানায় একটু দুরে ঘুমাচ্ছে। আমি উঠলাম একটু ফ্রেশ হয়ে আসলাম উনি এখনো ঘুমাচ্ছে হয়তো অনেক রাতে ঘুমিয়েছে তাই ঘুম ছারছে না।এরমধ্যেই শাশুরিমায়ের ডাক,,,বৌমা সিফাত কে নিয়ে নাস্তা করতে এসো।আসছি মা বলে উনাকে ডাকতে লাগলাম।
।
আমি:এই যে উঠুন,, মা ডাকছে নাস্তা করতে।
।
উনি উঠে আমার দিকে রাগী চোখে তাকালো,,শুধু তাকালো কিন্তু বললো না কিছুই।
।
নাস্তা করে রুমে আসার পর বললো, এভাবে আমাকে ডেকে তুলবে না।আমিও উনার কথা শুনে থাকলাম, উনাকে আর ডাকি না।উনি সারাক্ষণ আমার সাথে কড়া কথা বলে।আমি মেনে নেই সব।
।
এভাবে অনেকদিন কেটে গেলো।উনি ইদানীং আর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে না।সবসময় স্বাভাবিক থাকে।
।
একদিন রাতে শাড়ী পরে আয়নার সামনে বসে একটু সাজুগুজু করছিলাম আয়নাতে দেখি উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
।
আমি:কি ব্যাপার,ওভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন,,?
।
সিফাত:তোমাকে দেখছি,,সত্যিই তুমি অনেক সুন্দরী,!
।
আমি:আমি জানি আমি সুন্দরী,আর আপনি এটা আজ বুঝতে পারলেন 😒
।
সিফাত:অনেক আগেই বুঝেছি।শোনো একটু ছাদে যাবে,?
।
আমি:হুম,, চলুন,!
।
অতঃপর ছাদে গেলাম দুজনে।দুজনেই চাঁদ দেখছি সাথে নিরবতা। হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার হাতের মধ্যে সিফাতের হাত,আঙুলের ভিতর আঙুল দিয়ে শক্ত করে ধরে আছে আমার হাত।
।
সিফাত:সত্যিই আমায় তুমি খুব ভালোবাসো তাই না,,আর আমি তোমায় বুঝিনি।
।
আমি:হুম,,আজ বুঝেছেনতো,,?
।
সিফাত:হুম আজ বুঝেছি আমার এই ছাত্রীটা আমায় কতটা ভালবাসে।
।
এই কথাটি বলে জড়িয়ে ধরলো আমায়,আমি একটা সস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। এইভেবে সত্যিই আমি পেরেছি তার ভালবাসা জিততে,হারায়নি আমার ভালবাসাকে।অনেকটা খুশি আমি।
।
সমাপ্ত
।
ভালো থাকুক প্রত্যেকটা মানুষ তাদের ভালবাসার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে সারাজিবন শুধু আমি ছাড়া।
Mollika Moly(দুষ্টু পেত্নী)