কুৎসীত মায়া
.
.
ফজরের আজানের “আসসালাতু খাইরুম মিনান্নাউম” শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল আবদুল রহমানের। ঘুম থেকে উঠেই স্ত্রীকে সালাতের জন্য উঠতে বলে বিছানা ত্যাগ করল সে। জামাটা গায়ে চড়িয়েই চলে গেল ফজরের সালাতে।
রহমান সাহেবের স্ত্রী সালাত আদায়ের পূর্বে তার মেয়েকে ডাকলেন সালাত আদায়ের জন্য।
--আদিবা এই আদিবা উঠ মা।
--কি হয়েছে আম্মু?
--সালাতের সময় যে পাড় হয়ে যাচ্ছে।
--উফফ প্রতিদিন আর একই ঘ্যান ঘ্যান ভালো লাগে না যাও তো এখন!!
.
সকাল আটটা আদিবা মোবাইলের স্কীনের দিকে তাকিয়ে লাফ মেরে উঠলো।উফফ এতো বেলা হয়েছে আজকে তো আমার বারোটা বেজে যাবে।
--আম্মু,আম্ম কোথায় গেলে?
--কি হয়েছে ডাকছিস কেন?
--তুমি জানো না সকাল সাতটার দিকে প্রাইভেট আছে,তুমি ডাকলে না কেন?
--এটা অতোটা দরকারী কাজ না
মা তোমাকে তো দরকারী কাজটার সময় ডেকেছিলাম তুমি তো উঠলে না।
--উফফ তুমি জানো না আম্মু আজকে প্রাইভেটে কতো দরকারী লেকচার ছিলো যা আমার সামনে পরীক্ষার জন্য কতটা কাজের।
--তারচেয়ে বেশী দরকার ছিলো তোমার সালাত আদায় করা কারণ তুমি ভুলে যাচ্ছো যে এই পৃথিবীটা ক্ষণস্থায়ী।
--উফ আম্মু আমি একজন শিক্ষিতা মেয়ে, আমি জানি কোনটা দরকার আর কোনটা দরকার না।এই মূহুত্বে আমার পড়াশুনাটাই বেশী দরকার অন্যকিছু না।আমাকে আমার নিজের ক্যারিয়ার গড়তে হবে ভালো চাকুরী করতে হবে তবেই আমি পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবো।
---মা এটা তোমার ভুল ধারণা,
এই পৃথিবীতে মেয়েদের মাথা উঁচু করে চলতে নেই,সর্বদা মাথা নত করে পর্দাশীল হয়ে চলতে হবে।
---ও আম্মু এটা আধুনিক যুগ প্রাচীন যুগের কথা বাদ দাও তো।
.
আদিবা তার আম্মুকে একগাদা কথা শুনিয়ে কলেজের দিকে ছুটলো। পরনে ছেলেদের র্শাট আর জিন্স প্যান্ট দেখতে একদম........
কলেজে পৌঁঠাতেই তার ছেলে বন্ধুদের কথ্যকথক,,,
--হ্যারে আদিবা আজকে না তোকে হ্যেব্বি সেক্সি লাগছে রে।
---থ্যাক্কু দোস্ত।
.
একটু পর তার বয়ফেন্ডের আগমন
---কেমন আছো আদিবা?
---ভালো,তুমি?
--ভালো আর থাকতে দিলে কই!
--কেন আমি করলাম?
--এই আধুনিক যুগে ঐ কাজ গুলো না হলে চলো বলো (বুঝতে হবে কি কাজের কথা বলা হয়েছে)
--অন্য সময় হবে বাবু।
---না এখন করলে কর,না করলে
আমি বুঝবো তুমি আমাকে ভালোবাস না।
--ভাসবাসি তো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
--তাহলে কাল চলো আমার বন্ধুর বাসায়।
--বলছো যেতে।
--যদি আমায় ভালোবাসো তবে যেতেই হবে।
--ঠিক আছে,কাল সকাল ৯টার
সময় কলেজের নাম করে বাসা থেকে বের হয়ে চার রাস্তার মৌড়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।
--তুমি না খুবই সুইট।এতে বুঝা গেল তুমি আমাকে সত্যিই ভালোবাসা।
.
অতঃপর মেয়েটি তার সতিত্ব বিলিয়ে দিলো তার বয়ফেন্ড নামক একজন নোংরা ছেলের হাতে।
.
উপরের রেখাটুকুতে এটাই বুঝানো হয়েছে যে,আমাদের এই সুন্দর ধরণীতে পাঠানোর মূল কারণ হচ্ছে কি??
আর আমরা করছি কি???
প্রত্যকে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন উওর পেয়ে যাবেন অনায়াসে।
.
নিজে শুধু এটুকু বলবো,আসুন আমরা সবচেয়ে দরকারী কাজটাই আগে করি তারপর অন্যগুলো। অনেকেই লেখাটা পড়ে ভাবছেন, আমি আপনার কথা শুনবো কেন?? উওর দিচ্ছি শুনেন বা না শুনেন এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার। কারণ আপনার নিজের রাজ্যে যে আপনিই রাজা বা রাণী আর
বাকী সবাইকে যে প্রজা ভাবেন!! আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি,বলুনতো কোন কারণে বেশীরভাগ মানুষ জাহান্নামী হবে????
না জানা থাকলে বলে দেই,,, নিজের চৌয়াল এবং দু উরু মাঝখানের জায়গাটা হেফাযতে না রাখলে। .
আর দেখুন আমরা প্রতিনিহত মিথ্যা বলেই যাচ্ছি এবং নিজের সতিত্ব বিলিয়ে দিচ্ছি প্রেমিক নামের নোংরা মানুষটার হাতে। লেখাটা পড়ে আমাকে অনেক খারাপ ভাবতে পারেন কিন্ত আমার কিছু করার নাই।
বলছি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
.
আচ্ছা আপনাদের আর একটা প্রশ্ন করি,,,পরক্রীয়া করা,নিজের সতিত্ব কোনরখম অনুতপ্ত ছাড়াই বিলিয়ে দেওয়া,অন্যায় অবিচার করা, ফাইনালি আল্লাহকে ভয় না করে বিপথে চলে যাওয়ার প্রধান কারণ কি বলতে পারেন??????
এক একজনের কাছে এক একরখম উওর থাকতে পারে।
কিন্ত আমার কাছে এর উওর
হবে একদম সাদামাটা। যেমন---আমি বলবো এর জন্য আমাদের সমাজ কিংবা দেশের আইন কারুণী দায়ী।
অনেকে ভাবছেন আমি পাগল
হলাম নাকি??না ভাই এখন
এর ব্যাখা দেই...
আমাদের দেশের মুসলমানদের শতকরা সংখ্যা প্রায় ৯০ ভাগ তারমানে এটি একটি ইসলামি দেশ।
.
ইসলামি দেশের বৈশিষ্ট হলো.. মেয়েদের হিজাব বার্ধতামূলক, মেয়েদের বাহিরে কাজ করতে মানা এবং সময়মতো নামাজ আদায়
করা পবিত্র কুরআন মাফিক চলা। .
কিন্ত একটু লক্ষ করুন আমাদের দেশে এ আইন বা নিয়ম একদমি নেই। প্রথমিক পর্যায়ে ধর্ম শিক্ষা থাকলেও অন্য বিষয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হইছে যৌনতার বিষয়।
৭-৮ বছরের ছেলে মেয়েগুলো যেখানে ঐসব বিষয় জানারি কথা না।
কিন্ত চারপাশে তাকালেই দেখা প্রাথমিক পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা প্রেম করে বেড়ায়,আর সময় পড়েই রইছে।মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিক,কল
েজের দিকে তাকালে দেখা যায় ছেলে- মেয়েগুলো একদম বেপোরয়া।
.
এরজন্য দায়ী দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক নাই।নাই দেশে ধর্মীয় আইন-কারুণ থাকলেও প্রয়োগ করা হয় না।
.
ফাইনালি মেয়েদের একটা কথা বলবো,আপনারা হিজাব পড়ে
মাথা নত করে চলুন আবার উল্টো বললেন না যে,কেন আমরা মাথা নিচু করে চলবো ক্ষমতায় তো আমরাই আমরা
যা বলবো তাই হব্বে।
তাহলে তো আমার লেখাটাই
বৃথা হয়ে যাবে।
.
সর্বদা কুরআন মাফিক চলতে চেষ্টা করুন,নামাজ আদায় করুন,হিজাব পড়ুন,মা-বাবার কথা মেনে চলুন,সর্বদা সত্য কথা বলুন,নিজের সতিত্ব রক্ষা করুন।
সবচেয়ে বড় কথা দুনিয়ায় এই কুৎসীত মায়া ত্যাগ করুন।তোমরা যে মায়ের জাতি,এভাবে চললে রাস্তার বখাটে ছেলেগুলো ও তোমাদের সম্মান দিয়ে
কথা বলবে বিলিভ মি।
লেখাটা পড়ে কেউ মনে আঘাত পেলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। ভুল ভ্রানতি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর আমার জন্য
দোয়া করবেন।
.
লেখক- Md Jasim Uddin Shuvo
(ক্ষুদ্র লেখক)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
506
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§ā§§:ā§§ā§Ŧ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ