āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

512

"দুষ্টু মেয়ের ভালবাসা"
.
.
মিম : এই ভাইয়া উঠ ……ভার্সিটিতে যাবি না …? উঠ তারাতারি………
.
আমি : সকালে এতো ডাকিস কেন ……না ডাকলে কি পেটের ভাত হজম হয় না নাকি ……
.
মিম : ছেলে মানুষ এতো অলস হইলে হয় নাকি হুম্ম ……একটু ফাস্ট হতে হবে ………
.
আমি : শোন সবাই শান্তি মতো ঘুমাইতে পারেনা ……ঘুমের জন্য ধর্য্যের প্রয়োজন ……
.
মিম : আচ্ছা লেকচার বাদ দে ……তারাতারি উঠ …তুই ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় কলেজে নামিয়ে দিবি ……উঠ …………
.
আমি : আচ্ছা যা ……উঠতেছি
.
আমি রাকিব …আর ওইটা আমার ছোট বোন মিম ……মা, বাবা, আমি আর ছোট বোন …কিউট পরিবার……খুব বেশী আদর না পেয়েও যে দিন দিন আমি বাদর তৈরী হইতেছি সেইটা বুঝতেছি ………আর সকাল সকাল ছোট বোনের ঝারি না শুনলে সকাল ই হয় না ……আমি মাস্টার্স এ পড়ি আর ছোট বোন ইন্টার এ পড়ে ……
ভার্সিটিতে যাইতে ওর কলেজ এর পাশ দিয়েই যাইতে হয় তাই একসঙ্গে যাই আর এই জন্যই সকালে এতো ডাকাডাকি…………
.
যাইহোক ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে দুইজন একসঙ্গে বের হইলাম……
.
মিম : ভাইয়া …বিন্দুকে ডেকে নিয়ে যাইতে বলেছে …চল ওকে ডাক দেই……
.
আমি : কি বললি তুই ……ওর সাথেই যখন যাবি তো সকাল সকাল আমাকে ডাকলি কেন ………
.
( এখন বিন্দুর পরিচয় টা দেই ……বিন্দু হলো আমার বোনের একমাত্র বান্ধবী আমাদের বাসার কয়েক বাসা পরেই ওদের বাসা……দুই দেহ এক প্রাণ …কেউ কাওকে ছাড়া থাকতেই পারেনা ……তাহলে বুঝেন কেমন বান্ধবী ………মেয়েটা অনেক ভালো কিন্তু আমার সাথে এতো পরিমাণ দুষ্টামি করে যে ওর বাসার আশেপাশে যেতেও ভয় লাগে ……কখন কি করে বুঝা মসকিল……এই হইলো বিন্দু …………)
.
আমি মিম কে বললাম যে তুই গিয়ে ডেকে নিয়ে আয় আমি একটু দূরেই থাকি ……মিম ডাকতে গেল আর আমি ওদের বাসার পাশে দাড়িয়ে আছি হটাৎ এক বালতি পানি উপর থেকে আমার শরীরে এসে পড়লো ……এমনিতেই হালকা ঠান্ডা তার উপর মনে হচ্ছে এইটা ফ্রিজ এর পানি আমাকে দেয়ার জন্য মনে হয় ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল………মেজাজ তো সেই গরম হয়ে গেলো ………উপরে তাকিয়ে দেখি বিন্দু বালতি হাতে বেলকুনিতে দাড়িয়ে হাসতেছে ………আরো রাগ বেরে গেলো ……গরম তেলে পানি দিলে যেমন টা হয় ………মিম কে বললাম
.
আমি : দেখ…… বলছিলাম তোর এই পাজি বান্ধবী কে ডাকতে যাইতে পারব না ……আমি জানতাম এমন কিছু করবেই ………
.
বিন্দু : ওই ওই পাজি কারে বল হুম্ম ……আমি কি জানি আপনার মতো গাধা ওইখানে দাড়িয়ে আছে হুম্ম তাহলে শুধু পানি নয় বালতি সহকারে ফেলতাম
.
আমি : ওও হ্যালো……মুখ একটু সামলিয়ে কথা বলেন ……সকাল সকাল যে কার মুখ দেখ উঠছিলাম……
.
বিন্দু : কার আবার ……আমার কিউট বান্ধবীর মুখ দেখেছ……
.
মিম : বিন্দু এইটা কি করলি ……ভাইয়া এখন আমাদের সাথে কিভাবে যাবে হুম্ম
.
আমি : এই হইছে নাটক করা লাগবে না ……দুইজন একই ……গেলাম না তোদের সাথে …যত্তসব
.
মিম : কি বল ভাইয়া ………
.
আমি : এখন আমি কি পরে ভার্সিটিতে যাবো ……ধুররর ভাললাগেনা .……
.
বিন্দু : আমার থ্রি- পিচ পরবা ……একটা সুন্দর থ্রি- পিচ কিনেছি কালকে …এখনো পরিনি ……নিবা ওইটা……
.
আমি : ওই আর এক কথা বলবা না ………(প্রচুর রাগ উঠেছে ……বাসায় চলে আসলাম আজ আর ভার্সিটিতে যাওয়া হলো না )
বিকেলে তো আমাদের বাসায় আসবে তখন আমি ভিজিয়ে দিবোনি ………
.
সারাদিন ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিলাম বিকেলে একটু বাহিরে গিয়েছিলাম
.
সন্ধ্যায় বিন্দু আসলো পড়তে ……আমার বোন আর বিন্দু একসঙ্গে পড়ে ……বলেছিলাম না দুইজন প্রাণের বান্ধবী ………আমি আগেই একটি নোট আমার ঘরে রেখে দিয়েছিলাম আর আমি জানি যখন মিম ওই নোট পাবেনা তখন বিন্দুই নিতে আসবে আমি শিউর………যাই হোক প্ল্যান মতোই কাজ হলো বিন্দুই নিতে এসেছে ……এসে বলল
.
বিন্দু : আমার জানের নোট কই হুম্ম
.
আমি : জান কেডা হুম্ম
.
বিন্দু : তোমার বোন … বুঝলেন গাধার সর্দার……
.
আমি : ওই ভালো করে কথা বলো …… সকালে আমার গা ভিজিয়ে দিছলা এখন যদি আমি দেই …… কি করবা হুম্ম ………
.
বিন্দু : দাও ভিজিয়ে দাও …… কিছুই করব না …… তুমি যদি চাও তো আমি নিজেই তোমার বাথরুমে গিয়ে ভিজে আসব …… যাবো কি ……
.
আমি : হ্যাঁ যাও ভিজে আসো তাহলেই নোট দিব……
.
বিন্দু : আচ্ছা ঠিক আছে ……… কিন্তু একটা কথা …… আমি যদি তোমার রুম থেকে এই সন্ধ্যায় ভিজে বের হই তাহলে সবাই কি বলবে হুম্ম……আমি কিন্তু বলে দিবো যে তুমি আমায় তোমার বাথরুমে নিজে ভিজিয়ে দিয়েছ …… ওকে …… তাহলে গেলাম ভিজে আসি ……
.
আমি : ( এই সেরেছে রে এইটা যদি বলে তো ইজ্জত আর থাকবেনা ……)
ছোট আপু …ছোট আপু ……এই যে তোমার নোট ……তোমার ভিজতে হবে না ……আমি তোমায় মাফ করে দিছি তুমি যাও ………
.
বিন্দু : ওই ওই আপু বলবা না…………আমি তোমার কোন সম্পর্কে আপু হই হুম্ম……আর আমি মাফ চাই না ……আমি তোমায় ভিজিয়ে দিয়েছি তাই আমিও ভিজবো ………
.
আমি : দেখুন …প্লিজ আপনি যান ……প্লিজ ……হাত জোর করে বলতেছি প্লিজ যান ………
.
বিন্দু : কোন গাধা যে তোমাকে ……মাস্টার্স পর্যন্ত যাওয়ার সুজুগ করে দিয়েছে বুঝিনা ……… সারাটা জীবন কাটাবো কিভাবে তোমার
.
আমি : কি বললা তুমি ……
.
বিন্দু : বুঝবা না তুমি …… এইটা বুঝাইতে আমাকে তোমার এক্সট্রা ক্লাস নিতে হবে …… গাধা একটা……বলেই চলে গেলো……
.
শেষ পর্যন্ত বাচলাম ……
কিছুক্ষণ পরেই মিম ডাক দিলো
.
আমি : কি হইছে ……
.
মিম : এই অংক টা একটু বুঝিয়ে দিবি……
.
বিন্দু : পারবা এই অংক তাহলে একটু করে দাও………
.
আমি : এই তুমি আমারে তুমি করে বল কেন হুম্ম ……… আমি তোমার বড় নয় ……সন্মান দিয়ে কথা বলবা
.
বিন্দু : আমার মা আমার অনেক বড় বুঝলা তবুও আমি মা কে তুমি করেই বলি………তুমি কি আমার মা এর চাইতেও বড় ………যদি বড় হও তাহলে জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখাবা তখন থেকে আপনি বলব ……এখন যদি পারো তাহলে অংক টা করে দাও আর না পারলে বলো পারব না ……
.
আমি : ( কি আর বলব যে যুক্তি দেখাইছে কিছু যে বলব তার ভাষায় নেই আর ) অংক টা করে দিয়ে চলে আসলাম ……
.
রাতের খাবার খেয়ে……ঘরে শুয়ে আছি……
আমি জানি বিন্দু আমায় অনেক ভালবাসে আর আমার মা ও এইটা জানে আর মা নিজেও বিন্দু কে অনেক পছন্দ করে আর মিম এর কথা কি বলব মিম তো মাঝে মাঝে ভাবি বলেই ডাকে আর ভাবি ডাকলে নাকি বিন্দুর অনেক ভালো লাগে ………বিন্দু কে যে আমি পছন্দ করি না তা নয়……আমিও পছন্দ করি এবং ভালও বাসি বিন্দুর দুষ্টামি গুলো আমার অনেক ভালো লাগে তবে মাঝে মাঝে একটু বেশী দুষ্টামি করে তখন খুব রাগ লাগে ………
………এইসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি মনেই নেই ………
.
পরের দিন সকালে মা বলল যে মা আর বাবা নানুর বাড়ি যাবে বিকেলে দুইদিনের জন্য মানে আজকে বিকেলে গিয়ে কালকে থেকে পরশু দিন চলে আসবে ………

পরেরদিন মা আর বাবা বিকেলে নানুর বাড়ি গেলো………
বিকেলে বাহিরে গেলাম ……… বাসায় সন্ধ্যায় ফিরে আসলাম কারণ মিম একা বাসায় ……
দরজা নক করলাম ………
দরজা খুলে দিলো বিন্দু………
আমি বললাম………
.
আমি : এই তুমি কি কর হুম্ম
.
বিন্দু : কি করব মানে ……… দেখছেন তো দরজা খুলে দিলাম ………
.
আমি : সেইটা বলিনি …… আমাদের বাসায় কি করো ……… পড়া শেষ হয়নি ……… বাসায় যাও ……
.
বিন্দু : জী না …… যাবো না কারণ …… আন্টি না আসা পর্যন্ত আমাকে এইখানে থাকার অনুমতি দেয়া আছে ………
.
আমি : কে অনুমতি দিলো ……
.
বিন্দু : তোমার আম্মু ……… আর বলেছে আমার গাধা ছেলেটা কে একটু দেখে রেখো………
.
আমি : ওই বেশী বলবা না …………ঝামেলা যে কই থেকে আসে …… বুঝিনা
.
বিন্দু : ওই কি বললা তুমি …………( রেগে )
.
আমি : না কিছুনা ……… বললাম থাকো ……… যেহেতু মা বলেছে ………
.
খাবার খেয়ে ছাদে গিয়ে বসে আছি ……আকাশে চাদ টা কে অনেক সুন্দর লাগতেছে ……… হটাৎ মনে হলো ……… কেউ পিছনে দাড়িয়ে আছে ………তাকিয়ে দেখি বিন্দু
.
আমি : কি হলো এতো রাতে তুমি ছাদে এসেছ কেন?
.
বিন্দু : কি করব বলো …ঘুম ধরছে না তাই ……… তুমি কেন এসেছ?
.
আমি : রাতের ছাদে বসে থাকতে ভালো লাগে ……… একটু পরেই গিয়ে ঘুমাবো
.
বিন্দু : আচ্ছা একটা কথা বলি ……
.
আমি : হ্যাঁ বলো……
.
বিন্দু : মিম বা আন্টি কেউই কিন্তু আমাকে থাকতে বলেনি …… আমি নিজেই এসেছি থাকতে………
.
আমি : কেন ………?
.
বিন্দু : তুমি কি কিছুই বুঝনা ……?
.
আমি : কি বুঝবো …………( আমি আসলে বুঝতে পেরেছি বিন্দু কি বলতে চাচ্ছে )
.
বিন্দু : তোমার মতো গাধাকে যে কোন দুঃক্ষে ভালবাসতে গিয়েছিলাম আমি নিজেই ভেবে পাইনা………
.
আমি : কি বললা………
.
বিন্দু : কেন বুঝনি ………( লজ্জায় মাথা নিচু করে বলল)
.
আমি : দেখ বিন্দু আমি বুঝতেছি ………কিন্তু তুমি যেইটা কে ভালবাসা বলতেছ সেইটা আবেগ ও তো হতে পারে ………
.
বিন্দু : দেখ এইবার কিন্তু রাগ উঠতেছে ……… গাধার মতো কথা বলবা না ………… আমি কতো স্বপ্ন দেখেছি তোমায় নিয়ে ……… আমাদের বিয়ে হবে কিউট কিউট বাচ্চা হবে ………
.
আমি : হায় হায় মেয়ে বলে কি লজ্জা শরম আছে নাকি নেই হুম্ম
.
বিন্দু : তোমার মতো গাধার সাথে যে মেয়ে প্রেম করবে তার লজ্জা শরম আর কিভাবে থাকে হুম্ম
.
আমি : দেখ বিন্দু তুমি আরো সময় নাও আরো ভাবো তারপর আমাকে বলবা ………ভালবাসো কিনা
.
বিন্দু : এই শোন বেশি ভাব নিস না ……… দেখি প্রেম না করে থাকিস কিভাবে ………( অনেক রেগে)
.
আমি : এই কি বললা তুমি
.
বিন্দু : sorry অনেক রাগ লেগেছে ………… MILU MILU
.
আমি : তুমি এই নাম কিভাবে জানলে
.
বিন্দু : এইটা তোমার নাম ………? ( আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করল)
.
আমি : হুম্ম …… খালামুণিরা ডাকে
.
বিন্দু : কিন্তু এইটা তোমার নাম আমি জানিনা ……… এইটা অন্য কারণে বলেছি ……… যেদিন তুমি আমাকে ……… I love u বলবা সেইদিন বলবো
.
আমি : কেন ……… এখনই বলো
.
বিন্দু : তাহলে বলো I love u
.
আমি : বলবো না …
.
বিন্দু : তাহলে আমিও বলব না ………
.
বলেই বিন্দু নিচে চলে গেলো
.
আমিও আর থাকলাম না রাত অনেক হয়েছে তাই নিচে চলে গেলাম ঘুমাতে
.
সকালে বিন্দুর ডাকে ঘুম ভাঙলো
.
বিন্দু : ওঠো সকাল হয়ে গেছে …… এই নাও তোমার চা ……( চা টা হাতে দিলো …দিয়েই আমার পায়ের দিকে বসলো )
.
আমি : এই বসো কেন হুম্ম ……… আর দুষ্টু মেয়ে এতো ভদ্র হলো কেন ……
.
বিন্দু : দেখ …… তুমি যদি আমায় বিয়ে করো তাহলে প্রতিদিন এইভাবে ঘুম ভাঙাবো তারপর চা খাওয়াবো
.
আমি : দেখুন ম্যাডাম আমার সকাল এর ঘুম হারানোর কোন ইচ্ছে নেই বুঝছ …… (বলেই চা মুখে দিলাম )…… ছি ছি এই চা কে বানিয়েছে ……এইটা কোনো চা হলো …… চিনির বদলে লবণ দিয়েছে ………
.
বিন্দু : কি বলো ……চা এ লবণ দিবে কেন ……দেখি দাও তো
.
আমি : এই নাও খেয়ে দাও
.
বিন্দু : ছি ……… তাই তো …… ওই মিম এর ডিম ……… তুই আমার প্রেম টা কি হতে দিবি নাকি হুম্ম
.
আমি : ওহহো …… নিজে পারোনা অন্যের হাতে বানিয়ে নিয়ে আসো
.
বিন্দু : কি করব বলো পারিনা তো ………কিন্তু সত্যি বলছি তুমি I love u বললে ……আমি নিজে সব রান্না শিখে নিবো
.
মিম : ওই ডিম বললি কেন হুম্ম ( আমার বোন এসে বলল)
.
বিন্দু : তো কি বলব হুম্ম ……চা এ কেউ লবণ দেয় নাকি
.
মিম : তো কি করব ……আমার বানানো চা দিয়ে আমার ভাই এর সাথে প্রেম করবি
.

আমি : এই দুইজন নাটক বন্ধ কর ……আর সকাল এর রান্না কর গিয়ে …… না জানি আজ কেমন খাবার কপালে আছে……
.
বিন্দু : MILU MILU
.
আমি : ওই এইটার মানে কি হুম্ম ……… ওই মিম তুই কি জানিস
.
মিম : ভাইয়া এইটার অর্থ আমি জানি কিন্তু এইটা বিন্দুর কাছে থেকেই শুনিস
.
বলেই দুইজন চলে গেলো ……
আমি ফ্রেস হয়ে একটু ছাদে গেলাম…
তারপর সকাল এর নাস্তা খেয়ে সবাই কলেজে গেলাম ……বিন্দু বলল ……যাওয়ার সময় একসঙ্গে যাবো ………
.
কিন্তু আমি ভার্সিটি থেকে আগেই চলে এসেছি ওরা পরে এসেছে ……
.
বিকেলে বাহিরে বের হলাম
বাসায় যেতে যেতে ৭ টা বেজে গেছে
গিয়ে দরজা নক করতেই বিন্দু খুলে দিলো দিয়েই ঝারি শুরু করল
.
বিন্দু : এইটা কোনো আসার সময় হলো ………এই অভ্যাস কিন্তু ভালো নয় …… রাত করে বাসায় ফেরা আমি পছন্দ করিনা …… বিয়ের পর এই রকম করা যাবেনা ……বুজছ
.
আমি : ওহ হ্যালো …… পাগলী হইয়েছ নাকি হুম্ম …… তোমাকে বিয়ে কে করবে …আর তোমার কি পছন্দ সেইটা জেনে আমার কি ……বাসায় যাও আন্টি চিন্তা করবে যাও
.
বিন্দু : আমার মা চিন্তা করবেনা বুঝেছ ……… আর আমার পছন্দ সম্পর্কে তোমার জানা লাগবে বুঝেছ……… MILU
.
আমি : ওই যেইটা বুঝাতে পারবা না সেইটা বলবা না
.
বিন্দু : বুঝাবো তো কিন্তু তার জন্য একটা password আছে সেইটা বলো
.
আমি : বলবোনা …যাও
.
বিন্দু : বলবা না যাইবা কই
.
আমি পাশ কাটিয়ে ঘরে চলে আসলাম ………
.
মা বাবা পরের দিন সকালেই চলে আসল আর বিন্দু পাগলী চলে গেলো
যাওয়ার সময় আবার MILU বলে গেছে ………মনডায় চাইলো ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখি কিন্তু গরম এর দিন তাই আর রাখলাম না
.
.
আম্মা আব্বা আসার পর ২ দিন বিন্দু আর আসেনি ……… কিছুটা মিস করতেছিলাম………
.
তৃতীয় দিন সকালে পাগলী হাজির
আমি ঘুম থেকে উঠিনি…… ছোট বোন আমার ঘরে এসে আমার কিছু ময়লা কাপড় কাচার জন্য নিতেছে আর আমারে বকাবকি করতেছে ……বকাবকি গুলো এইরকম
.
মিম : বড় হয়ে গেছে …… তাও নিজের কাপড় ঠিক করতে রাখতে পারেনা …… নিজের কাপড় নিজে কাচে না …… আমি সব করতে পারব না ……… আজকেই করে দিবো আর করব না
.
কথা গুলো আমি শুধু শুনতেছি হটাৎ করেই বলে উঠলাম
.
আমি : হইছে হইছে আর বলতে হবেনা এইবার ঘর গুছানোর জন্য কাওকে নিয়ে আসব ……… সকাল সকাল খালি ঘুম নস্ট করতে আসে
.
বিন্দু হটাৎ এসেই বলে উঠলো আমি তৈরী ই আছি ঘর গুছানোর জন্য
.
আমি : ওই ওই আমি তোমার কথা বলিনি ……… কাজের লোকের কথা বলেছি
.
মিম : ভাইয়া বিন্দুকেই নিয়ে আয় তাহলে ভালো হবে
.
আমি : সাত সকালে দুই পাগলী যদি আমারে পাগল করিস তাহলে দুইটা কে বাসা থেকে বের করে দিবো
.
বিন্দু : এই তুমি কি বললা তুমি এই বাসার সব মেয়ে মানুষ আমার পক্ষে …… তোমার খাবার আমি বন্ধ করে দিব বলে দিলাম ……
.
আমি : এই দুই জন যাও তো এখন ঘুমাবো যাও
.
এক কথায় দুইজন চলে গেলো বুঝলাম না এতো ভালো কিভাবে হলো …… এতো ভদ্র হবার কথা নয় তো ……যাই হোক বেশি কিছু না ভেবেই শুয়ে পরলাম
.
কিছুক্ষণ পরেই দেখি শরীর এ পানি পরতেছে …… দেখি বিন্দু পানি ডেলে দিচ্ছে ……… খুব রাগ হলো
.
আমি : এইটা কি হলো ……
.
বিন্দু : আমার সাথে বিয়ের পর এইভাবে সকালে ঘুমানো যাবেনা …… তাই অভ্যাস করে দিচ্ছি বুঝলেন
.
আমি : আমি তোমারে বিয়ে করবনা .
বিন্দু : ( শার্টের কলার ধরে ) তোর পিছুনে ঘুরি বলে ভাব দেখাস হুম্ম …… হাত পা ভেঙে হুইল চেয়ার এ বসিয়ে রেখে বিয়ে করব …… আর তুই বিয়ে করবিনা তো কি হইছে তোর মা বিয়ে দিবে দেখি তুই ঠেকাস কিভাবে …… ( একদম এ বলে দিলো)
.
আমি : এমনি তে পানি দিয়েছে তার উপর শার্টের কলার ধরে তুই করে বলাতে রাগ আর কন্ট্রোল করতে পারিনি তাই একটা থাপ্পড় মেরে দিছি ……… মেয়েটা কাদতে কাদতে চলে গেলো ………
.
বিন্দু আর আমাদের বাসায় আসছেনা এইদিকে মা শুধু কথায় কথায় বলে মেয়েটা একটু দুষ্টামি করেই তাই বলে তুই থাপ্পড় মারবি ……… মেয়েটি তোকে ভালবাসে তুই জানিস আর আমিও চাই যে তুই বিন্দু কেই বিয়ে কর ……… এখনো যা …… বিন্দুর বাসায় গিয়ে ওকে বুঝিয়ে নিয়ে আয়
.
যখন সবাই চায় তখন আর আমি কি করব তাই গেলাম পাগলির বাসায় গিয়ে দেখি ঘরেই শুয়ে আছে …… আমার যাওয়া দেখে পাগলী উঠে মাথা নিচু করে বসে আছে ……
দুইজন ই চুপ …… বিন্দুই আগে বলল
.
বিন্দু : আমার ভুল হয়ে গেছে ……… আসলে আমার এতো টা অধিকার নেই তা আমার জানা ছিলোনা. … আপনি জানেন ই আমি একটু দুষ্টু তাই এমন করি ……… মাফ করে  দিবেন
.
আমি চুপ করে শুনতেছি আর হাসতেছি
.
আমি : এখন আমি কিছু বলি ……… আমার ভুল হয়ে গেছে সেইদিন অনেক রাগ উঠেছিল তাই থাপ্পড় মেরেছি sorry …… আমি জানতাম না আমার পাগলি টা আমারে এতো ভালবাসে
.
বিন্দু : না আপনাকে কেউ ভালবাসেনা ……… আপনি পচা ……… কি করে পারলেন আপনি আমার গায়ে হাত তুলতে হুম্ম
.
আমি : ( যা বাব্বা কিছু আগেই আমার কাছে sorry বলল আর এখন নিজেই রাগ দেখাইতেছে ……এই জন্যই রাগ ভাঙাতে আসা উচিত হয়নি )))
.
বিন্দু : জানেন কতটা লেগেছে ……… মনটা চাইল আপনেরেও একটা দেই কিন্তু কি করব ভালবাসি তাই দিলাম না ………
.
আমি : আচ্ছা sorry ভুল হয়ে গেছে তো ……… এইবারের মতো মাফ করে দেন আর হবেনা
.
বিন্দু : না মাফ নাই আগে আমার সব শর্ত মানতে হবে ……… আমার সব কথা মানতে হবে যা বলব তাই …… মানবা তো বল
.
আমি : সব কথা মানতে হবে ……… আচ্ছা ঠিক আছে এখন তো হাসো
.
বিন্দু হটাৎ করেই উঠে আমাকে জড়িয়ে ধরলো আর জোরে জোরে কাদতে লাগলো
.
আমি : এই পাগলী কাদো কেন …… আবার কি হলো
.
বিন্দু : আমার কোন কথাই শুনতে হবেনা বাবু ……… শুধু আমায় অনেক ভালবাসবা যেন সারাজীবন আর ভালবাসার প্রয়োজন ই না পরে এতো টা ভালবাসা দিবা প্লিজ বাবু ……… আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি অনেক অনেক্কক্কক্কক্কক্ক MILU
.
আমি : আচ্ছা ভালবাসবো এখন ছাড়ো …… কেউ দেখলে কি বলবে …
.
বিন্দু : কিছুই বলবে না ……আমি আমার ভালবাসার মানুষ কে জড়িয়ে ধরেছি ……… অন্য কাওকে ধরেছি নাকি হুম্ম
.
আমি : আচ্ছা হইছে এখন তো বলো যে MILU মানে কি
.
বিন্দু : আগে আমাকে প্রোপোজ কর তারপর বলব
.
যাই হোক কোনভাবে প্রোপোজ করলাম কিন্তু সেইটা আপনাদের বলব না ………
.
আমি : এখন তো বলো
.
বিন্দু : MILU অর্থ হলো …
………M - moyna
………I - I
………L - love
………U - you
……moyna I loov u………………
.
আমি : ………………………
.
বিন্দু : ওইভাবে তাকাইবা না লজ্জা লাগে ………
.
আমি : তাই নাকি হুম্ম
.
পাগলী আর কিছুই বলল না ………
লুকিয়ে পড়লো বুকের মাঝে
.
ভালবাসি MILU ভালবাসি
…………সমাপ্ত ………………


লেখক :- স্বপ্ন & নীলীমা

সপ্ন যেখানে শুরু (dream writer )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ