āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

491

______অবহেলায় মৃত্যু__________
____________________________
___
শুভ্রনীল শুভ(স্বপ্নহীন বালক)

বিছানায় বসে জানালা দিয়ে আকাশটা
দেখছিলাম।
হঠাৎ....
এই যে নবাবের ছেলে ঘরে বসে থাকলে কাজ
গুলো কে করবে?জলদি যা গিয়ে কাজ গুলো
শেষ কর।নাহলে রাতের খাবার বন্ধ।বলেই মা
আমার
সামনে থেকে চলে গেলেন।মা বললে ভুল
হবে।উনি আমার সৎ মা।নিজের মা অনেকদিন
আগে
মারা গেছেন।তারপর বাবা আরেকটি বিয়ে
করেছিলেন আমাদের সুখের জন্য।কিন্তু
আমাদের কপালে সুখ সইল না।সৎ মা আমাদের
দেখতেই পারে না।পারলে ঘর থেকে বের
করেরে দেবে এমন অবস্থা।
ঘরের সব কাজ আমাকে দিয়ে করায়।একটু ভুল
হলেই নানা কথা বলে।এমনকি গায়ে হাতও
তুলে।
আমরা দুই ভাই।আমি বড় আর ছোট ভাইয়ের বয়স
সাত
কি আট হবে।আমার এক সৎ বোন আছে চার
বছরের।কিন্তু ওকে দেখলে মনে হবে না ও
আমার সৎ বোন সেটা বোঝাই যাবে না।
সারাক্ষন
ভাইয়া ভাইয়া করবে।আমাকে রেখে ও কিছু
খায় না।
কিন্তু মা ওকে আমার কাছে আসতে দেয় না।
আকাশের দিকে তাঁকিয়ে আছি আর অতীত এর
কথা
মনে করছি।হঠাৎ.....
-এই যে নবাবের বেটা...কখন বলেছিলাম গিয়ে
থালাবাসন গুলো পরিষ্কার করতে? এখনো যাস
নি।
-এই তো যাচ্ছি
-যা তাঁড়াতাড়ি পরিষ্কার কর।
.
রাতে সবার খাওয়ার পর মা একটা থালায় ভাত
আর তরকারি
আমার ঘরে দিয়ে গেল।আমি আর আমার ভাই
এক
থালার ভাত ভাগাভাগি করে খেলাম।ছোট
ভাইকে ঘুম
পাড়িয়ে দিয়ে আমি বিছানায় জানালার
পাশে বসে আছি।
আজ মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে।আকাশের
দিকে
তাঁকিয়ে মনে মনে বললাম,
মা কোথায় চলে গেলে তুমি?আমাদের একা
রেখে।কেউ আজ আমাদের নিজের হাতে
খাইয়ে দেয় না।কেউ আর আমাদের ঘুম
পাড়িয়ে
দেয় না।বাবাও কেমন জানি বদলে গেছে।
আমাদের আর কেউ ভালবাসে না।
.
.
পরেরদিন ঘুম থেকে উঠেই মায়ের চিৎকার
শুনতে পেলাম।মায়ের রুমে গিয়ে দেখি মায়ের
সোনার একটা চেইন হারিয়ে গেছে।এই নিয়ে
মা
চিৎকার করছে।মা সারাবাড়ি খুঁজতে লাগল।
শেষ পর্যন্ত চেইনটা আমার ঘরে পাওয়া গেল।
কিন্তু চেইনটা কি করে আমার ঘরে এল বুঝতে
পাররলাম না।এই নিয়ে বাবা আমাকে অনেক
মারল।আমি
যতবার বলি আমি চুরি করিনিরিনি,ততবার মা
বলে চুরের
আবার বড় গলা।ছোট ভাই এসে আটকাতে লাগল
কিন্তু সে ও আমার সাথে সাথে অনেক মার
খেল।
.
অবশেষে মা বলল আমার বাড়িতে চুরের
কোনো জায়গা নেই।আজ সোনার চেইন চুরি
করেছে,কাল আরও বড় কিছু চুরি করবে।তাই
তোরা
আমার বাড়ি থেকে চলে যা।মায়ের পায়ে
পড়ে
অনেক কান্নাকাটি করলাম কিন্তু মায়ের মন
গললো
না।আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিল।
বাবারও
এক কথা আমার বাড়িতে চুরের কোনো জায়গা
নেই।তাই বাবা মাকে বাঁধা দিল না।বাঁধা
দিবেই বা কেন বাবা
তো মায়ের কথায় চলে।
.
অবশেষে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে
দিল।
আমি বুঝতে পাররলাম যে মা আমাদের বাড়ি
থেকে
তাড়িয়ে দেবার জন্য নাটকটা করল।কেননা
তিনি
আমাদের দেখতেই পারতেন না।রাস্তায়
হাঁটছি,সাথে
ছোট ভাই।সকালে পেটে কিছু পড়েনি।ভাইটা
পেটের ক্ষুদায় কাঁদছে।একটা হোটেলে গিয়ে
কিছু খাবার চাইলাম।কিন্তু খাবার দেওয়া
দূরের কথা ওরা
আমাদের তাঁড়িয়ে দিল।শেষে কল থেকে
পানি
খেয়ে ক্ষুদা মেটানোর চেষ্টা করলাম।কিন্তু
পানি
খেয়ে কি আর পেট ভরে?
আমি না হয় কোনোরকমে কাটালাম,কিন্ত
ভাইটা আমার
না খেয়ে কিভাবে থাকবে।
.
পেটের দায়ে শেষ পর্যন্ত এক দোকান
থেকে খাবার চুরি করলাম।পালিয়ে আসার
সময়
দোকানদারের হাতে ধরা খেয়ে অনেক মার
খেলাম।কোনোরকমে খাবার নিয়ে পালিয়ে
এলাম।
খাবারটা এনে ছোট ভাইকে খাইয়ে দিলাম।
ভাই ও
নিজের হাতে আমায় খাইয়ে দিল।
.
.
রাতে হঠাৎ আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামল।
একটা
বড়লোক বাড়ির গেইটের সামনে দাঁড়ালাম।
কিন্তু
দারোয়ান সেখান থেকে তাঁড়িয়ে দিল।
কোথাও
যাওয়ার জায়গা না পেয়ে একটা ছোট
জায়গায় ভাইকে
নিয়ে গিয়ে দাঁড়ালাম।কিন্তু শেষ রক্ষা হলো
না।আমরা
ভিজেই গেলাম।কোনো রকমে ভাইটাকে নিয়ে
বসে পড়লাম।কখনযে সেখানেই ঘুমিয়ে
পড়েছিলাম বুঝতেই পারিনি।
.
সকালে ঘুম ভাঙল সূর্যের আলোয়।ভাইটার
গায়ে হাত
দিতেই দেখি জ্বরে গা পুরে যাচ্ছে।কি করব
কিচ্ছু
বুঝতে পারছি না।টাকাও নেই যে ওকে
ডাক্তার
দেখাবো।তারপরও কয়েকজন ডাক্তারের কাছে
গেলাম।কিন্তু ওরা বলল টাকা ছাড়া নাকি
চিকিৎসা হবে না।
সারাদিন কাজের জন্য ঘুরলাম ভাইটাকে
সাথে নিয়ে
এই জ্বরের মধ্যে।কিন্তু কোথাও কাজ পেলাম
না।
অনেকের কাছে ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য
টাকা
চাইলাম।কিন্তু কেউ টাকা দিল না।সবাই
অবহেলা করতে
লাগল।
.
সন্ধ্যার দিকে ভাইয়ের অবস্থা আরো খারাপ
হলো।
আমি কি করব কিচ্ছু বুঝতে পারছিলাম না।
ভাইকে নিয়ে
আমাদের বাড়িতে গেলাম যদি কিছু একটা
উপায় হয় এই
আশায়।কিন্তু গিয়ে দেখি দরজায় তালা
দেওয়া।হতাশ
হয়ে ভাইকে নিয়ে বারান্দায় বসে পড়লাম।যত
সময়
যাচ্ছে ভাইয়ের অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে।
.
শেষ পর্যন্ত ভাইকে ঘুম পারালাম।অনেক রাতে
আমার ঘুম আসল।সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি
ভাই এখনো উঠেনি।ভাইয়ের মাথায় হাত দিয়ে
দেখি
ঠান্ডা হয়ে আছে।ওকে ডাকলাম কোনো
নাড়াচড়া
করল না।নাকের কাছে হাত নিয়ে দেখি ও
শ্বাস
নিচ্ছে না।ওকে ধাক্কা দিলাম কিন্তু ও উঠল
না।উঠবেই
বা কেমন করে। ওতো আর বেঁচে নেই।চলে
গেছে অনেক দূরে।যেখান থেকে আর আসা
যায় না।ওর নিথর দেহটাকে বুকে জড়িয়ে
হাউমাউ
করে কাঁদতে লাগলাম আর বিধাতাকে
বললাম,আমার
সাথে কেন করলে এমন?আমি তো তোমার
কাছে কিছু চাইনি।কেন আমাকে একা করে
দিলে?মা
তো নেই।এই ভাইটাকে নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন
দেখছিলাম।সেটাও তোমার সহ্য হলো না।
কেমন
বিধাতা তুমি?
.
ভাইয়ের দেহটাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছি,কিন্তু
কেউ এগিয়ে এসে বলছেনা যে কি হয়েছে?
তুমি
কাঁদছো কেন?কি আজব মানুষ আর কি আজব
সমাজ।
.
পরক্ষনেই ভাবলাম এটা কি সাধারন মৃত্যু?
না!!! এটা সাধারন মৃত্যু নয়।
এটা ""অবহেলায় মৃত্যু""।
.
.
__________(অসমাপ্ত)
.
★(কোনো ভুল-ক্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে
দেখবেন)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ