āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

370

গল্পের নামঃ চুম্বকীয় ভালোবাসা
লেখকঃ Shuvro Sobuj (ss)
.
.
...আমি ক্লাসে ঢোকে যে জিনিসটা লক্ষ্য করছি সেটা হলো সাথীর ঘন ঘন চেয়ে থাকা। খানিক পর পর তাকাচ্ছে। আমি বেশ অবাক হলাম এভাবে সাথীর তাকানো দেখে, তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো না। যে মেয়ে আমাকে পাত্তাই দিতো না সেকিনা এখন বেশ আগ্রহ নিয়েই তাকাচ্ছে আমার দিকে! আমি একটা থেরাপি দিয়ে কেমন সাথীকে বিগড়ে দিলাম। ভাবতে অবাক লাগছে!
বেশি দূরে যেতে হবেনা। দুই দিন আগের কথা। মিথিলাকে বলছিলাম...
- সাথীকে আমার পছন্দ জানিসতো?
মিথিলা আমার ক্লাসমেট। ক্লাসে বসে বসে অংক একটা করছিলো। আমার কথাশুনে চশমার মধ্যখানে নাড়াচাড়া দিয়ে, "হুম" বলে আবার মাথা নিচু করে অংক করতে লাগলো। আমি বললাম..
- কিন্তু আমাকে তো বাসে না।
- কিভাবে বুঝলে।
- পাত্তাই দেয়না।
মিথিলা একটু হাসলো।তারপর বললো..
- কোনোছেলেকেই তো পাত্তা দেয়না দেখলাম। এমনকি আমাদেরও।তোকে আলাদা করে পাত্তা দিবে কেনো! তোকে আলাদা করে পাত্তা দেবার মতো কিছু একটা কর।দেখবি পাত্তা দিবে।
- কি করবো?
- আমি বলে দিবো?  আমাকে দেখছিস এসব বিষয়ে ইন্টারেস্ট দেখাতে কখনো?
আমি আর কিছু না বলে চলে আসি। এই মিথিলাকে আমার একদম পছন্দ না।কেমন বোরিং টাইপ।সারাদিন পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে। অবশ্য উপকারীর ডিব্বা।যখন যাই কিছু একটা কাজে তখন খালি হাতে আসিনি।
এই যেমন সাথীকে পটানোর জন্য ছোটখাটো হিন্টস দিয়েছিল।
যাক সে কথা।
সাথী আমার দিকে ঘন ঘন তাকিয়ে আছে সেটা আমার মনে সামান্য ভীতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। পুরোপুরি না। আমার ওই ছোটখাটো থেরাপির জন্য একটা অনার্স পড়ুয়া মেয়ে এমন কিছু করবে না যার জন্য আমার বড় ধরণের ক্ষতি হবে।দিবে না পরিবারে বিচার, সেই বয়স পেরিয়ে গেছে; স্কুল কলেজের হলে ভিন্ন কথা। গুন্ডা লাগিয়ে মারবে না। সাথী খুব শান্ত স্বভাবের মেয়ে। বড়জোর রেগেমেগে গালে একটা বসিয়ে দিবে। তাও আস্তে। মেরে বলবে ইডিয়ট,  আমি সেটা ভুল করে কিউট শুনবো। এরকম কিছু চিন্তা নিয়ে সাথীকে ফোকাসে রেখে একটা তড়িৎক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছি। যেহেতু তড়িৎক্ষেত্রের মধ্যে কাজই হলো চুম্বকবল কাজে লাগিয়ে বিদুৎ উৎপন্ন করা। এক্ষেত্রে,  চুম্বক আমি আর সাথী হলো তড়িৎ কোষ। ভালোবাসাটা হলো চুম্বক বল। আমার আকর্ষণে সাথী সাড়া দিবেই দিবে, না দিয়ে যায়না। কিন্তু প্রশ্ন সেখানে,  সাথী আদর্শ তড়িৎ কোষ তো!
আপাদত তাই মনে হচ্ছে।
- তুমি এমন আচরণ করলে কেন?
এতক্ষণ সাথী তাকিয়েই ছিলো।ক্লাশ শেষ হতে না হতেই আমার পাশে এসে এইকথাটা বললো। আমি সবার দিকে একবার তাকিয়ে নিলাম।  মিথিলা বাদে সবাই তাকিয়ে আছে। ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে! তাও আমার পাশে!
যে মেয়ে কাউকে পাত্তা দেয়না!
আমি নিশ্চিত সবকটার মনে এই ধারণা,  অন্ততপক্ষে ওদের চেয়ে থাকার মাঝে তাই প্রকাশ পাচ্ছে। যেই ছেলে মেয়েদের সাথে মিশেই না তার কাছে সাথী যাবে!
আরে ভাইবোন ক্লাসমেট হিসেবেও তো আসতে পারে।ওভাবে সবাই তাকিয়ে আমাকে নার্ভাস করার মানে হয়না।
সাথী আবার বললো..
- আমি তোমাকে কিছু বলছি।  চারদিকে তাকিয়ে সাক্ষী সাজাচ্ছ?  সাক্ষীরা পারবে কিছু করতে যখন আমি তোমাকে..!
কথাটা বলে সাথী থামলো।
- আশ্চর্য  এখানেই কেনো। ক্লাস শেষে তো বাইরে যেয়েও আমরা আলাপ করতে পারি, তাইনা?
আমার কথাশুনে সাথী সম্ভবত একটু বেশিওই রেগে গেলো। রেগে গিয়ে বললো..
- যা করছো তার জন্য ভাবছো ক্লাস শেষে তোমার সাথে প্রেম-আলাপ করবো? খুব শখ, তাইনা? ভালো মানুষ বেশ ধরে থাকো, তাইনা?
- এতো উত্তেজিত কেনো। বেশি কিছুতো করিনি..!
.
খুব আস্তে আস্তে বললাম। সাথীর হুংকারময় কথার মাঝে আমার কথাটা আস্তে আস্তেই মনে হলো। শুধুমাত্র সাথী আর আমি শুনে আমার কথাটা বাতাসে হারিয়ে গেলো। অথচ সাথীর কথা সবাই শুনছে আর মিটমিটিয়ে হাসছে। আরে ভাইবোনরা সাথীর সাথে এতক্ষণ কথা বলার তো সাহস হয়নি তোমাদের, কোনোদিনও না। আমি বলছি। হোক সেটা ভালো কিংবা খারাপ অবস্থা।
- কি বললে তুমি? বেশি কিছু মানে? কি করতে তুমি? এই কি করতে তুমি?
.
সাংঘাতিক তো! এই মেয়েকে কতো শান্ত শিষ্ট ভাবতাম। প্রতিটা কথা ভয়ংকর রকমের রাগ, হুংকার মেশানো। এতো বেশি দেমাগ দেখাচ্ছে। এখানে বেশিক্ষণ থাকলে পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হবে। আর সবাই মজা নিবে, মিথিলাও। আমি কিছু না বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসলাম।
.
বেশি কিছু করিনি। মিথিলার কথামতো কিছু একটা করতে ওইদিনি লাইব্রেরিতে যেয়ে সাথীকে দেখি একটা গল্প বই পড়ছে। আমি কোনোদিন লাইব্রেরিতে যেয়ে একটা বইও ছুঁয়ে দেখিনি।সেদিন সাথীর দেখাদেখি আমিও একটা বই নিয়ে বসে পড়ি সাথীর বিপরীত দিকে, সরাসরি।  আমার দিকে একপলক তাকিয়ে মাথা নিচু করে পড়ায় মন দিলো। আমি একটু হাসি উপহার দিলাম। মিথিলা শুধু বলছিল কিছু একটা করতে, যাতে সাথী আমাকে নিয়ে আলাদা করে ভাববে। বলেনি ঠিক কি করা উচিৎ আমার। আবার আমার মাথায় অন্য একটা চিন্তা ছিলো।  ক্লাসে সাথীকে নিয়ে যারা সিরিয়াস তাদের মাঝে অনিক অন্যতম। বেচারা ইদানীং একটু বেশিওই এগ্রেসিভ হয়ে যাচ্ছে সাথীকে নিয়ে। যা আমার কাছে মোটেও সন্তোষজনক ব্যাপার নয়। অনিককে লাইনচ্যুত করতে হলে,  সাথীর কাছে বিশেষ কিছু হতে হলে যত দ্রুত সম্ভব কিছু একটা করতে হবে। কি করা যায় সেটাই জানতে চেয়েছিলাম মিথিলার কাছে। যেহেতু মিথিলা বলেনি তাই আমাকেই ভাবতে হবে।
- অনিক তো তোমার জন্য পাগল।
সাথীকে হুট করেই বললাম। কিছুক্ষণ পর বললো..
- হুম। আমি জানি।
- তোমার পছন্দ?
- প্রশ্নই আসেনা।
সাথীর উত্তরটা শুনে আমার ভালো লাগলো। যাক একদিক থেকে নিশ্চিত হওয়া গেলো অনিকের সাথে সাথীর প্রেম টেম হচ্ছেনা।
আমি সাথীর পাশে গেলাম।সাথী  অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। আমি বললাম..
- ধন্যবাদ।
সাথীর চোখেমুখে আশ্চর্য হবার ভঙ্গি প্রকাশ পাচ্ছে। আমি সাথীর ডানহাতটার পিঠের দিকে একটা চুমু দিয়ে দিলাম। আমি জানিনা আমি এতো সাহস কিভাবে পেলাম। হয়তো স্বস্তির একটা খবর পেয়ে উত্তেজনায় এটা করে ফেলেছি। তবে সাথীর সাথে এতো ক্লোজ না যে বন্ধু হিসেবে ওটা করা যায়। আমি কেন ক্লাসের কেউ ক্লোজ না। সাথী কারো সাথে মিশেনা। সাথী সেজন্য একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি সাথে সাথে চলে আসি। তাই ওইদিন সাথীর রিএকশন দেখিনি।  কিন্তু আজ দেখছি। একটা শান্তশিষ্ট মেয়ে কিভাবে রাগতে পারে কিভাবে ক্রোধিত হতে পারে সাথীকে দেখে বুঝলাম।
.
- তুই ঠিক কি করেছিলি?
মিথিলা এসে বললো। ক্লাসে বসেছিলাম। গতকালের ঘটনা ভাবছিলাম।
- তোর না জানলেও চলবো।
- বল নারে। যেভাবে রিএক্ট করলো কালকে।নিশ্চিত কিছু একটা করছিস। প্রপোজ করছিস?
- না।
- তাহলে?
- চুমু দিয়েছি।
- ওরে বাপরে!
- ধ্যাত,  হাতে দিয়েছি। অন্যকোথাও না।
- কিন্তু এটা পটানোর সিস্টেম?  এভাবে পটানো যাবে? এভাবে তোর প্রতি আলাদা করে ভাবাবে?  ধরলাম, এই কাজের জন্য ভাবলো তোকে নিয়ে। কিন্তু সেটা নেগেটিভ।  তোকে খারাপ ভাববে।আর সেটা তো আমরা সবাই দেখলাম গতকাল। আমার মতে তোর সরি বলা উচিৎ।
.
মিথিলা কিছু দার্শনিক উপদেশ দিয়ে গেলেও পজেটিভলি চিন্তা করলে আমার মনে হচ্ছে তাই করা উচিৎ। এতে দুটা কাজ হবে।
এক, সাথী আমার প্রতি ইমোশনাল হবে হয়তো।
দুই, আমার সম্পর্কে ভালো ধারণা সৃষ্টি হবে। সুতরাং,  আমার উচিৎ সাথীকে সরি বলা। মিথিলাকে আমার এজন্যই পছন্দ হয়। বোরিং টাইপের হলেও কাজের।
.
ক্যান্টিনে আসতেই যা দেখলাম মাথায় রক্ত উঠে গেলো। সাথী অনিকের সাথেই বসে খাচ্ছে। আবার কথার মাঝে হাসা হাসি! যে মেয়ে একা একাই থাকে।খুব প্রয়োজনে সাথে দু একটা মেয়ে থাকবে। কোনো ছেলে সাথীর সাথে বসে বসে খাবে! তাও অনিক!
যার সম্পর্কে সেদিন সাথীর কাছে জানতে চাইছি ও ভালোবাসে কিনা। অনিকের সাথে এভাবে হাসাহাসি প্রমাণ করেনা অনিকের প্রতি সাথীর দূর্বলতা।  কিন্তু অনিক নিশ্চয় প্রমাণ করতে চাইবে। অন্ততপক্ষে আমাকে বুঝাতে চাইবে। কারণ গতকাল সাথী আমার সাথে রাগারাগি করাটা খুব মনোযোগ দিয়েই অনিক দেখেছে। আমার তো মনে হচ্ছে সেই বেশি হাসছিলো গতকাল।
সাথীকে সরি বলার প্রশ্নই আসেনা। খুব ভালো করেছি। ইচ্ছে হলে একি কাজ পুনরায় করবো। দূর থেকে দেখতেছি তাই মোবাইল দিয়ে একটা ছবি তুলে নিলাম।
- দেখ।
- কি ওটা?
- সাথী অনিকের সাথে!
- তো?
- অনিকের সাথে ওর এতো মিশামিশি কেনো? সে না চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে। এটা চুপচাপ স্বভাব? ওনা কোনো ছেলের সাথে কথাই বলতে পছন্দ করেনা!
.
মিথিলা আমার কথাশুনে খুব শব্দ করেই হাসতে লাগলো। আমার মোটেও ভালো লাগছে না। একদম না। আমি বললাম..
- এখন কি হবে?
- দেখ, আমিতো কোনোদিন প্রেম করিনি। তাই এসব বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা কম। আমি বলি কি সাথীর পিছু ছেড়ে দাও বৎস্য। এই মেয়ের মাঝে কি এমন আছে যার জন্য তুমি পাগল, মহাশয়?
- বিদ্রূপ করা হচ্ছে?
- একদম না।
বলেই আবার হাসলো মিথিলা। এই মেয়েকে আমার এমনি এমনি বোরড লাগেনা। আমি আর মিথিলার উপদেশ শুনার প্রয়োজন মনে করিনি।চলে আসলাম।
দুবছর ধরে ভালো লাগার মানুষকে ভুলে যাবো! কিভাবে সম্ভব? অনার্স ভর্তি হবার পর অরিয়েন্টাল ক্লাস থেকেই এই মেয়েকে ফলো করে আসছি। দুবছর হলো অনেকদূর এসে এখন ভুলে যাওয়া,  অন্ততপক্ষে আমি পারবো না।এরচেয়ে আরো ভালো করে বুঝা উচিৎ সাথী কি অনিককে পছন্দ করে। আমাকে একদম নিশ্চিত হওয়া উচিৎ।নেগেটিভ উত্তর আসলে না হয় মিথিলার কথামতো...!
.
- অনিককে ভালোবাসো কিনা? একদম ডাইরেক্ট উত্তর দিবে। হ্যাঁ অথবা না।
এভাবে আরো কয়েকদিন কেটে গেলো। সাথী ডিপার্টমেন্টের সিঁড়িতে বসে মোবাইল চালাচ্ছিলো। আমি সাথীর কাছে এসে কথাটা বললাম। এতো আগেই বলার কারণ হলো,  আরো একদিন অনিকের সাথে কথা বলতে বলতে ক্লাসে ঢুকছিলো। আমি খুব ভালো করেই লক্ষ্য করছিলাম অনিক আমার দিকে তাকিয়ে বিদ্রূপমাখা হাসি দিলো। তখন ইচ্ছে করছিলো কষে থাপ্পড় দেই। দুটার গালেই। সাথীকে একটা বেশি।
.
- বললে?
আমি ইতস্ততবোধ করলাম। কি বলা যায়। কি বলা যায়। আমি বললাম..
- আমি জানতে চাইছি। বলবে কি না তোমার ইচ্ছা। বললে বলো,  না বললে নাই।
- বলবো না।
- বুঝে গিয়েছি।
- কি?
ন্যাকার মতো আবার জানতে চাইছে। আমি অনেক রেগে বললাম..
- বুঝো না! খুব ভদ্র তাইনা! প্রেমকে  ঘৃণা করো, তাইনা! ছেলেদের এড়িয়ে চলো, তাইনা! অনিকের সাথে নোংরামি তো ঠিকই পারো।
সাথী আমার কথাশুনে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। খুব নিপুণভাবে সাথীর কোমল ডানহাতের  পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ ছুঁয়ে দিলো আমার ডান গালে। আমি গালে হাত দিয়ে সাথীর দিকে আশ্চর্য চোখে তাকালাম। বুঝলাম এগুলা বলা বাড়াবাড়ি ছিলো, আবেগকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। কিন্তু তাই বলে!  সাথী সম্ভবত রিপিট করলো।কিছুদিন আগে আমি যখন ওর হাতে চুমু দিয়েছিলাম। সেটার জবাব খুব সুন্দরতার সাথে দিয়ে দিলো।
সাথী  বললো..
- সরি ফর দ্যাট। কিন্তু তোমার শেষের কথাটা বলার জন্য এটা তোমার প্রাপ্য।
আমি চারদিকে একবার তাকিয়ে নিলাম।  বিশেষ করে লক্ষ্য করলাম অনিক কিংবা মিথিলা দেখেছে কিনা। এই দুজনের কাছে হাসির পাত্র হওয়া মোটেও আমার ভালো লাগবে না। অন্ততপক্ষে সাথীর জন্যতো নয়ই। কেউ আসেনি এতো সকাল।
আমি সরির বদলে সরি বলে চলে আসলাম।
.
সাথীকে ওই বাক্যটা বলা ঠিক হয়নি।একদম ঠিক হয়নি। মনকে কোনভাবে সান্ত্বনা দিতে পারছিনা। কি করা যায়! কি করা যায়!
- হ্যালো।সাথী?
- শুভ্র?
আমি অবাক হলাম সাথী আমার নাম্বার এটা বুঝলো কি করে? আমার কাছে ওর নাম্বার দুবছর ধরে আছে কিন্তু কোনোদিন ফোন দেইনি।আজ দিলাম। সাথীর কাছেও আমার নাম্বার আছে!
রাত প্রায় ১১টা হবে।বারবার সকালের ঘটনা মনে বাজতে লাগলো। আমি চড় খাবার জন্য দুঃখিত নই, সাথীকে ওল্টাপাল্টা বলার জন্য দুঃখিত। আমি বললাম..
- আমার নাম্বার চিনলে কি করে?
- তুমি যেভাবে চিনলে।
আমি সাথীর কথাশুনে অবাক হলাম। আবার বললাম..
- আমিতো সেভ করে রাখছিলাম, সেইজন্য। তুমিও কি?
- আসলে তোমাদের সবার নাম্বার আমার কাছে আছেতো।তাই না চেনার কথা না।অবশ্য আমি কখনো ফোন দেইনি তোমাদের,সেকারণে অবাক হচ্ছো। বাই দ্যা উয়ে, সকালে তোমার গায়ে হাত তোলার জন্য আমি সত্যি অনুশোচনায় ভুগছি। এমনকি এখনো। আই এম এক্সট্রেম্লি সরি ফর দ্যাট।
- সরি তুমি বলবে কেনো? দোষ তো আমার ছিলো, তাইনা? তারপর তুমি বলছিলে আমার ওটা প্রাপ্য।
- হাহা। অভিমানে কি বলছো? সরি বললাম তো। ওকে কাল ক্লাসে আইসো। আমি সরি বলে নিবো সবার সামনেই। তোমার দুশমন অনিকের কাছেও! ঠিক আছে?
.
আমি সাথীর কথায় বড়সড় রকমের অবাক হলাম।অনিককে আমার দুশমন বললো? সাথীর প্রতি আমার দুর্বলতা নিশ্চয় সাথী টের পেয়েছে।কিন্তু সেটা আমাকে আগে বুঝতে হবে।আমি বললাম..
- দুশমন বললে কেন?
- তুমি জানো। আর আরেকটা জিনিস বলি,  কারো সাথে চলাফেরা প্রমাণ করেনা তুমি যা ইন্ডিকেট করেছো সেটা হবে। আমি কথা বলতে চাইনি। কিন্তু জোর করে কথা বলতে আসতো। সেইজন্যওই!
- আমি কৈফিয়ত চাইছি?
- ওহ, তাইনা? থাকো তোমার খোঁচা কথা নিয়ে আমি ঘুমালাম। শুভ রাত্রি।
.
আমি অল্প হেসে "শুভ রাত্রি" বলে রেখে দিলাম। সকালের সাথী আর এখনের সাথীর মাঝে আমি রাতদিন তফাৎ দেখছি। এটা কি সম্ভব? এরজন্য কি সে নারী? এরজন্য কি সে রহস্যময়ী?
যাইহোক,  আমি নিশ্চিত হলাম সাথী আমাকে ভালোবাসুক না বাসুক অন্ততপক্ষে অনিককে নয়। অর্থ্যাৎ তারমানে তড়িৎক্ষেত্রের এই সাথীনামক তড়িৎকোষের উপর ভালোবাসা নামক চুম্বক বল চালিয়ে যাবার আরো একটা সুযোগ থেকে গেলো। হয়তো হয়ে যাবে, কর্তৃত্ব পেয়ে যাবো! হয়তো নয়!
কালকের জন্য অপেক্ষা। সবার সামনে সরি বলবে,  অনিক, মিথিলার সামনেও! ইশ সরি না বলে যদি লাভ ইউ বলে দিতো!!!!
------------------

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ