āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

354

"""""""শিরোনামহীন গল্প"""""""""
,
>> দোস্ত, এই ভাবে একা একা আর জীবন জীবন আর কাটতে চায় না। (রাহুল)
-- কেন.? তুই আবার একা হলি কবে.? একা তো আমি। তোর জীবনে তো মা বাবা ভাই বোন বন্ধু বান্ধব সব আছে। (আমি)
>> না রে দোস্ত,, সব থাকলেও একটা ভালোবাসার মানুষ নেই। একটা ভালোবাসার মানুষ এখন খুব দরকার।
-- ও,,,এই তাহলে তোর একাকীত্বের কারন.? তাহলে একটা মেয়েকে পটিয়ে গালফ্রেন্ড বানিয়ে ফেল। তোর একাকীত্ব কেটে যাক।
>> হ্যাঁ রে দোস্ত, তাই করতে হবে। কিন্তু তুই করবি না..?
-- কি.?
>> প্রেম
-- হা হা হা, হাঁসাইলি রে দোস্ত, আমার সাথে কে প্রেম করবে বল.? তোর তো মা বাবা, সবাই আছে, আমার কী আছে.?
>> তোর কী আছে মানে.? মা, বাবা নেই তো কী হয়েছে.? তুই তো আমার থেকেও একা। তোর এই একাকীত্ব মেটানোর জন্য তো কাউকে আপন করে নিতে পারিস।
-- হুম দেখি,, আচ্ছা এখন বাসায় যেতে হবে, পরে দেখা হবে।
>> আচ্ছা,,,ভালো থাকিস।
-- হুম।
এতক্ষন যার সাথে কথা বল্লাম ও আমার প্রান প্রিয় বন্ধু রাহুল। সেই ক্লাস সিক্স থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। কত আনন্দ কত কষ্ট ওর সাথে ভাগাভাগি করে কাটিয়েছি। আমার সকল দুঃখ কষ্টের ভাগীদার এই রাহুল।
আমি নয়ন,, এবার অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি। মা বাবা সেই চার বছর আগে একটা দুর্ঘটনায় আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। এখন আমি আর আমার ছোট বোন মিতু কে নিয়ে থাকি। মিতু এবার ক্লাস নাইনে পড়ে। মেয়েটি বড়ই দুঃখী মেয়ে, ও যখন ক্লাস ফাইভে তখনই মা বাবার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়। বড় দুঃখ কষ্টে বোন কে নিয়ে কোনোরকমে দিন চলছে। কিন্তু কখনো অর্থ কষ্টে ভুগতে হয় নি। বাবার রেখে যাওয়া টাকা পয়সা,কিছু জায়গা আর বাড়ির ভাড়া থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সাচ্ছন্দ্যেই দিন কেটে যায়। কিন্তু যতই টাকা পয়সা থাকুক মা বাবা না থাকলে সেখানে কোনো সুখ সাচ্ছন্দ্য থাকে না।
,
এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় যাচ্ছি, এমন সময় একটা মেয়ের সাথে সোজা ধাক্কা খেলাম,
-- সরি সরি,, আমি আসলে দেখতে পাই নি, ক্ষমা করবেন (আমি)
>> না না, ঠিকআছে,,আসলে ভূল আমারই,, আমিই একটু অন্যমনষ্ক হয়ে হাঁটছিলাম। (মেয়ে)
-- ও, আচ্ছা,,,,,,
মেয়েটি চলে গেল। আমি ভেবেছিলাম মেয়েটি আমাকে ঝাড়ি দেবে,, কিন্তু আমি ভূল ভেবেছিলাম। মেয়েটা খুব শান্ত। আমি কিছুক্ষন মেয়েটির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম, একটু দূরে গিয়ে মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাঁসি দিয়ে চলে গেল। ব্যাপার টা আমি কিছুই বুঝলাম না। মেয়েটিকে আমার ভালো লেগে গেলো। মেয়েটি কেমন সুন্দর তা আমি জানি না, তবে আমার মন কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
অবশেষে বাসায় ফিরে নক করতেই মিতু দরজা খুলে দিলো।
>> আজ এতক্ষন কোথাই ছিলি ভাইয়া.? (মিতু)
-- এইতো রাহুলের সাথে গল্প করছিলাম,, কেন রে.?(আমি)
>> না, এমনি। (মুখ গোমড়া করে)
-- তোর মন খারাপ কেন.? কি হয়েছে বোন...?
>> ভাইয়া, তুই বিয়ে করে পেল।
-- হা হা হা,,,কি যে বলিস না বোন,,,হঠাৎ এই কথা কেন..??
>> ভাইয়া আমার আর একা একা সময় কাটে না। মা বাবা ও নেই। ভাবী থাকলে তো ভাবীর সাথে কথা বলে সময় কাটানো যায়। তাই বলছি বিয়ে করে ফেল।
-- আমার কী এখনো বয়স হয়েছে রে.? বয়স হলে ঠিকই বিয়ে করবো।
>> কিন্তু আমার যে আর ভালো লাগে না ভাইয়া।
-- আচ্ছা ঠিকআছে,, তোকে আজ বিকেলে ঘুরাতে নিয়ে যাবো। তোর খুব ভালো লাগবে। এখন কি রেঁধেছিস খেতে দে। খুব ক্ষিদা লাগছে।
>> আচ্ছা বস,, আমি খাবার আনছি।
,
আমার বোনটা ছোট হলেও খুব ভালো রান্না করতে পারে। প্রথমে বুয়ার রান্না খেয়ে খেয়ে মুখ পঁচে গিয়েছিলো। এরপর ও নিজের চেষ্টায় রান্না শিখে নেয়। ও খুব ভালো রান্না করতে পারে।
-- আজ কী রেঁধেছিস বোন..?
>> ভাইয়া তুই না বিরিয়ানি পছন্দ করতিস.? তাই তোর জন্য আজ বিরিয়ানি রেঁধেছি।
-- ও, তাই.? কেন শুধু শুধু কষ্ট করতে গেলি বল তো.?
>> কিসের কষ্ট হু.? তোর জন্য করবো না তো কার জন্য করবো..? আমার আর কেউ আছে নাকী..??
-- সত্যি, তুই আমার লক্ষি বোন। আয় বস একসাথে খাবো।
>> হুম,,
,
বিকেল বেলা মিতুর সাথে ঘুরতে বের হলাম। সত্যিই একা একা ওর খারাপ লাগারই কথা। ফেনী শহরের বিভিন্ন জায়গা ওকে ঘুরে ঘুরে দেখাতে লাগলাম। ও খুব খুশিই হয়েছে। মা বাবা থাকলে হয়তো ওকে সব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতো, যেমন টা ছোট বেলায় আমাকে দেখিয়েছিলো।
,
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে আসছে, পাখি গুলো নিজ বাসায় ফিরে যাচ্ছে, আমরাও বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য রিকসা নিয়ে রওনা হলাম, এমন সময় মিতু বলে একটা মেয়ে ডেকে উঠলো। আরে.? ওটাতো সেই মেয়েটা যার সাথে দুপুর বেলা ধাক্কা খেলাম।
>> আরে আশা আপু, তুমি.? (মিতু)
মেয়েটির নাম তাহলে আশা।
~ হুম,, আরে আপনি..?? ( আমাকে মিতুর সাথে দেখে অবাক হলো)
>> ওটা আমার ভাই। আর ভাইয়া, ইনি হলেন আশা আপু, একসময় আমাদের স্কুলেই পড়তেন। গত বছর পরীক্ষা দিয়ে এখন কলেজে ভর্তি হয়েছেন। স্কুলে থাকতে আমাকে অনেক আদর করেছেন, এখনো করেন।(মিতু)
~ তাহলে আপনিই মিতুর ভাই. ? (আশা)
-- হুম।
~ মিতুর কাছে আপনার কথা অনেক শুনেছি।
>> তুমি এখানে কেন এলে আপু..? (মিতু)
~ একটা বান্ধবীর বাসায় এসেছিলাম। (আশা)
>> এখন আমাদের বাসায় চলো আপু.(মিতু)
~ না, আজ না, আজ বাসায় যেতে হবে, অন্য একদিন আসবো। (আশা)
>> আচ্ছা ঠিকআছে, আমরাও তাহলে আসি।
~ আচ্ছা।
বাসায় ফিরে এলাম। আশার প্রতি আমার ভালো লাগাটা আরো বেড়েই গেলো।
এভাবেই প্রায় একমাস কেটে গেলো। আশা মাঝে মাঝে মিতুর সাথে দেখা করতে আমাদের বাসায় আসতো, মিতুও মাঝে মাঝে ওদের বাসায় যেত, আমিও মিতুকে ওদের বাসা থেকে ফিরিয়ে আনতে ওদের বাসায় যেতাম। এভাবে আশা ও আশার পরিবারের সাথে আমার ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে গেল। আশার একটা বড় ভাই ও ছিলো, উনি আমাকে খুব ভালো জানতো। কিন্তু দিন দিন আশাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি।এখন আমার প্রতিটা নিঃশ্বাষে নিঃশ্বাষে আশাকে জড়িয়ে ফেলেছি। ওকে সামনা সামনি ভালোবাসি কথাটা বলা আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই আমার মনের কথা জানিয়ে ওকে একটা চিঠি লিখলাম। চিঠিটা লিখে একটা পার্কে আশাকে আসতে বললাম। আমি যে আশাকে ভালোবাসি সেটা এখনো কেউ জানে না, এমনকী রাহুল ও না।
পনের মিনিট ধরে পার্কে বসে আছি এখনো আশার কোনো খবর নেই। আসলে কারো জন্য অপেক্ষা করাটা যে কতটা বিরক্তকর সেটা এখন বুঝতে পারছি। ওই তো আশা আসছে, কিন্তু সাথে রাহুল ও আসছে। রাহুল ওর সাথে কেন আসবে রাহুলের চেনা নাকী.?
~ সরি, আসতে একটু দেরী হয়ে গেল। (আশা)
>> আরে নয়ন, তুই এখানে কী করছিস..? (রাহুল)
~ তুমি ওকে চেন নাকী..? (অাশা)
>> হ্যাঁ,, ও তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আর এ হলো আশা, আমার গালফ্রেন্ড। গতকাল থেকেই আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়েছে। তোকে আজই জানাতাম, ভালোই হলো এখানে তোর সাথে দেখা হয়ে গেল।(রাহুল)
রাহুলের কথা গুলো শুনে আমার হৃদয় কেঁপে উঠলো। এ রাহুল কী বলছে.? আশা ওর গালফ্রেন্ড.!! যাকে এতদিন ধরে ভালোবেসেছি সে আজ অন্যের.? আমার মাথাটা ঘুরছে, চোখদুটো ঝাপসা হয়ে আসছে। অনেক কষ্টে চোখের পানি আটকিয়ে আমি বল্লাম,,
-- আমি আজ যাই রে, বাসায় একটু কাজ আছে।
~ সে কী তুমি না আমাকে কিছু বলবে.? (আশা)
-- না, কিছু বলার নেই।
>> আর কিছুক্ষন থাক, (রাহুল)
-- না রে,, পরে দেখা হবে।
এই কথা বলে ওখান থেকে উঠে চলে আসলাম, হৃদয় আজ বার বার প্রকোম্পিত হচ্ছে, বুকের বাম পাশটায় খুব ব্যাথা করছে, বুঝতে পারছিনা এটা কিসের ব্যাথা। যাকে হৃদয়ে স্হান দিয়েছি সে আজ অন্যের হয়ে গেল, তাই হয়তো ব্যাথা করছে। ওর জন্য এত আবেগ দিয়ে লেখা চিঠিটা পকেট থেকে বের করলাম, একবার ঝাপসা চোখে চিঠিটায় চোখ বুলিয়ে নিলাম। যার জন্য চিঠি লিখেছি তাকে তো আর চিঠিটা দেওয়া যাবে না, তাই চিঠিটা আর রেখে কী লাভ.? কিন্তু কী যেন মনে করে চিঠিটা আবার রেখে দিলাম। বাসায় এসে নক করতেই মিতু দরজাটা খুলে দিলো।
>> কী হয়েছে রে ভাইয়া তোর মন খারাপ কেন..?? (মিতু)
-- কই.? কিছু হয় নি তো, কিছু হয় নি।
এই কথা বলে নিজের রুমে এসে দরজাটা বন্ধ করে দিলাম। এতক্ষন অনেক কষ্ট করে চোখের পানি আটকিয়েছি। এখন আর চোখের পানি বাঁধা মানছে না। মিতু অনেকবার দরজা ধাক্কা দিয়েছে কিন্তু দরজা খুললাম না, কারন খুললেই ওর কাছে আমি ধরা পরে যাবো। ও সব বুঝতে পারে।
কিছুক্ষন কেঁদে মনটা হালকা লাগছে, কিন্তু অসহ্য বুকের ব্যাথাটা বেড়েই চলেছে। এর আগেও মাঝে মাঝে বুকে ব্যাথা হতো, তবে এমন অসহ্য ব্যাথা আর হয় নি, তাই আগে তেমন গুরুত্ব দিই নি। কিন্তু এখন ব্যাথা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, আগামীকালই ডাক্তার দেখাতে হবে।
,
ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছি। ডাক্তার বিভিন্ন টেস্ট দিয়েছিলো, সেগুলো করিয়েছি, এখন ডাক্তার আমার রিপোর্ট দেখছে, আর মাঝে মাঝে একটা অন্যরকম দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাচ্ছে।
>> হুম,,তোমার অভিভাবক কোথাই..? (ডাক্তার)
-- আংকেল আমার অভিভাবক কেউ নেই। (আমি)
>> অভিবভাবক কেউ নেই মানে..?
-- আংকেল আমার মা বাবা অনেক আগেই এক্সিডেন্টে মারা গেছে। যা বলার আমাকেই বলুন।
আমার কথা শুনে ডাক্তারের বদন খানি মলিন হয়ে গেল। উনি কিছুক্ষন মন খারাপ করে আমার দিকে চেয়ে রইলেন। ওনার এরকম তাকিয়ে থাকা দেখে আমার সন্দেহ হতে লাগলো, আমার আবার খারাপ কিছু হয়ে যায়নি তো..?
-- আংকেল আমার কী হয়েছে বলুন..?
>> দেখো বাবা, আমরা ডাক্তার তাই আসাদের পাষান হতে হয়, কথাটা তোমাকে বলা ঠিক না, কিন্তু বলতেই হচ্ছে, তুমি আর পৃথিবীতে বেশি দিন নেই। তোমার হার্টে একটা ছিদ্র ধরা পড়েছে।
ডাক্তারের কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। আমার পায়ের নিচের মাটি যেন সরে যাচ্ছে, এ আমার কী হলো..? আমার কিছু হলে আমার বোনের কী হবে..?
-- ডাক্তার আমি বাঁচতে চাই, প্লিজ আমাকে বাঁচান।
ডাক্তার আমার আঁকুতি শুনে দুচোখে জল এনে বললেন,,
>> দেখ বাবা, প্রকৃতির কাছে আমরা বড়ই অসহায়। তোমার অবস্হা একদম সিরিয়াস। এ অবস্হায় অপারেশন করলে তোমার বাঁচার সম্ভাবনাতো থাকবেই না বরং ঝুঁকিটা আরো বেড়ে যাবে, সৃষ্টিকর্তা তোমাকে আর যতদিন বাঁচিয়ে রাখে ততদিন তোমাকে এভাবেই থাকতে হবে।
একবুক বেদনা নিয়ে ডাক্তারের চেম্বার থেকে ফিরে আসলাম, আমার এখনো বিশ্বাস হয় না যে আমি আর মাত্র কিছুদিনের জন্য এই পৃথিবীর অতিথি। যতই মনকে শক্ত করার চেষ্টা করি ঠিক তখনি বোনের হাসিমাখা মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠে। আজ নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। চোখের পানি কোনো বাঁধা মানতে চাইছে না। বাসায় গিয়ে মিতুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম।
>> কী হয়েছে ভাইয়া কাঁদছিস কেন.? কি হয়েছে.??
-- আমি তোকে ছেড়ে কোথাও যেতে চাইনা রে বোন,,,,
>> কী আশ্চর্য, তুই এমন বাচ্চাদের মত করছিস কেন.? কী হয়েছে তোর, কোথাই যাবি আমাকে ছেড়ে..?
ওকে কিছু না বলে আবার আমার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলাম। না, এটা মিতুকে বলা যাবে না, কোনো মতেই বলা যাবে না, কাউকেই বলা যাবে না। কিন্তু আমি এখন কী করবো..? হে সৃষ্টিকর্তা তুমি আমাকে নিয়ে কোন নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছো..? তুমি আমার সাথে এমন কেন করলে.?
,
এভাবেই দশদিন কেটে গেল। এখনো কেউ কিছু জানে না। নিজের কষ্ট নিজের মাঝে চাপা দিয়ে রেখেছি, সবার সামনে কাঁদতে পারি না, কিন্তু নিরবে কাঁদি, নিজের জন্য না, বোনের জন্য। মাঝে মাঝে বুকে খুব ব্যাথা হয়, তখন মনে হয় এই বুঝি সবাইকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। কিন্তু দিন দিন বুকের ব্যাথাটা বেড়েই চলেছে। বাইরে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে বাসায় যাচ্ছি, বাসায় ঢুকতেই মিতু আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো,,
-- কী রে কাঁদছিস কেন..?
>> ভাইয়া এ তোর কী হয়ে গেল..? তুই আর বেশিদিন বাঁচবিনা,, একথা আমাকে বলিস নি কেন ভাইয়া.? আমার তো মা বাবা নেই, তুই আমার সব,, এখন তুইও আমাকে ছেড়ে চলে যাবি ভাইয়া..? এবার আমি কার সাথে থাকবো ভাইয়া বল..?
আমার চোখ দিয়েও আজ বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার বইছে,, কী করবো রে বোন.? আর তো কিছু করার নেই। আমিও বাঁচতে চাই, আমিও তোকে ছাড়া কোথাও যেতে চাই না। একটু পর রাহুল এলো, আশা এলো, আশার পরিবারের সবাই এলো। মিতু ঘটনাটা সবাইকে বলে দিয়েছে।
>> এ তোর কি হলো রে দোস্ত.? তুই এত কিছু আমাকে বলিস নি কেন..??
-- বলে আর কী হবে রে..? যা হওয়ার তা তো হয়ে গেছে,,।
এমন সময় বুকে প্রচন্ড ব্যাথা করে উঠলো। রাহুল আর মিতু আমাকে বিছানায় শুইয়ে দেয়। রাহুল ডাক্তারের কাছে যেতে চাইলো কিন্তু আমি বাঁধা দিলাম,,
-- ডাক্তারের কাছে যেয়ে আর লাভ নেই রে, আমার সময় শেষ হয়ে এসেছে।
~ চুপকর ভাইয়া, তুই এগুলো মুখে আনবি না, তুই আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবি না, আমি তোকে কোথাও যেতে দিবো না ভাইয়া।
-- আমিও যে তোকে ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না,,,,আমিও বাঁচতে চাই।
~ কিচ্ছু হবে না তোর ভাইয়া,,,,,
আশা আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে আর চোখের পানি ফেলছে।
-- আশা,, তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো,,
>> কি বলো,,
-- তোমাকে খুব ভালোবেসেছিলাম। তোমার জন্য একটা চিঠিও লিখেছিলাম, চিঠিটা এখনো আমার ডায়রিতে আছে,,,যখন জেনেছি তুমি রাহুলকে ভালোবাসো, তখন তোমাদের কাছ থেকে দূরে সরে গেলাম,, এখন আমি চলে যাচ্ছি, তাই কথাটা জানিয়ে দিলাম,,,
কথাটা শুনার পর আশা আরো জোরে কাঁদতে লাগলো। আশার বাবাকে বললাম,,
-- আংকেল আমার একটা শেষ ইচ্ছা পূরণ করবেন..??
>> বলো বাবা,,
-- রাহুল আর অাশা একে অপরকে খুব ভালোবাসে, ওদের পড়ালেখা শেষ হলে আপনি ওদের বিয়ে দেবেন তো আংকেল..??
>> দিবো বাবা, অবশ্যই দিব।
বুকের ব্যাথা আস্তে আস্তে তিব্র হতে লাগলো,, বুঝলাম আজকেই আমার শেষ দিন,,
-- রাহুল,, আমিতো চলে যাচ্ছি, আমার বোনকে তোরা একটু দেখিস। ও ছোটো মেয়ে,, তোরা একটু দেখে রাখবিতো বল..?
>> অবশ্যই রাখবো রে দোস্ত,, তোর বোন আমারো বোনের মত। আমি অবশ্যই ওকে দেখে রাখবো।
মিতু শুধু কেঁদেই চলেছে,,
-- বোন রে,,, তোর মত অভাগী যে আর নেই,, মা বাবাও তোকে ফেলে চলে গেছে, আজ আমি ও চলে যাচ্ছিরে বোন,,
>> না ভাইয়া,, আমাকে ছেড়ে কোথাও যাস না,,,আমি তোকে ছাড়া কীভাবে থাকবো বল..?
-- আমারও যে তোকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করছে না রে বোন,,,,আমার ও খুব ইচ্ছে করছে তোর সাথে বাঁচতে, ছোট বেলার মত তোর সাথে খেলতে।
>> ভাই যাস না আমাকে ছেড়ে,,,,,
-- ভালো থাকিস রে বোন,,,,,
>> ভাইয়া,,,,,আমি তোকে ছাড়া কি করে ভালো থাকবো..?
আর কথা বলতে পারছি না। শুধু শুনছি সবার কান্নার আওয়াজ, আর বোনের ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাক। আমিও যে বাঁচতে চাইরে বোন। কিন্তু নিয়তি বড়ই নিষ্ঠুর। প্রচন্ড ব্যাথা আর সহ্য করতে পারছি না। আস্তে আস্তে সব নিরব হয়ে আসছে,, মিতুর ভাইয়া ভাইয়া ডাক আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসছে, অবশেষে সব স্তব্ধ হয়ে গেল।
,
অতঃপর, নয়নের জীবনের অবসান ঘটলো।
,
লেখকঃ #দৃষ্টিহীন_নয়ন(শান্ত ছেলে)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ