āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

473

প্রথম বার রিং হওয়ার পরেই রুহী ফোন টা রিসিভ করল । আমি একটু অবাক না হয়ে পারলাম না । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত তিনটার কাছাকাছি বাজে ! এতো রাতে রুহী জেগে আছে ?

কেন ?

আমার যেমন ঘুম আসছে না সেই রকম ভাবে কি ওরও ঘুম আসছে না ?

নাহ !!

জেগে থাকতেই পারে ! এমনি তে সে ঢাকার মেয়ে ! ঘুমাতে ঘুমাতে একটু তো দেরী হতেই পারে !

রুহীর কন্ঠস্বর শুনে বাস্তবে ফিরে এলাম । রুহী বলল

-এতো রাতে ?

-সরি ! তোমাকে ডিস্টার্ব করলাম !

-না ঠিক আছে ! আমার এমনিতেও ঘুম আসছিল না । জেগেই ছিলাম ।

ঘুম আসছিল না ?

রুহী কি কোন ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত ?

কোন ব্যাপার নিয়ে অস্থির হয়ে আছে ?

আমার ব্যাপার নিয়ে ?

নাহ !!

অপু মিয়া বেশি বেশি কল্পনা করতেছ!!

আউল ফাউল গল্প লিখে লিখে তোমার মাথায় কেবল এই গুলাই ঘুরতেছে । এতোই সহজ !

একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হল আর তারপরই সে তোমার প্রেমে পড়ে গেল ! মেয়েরা এতো বোকা হয় নাকি ??

মেয়েরা বোকা না হোক কিন্তু আমি তো বোকা !

আমি ঐ মেয়ের প্রেমে পরেছি । এবং ভাল ভাবেই পরেছি !

বলতে গেলে হাবুডুবু খাচ্ছি !!

রুহী আবার বলল

-কিছু বলবা ?

-আসলে ? আমি....

রুহী হেসে ফেলল । বলল

-প্যাচাচ্ছ কেন ? বল ।

আমি খুব বড় করে দম নিলাম । তারপর এক নিঃশ্বাসে বললাম

-রুহী আমি তোমাকে ভালবেশে ফেলেছি !

লাইনটা বলতে মনে হয় আমার তিন সেকেন্ডেরও কম সময় লেগেছে । রুহী ঠিক মত বুঝতে পেরেছে কি না আমি জানি না ! আমি নিজের কানেই আমি ঠিক মত শুনতে পাইনি আর রুহীতো শুনতে পাবার কথাই না ।

বলে ফেলেই মনে হল কি করলাম !

কি দরকার ছিল !

ভালই ছিল কথা হচ্ছিল ! দেখা হচ্ছিল এখন ?

আমি আর একটুও দেরি করলাম না । ফোন কেটে দিলাম সঙ্গে সঙ্গে ! তারপর বন্ধ !

আর কোন কথা নাই । নিজের গালে একটা জুতা মারতে ইচ্ছে করছে !

রুহী কি না কি ভাববে ! এমন করে কেউ কাউকে প্রপোজ করে ! তাও আবার রুহীকে ! রুহী হাসনাত !

নাম করা একজন মডেল !

ঐ মেয়ে কোন দিন আমাকে ভালবাসবে !

কোনদিন না !!

যাও এতো দিন আমার সাথে টুকটাক কথা বলতো এখন তো আর বলবে না ! আমার সাথে হয়তো আর ডেখাই করবে না । আমার নাম্বর থেকে ফোন গেলে ফোন ধরবে না অথবা নাম্বারটাই বদলে ফেলবে ! ফেসবুক থেকে হয়তো আমাকে ডিলিট করে দিবে !

ফেসবুক !!

এই ফেসবুক থেকেই রুহী হাসনাতের সাথে আমার পরিচয় ! বলতে গেলে খানিকটা হঠাৎ করেই ।

আমার ফেসবুকে ফ্রেন্ডের সংখ্যা খুবই কম । অপরিচিত কাউকেই আমি ফ্রেন্ডলিষ্টে যোগ করি না কিন্তু ফ্যান পেইজ মাহশাল্লাহ লাইক দেওয়া আছে হাজার খানেকের উপর । প্রতিদিন কোন যে আপডেট আছে ! এই রকম একটা পেজ থেকে রুহীকে প্রথম দেখতে পাই । পেজটা সম্ভবত কোন মিডিয়া ফটোগ্রাফারের ছিল । রুহীর একটা ছবি দেখলাম ! সাদা রংয়ের সেলোয়ার কামিজ পরা । আসলে আমার সব সময় সাদার প্রতি আমার সব সময় আলাদা আকটা আকর্ষন আছে ! তারপর মেয়েটা ছবির নিচে যখন লিংক দেখলাম একটু কৌতুহল হল মেয়েটার উপর । লিংক ক্লিক করেই দেখলাম রুহীর ফেবু প্রোফাইল ।

বেশ সিকিউর দেখলাম । কোন তথ্যই নেই পাবলিকের জন্য । বেরিয়েই আসব ঠিক তখনই আমার চোখে আর একটা জিনিস বাধলো !

টুডে ইস হার বার্থডে !

আজ মেয়েটার জন্ম দিন !

মেসেজ অপশন ওপেন করা আছে !

কিছুক্ষন ভাবলাম চুপচাপ !

পাঠাবো একটা মাসেজ ?

না থাক কি ভাববে ?

আরে কি ভাববে ! জন্মদিন ! যে কেউ উইস করতেই পারে ! এতে দোষের কি আছে ?

তা অবশ্য ঠিকই আছে ! কিন্তু কি লিখে পাঠাবো ?

কেবল জন্মদিনের লাইন টা ?

আমি লিখলাম

এক টুকরো আকাশ ছিল

সাথে এক টুকরো নীল

লাল সবুজের মেলা ছিল

কোমল শুভ্র ঝিল !

সেই ঝিলেতে ভাসিয়ে দিলাম

মনের যত ঋণ

শুনতে কি পাও বলছি তোমায়

শুভ জন্মদিন !!

মন মত হয়েছে লাইনটা ! সেন্ড অপশনে চাপ দিয়েই দিলাম ।

আমি ভেবেছিলাম কাহিনী এখানেই শেষ ! ঢাকার মেয়ে ! তার উপর আবার মডেল এই মেয়ের তো হাজার খানেক ফেবুতে হাজার খানেক ফ্রেন্ড থাকবে ! আমার মেসেজ হয়তো চোকখেই পড়বে না ! আর পরলেও খুব একটা গুরুত্ব দিবে বলে মনে হয় না !

কিন্তু আমার ধারনা একটু ভুল প্রমানিত হল। সকাল বেলা আবার যখন ফেবুতে লগইন করলাম তখন ইনবক্সে একটা মেসেস দেখলাম । এবং অবাক হবার বিষয় মেসেজা টা পাঠিয়েছে রুহী !

আমি সত্যি একটু অবাক হলাম !

মেসেজে লেখা

আপনার কবিতা ভাল লেগেছে । আরো ভাল লেগেছে কবিতা আমার জন্য লেখা দেখে ! ধন্যবাদ !

এতো সুন্দর রিপ্লাই দেখে আমারও ইচ্ছে হল আমিও একটু মেসেজ পাঠাই ।

লিখলাম

সুন্দর মানুষ কে সব সময় সুন্দর করেই বলতে হয় ! ওয়েলকাম !

আমি আমি ভেবেছিলাম এই মেসেজটারও রিপ্লাই আসবে । আসলে মেয়েটা যেভাবে মেসেজের রিপ্লাই দিয়েছে আর আমি যেভাবে রিপ্লাই দিলাম তাতে আর একটা মেসেজ আমি আশা করতেই পারি । কিন্তু এতো জলদি আসবে ঠিক ভাবতে পারি নি ! প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মেসেজ এসে হাজির ।

আমি সুন্দর না ছাই ! আচ্ছা আপনি কি আমাকে চিনেন ?

আমি লিখলাম

ঠিক চিনি না ! তবে আপনার বেশ কিছু চমৎকার চমৎকার ছবি দেখেছি ! আপনি মনে হয় প্রিন্ট মডেল !

রুহী রিপ্লে দিল

হুম ! কিছু শাড়ি আর কামিজের মডেল হয়েছি !

আমি লিখলাম

সুন্দর ! আসলেই সুন্দর !

.........

......

এভাবেই শুরু ! তারপর ফেবুতে রিকোয়েষ্ট পাঠানো ! চ্যাটিং তারপর ফোনে আলাপন । সবার শেষে দেখা !

মজার ব্যপার হল রুহীর বাসা মুহাম্মদপুরেই ! মুহাম্মাদ পুরের লালমাটিয়াতে ! একদম আমার বাড়ির কাছেই !

প্রথম আমাদের দেখা হল ।একদম হঠাৎ করেই । ক্লাস ছিল । বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়েছি বাসের জন্য ! হঠাৎ পেছন ঠেকে আমার কাধে কারো হাতের ছোয়া পেলাম । পেছন ফিরে দেখি রুহী দাড়িয়ে !

আমি প্রথমে ঠিক মত চিনতে পারি নি ! আসলে যখন মডেলিংয়ের ছবি তোলে তখন তো হাজারও রকমের মেকআপ দেওয়া থাকে তাই আসল চেহারা খুব একটা ফুটে ওঠে না ।

কিন্তু বাস্তবের জীবনে তো আর সেরকম হবে না । রুহী মনে হয় আমার মনের কথাটাই বুঝে ফেলল । বলল

-কি চিনতে কষ্ট হচ্ছে ? পিসি স্ক্রীনে দেখা চেহারার মত সুন্দর লাগছে না, তাই না ?

আমি লজ্জা পেয়ে একটু হাসলাম ।

-আরে না । কি যে বল ? তুমি এমনিতেই সুন্দর ! তোমাকে এভাবে এখানে আশা করি নি । তাই একটু অবাক লাগছে !

-কেন ? আমি তো এখান থেকেই বাসে উঠি প্রতিদিন ।

আমি অবাক হয়ে বললাম

-তুমি বাসে চলাচল কর ?

আমার থেকেও রুহী বেশি অবাক হয়ে বলল

-কেন ? বাসে ছাড়া আর কিসে চলাচল করবো ! প্রতিদিন যদি রিক্সা বা সিএনজি তে করে ভার্সিটিতে যেতে হয় তাহলে তো আমার খবরই হয়ে যাবে !

-খবর ?

-না না ! আমার খবর না আমর বাবার পকেটের খবর হয়ে যাবে ! হাহাহাহা !

আমি সত্যি একটু অবাক হলাম । মেয়েটাকে প্রথম যেরকম ভেবেছিলাম মেয়েটা একদমই সে রকম না ! একদম আমাদের মতই !

এভাবে প্রায়ই দেখা হত । কথা হত ! একদিন আমাকে ওকে স্টুডিও তে নিয়ে গেল । কোন একটা সেলোয়ার কামিজের মডেলিং ছিল মনে হয় ।ও বিভিন্ন পোজে ছবি তুলছিল ! আমার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছিল ! আমিতো কেবল ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম ।

আমি যে ওর প্রেমে পরেছি অনেক আগেই বুঝতে পারছিলমা । কিন্তু গতকাল ব্যাপারটা আমার কাছে আরো স্পষ্ট করে ধরা পড়লো ! গতকাল আমাদের একসাথে রবীন্দ্রসরবরে যাবার কথা ছিল । কি একটা প্রোগ্রাম নাকি হবে । আমাকে বলেছিল পাঞ্জাবী পরে আসতে !

তাহলে নিশ্চই ও শাড়ি পরে আসবে ! শাড়িতে ওকে এর আগে ছবিতে দেখেছি । বাস্তবে দেখি নি ! আজকে দেখবো ! আমাকে বলেছিল বাস স্টেন্ডেই দাড়াতে । আমি ওর জন্যওয়েট করছিলাম । ঠিক সময়ে ও এসে হাজির !

শাড়িতে !

ও মাই গড !!

মেয়েদের খুব বেশি সাজাগোজা আমি পছন্দ করি না । কিন্তু আমি রুহীকে দেখে বলতে গেলে একদম মুগদ্ধ হয়ে গেলাম।

রুহী হালকা খয়েরী রংয়ের কাজকরা করা একটা শাড়ি পরেছে !

হাত ভর্তি লাল কাঁচের চুড়ি ! সাথে হাত মেহেদি ! বেশ গাঢ় করেই মেহেদি দেওয়া !

কপালে লাল টিপ আর ঠোটে হালকা লাল লিপস্টিক ! আর চোখে হালকা করে কাজল দেওয়া ! চোখের পাতার উপর আবার কালার করা ! একে কি বলে কে জানে ?

চুল সম্পুর্ন ভাবে বাঁঁধে নি । কিছুটা বাঁধা আবার কিছুটা ছাড়া ! চুলে দুটো রক্তজবা গোজা !

আমি অনুভব করলাম আমার বুকের ভিতর একটা তোলপাড় শুরু হয়েছে । রুহী আমার কাছে এসে বলল

-কি ?

-কিছু না ।

ওর সাথে যখন রিক্সায় উঠলাম মনে হচ্ছিল যেন আমি সব থেকে সুখি একজন মানুষ ! চারিপাশে লোকজন কেমন করে যেন তাকাচ্ছিল আমাদের দিকে । এতো দিন কেবল আমি দেখে গেছি এমন করে আজ মানুষ আমাকে দেখছে ! আর মনে মনে ঈর্ষার জ্বলছে । এর থেকে আন্দের আর কি হতে পারে ?

কোথায় কি প্রোগ্রাম হচ্ছিল আমার কিছু খেয়াল ছিল না । আমি কেবল রুহীকেই দেখছিলাম । অন্য কিছু আমার চোখেই পরছিল না ।

আর বাসায় আসার পর থেকে শান্তি পাচ্ছিলাম না কিছুতেই । ঘুমও আসছিল না । তাই বলেই দিলাম । লাইনটা বলেই ফোন বন্ধ ! প্রথম প্রথম একটু বুক ধড়ফড় করলেও এখন অবশ্য শান্তিই লাগতেছে !

যাক !! বলে ফেলেছি ভাল করেছি !

কিন্তু ও যদি না করে দেয় ?

তাহলে ?

এইটা তো একটু চিন্তার বিষয় !!

সকাল বেলাতেও ফোন বন্ধই রাখলাম । ভার্সিতে যারার কথা ছিল তাও গেলাম না । এমন কি একটা বার পিসিও অন করলাম না ! রুহী কি মেসেজ পাঠিয়েছে কে জানে !!

বিকেল বেলা একটু বের হতে হল । বাসায় কিছু খাওয়ার ছিল না । নিচে গিয়ে নাস্তা খেতে হবে । আমি গেট দিয়ে বের হব ঠিক এই সময় আমার মনে হল আমি একটু ভুল দেখছি । কারন রিক্সা করে দেখলাম রুহী আসছে ! মুখটা একটু গম্ভীর !

আমি মনে মনে বললাম এটা হতে পারে না । রুহী আমার বাড়ির ঠিকানা কই পাবে ? আমি ঠিক করে তো কোন দিন বলি নাই । নিশ্চই অন্য কেউ হবে ! কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গলো যখন রিক্সাটা আমার সামনে এসেই থামলো !

থামতেই পরে !

কিন্তু রিক্সার আরহী যখন বলল

-রিক্সায় উঠে বস !

তখন আর বুঝতে বাকী রইলো না যে রুহীই !

আমি একটু অবাক হয়ে রুহীর দিকে তাকিয়ে ! ভাবছি এই মেয়ে আমার বাড়ি চিনল কিভাবে ?

আশ্চার্য বিষয় !!

-কি হল ? কথা কানে যায় না ? রিক্সায় উঠতে বললাম না ?

আমি আরো অবাক হলাম রুহীর কন্ঠস্বর শুনে ?

এই আমাকে ধমক দেয় ক্যান ?

রুহীর সাথে আমার পরিচয় প্রায় চার মাসে মত । কোন দিন একটু জোরেও কথা বলে নি ! আর আজকে কি হল ?

তখনই আমার কাল রাতের কথা মনে হল !

অপু মিয়া তুমি ফান্দে পরছো !

এতো দিন সে তোমার বন্ধু ছিল তাই কন্ঠস্বর ছিল এক রকম ! আর কালকে তুমি যেই কামডা করছো কন্ঠস্বর কি আগের মত থাকে ??

না মামা না !!

আমি আর একবার ধকম খাওয়ার আগেই রিক্সায় উঠে বসলাম । রিক্সা য়ালা কে মনে হয় আগে থেকেই বলা ছিল রিক্সায়ালা রিক্সা ঘুড়িয়ে চালাতে শুরু করলো !

কিন্তু মনের ভিতর একটা প্রশ্ন রয়েই গেল !

রুহী আমার বাড়ি চিনলো কিভাবে ? আমি রুহীকে বললাম

-তুমি আমার বাড়ি চিনলে কিাভবে ?

কিন্তু রুহী আমার কথার জবাব না দিয়ে বলল

-কালকে রাতে ফোনে তুমি কি বলল?

আমি আরো অবাক হলাম ! এই মেয়ে এতো জোর গলায় কথা বলা শিখলো কিভাবে ?

আমি খানিনটা নিচু স্বরে বললাম

-আর কোন দিন বলব না !

-আর তারপর ফোন বন্ধ কেন ?

আমি আবার বললাম

-আর কোন দিন ফোন বন্ধ করবো না ।

-ফেসবুকে কতগুলো মেসেজ পাঠাইছি তোমাকে ?

-বিশ্বাস কর আমি আর কোন দিন ফেসবুক খুলবো না !

-আরে ধুর ! কাল রাতে কি বললা আবার বল !

-আমি.....।

-বল !

আমি আবার একটু দম লিলাম ।

এবার রুহী একটু ধমক দিয়েই বলল

-বল

আমি আবার কালকের মত মুখস্ত বলার মত করে করে বললাম

-আমি তোমাকে ভালবাসি !

রুহী আমার দিকে তাকিয়ে বলল

-কালকে এটা বলেছিলে ? ঠিক আছে এটাতেও চলবে ! এখন আমাকে বল কালকের সাজ গোজ দেখে আমার প্রেমে পড়েছ নাকি ....

-না বিশ্বাস কর আমি অনেক আগে থেকেই.....

-তাহলে এতো দেরি করলে কেন বলতে ? আর এমন ভাবে বললে যেন মুখস্ত বলতেছে ! এ ফর অ্যাপেল বি ফো বল ! একটা মেয়েকে প্রোপজ করতেছ একটু সুন্দর করে করতে হয় ! তার উপর আবার মোবাইল বন্ধ ! এমন মেজাজ গরম হচ্ছিল না তোমার উপর !!

আমি চুপ করে রইলাম ! রুহী আবার বলল

-শোন এখন আমরা লেকপাড়ে যাচ্ছি ! ওখানে আমার একটা খুব পছন্দের জায়গা আছে । সেখানে গিয়ে তুমি আমাকে খুব সুন্দর করে প্রোপজ করবা ! মনে থাকবে ?

-হুম !

-হুম ! কি ?

-থাকবে !

রুহী একটু হাসলো ! সুন্দর করেই হাসলো ! বলল

-যদি সুন্দর করে প্রোপজ না করতে পারো দেখো সারা জীবন তোমার কপালে দুঃখ আছে ! আর কিছু বলার আছে ?

-হুম !

-কি ?

-তুমি আমার বাসার ঠিকানা কিভাবে পেলে ?

রুহী কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হেসে ফেলল । বলল

-আমি তোমাকে এতোক্ষন কি বললাম সেটা নিয়ে তোমার টেনশন নাই ! তোমার বাড়ির ঠিকানা কিভাবে পেলাম সেটা নিয়ে তুমি চিন্তিত ।

আরো একটু হেসে বলল

-পন্ডিট কোথাকার ! নিজের ফেসবুক ইনফোতে যে নিজের ফ্লাট নাম্বার পর্যন্ত দেওয়া আছে সে খেয়াল আছে

আরে তাই তো !!

আমার তো মনেই ছিল না ।

রুহীর কথা শুনে আমি একটু হাসলাম । ঠিক তখনই আমার মনে হল আমরা লেকের খুব কাছে চলে এসছি ! এখনই আমাকে আবার প্রোপজ করতে হবে ! তাও আবার সুন্দর করে !!

কিভাবে ???

কাল ফোনেই বলতে গিয়েই আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল ! আজ সামনা সামনি কিভাবে বলবো ?? কিভাবে বলবো ভালবাসি ! কেউ আমারে বাঁচায় না ক্যারে !

অপু তানভীর
গল্প নম্বরঃ ১৮২

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ