বাসাটার দিকে ভালভাবে তাকিয়ে দেখলাম এইটাই
জান্নাত ভবন কিনা!
হুম ঠিকিতো আছে।এটাই হবে।
আরও নিশ্চিত হবার জন্য একজন মধ্যবয়স্ক
ভদ্রলোককে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম
-চাচা এইটা কি রুহুল সাহেবের বাসা?
ভদ্রলোক আমার দিকে একবার তাকিয়ে বললেন
-হুম এটাই।
আমি আর দ্বিধা না করেই গেইট দিয়ে ঢুতে
পড়লাম।দারোয়ান প্রথমে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা
করলেও যখন বললাম যে আমি নূরের ফ্রেন্ড
তখন ঢুকতে দিল।আমি রীতিমত অবাক না হয়ে
পারলাম না।এত বড় বাড়ি ওদের।নিচে গ্যারেজে ২
টা গাড়ি রাখা।বাড়ির সামনে বিশাল এক ফুলের বাগান।
বাড়ির দেয়ালগুলো হীরার মত চকচক করছে।
কাচের জানালাগুলোর দিকে তাকালেই কেমন
ঝিলিক দিয়ে উঠে চোখে।যে কেউ
দেখেই বলতে পারবে যে এটা মোটামুটি
বড়লোকের বাড়ি। অথচ নূর কোনদিন বলেনি
আমায়।ও এত বড়লোক ঘড়ের ছেলে
আমাকে বুঝতেই দেয়নি কখনো।শুধু আমি
কেন?আমি হলফ করে বলতে পারি ওর চাল চলন
দেখে কেউ কখনো বলবেনা যে ও
বড়লোক বাবার সন্তান।ওর বাবার ঢাকা শহরে এত
বড় একটা বাড়ি আছে সেটা ওকে দেখে
কখনো বুঝার উপায় ছিলনা।
যা হোক আপনাদেরকেতো বলাই হয় নি নূর
কে আর ওর সাথে আমার কিভাবে পরিচয়!
নূর উত্তরার একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে এম বি এ
পড়ছে।ওর সাথে আমার পরিচয় দুইবছর আগে
একটা পার্কে
,
না ও আমার না।আমার কাছের বান্ধবী নীলার
বয়ফ্রেন্ড।দুই বছর আগে নীলা হঠাতই
আমাকে ফোন দিয়ে বলল ওর নাকি কোন একটা
ছেলের সাথে ফেবুতে পরিচয়। আজ
বিকেলে পার্কে দেখা করবে প্রথম দেখা/
প্রেম বলে কথা,একটু আনইজি ফিল করছে।তাই
আমাকে সাথে যেতে বলল।এইগুলো সাধারনত
আমার ভাল লাগেনা।কিন্তু যেহেতু ও আমার
কাছের বান্ধবী তাই না করতে পারলাম না।অনিচ্ছা
থাকা সত্বেও হ্যাঁ বলে দিলাম।বিকেল চারটায় আমরা
পার্কে পৌছালাম।নূর আগে থেকেই বসেছিল।
আমাদের দেখে উঠে দাড়াল।আমাদের কুশল
বিনিময় হবার পর, আমি ওদের একা ছেড়ে একটু
দুরে গেলাম।ওরা নিজেরা নিজেরা কথা বলে নিল।
এরপর সাড়ে পাঁচটার দিকে আমি আর নীলা ফিরে
আসলাম।ছেলেটাও চলে গেল।এরপর
থেকেই ওদের সম্পর্ক শুরু।সারাদিন ফোনে
কথা বলা,চ্যাটকরা,সপ্তাহে দু চারদিন দেখা করা সবই
চলতে থাকল ওদের মাঝে।প্রায়ই নূর ভার্সাটির
গেইটে অপক্ষা করত।কলেজ ছুটি হলে
নীলাক নিয়ে ঘুরতে যেত।যেহেতু আমি আর
নীলা এক কলেজেই পরতাম।তাই নীলার সুবাদে
প্রায়ই নূরের সাথে দেখা হত আমার।ও খুব
হাস্যোজ্জল ছেলে।সবসময় কারনে অকারনে
হাসত।আমি ওকে গোমড়া মুখে দেখিনি
কখনো।ওর হাসি আমার খুব ভাল লাগত।কারন ওর
দাঁতগুলো ছিল খুব ছোট ছোট আর স্বচ্ছ।ও
হাসলে যেন মুক্ত ঝরত।
,
পাঁচ ফুট সাত ইন্চির মত লম্বা,শ্যামলা নূর দেখতে
খুব একটা আকর্ষনীয় না হলেও।ওর চেহারায়
বরাবরই একট মায়া ছিল।আমার ওকে খুব ভাল লাগত।
কিন্তূ প্রকাশ করিনি কখনো।বান্ধবীর ফ্রেন্ড
বলে কথা।তবে প্রায়ই দুষ্টামি করে ওদের
বলতাম ভাইয়া আপনাদের খুব মানিয়েছে,নামের
মাঝেও একটা মিল আছে নূর+নীলা।হয়তো
আল্লাহ আপনাদের জুটি করেই পাঠিয়েছে
দুনিয়ায়।এসব শুনে নূর কিছু বলতনা।শুধু হাসত।
এরকমভাবে যখনই নূরের সাথে আমার দেখা হত
তখনই ওকে এরকম কিছু বলতাম যেন ও হাসে।
কারন ওর হাসিটা আমি খুব এনজয় করতাম।প্রায়ই আমরা
তিনজন একসাথে ঘুরতে যেতাম।আইসক্রিম,
ফুসকা,ঝালমুড়ি নানান কিছু খেতাম।নৌকায় চড়তাম।
পার্কের দোলনায় দোল খেতাম।আর সুযোগ
পেলেই একধ্যানে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে
থাকতাম।জানিনা নীলা বা নূর কিছু বুঝতে পারত কিনা!
এভাবেই আস্তে আস্তে নূরের প্রতি আমি
দুর্বল হয়ে পরতে থাকলাম।আর এদিকে নূর আর
নীলার সম্পর্কও গভীর হতে থাকল।কিন্তু আমি
এত স্বার্থপর নই যে,বান্ধবীর ভালোবাসা
কেড়ে নিব।তাই নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন রাখলাম।
আর আমার মনের কথাগুলো একটা ডায়রীতে
লিখে রাখতাম।নূরের দিক থেকে মন ফেরাতে
আমি নীলার সাথে মেশা বন্ধ করে দিলাম।নীলা
ফোন দিলে ফোন রিসিভ করতাম না।কলেজেও
কম যেতাম।
,
এরই মাঝে হঠাৎ একদিন নীলা আমার মেসে
চলে আসল।আমি খানিকটা বিব্রত হলাম।ওর
চোখের দিকে তাকিয়েই দেখলাম যেন আগুন
বের হচ্ছে।পারলে আমাকে গিলে খাবে।আমি
নিজেকে অপরাধীর মত করে ওর সামনে
উপস্থাপন করলাম।আমি কিছু বলতে যাব তার
আগেই ও বলতে লাগল
-এই তোর কি হয়েছে বলবি?এমন শুরু করলি
কেন আমার সাথে?আমি কি তোকে প্রেম
করে ছ্যাকা দিয়েছি নাকি?আমার ফোন ধরিস না
কেন?
একদমে কথাগুলো বলে নীলা ডান বাম তাকাতে
থাকল আর রাগে ফুস ফুস করতে থাকল।আমার
কাছে ওর প্রশ্নের কোন উত্তর ছিল না।
আমি কি বলতে পারতাম যে নূরকে আমি মনের
অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছি।বন্ধু হয়ে
আমি কি করে তোর ভালবাসায় ভাগ বসাব।এটা আমার
মনের অন্যায় চাহিদা,এ যে পাপ।না!এগুলো আমি
ওকে বলতে পারতাম না।অনেক্ষন যাবৎ ওর
কথাগুলো হজম করে নিজেকে স্বাভাবিক করে,
ঠোঁটে এক চিলতে হাসির রেখা ফুটিয়ে বললাম
কি যে বলিস না।যদিও হাসিটা জোর করে
হেসেছিলাম,ওকে ফাকি দিতে।কিন্তু ও ঠিকই
বুঝে ফেলল।বলল
-কিরে!তোর কি কোন কারনে মন খারাপ।
-আরে না কিযে বলিস!মনতো ভালই ।বাদ দে
আমার কথা।তুই কেমন আছিস তাই বল।
-ভাল নারে!নূরের সাথে আর রিলেশনটা মনে হয়
রাখতে পারছি না।
আমি উত্তেজিত হয়ে উৎসুক মনে জিজ্ঞাসা
করলাম
-what!কি বলছিস এসব?
,
আমি আরও কিছু বলতে যাব তার আগেই নীলা
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,ও টিউশানি করে
ওর পড়াশুনার খরচ চালায়।বাসা থেকে নাকি পুরু টাকা
দিতে পারেনা।একটা প্যান্ট আর দুইটা শার্ট দিয়ে
বছর চালিয়ে দিচ্ছে।আমার একটা prestige
আছেনা।এতকরে বলেও ওকে লাইনে
আনতে পারলাম না।মুখের ওপর বলে দিল ও
কিছুতেই ওর এই স্ট্যাটাস বদলাতে পারবে না।তাই
আমিও বলে দিয়েছি।ওর মত ক্ষেত ছেলের
সাথে সম্পর্ক রাখা আমার পক্ষেও সম্ভব না।ওর
কথাগুলো শুনে প্রথমে মনে মনে খুব খুশি
হলাম যে আমার রাস্তা পরিষ্কার।পরক্ষনই আবার
ভাবলাম
-না!এটা হয় না।নীলার সাথে ব্রেকআপ হওয়া
ছেলেকে আমি ভালবাসব এটা একদম ভাল দেখায়
ন।আমি এসব ভাবতে ভাবতেই নীলা পুনরায় যা
বলল তা শুনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।বলল ওর
নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।এবং এটা নাকি লাভ
ম্যারিজ।আমারতো একথা শুনে চোখ কপালে
উঠল।
-এই মেয়ে এসব কি বলে!এই প্রেমটা আবার
কবে করল।এতটাই গভীর হয়ে গেছে যে
বিয়ে পর্যন্ত করে ফেলছে।আর আমি কিছুই
জানিনা।আমি এসব ভাবতে ভাবতেই নীলা আমার
কল্পনার রাজ্যে ব্যাঘাত ঘটিয়ে বলল
-তোর সাথেতো অনেকদিন যোগাযোগ নাই
তাই কিছু বলা হয়নি।কিছুদিন আগে নূর ওর এক
ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিছিল আমাকে।
নাম অরুন।
,
অরুন একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে।
দেখতে দারুন,খুবই স্মার্ট।ও মাঝে মাঝেই
আমাকে ফোন দিত।আস্তে আস্তে আমরা ডিপ
রিলেশনে জড়িয়ে পরি।অরুন যদি আমার জীবনে
না আসত তবে ঐ আনস্মার্ট খেত নূরের
সম্পর্কে কত কিছুই যে জানার বাকী থাকত...
নীলার মুখ থেকে এধরনের কথা শুনে
রীতিমত অবাক না হয়ে পারলাম না।কারন নূরের
সাথেও ওর ডিপ রিলেশন ছিল।আর এখন নাকি
অরুনের সাথে!আসলে ডিপ রিলেশন বলতে য
যে এই মেয়েগুলা কি বুঝায় তা বুঝে উঠতে পারি
না আমি।স্মার্টনেস,টাকা পয়াসা এসব দেখে কি
ভালবাসা হয়!ভালবাসা হচ্ছে দুটি মনের মিলন।কিন্তু
এই মেয়েগুলোকে কে বুঝাবে এটা?নীলার
মত কিছু অর্থলোভী মেয়েদের জন্যই
সমগ্র মেয়ে জাতির দুর্নাম হয়।নীলার দিকে
অবাকদৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম -আচ্ছা নূর একটু
আনস্মার্ট ঠিক আছে কিন্তু টিউশানি করে খরচ
চালায় এটাতো জানতামনা!
-আরে আমিই কি জানতাম নাকি!অরুনইতো বলল
আমায়!
বুঝতে পারলাম এই অরুটাই যত নষ্টের গুড়া।ঐ
দিনের মত নীলা চলে গেল।কিন্তু যাওয়ার
আগে আমাকে অবাক করে দিয়ে বিয়ের কার্ড
দিয়ে দাওয়াত করে গেল।সত্যি অনেক অবাক
হয়েছিলাম ঐ দিন।মাত্র ৩ মাস যোগাযোগ ছিলনা
ওর সাথে এর মাঝে নূরের সাথে ব্রেকআপ
করে আবার নতুনজনের সাথে বিয়ে পর্যন্ত
গড়িয়ে গেল!
,
নীলার প্রতি ঐদিন অনেক রাগ হয়েছিল ওর
স্বার্থপর মন মানসিকতা দেখে।যাহোক আমার
সামনে ফাইনাল পরীক্ষা ছিল তাই এসব ধান্ধা বাদ
দিয়ে পড়াশুনায় মন দিলাম।কিন্তু নূরকে ভুলতে
পারছিলাম না।নীলার সাথে ব্রেকআপ হওয়ার পর
কেন জানি ওকে আরও আপন মনে হতে লাগল।
আরও ভালবাসতে মন চাইল ওকে।যদিও ওর সাথে
কোন কন্টাক্ট ছিলনা।হঠাতই একদিন কলেজ
থেকে মেসে এসে দেখি আমার চেয়ারে
কেউ একজন বসে আছে।আমার আসার শব্দ
পেয়েই সে আমার দিকে মুখ ঘুরাল।রীতিমত
অবাক না হয়ে পারলাম না।
-এটাতো নূর!
আমি বিষ্ময়ভাব কাটিয়ে কিছু বলতে যাব তার
আগেই নূর বলল
-কেমন আছ নিপা?
-জ্বি ভাল?আপনি!কখন এলেন?
-এসেছি অনেক্ষন।
স্যরি আজ একটু শপিং এ গিয়েছিলাম তাই দেরী
হয়ে গেল।
-না না ঠিক আছে।তুমিতো আর জানতেনা আমি
আসব।
নূরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম।ওর মনটা খুব
খারাপ।চোখের নীচে কালো দাগ পড়েছে।
বুঝতে অসুবিধা হলনা নীলার জন্যই ওর এই অবস্থা।
মনে মনে যা রাগ হয়েছিলনা তখন নীলার ওপর।
মনে হচ্ছিল ওকে কাছে পেলে এখন খুনই করি
ফেলতাম।অতঃপর আমার ভাবনাতে ব্যাঘাত ঘটিয় নূর
আমাকে জিজ্ঞাসা করল
-নীলা আমাকে ছেড়ে গেছে তুমি জান
নিশ্চই?
আমি কি উত্তর করব বুঝে পেলাম না।একটু
ইতস্তত বোধ করে মাথা চুলকাতে চুলকাতে
বললাম
-ইয়ে না মানে
-এত মানে মানে করছ কেন?আমি জানি তুমি সব
জান।
ও আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে।আমার মনটা
ভেঙে দিয়েছে।জীবনে এত বড় ধাক্কা আমি
আর খাইনি কখনো।যাহোক আমিও হেরে যাবার
পাত্র নই।আমি আমার বাবার সাথে হারিনি।আর ওতো
একটা সাধারন মেয়ে।তুমি যদি হেল্প কর তবে
আমি রিভেন্জ নিতে পারি।
-আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না আপনার কথা।বাবার
সাথে হারেন নি মানে?আর আমি কিভাবে
আপনাকে হেল্প করতে পারি?কথাগুলো বেশ
আগ্রহসহকারেই জিজ্ঞাসা করলাম।
জবাবে নূর মুচকি হেসে বলল বাবার ব্যাপারটা পরে
বলব।আপাতত তুমাকে ১টা রিকোয়েষ্ট করলে
রাখবে?
-হুম বলুন।
-বিয়ে করবে আমায়?
নূরের মুখ থেকে এ কথাটা শুনে মুহুর্তের
মধ্যে নূরের চোখের দিকে তাকালাম।তাকিয়ে
দেখি ও মুচকি হাসছে।একটু আগেও যে
কষ্টের ছাপটা ওর মুখে আমি দেখেছিলাম তা
এখন আর দেখতে পাচ্ছি না।আমি কি বলব বুঝতে
পারলাম না।নূর আমার সামনে হাত জোড় করে
কাকুতি মিনতি করে বলল
-প্লিজ তুমি না করনা।আমি কভু তোমাকে ছেড়ে
যাবনা।অনেক ভাল রাখব তুমায়।যদিও মনটা খুশিতে
নেচে উঠল তবুও প্রকাশ করলামনা।শুধু বললাম
আমরা এখন বিয়ে করলে খাব কি?থাকব কোথায়?
মুহুর্তেই নূর আনন্দে চিৎকার করে বলল
-তার মানে তুমি রাজী?থাকা খাওয়া নিয়ে তুমি ভাবছ
কেন?ওসবতো আমার ব্যাপার
,
নূর আরও বলল কাল তুমাকে একটা সারপ্রাইজ দিব।
আসলে আমার যে রুপটা তুমরা সবাই জান তা আমার
আসল রুপ না।আমার আরেকটা পরিচয় আছে।আর
যেহেতু তুমি আমার জীবনসঙ্গী হতে রাজী
হয়েছ তাই তুমাকে আমার সব জানানো উচিত।
বলেই ও আমার হাতে একটা এড্রেস ধরিয়ে
দিয়ে বলল কাল সকালে এই ঠিকানায় চলে যাবে।
আমি তুমার জন্য অপেক্ষা করব।
আর সেই ঠিকানা ধরেই আমি এখন এই বিরাট বাড়ির
ভিতর প্রবেশ করে যাচ্ছি।ভিতরে ঢুকেই দেখি
ড্রয়িং রুমে একজন কোর্ট,প্যান্ট আর চশমা পরা
ভদ্রলোক বসে পেপার পরছেন।আমি ঢুকেই
উনাকে সালাম দিলাম।তিনি আমার কথা শুনেই হাসতে
হাসতে বললেন
-আরে মা এস এস, তুমার জন্যই অপেক্ষা
করছিলাম।বুঝতে পারছিলাম না কিছুই। এই লোক কি
জানত নাকি যে আমি আসব!হয়তবা...
তারপর ভদ্রলোক বলতে শুরু করলেন
-আমার ছেলে অনেক স্মার্ট ছিল।ওর অনেক
ডিমান্ড ছিল।অনেক মেয়ে ওকে ভালবাসতে
চাইত।ও নিজেও যার তার সাথে ঘুরে বেরাত।আমি
একদিন রেগে গিয়ে ওকে বলেছিলাম ঐ
মেয়েগুলো তোকে না তোর বাবার
সম্পত্তিকে ভালবাসে।ও ঐ দিন আমার কথাটা
উপলব্ধি করে দূরে গিয়ে একটা সাধারন জীবন
শুরু করেছিল আর যাবার সময় বলে গিয়েছিল বাবা
বিয়ে সারাজীবনের ব্যাপার।তোমার কথাটা সত্যি।
তাই আজ থেকে আমি সাধারন জীবন শুরু করব।
,
আজ থেকে বাবা তুমার ছেলে বৌ খুজতে বের
হলাম।দেখে নিও তুমি তুমার এই সাধারন চাল চুলুহীন
ছেলেটাকেই কেউ একদিন খুব ভালবাসবে।আর
তাকেই আমি তুমার পুত্রপধু বানাব।কাল আমার
ছেলে আমাকে বলল বাবা আমি তোমার পুত্রবধু
পেয়ে গেছি।সে নাকি তুমার ডায়রী পরে
জেনেছে যে তুমি তাকে ভালবাস।
-এতক্ষনে সব পরিষ্কার হল আমার কাছে যে নূর
কেন বলেছিল যে ও ওর বাবার কাছেও হারে নি।
আর আমার জন্য এটাই সারপ্রাইজ ছিল যে নূর
কোন সাধারন ঘরের ছেলে না।ওর বাবার ঢাকা
শহরে বেশ কয়েকটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আর
ফ্ল্যাট বাসা আছে।
যাহোক আমিতো আর নূরকে এসব দেখে
ভালবাসিনি।আমি ঐ সাদাসিধে চালচুলোহীন নূরকেই
ভালবেসেছিলাম।আজ আমি অনেক খুশি। এ যে
মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।আমি এভাবে আমার ভালবাসা
পেয়ে যাব ভাবিনি কখনো। যাহোক ডায়রীটা
লিখে ভালই করেছিলাম।হয়তো নূর সেদিন আমার
মেসে আমাকে অন্য কিছু বলতে গিয়েছিল।
ডায়রীটা দেখেই হয়ত ও বুঝেছিল যে যাকে
খুজতে সে বাড়ি ছেড়েছিল আমিই সেই
মেয়ে...
Written by:Tanjina Akter Tania( হিমাদ্রির মেঘ)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
250
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧝:⧍⧝ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ