366

জীবনের কাব্য
লেখা :Shawon Haider
(আরেক জন কে ভালোবেসে আবার বাঁচতে আসলাম)
!
!
আজ আপনি যে কারণে অন্যকে সম্মান করছেন, ঠিক সে কারণগুলো নিজের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করতেন; দেখতেন অন্যরাও আপনাকে সম্মান করছে।
.
আজ আপনি যে সেলিব্রেটির সাথে ছবি তোলার জন্য বা তাদের সাথে কথা বলার জন্য কত চেষ্টা করছেন,ঠিক সে গুনটা যদি নিজের মধ্যে রাখতেন তাহলে সবাই আপনারদিকে আসতো,
.
আজ যে ছেলেটি পরীক্ষায় "জীবনের লক্ষ্য " রচনা লিখতে গিয়ে নিজের জীবনের লক্ষ্য না লিখে বরং অন্যের "জীবনের লক্ষ্য" কপি করে লিখে দিয়ে ভালো নাম্বার পায়, পরবর্তীতে গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করার পর সে ছেলেটিই চাকরির জন্য সিভি-তে "ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ " লিখতে গিয়ে নিজেরটা না লিখে বরং বন্ধুর "ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ " লিখে দিয়ে আসে এবং সিভি রিজেক্টেড হয়। তখন দোষটা তাঁর একার নয়, সিস্টেমের ও আছে।
.
একজন কমার্সের শিক্ষার্থীও যখন "জীবনের লক্ষ্য " রচনায় গাইড বই থেকে মুখস্থ করে অন্যের জীবনের লক্ষ্য লিখে দিয়ে আসে - যে আমি বড় হয়ে একজন ডাক্তার হতে চাই। তখন আর তাকে বুঝানোর কেউ থাকে না যে কমার্সে পড়ে ডাক্তার হওয়া যায়না। স্বপ্ন দেখানোর এবং উৎসাহ দেয়ার লোকের অভাব আজ-কাল এই সমাজের। এই সমাজে কোন প্রতিভার অভাব নেই; অভাব শুধু একজন লিডারের। যিনি প্রতিভার বাতিতে আগুন জ্বালিয়ে আলো ছড়াতে সাহায্য করবেন।
.
আজ এ দেশে শিখানো হয় সায়েন্স মানেই ব্রিলিয়ান্ট ও কমার্স মানেই মেধাহীন। আর হ্যাঁ দু'লাইন যোগ্যতা দিয়ে কখনো ৪ লাইন ভাব নিয়ে অহংকার করবেন না। মনে রাখবেন- যে পাখি পিঁপড়া খায়, সে পাখিই মৃত্যুর পর পিঁপড়ার খাবার হয়।
.
কাল আপনি আপনার প্রেমিকার হাতে "লাভ লেটার " এর পরিবর্তে যদি সময়মত "এপয়েন্টমেন্ট লেটার " দিতে না পারেন; যতই ভালোবাসি বলে চিৎকার করেন কোন লাভ হবে না,ভালোবাসা দিয়ে প্রেম চলে সংসার না। নিজে যদি ভালো ক্যারিয়ার তৈরি করে নিজের নামের নিচে পদবীযুক্ত একটা ভিজিটিং কার্ড বানাতে না পারেন, তবে আপনি যতকিছুই করেন না কেন? আপনাকে আপনার প্রেমিকার বিয়ের ইনভাইটেশন কার্ডের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যার বিয়েতে আপনার বর সেজে যাওয়ার কথা, আজ শুধু নির্দিষ্ট সময়ে ক্যারিয়ার গড়তে না পারারর কারণে আপনি হয়ে যাচ্ছেন সেই বিয়ের ইনভাইটেড গেস্ট। এখন সিদ্ধান্ত আপনার,বলার দরকার আমার!প্রেমিকার বিয়েতে ইনভাইটেড গেস্ট হবেন নাকি বর হবেন?
.
আপনার জীবনে আপনার সবচেয়ে নিকট বন্ধুটিই আপনার সবচেয়ে নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী।এটা সবসময় মনে রাখবেন!
.
যে বন্ধুটি স্কুল লাইফে আপনাকে পাশ করানোর জন্য নিরন্তর চেষ্টা করতো বা লেখে দিয়ে পাশ করাতে জানপ্রাণ চেষ্টা করতো,আজ সে বন্ধুটিই ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনাকে পরাজিত করতে নিরন্তর চেষ্টা চালাবে বস্ কে বুঝানোর চেষ্টা করবে যে আপনার থেকে তিনি উত্তম।
.
নিজের জীবন কে নিজে সাজান, নিজের জীবনের লক্ষ্য কে নিজেই তৈরি করেন,ভালোবাসেন নিজে কে, প্রাধান্য দিন নিজের মন কে।আর হ্যাঁ নিজে ভালো থাকেন অন্যদের ভালোথাকতে সাহায্য করুন।