364

সৃস্টির কি অদ্ভুত এক নিয়ম,,,,""
,
সেদিন আমি একটা বিয়ের অনুন্ঠানে গিয়েছিলাম,অন্য সব বিয়ের মতো সেখানে ও ছিলো খুব আনন্দময় পরিবেশ,,,, কিন্তু সেখানে আমার চোঁখ বার বার খুঁজে পাচ্ছিলো দুজন মানুষকে,সে দুজন মানুষ হচ্ছে বিয়ের কনের বাবা মা, সেখানে সব মানুষের হাঁসি খুশির মাঝে সে মানুষ দুজনার চেপে রাখা চোঁখের পানি স্পট বোঝা যাচ্ছিলো,তারা ও হাঁসার চেস্টা করছিলো কিন্তু পারছিলো না বা তা সম্ভভ না, তাদের সেদিনের চোঁখের পানি ছিলো এক অসম্ভব রকমের কস্টের কারন, তাদের চোঁখ আর শারীরিক ভাষা বলে দিচ্ছিলো আর কিছুক্ষণ পরে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অন্যের ঘর আলো করতে যাচ্ছে তাদের তিলে তিলে খুব যত্ন করে গড়া আলোর প্রদীপটি,,,,""
,
প্রতিটি মেয়ের বাবা মা জানে/মানে এতো কস্ট করে মানুষ করে একদিন তার মেয়েকে তুলে দিতে হবে স্বামীর হাতে,,কিন্তু কিছুই করার নেই এটাই যগতের এক অদ্ভুত নিয়ম, প্রতিটি মেয়েকে একদিন তার বাবা মাকে ছেড়ে রেখে যেতে হবে স্বামীর সংসারে,,,,""
,
আমি যেটা নিয়ে লেখার জন্য উপরের লেখা টুকু লিখলাম এবার সে বিষয়ে আসি,,,,""
,
প্রতিটি বাবা মা যখন তার মেয়ে বিয়ে দেই তখন একটাই চাওয়া থাকে সেটা হলো তার মেয়ে যেনো স্বামীর ঘরকে নিজের ঘর করে নিতে পারে,,,,,,কিন্তু ইদানীং একটা বিষয় খুব বেশি হচ্ছে আর সেটা হলো অনেক মেয়ে স্বামীর ঘরকে নিজের করে নিতে পারছে না আর সে জন্য আমাদের সমাজে অতিমাত্রায় বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে,,,,, আর এই বিবাহ বিচ্ছেদ হবার পিছে অনেকের একটা কারণ থাকে সেটা হলো ছেলেদের প্রতি বাবা মা/পরিবার থেকে আলাদা হবার চাপ,,,,""
,
ছোট থেকে একটা ছেলে মেয়েকে বড় করতে বাবা মায়ের কস্টের পরিমাণ কোন দিন কোন কিছু দিয়ে মাপা যাবে না আর মাপতে গেলে সেটা সম্ভব ও হবে না,,,,""
,
একটা মেয়েকে বড় করার থেকে ছেলেকে বড় বানাতে প্রতিটি বাবা মায়ের অনেক বেশি কস্ট করতে হয়,,,,,
মেয়েরা ছেলেদের থেকে অনেক বেশি গোছানো আর হিসাবি হয়ে থাকে,,
একটা মেয়েকে সহজে তার বাবা মাকে ঘুম থেকে তুলতে ডাকাডাকি করা লাগে না,,কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না,,
মেয়েরা একটু বড় হবার পর থেকে তাদের বিছানা মায়ের না গুছিলে দিয়ে ও হয় কিন্তু একটা ছেলের বেলায় এরকম কোন দিন হয় না,,
খাওয়া গোসল এসবের জন্য মেয়েদের কে মনে হয় না খুব বেশি বলতে হয় কিন্তু একটা ছেলের পিছে এজন্য কতোটা কস্ট করতে হয় তা শুধু বাবা মা ই জানে,,

মেয়েরা সে রকম বাসার বাহিরে বের হয় না,,কিন্তু ছেলেরা,,তারা বাসায়ই বেশি থাকে না,আর ছেলে যখন বাসায় থাকে না বা রাতে যখন বাসায় ফিরতে দেরি করে বাবা মায়ের না খেয়ে বসে থেকে চিন্তা করা এসব দিক থেকে মেয়েরা এগিয়েই থাকে,,,,
,
এরকম আরো অনেক ব্যাপার আছে যেগুলোতে মেয়েরা ছেলেদের বাবা মায়ের কস্টের কারণ না হওয়া থেকে এগিয়ে,,,,
,
বাবা মাকে এই রকম হাজারো কস্ট দেয়া ছেলের কাছ থেকে ও তো বাবা মায়ের অনেক না হোক একটু তো চাওয়া/পাওয়া থাকতে পারে নাকি পারে না??
,
একটা মেয়ে বিয়ের দুদিন পরে যখন ছেলেটার কাছে বাবা মা থেকে আলাদা হবার জন্য চাপ দেই তখন অনেক ছেলে বাবা মায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে হয়ে যায় নিজের স্ত্রীর আর তাকে নিয়ে আলাদা,,আবার অনেকে স্ত্রীর কথায় রাজী না হয়ে বাবা মাকে বুকে আগলে রাখে,,হাজার সালাম সেই সব ভাইকে যারা শত বাধা উপেক্ষা করে নিজের কাছে রেখেছেন বাবা মাকে,,,,
,
সেই সব মেয়েদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনি তো বিয়ের দিন আপনার বাবা মায়ের চোঁখের পানি দেখেছেন আর বুঝেছেন আপনার প্রতি তাদের ভালোবাসা,,আপনাকে নিজের কাছ থেকে স্বামীর ঘরে পাঠাতে তাদের কস্টের যন্ত্রনা কি ভয়ংকর ছিলো সেদিন,,,,,,তাহলে আপনি কেনো আজ আপনার স্বামীকে তার বাবা মার থেকে আলাদা করছেন বা চাচ্ছেন,,? আপনি তো তার হয়েছেন সেদিন আর তাকে যারা এই পৃথীবিতে এনেছে আর হাজারো কস্ট সহ্য করে মানুষ করেছে তাদের থেকে তো আর আপনার স্বামীর প্রতি আপনার হক বা অধিকার বেশি না,,,,আপনার বিয়ে করা ছেলেটাকে আপনি হয়তো তার টাকা/পয়সা বাড়ি/গাড়ী বা তার চেহারা দেখে বিয়ে করেছেন কিন্তু ছেলেটার যদি এসবের কিছুই না থাকত তাহলে হয়তো তাকে আপনি বিয়ে করতেন না,,আর ওই ছেলেটার যদি হাত/পা না থাকত বা যদি সে কথা বলতে না ও পারত তবে ও তার বাবা মা তার পাশে থাকত, তারা কোনদিই নিজের ছেলের পাশ থেকে সরতে পারত না, সুতরাং আপনার থাকে ছেলেটার প্রতি তার বাবা মায়ের অধিকার অনেক অনেক বেশি,,
মনে রাখবেন আপনি কিন্তু একদিন মা হবেন সেদিন বুঝবেন বাবা মায়ের কাছে নিজের সন্তান না থাকার যন্ত্রণা কতোটা ভয়ংকর হতে পারে,,হতে পারে ছেলেটি আপনার স্বামী কিন্তু আপনার থেকে তার প্রতি আর তার তার বাবা মায়ের প্রতি হক আর অধিকার অনেক অনেক বেশি,,,,""
,
প্রতিটি বাবা মায়ের বেঁচে থাকা অবস্থায় শেষ ঠিকানা যেনো বিদ্ধ্যাআশ্রম না হয়ে হয় সন্তানের কোল,,একদিন যে কোলে মাথা রেখে আপনি/আমি ঘুমিয়েছি আর থেকেছি পরম যত্নে বাবা মায়ের ও কিন্তু শেষ বয়সে সেটা আমাদের কাছ থেকে প্রাপ,,,,""
,
লেখক #Mahedi_hasan