গল্পঃ রান্না পাগলী।
.
.
- এতো মনোযোগ সহকারে কি পড়েন। (তিথি)
> গতকালকের লেকচারটা ভালোভাবে বুঝতে পারিনি,
সেইজন্য বুঝার চেষ্টা করছি। (রাহুল)
- আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।
> না থাক,আমি নিজেই পারবো।
- আপনি এমন কেনো বলুন তো?
> আমি নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করি।
- তাহলে রান্না করতে পারেন না কেনো?
> ওটা মেয়েদের কাজ।
- জ্বী না ওটা ছেলেদেরও কাজ,অনেক ছেলেরা রান্না
করে।
> তাহলে আল্লাহ কেনো মেয়ে সৃষ্টি করেছে,মেয়ে
সৃষ্টি করার মূল কারন ছেলেদেরকে রান্না করে
খাওয়ানো।
- আপনার সাথে কথাই পারা যাবেনা।
> যখন জানেন,তখন কথা বলতে আসেন কেনো।
- এসেছিলাম তো হেল্প করতে,আর আপনি উল্টা দশটা
কথা শুনিয়ে দিলেন।
> এবার আপনার রেডিওটা বন্ধ করেন,আমি লেকচার টা
ভালো করে বুঝে নিই।
- একটা হেল্প দরকার, হেল্প করলেই চলে যাবো।
> আচ্ছা বলে বিদাই হন।
- কালকে আমার সাথে এক যায়গাই যেতে হবে।
> পারবোনা।
- একটা অবলা মেয়ে আপনার থেকে হেল্প চাইছে আর
আপনি বলছেন পারবোনা।
> আপনি অবলা মেয়ে আমি তো জানতামি না।
- অবলাই তো,এখন বলেন যাবেন কিনা।
> আচ্ছা যাবো এখন যাওতো,অনেক বকবক করেছো।
- মনে থাকে জেনো।
কথা বলা শেষ করে তিথি চলে গেলো।
.
রাহুল আর তিথি দুই জন অনেক কাছের বন্ধু।
তবে তিথি রাহুলকে ভালোবেসে ফেলেছে।তিথি
রাহুলকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু রাহুল সেটা
কোন ভাবেই বুঝতে চাই না।
.
পরের দিন তিথি রাহুলকে সাথে নিয়ে রিক্সাতে উঠে।
.
- কি ব্যাপার কোথাই নিয়ে যাচ্ছ। (রাহুল)
> আমি যেখানে যাবো তুমিও সেখানে যাবে। (তিথি)
- যায়গার নাম তো বলো।
> একদম চুপ, কোন কথা বলবে না।
- এই তুমি আমাকে ধমক মারছো কেনো?
> চুপ করতে বলেছি না তোমাকে।
একদম চুপচাপ থাকো।
.
রাহুল তিথির কথা শুনে একদম চুপ হয়ে গেলো।
কিছুক্ষন পর রিক্সা একটা বাড়ির সামনে থামলো।
রিক্সা থেকে নামতে বলল তিথি।
-এটা কার বাড়ি (রাহুল)
> আমাদের বাড়ি (তিথি)
- এখানে কেনো নিয়ে আসলে তুমি?
> অাগে ভেতরে চলো তারপরে বলছি।
-ভয় করছে,যদি তোমার বাবা মা কিছু বলে।
> বাড়িতে কেউ নাই,সবাই বেড়াতে গেছে রাতে আসবে।
- এতো বড় বাড়ি তোমাদের, না দেখলে বুঝতেই পারতাম
না।
> এখন বাড়ি দেখতে হবে না ভেতরে চলো।
.
তিথির সাথে ওদের বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম।
বিশাল বড় বাড়ি তাদের।
বাড়ির ভেতর টা অনেক সুন্দর করে সাজানো।
এতো সুন্দর বাড়ি,বাইরে থেকে কখনো বুঝাই যাবে না।
তিথি আমাকে রেখে কোথাই জেনো চলে গেলো।
আমি তিথিকে না খুজে বাড়িটা দেখতে থাকলাম।
এতো বড় বাড়িতে তিথি থাকে ওকে দেখলে কেউ বলবেই
না।
.
হটাৎ করে তিথির ডাকে পেছনে ফিরে তাকালাম।
- এতো মনোযোগ সহাকারে কি দেখো। (তিথি)
> তেমন কিছু না। তবে তোমাদের বাড়িটা অনেক সুন্দর।
- থাক এতো প্রসংসা করতে হবে না।
তোমার জন্য খাবার রান্না করেছি।
> এইটুকু সময়ে রান্না করাতো সম্ভব না।
- গতকাল তুমি বলার পরে রান্না করে ফ্রিজে রেখে
দিয়েছিলাম,আর এখন শুধু পায়েস রান্না করেছি।
> সবকিছু কি আমার জন্য রান্না করেছো।
- হ্যাঁ।
> কেনো?
- আগে খাও পরে বলবো।
> টাকা পয়সা কিন্তু দিতে পারবো না।
- তোমার থেকে টাকা চেয়েছি আমি।
> না বলাতো যায় না,আজকাল তো আর কেউ ফ্রি
খাওয়াই না।
- এতো বেশি বুঝো কেনো? এখন খেয়ে নাও।
.
তিথি আমাকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে,আর আমি তিথির
দিকে তাকিয়ে আছি।
কি মায়াবী তার মুখ,
অসম্ভব রকমের মায়া আছে মেয়েটার মাঝে।
.
তিথিকে আমার নিজের বউ মনে হচ্ছিলো, যখন সে খাবার
বেড়ে দেই আমাকে।
.
অনেক দিন পরে ভালো খাবার খেলাম।
মেসে তো রান্না কখনো ভালো হয় না,সবাই অনেক
খারাপ খারাপ খাবারো খাই, শুধু পেটকে ঠান্ডা করার
জন্য।
.
- কেমন হয়েছে রান্না (তিথি)
> ভালো না,( মজা করে বললাম) কথাটি বলতেই তিথির
মুখ কালো হয়ে গেলো।
কোন কথা বলছে না তিথি।
আরে বোকা রান্না অনেক সুন্দর হয়েছে,তুমি তো অনেক
সুন্দর রান্না করো।
(রাহুল)
- এবার তিথির মুখে হাসি ফুটলো।
> খাওয়া দাওয়া শেষ করে উঠে পড়লাম।অনেক দির পর
বেশি করে খেলাম।
-একটা কথা ছিলো (তিথি)
> বলো, আবার কি বলবে।(রাহুল)
- চোখ বন্ধ করো আগে,তারপরে বলবো।
> আচ্ছা বন্ধ করলাম চোখ,এবার তো বলো।
চোখ বন্ধ করতেই,কারো নরম ঠোটের স্পর্শ পেলাম।
চোখ খুলে দেখি তিথি আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।
> এটা কি হলো তিথি? (রাহুল)
- আমি তোমাকে ভালোবাসি রাহুল,
তুমি বলতে না মেয়েদের কাজ শুধু রান্না করা সেইজন্য
তোমাকে রান্না করে খাওয়ালাম।
দেখলাম আমার রান্নাটা তোমার পছন্দ হয় কিনা।কিছু
পারি আর না পারি তোমাকে শুধু রান্না করে খাওয়াতে
পারবো।
আচ্ছা তোমার রান্নাওয়ালী বানাবে আমাকে।।
> মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক ইঙ্গিত করলাম।
তোমাকে তো অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি আমি।
শুধু বলতে পারি নি।
আমি চাই তুমি শুধু রান্না না,আমার সব দায়িত্ব তোমাকে
নিতে হবে।পারবে না তুমি?
- অব্যশই পারবো।
>তাহলে চলো?
- কোথাই যাবো?
> আমার সাথে, আমাদের বাড়িতে।
-কেনো?
> আমার মায়ের বউমা কেমন সেটা মাকে দেখাতে।
-এখুনি.
> হ্যাঁ ।
যায় মাকে রান্না পাগলী মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে
নিয়ে আসি।
শেষ পর্যন্ত রান্না পাগলীই জুটলো আমার কপালে।
.
শুরু হলো আবার নতুন এক সম্পর্কের।
এটাই প্রকৃতির নিয়ম, কেউ নতুন করে শুরু করে,আবার কেউ
শেষ করে।
.
.
লিখা :- রাফি ( পড়া চোর)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
258
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧝:ā§Šā§Š PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ