āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

424

"ভালোবাসা দিবি কিনা বল।
.
অফিসে এসে নিজের ডেস্কের চেয়ারে বসে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ছিলাম। বাসা থেকে হেটে  গলির মুখে এসে রিক্সা থেকে নিতে হয়।এই একটা ঝামেলা, আমরা যে বিল্ডিং এ থাকি এর আশে পাশে কোন রিকশা পাওয়া যায় না।একদম গলির মুখে এসে রিকশা নিতে হয়। অসয্য একদম, যদিও কপাল ভালো এই বাসাটা পেয়েছি। তবে একটা জিনিস ভালো সকালের মিষ্টি রোদটা জানালা ভেদ করে আমার মুখমন্ডলে স্পর্শ করে। অফিসে আসার পর প্রথমে  ঠিক পাঁচ মিনিটের মত চোখ বন্ধ করে থাকি। তারপর ডেস্কটা মুছে আমার যা যা কাজ করার তা শুরু করে দি। যদিও রহিম চাচা আমার ডেস্ক মুছে দেয় অন্যান্যদের মত তবে আমার কাজ আমিই করতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করি বলে রহিম চাচাকে একদিন বলে দিয়েছি...
.
"আমার ডেস্কে তুমি হাত দিবে না আর।
.
রহিম চাচা আমার দিকে একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। কি বলবে হয়ত ভেবে পাচ্ছিল না। উনি হয়ত ভেবেছিল আমি একটু বকা দিয়েছি, অবশ্য বকা দেওয়ার মত একটু জোড়ে বলেছিলাম। উনার চেহারা দেখে একটু হেসে বললাম..
.
"আমি তোমার মেয়ের বয়সি কিনা বলো বলছি।
.
উনি একটু মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক ইশারা দিল। আমি বললাম..
.
"আমি তোমার মেয়ের বয়সি মানে তোমার মেয়ের মত তাই নয় কি? তাহলে একজন বাবা হয়ে মেয়ের ডেস্ক মুছা এটা কি ঠিক দেখায় বলো।
.
উনি কি বলবে বুঝতে পারছিল না। আমার কথাটা শুনে চোখে মুখে একটা ভালো লাগার আভা দেখতে পাচ্ছিলাম। আমি আবার বললাম...
.
"এই জেনিয়ার ডেস্ক মুছা লাগবে না, তবে হ্যাঁ যখন চা খাওয়ার খুব ইচ্ছা করবে তখন  তোমার এই জেনিয়া মেয়েটাকে এক কাপ চা খাওয়ালে হবে। কি পারবে না?
.
আমি উনার চোখে পানি জমতে দেখেছি। এই পৃথিবীর মানুষ গুলা যেন কেমন, সামান্য কিছুতেই চোখ থেকে পানি বের করে দেয়। এই জিনিসটা আমার একদম ভালো লাগে না। সামান্য কিছুতেই ইমোশনাল হওয়া কি এটা ঠিক? আমি একটু স্বাভাবিক হয়ে বললাম..
.
"চোখের পানি দেখাতে হবে না, তুমি যে তোমার এই জেনিয়া মেয়েটাকে ভালোবাসো আমি জানি, মাঝে মাঝে আমি নিজেও চা বানিয়ে খাওয়াবো ঠিক আছে?
"আমার চাকরী জীবনে তোমার মত মেয়ে দেখি নি মা। মেয়ের স্থানে যখন বসেছো এই মেয়ের কথা না শুনে কি থাকা যায়?
.
এইটা বলেই রহিম চাচা আমার সামনে থেকে চলে গিয়েছিল। আমার কথা গুলা অন্যান্য কলিগদের মাঝে কয়েকজন শুনে ছিল। এইটা সবচেয়ে ভালো লাগে আমার দেখাদেখি আস্তে আস্তে অন্যরা নিজেদের ডেস্ক নিজেরা মুছে। যদিও পিয়ন ছিল অনেক জন। আর আজকে সকালে অফিসে এসে চেয়ারে হেলান দিয়ে যেই মাত্র বসলাম অমনি লামিয়া এসে আমার ডেস্কের উপরে হাতে বাড়ি দিয়ে আওয়াজ করলো। আমি চোখ খুলে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম...
.
"হয়েছে টা কি?
"কি হয় নি সেটা বল। জাহেদ কই জানিস?
"কই আবার নিজের ডেস্কে বা এখনো অফিসে আসে নি।
"তুই কিছু জানিস না?
.
লামিয়ার এমনভাবে কথা শুনে আমি একটু ভরকে গেলাম। ওর কথার ধরন আমার কাছে একদম ঠিকঠাক লাগছে না, মনে হচ্ছিল কিছু একটা হয়েছে। আমি  চেয়ার টা নেড়ে চড়ে ঠিক করে বসে বললাম...
.
"কি হয়েছে বল তো?
"জাহেদ কুমিল্লা গিয়েছে বিয়ে করতে। গতকাল রাতেই নাকি গিয়েছে।
"কি?
.
আমি কথাটা শুনেই চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালাম। লামিয়া আবার বলতে লাগলো..
.
"কিছুক্ষন আগেই ফেবুতে লগ ইন দিয়ে দেখি ও স্ট্যাটাস দিয়েছে বর সাজঁতে আর কতক্ষন ফ্রান্স? বিয়ের রাতটা কেমন হয় কেউ কি বলবেন যারা বিয়ে করেছেন.. ঠিক এই রকম ভাবেই লিখেছে।
.
আমি চুপ করে রইলাম কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছি না। একটু স্বাভাবিক হয়ে বললাম..
.
"তুই কি আমার সাথে ফান করছিস?
"এটা কি ফান করার বিষয় বল? আমি ফান করতে যাবো কি কারনে? তুই না হয় ওর স্ট্যাটাস দেখ।
.
আমি নেটে ঢুকে দেখি আসলেই সত্য। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম...
.
"করুক বিয়ে আমার কি?
"দেখ জেনিয়া ইগো দেখাবি না, এখনো সময় আছে।
.
আমি লামিয়াকে একটা ঝাড়ি দিলাম আমার সামনে থেকে যাওয়ার জন্য। লামিয়া আমার দিকে একটু কেমন করে তাকিয়ে তারপর ওর ডেস্কে চলে যায়। আমি চুপ করে বসে রইলাম। আমার মাথা একদম কাজ করছে না। এর কয়েক মিনিট পর আবার লামিয়া এসে বললো..
.
"মাত্রই নয়টা দশ বাজে। এখন রওনা দিলেই চার ঘন্টায় পৌছে যাবো। ভেবে দেখ। বিয়ে কিন্তু রাতে।
"তুই যাবি আমার সামনে থেকে?
"হুর ধমকাবি না। পরে তো ন্যাকামির মত কান্না করবি। আর বলবো না। পরে আমাকে কিছু বলতে পারবি না।
.
ও আবার ওর ডেস্কে চলে যায়। একটু ভেবে দশ মিনিট পর আমি ওর ডেস্কে গিয়ে বললাম..
.
"আমার সাথে যাবি?
"আল্লাহ রহম করেছে তাহলে। আমি না গেলে কি কিছু হবে?
.
এর কয়েক মিনিট পরেই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে কুমিল্লার দিকে রওনা দি। অবশ্য আমার আর জাহেদের ব্যাপারটা অফিসের সবাই জানে। এই অফিসে দু মাস হয়েছি এসেছি এই দু মাসে সবাই আমাকে আপন করেই নিয়েছিল। ম্যানেজার আফজাল ভাইকে বলতেই উনি ছুটি দিয়ে দিয়েছে।
.
কুমিল্লা পৌছাতে পৌছাতে বিকাল পাঁচটা বেজে যায়। তারপর ওখান ডিরেক্ট জাহেদ দের গ্রামে পৌছাতে পৌছাতে ছয়টা। গিয়ে দেখি বিয়ে অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। আমার মাথা একদম ঠিক নেই। বাড়িতে ঢুকেই ডিরেক্ট ওর সামনে কোমড়ে দুহাত রেখে চোখ বড় বড় করে দাঁড়ালাম। ও আমাকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে বললো...
.
"তোমাকে তো আমি বিয়ের দাওয়াত দেই নি। কাউকেই দেই নি। কি নাদান মেয়েরে বাবা বিয়ে খেতে কুমিল্লা চলে এসেছে।
.
আমার মাথার মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেল। ওর কলার চেপে ধরে ওকে দাঁড় করিয়ে বললাম..
.
"ভালোবাসা দিবি কিনা বল।
.
ও চুপ করে রইলো। ও হয়তো এটা ভাবে ও নি এমনটা আমি করবো। বাড়ির সবাই আমাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। কি হতে চলেছে তা যেন সবাই দেখার অপেক্ষা করছে। আসলে ও ছিল আমার কলেজ ফ্রেন্ড। আমরা খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিলাম। আমি যেমন ওর সাথে সব কিছু শেয়ার করতাম ঠিক তেমনি ও আমার সাথে সব কিছু শেয়ার করতো। আমি ওকে ফ্রেন্ড ছাড়া কিছুই ভাবি নি, কেননা বন্ধুত্বটা আজীবন টিকে থাকে আরো ভালোবাসাটা স্বল্পস্হায়ী যদি ধরে রাখতে না পারা যায়। ও যখন হুট করে আমাকে ওর ভালো লাগার কথা বলেছিল আমি গুরুত্ব না দিয়ে ফান হিসেবে ধরে নিয়েছি।
.
কারন ও আমার সাথে প্রায় মজা করতো। আরেকবার ও খুব সিরিয়াস হয়ে বলাতে আমি বুঝে ওকে ফিরিয়ে দেই। যখন কলেজের শেষ পর্যায়ে পৌছালাম তখন ও আবার প্রপোজ করে তাও কলেজের অনেকের সামনে। আমার খুব অসয্য লাগছিল। এইগুলা আমার মোটেও পছন্দ ছিল না। আমি খুব রেগে গিয়েছিলাম যার ফলে ওর গালে আমার হাত তুলতে একটুও কাপে নি। খুব জোর গলায় বলে দিয়েছিলাম ফ্রেন্ড এর মর্যাদা রাখতে জানিস? ফ্রেন্ড জিনিসটা কি বুঝিস? স্টুপিড কোথাকার। এরপর থেকে ওর সাথে কথা বলা অফ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওর সাথে চলা, সময় কাটানো, একসাথে লাইব্রেরিতে বসে নোট করা, ওর কেয়ার গুলা খুব বেশি মিস করতাম। নিজেকে সামলিয়ে রাখতে পারতে পারি নি। দেড় মাস পরেই ওর সামনে গিয়ে বললাম..
.
"কলেজ শেষ হতে আর কয়েক মাস বাকি আমরা কি আগের মত হতে পারি না?
.
ও কিছু না বলে চলে যেত। আমার সাথে কথাও বলতো না। ওর একটু অভিমান বেশি ছিল। আমি কি করবো ঠিক বুঝতে পারি নি। তারপর কিভাবে যে পরীক্ষা চলে এসেছিল টেরই পাই নি। কলেজ শেষে ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম ঢাকায়। আমি ঢাকায় চলে যাই আর চট্টগ্রামেই থেকে যায়। কিন্তু আমার মনে একটা অপরাদবোধ কাজ করতো। ভালোই তো বাসতে চেয়েছে। আচ্ছা ভালোবাসে কেন একজন মানুষকে?
.
ভার্সিটি শেষে চট্টগ্রাম আসি।পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরিও নিলাম। চাকরিতে জয়েন করে জাহেদকে দেখলাম অফিসে। ওর আমার সাথে টুকটাক কথা বলা শুরু করলো যেন আমার আর ওর ব্যাপারটা কেউ না জানে। কিন্তু আমি অনেকজনকে বলে দিয়েছি। আর সেটা আস্তে আস্তে অফিসের চারপাশে ছড়াতে আর দেরি হয় নি। ওর ব্যাপারটা প্রায় আমার মাথায় ঘুরপাক খেত বা ভাবাতো। একটা মানুষকে নি অনেক দিন ভাবলে তার প্রতি অন্যরকম কিছু কাজ করে আর দীর্ঘ কয়েক বছর ওকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে এখানে এসে ওকে দেখে বুঝলাম এই অভিমান ছেলেটাকে আমার দরকার। আচ্ছা ছেলেদের কি এত অভিমান মানায়?
.
অফিসে আমাকে হিট লাগিয়ে অন্য মেয়ে কলিগদের সাথে হাসি ঠাট্টা করতে লাগলো। রেগে আমার চোখ মুখ লাল হয়ে যেত। যার সাথেই হাসি ঠাট্টা করতো তাকে পরে আমি বলে দিতাম আমাদের কথা।
.
জাহেদ আমার দিকে এখনো চুপ করে তাকিয়েছে। একজন বয়স্ক লোক এসে বললো...
.
"কি হইতাছে এইসব?
.
আমি উনার দিকে তাকিয়ে থেকে বললাম...
.
"বর উঠায় নিয়ে যেতে আসছি। সিনেমায় দেখেন নাহ? প্রেমিক বিয়ের আসরে বউকে সবার সামনে থেকে উঠায় নিয়ে যায়। আমার বেলায় উল্টো বুঝছেন চাচা?
.
জাহেদ কলার থেকে আমার হাত ছাড়িয়ে বললো...
.
"এখন কি আমার থাপ্পড় লাগানো উচিত্‍ তোমাকে? তোমার মনে না থাকলেও আমার মনে আছে।
"ওই চুপ। মনের খেতারে পুরি আমি। এই যে মিঃ আমাকে তোমার ভালোবাসা দিতে হবে বুঝছো?
.
এইটা বলেই ওর হাতটা ধরলাম ঠিক তখনি বউ সাজা একটা মেয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে বামপাশে হেটে গিয়ে একটা ছেলের হাত ধরে টেনে এনে আমার সামনে এনে ছেলেটাকে বললো...
.
"শিখো আপুকে দেখে শিখো। বিয়ে খাইতে আসছে আমার। ভাত গিলছো?
.
আমি একটু হাসলাম। লামিয়া আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। জাহেদের বাবা আমার সামনে আসতেই জাহেদের মা আস্তে করে বললো...
.
"বাধা দিও না। পাগলটাও এই মেয়েটাকে পছন্দ করে। ওর এই বিয়েতে মত নেই তোমার বাড়াবাড়িতে বিয়ে করতে আসছে।
.
আমি দুজনকে সালাম করলাম। গাধাটা দাঁড়ায় আছে চোখ রাঙাতেই আস্তে করে সালাম করলো। আমি আবার হাতটা ধরলাম বর নিয়ে পালাবো বলে। বর নিয়ে পালানো বিষয়টা একটু অন্যরকম। ওকে নিয়ে হেটে যাচ্ছি আর সবাই তাকিয়ে আছে। বিষয়টা খুব সহজে মিটে যাবে ভাবি নি। ভাগ্য বলে নতুন বধুর জীবনে কেউ একজন ছিল। জাহেদ হাটতে হাটতে আমায় আস্তে করে বললো... ভালোবাসা নিবা? আমি একটু হাসলাম। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে ও আর আমি একটা বৃত্তে আবদ্ধ, যত দুরে যাই না কেন দিন শেষে কেন্দ্রে একত্রিত হবো।এই তো এই পথ দিয়ে বের হয়ে চলে যাবো বর নিয়ে...

.
লেখা.... Jahedul Hoque Subon

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ